মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছিল চীন। সেই আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে দাবি করেছে বেইজিং। গতকাল সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এ কথা জানিয়েছেন। তবে বৈঠকে কোন কোন পক্ষ অংশ নিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর চীন সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। সেই অপারেশন শুরুর পর জান্তা বাহিনীর দখল থেকে বিপুল পরিমাণ ভূমির নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। সেই অভিযান এখনো চলমান। এরই মধ্যে চীন সফরে গিয়েছিলেন জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে। সেখানে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, যেন শান্তি আলোচনা শুরু করতে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে চাপ দেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই আলোচনার ফল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাও নিং বলেন, ‘উত্তর মিয়ানমারে সংঘর্ষে জড়িত পক্ষগুলো শান্তি আলোচনায় বসেছে বলে চীন আনন্দিত। এই আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিং এই শান্তি আলোচনা পরিণতিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে যাবে।’
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, উত্তর মিয়ানমারে পরিস্থিতি শান্ত হলে তা মিয়ানমারের সব পক্ষকেই সুবিধা দেবে এবং চীন-মিয়ানমার সীমান্তে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।’
এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার চীনের রাজধানী বেইজিং সফরে যান মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে। সেখানে তিনি গত বৃহস্পতিবার যোগ দেন লাচাং-মেকং কো-অপারেশন শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে। তারই এক ফাঁকে থান শোয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে মিয়ানমারের অন্তত তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে যুদ্ধ ছেড়ে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাপ দেওয়ার জন্য ওয়াং ইকে অনুরোধ করেন থান শোয়ে। বৈঠক শেষে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে ওয়াং ই বলেছেন, চীন আশা করে মিয়ানমারে শিগগিরই জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা শুরু হবে এবং দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক রূপান্তর সূচিত হবে।’
এ ছাড়া চীনা একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য চীনের সাহায্য কামনা করেছে। তবে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকে ত্বরান্বিত করা, মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় হয়ে ইউনান প্রদেশের সঙ্গে রাখাইন প্রদেশকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রেলপথ নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, দুটি প্রকল্পই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ।
পাশাপাশি এ দুই নেতা মাদক, মানব পাচার ও অনলাইন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেছে বলেও জানানো হয়েছে মিয়ানমারের সরকারনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছিল চীন। সেই আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে দাবি করেছে বেইজিং। গতকাল সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এ কথা জানিয়েছেন। তবে বৈঠকে কোন কোন পক্ষ অংশ নিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর চীন সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। সেই অপারেশন শুরুর পর জান্তা বাহিনীর দখল থেকে বিপুল পরিমাণ ভূমির নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। সেই অভিযান এখনো চলমান। এরই মধ্যে চীন সফরে গিয়েছিলেন জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে। সেখানে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, যেন শান্তি আলোচনা শুরু করতে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে চাপ দেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই আলোচনার ফল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাও নিং বলেন, ‘উত্তর মিয়ানমারে সংঘর্ষে জড়িত পক্ষগুলো শান্তি আলোচনায় বসেছে বলে চীন আনন্দিত। এই আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিং এই শান্তি আলোচনা পরিণতিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে যাবে।’
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, উত্তর মিয়ানমারে পরিস্থিতি শান্ত হলে তা মিয়ানমারের সব পক্ষকেই সুবিধা দেবে এবং চীন-মিয়ানমার সীমান্তে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।’
এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার চীনের রাজধানী বেইজিং সফরে যান মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে। সেখানে তিনি গত বৃহস্পতিবার যোগ দেন লাচাং-মেকং কো-অপারেশন শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে। তারই এক ফাঁকে থান শোয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে মিয়ানমারের অন্তত তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে যুদ্ধ ছেড়ে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাপ দেওয়ার জন্য ওয়াং ইকে অনুরোধ করেন থান শোয়ে। বৈঠক শেষে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে ওয়াং ই বলেছেন, চীন আশা করে মিয়ানমারে শিগগিরই জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা শুরু হবে এবং দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক রূপান্তর সূচিত হবে।’
এ ছাড়া চীনা একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য চীনের সাহায্য কামনা করেছে। তবে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকে ত্বরান্বিত করা, মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় হয়ে ইউনান প্রদেশের সঙ্গে রাখাইন প্রদেশকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রেলপথ নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, দুটি প্রকল্পই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ।
পাশাপাশি এ দুই নেতা মাদক, মানব পাচার ও অনলাইন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেছে বলেও জানানো হয়েছে মিয়ানমারের সরকারনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মার্কিন মাটি থেকে দেওয়া পারমাণবিক হুমকি ঘিরে বিশ্বরাজনীতিতে তোলপাড়। মুনির বলেছেন, আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, প্রয়োজনে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাব। তাঁর এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেসিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখায় চাপে পাকিস্তান। এই আবহে দেশটির সাবেক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো গতকাল সোমবার সিন্ধে এক সমাবেশে বলেছেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায়, তবে ছয়টি নদীর পানি পাওয়ার জন্য যুদ্ধ ছাড়া বিকল্প থাকবে না।’ তাঁর মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা নিয়ে কড়া অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভারত থেকে বাণিজ্যিক লেনদেনের অর্থ রাশিয়া ব্যবহার করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে। এর জেরেই ভারতীয় পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নতুন...
২ ঘণ্টা আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
৪ ঘণ্টা আগে