Ajker Patrika

দক্ষিণ কোরিয়ায় ডুবে যাওয়া টানেল থেকে ১৩ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২: ০২
দক্ষিণ কোরিয়ায় ডুবে যাওয়া টানেল থেকে ১৩ মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীরা বন্যায় প্লাবিত টানেলে আটকে পড়া গাড়ির কাছে পৌঁছাতে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে চেওংজু শহরের ওই টানেল থেকে অন্তত ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দেশটির বেশির ভাগ অংশে বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সর্বশেষ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

 ৬৮৬ মিটার দীর্ঘ টানেলে কতজন লোক এখনো আটকা পড়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ১৫টি যানবাহন ডুবে গেছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, খুব দ্রুত একটি আকস্মিক বন্যায় চেওংজু শহরের ওসোং শহরতলিতে থাকা টানেলটি ভেসে গিয়েছিল। যার কারণে চালকও সেখান থেকে বের হতে পারেননি। 

গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রায় ৩০০ মিমি (১১.৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। কোরিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, দেশটিতে সাধারণত বছরে ১০০০ মিমি (৩৯.৪ ইঞ্চি) থেকে ১৮০০ মিমি (৭০.৯ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়। 

ভারী বর্ষণের কারণে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার। অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় বেশির ভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য উত্তর গিয়ংসাং অঞ্চলে। সেখানে ভূমিধসে অনেক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করতে বলেছেন। 

স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে, উত্তর চুংচেং-এর গোয়েসান বাঁধ দিয়ে পানি উপচে পড়া শুরু হওয়ার পর ৬ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বাঁধের কাছাকাছি কয়েকটি নিচু গ্রাম এবং তাদের সঙ্গে সংযোগকারী অনেক রাস্তা ডুবে গেছে। এতে কিছু বাসিন্দা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে।

সূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিস্তল দিয়ে বাবলার পিঠে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুহূর্তেই সটকে পড়ে মুখোশধারীরা

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর

গভীর রাতে পিনাকীর বাড়ির সামনে আগুন জ্বেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চলে গেল দুই যুবক

নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাই বিপ্লবওয়ালারা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন সংবিধান চাইলে, সেটাই হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজার প্রশাসন সামলাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, হামাসের সঙ্গে ‘চুক্তি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গাজায় টহলরত হামাসের এক সদস্য। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শিশুরা। ছবি: এএফপি
গাজায় টহলরত হামাসের এক সদস্য। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শিশুরা। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে একটি ‘অস্থায়ী চুক্তিতে’ পৌঁছেছে। এই চুক্তির আওতায় গাজার প্রশাসন সামলাবে রামাল্লায় অবস্থিতি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একটি অস্থায়ী কমিটি। গত মঙ্গলবার হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরাকে এই কথা বলেন।

মুসা আবু মারজুক বলেন, এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন মন্ত্রী। আর এই কমিটি গাজার সীমান্ত পারাপার ও নিরাপত্তা বাহিনী তত্ত্বাবধান করবে। তবে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

আবু মারজুক আরও বলেন, তেলআবিব গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খসড়া পরিকল্পনার বিপরীত। কারণ, সেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়েছিল।

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো দীর্ঘ আলোচনা প্রয়োজন।’ মারজুক নিশ্চিত করেছেন, আন্তর্জাতিক ওই নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

হামাসের নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে মারজুক বলেন, ‘গাজার মাটিতে হামাসই কার্যত নিয়ন্ত্রণে আছে। যদি তাদের নিরস্ত্র করা হয়, অন্য গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র হাতে উঠবে। যেমন ইরাকে সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হওয়ার পর বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, আল-কায়েদা আর আইএস উত্থান ঘটায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতে স্থিতিশীলতা আসবে না, বরং যুদ্ধবিরতি বা অন্য কোনো চুক্তি বাস্তবায়ন আরও কঠিন হবে। গাজায় কোনো শূন্যতা নেই—যে কোনো বিকল্প বাহিনী অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের দ্বারা গঠিত ও তাদের সম্মতিতে হতে হবে, যাতে কোনো অভ্যন্তরীণ সংঘাত না হয়।’

এর আগে, হামাস ও পিএ—এর ফাতাহ দল মিশরে বৈঠক করে কিছু প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে সেসব চুক্তি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অন্তত দুই বছর মেয়াদি “প্রশাসন” পরিচালনার প্রস্তাব রয়েছে, যা পরে বাড়ানোও যেতে পারে।

ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, পিএ কেবল তখনই গাজার প্রশাসন নিতে পারবে, যখন তারা ‘সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করবে’ এবং ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন ‘বোর্ড অব পিস’ থেকে ‘চূড়ান্ত অনুমোদন’ পাবে।

তবে কিছু আরব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার কয়েকটি অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করা এবং হামাসকে অস্ত্র ত্যাগে বাধ্য করার শর্ত। পশ্চিমা কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে আই ২৪ নিউজ জানিয়েছে, আরব দেশগুলো এই ধারা মেনে নিতে রাজি নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিস্তল দিয়ে বাবলার পিঠে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুহূর্তেই সটকে পড়ে মুখোশধারীরা

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর

গভীর রাতে পিনাকীর বাড়ির সামনে আগুন জ্বেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চলে গেল দুই যুবক

নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাই বিপ্লবওয়ালারা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন সংবিধান চাইলে, সেটাই হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাটল ফর বিহার শুরু: প্রথম ধাপে ভোট হচ্ছে ১২১ আসনে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৭
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বিহারকে ভারতীয় রাজনীতির পরীক্ষাগার বলে মনে করেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। আর সেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ—ব্যাটল ফর বিহার। মর্যাদার লড়াইয়ে রাজ্যের ২৪৩টি আসনের অর্ধেক, অর্থাৎ ১২১ আসনের ভোট আজ বুধবার প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোট আবারও ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্রের এই উৎসবে উৎসাহ নিয়ে অংশ নিতে। তিনি বলেছেন, ‘যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছে, বিশেষ করে আমার তরুণ বন্ধুরা—মনে রাখবে, আগে ভোট, পরে নাশতা।’

অন্যদিকে, বিরোধী ‘গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স বা মহাগাঠবন্ধন’ সরকারবিরোধী মনোভাব ও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুত ‘প্রতিটি ঘরে চাকরি’ পরিকল্পনার ওপর ভরসা করে এনডিএকে হারানোর আশা করছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসা আরজেডি এবারও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে আগ্রাসী প্রচারণা চালিয়েছে। তরুণ ভোটারদের টানাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

বিজেপি এবারও জাঁকজমকপূর্ণ প্রচার চালিয়েছে। মোদি নিজে, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এতে অংশ নিয়েছেন। তবে প্রচারের শেষ দিকে এনডিএ শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তার গুঞ্জন ছড়ায়। অনেকে ধরে নেন, ছয়বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ৭৪ বছর বয়সী নিতীশ কুমারকে এবার সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ তাঁর দল জেডিইউ এখন বিজেপির ছায়ায় আসলে অবস্থান করছে দ্বিতীয় সারিতে। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বিষয়টি পরিষ্কার করেন।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রচারণা ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। ২০২০ সালে তারা জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দল–আরজেডির তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। এবারের প্রচার শুরুতে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের যৌথ পদযাত্রায় গতি এলেও রাহুল প্রায় দুই মাস প্রচারে অনুপস্থিত ছিলেন। এর প্রভাব পড়ে আসন বণ্টনের আলোচনাতেও। ফলে এখন অন্তত ১২ টির বেশি আসনে কংগ্রেস ও আরজেডি মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে, যা বিরোধী ভোট বিভক্তির আশঙ্কা তৈরি করেছে।

এদিকে নির্বাচনে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হিসেবে দেখা হচ্ছে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে। তাঁর দল জন সুরাজ পার্টি রাজনীতির ময়দানে নতুন চমক এনেছে। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের দল হয় ১০ টিরও কম আসন পাবে, নয়তো ১৫০ টিরও বেশি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে বা পরে কোনো জোটে তাঁরা যোগ দেবে না। রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে জন সুরাজ এবং দুর্নীতি ও মৌলিক সেবার অবনতিকে প্রধান ইস্যু করেছে।

নির্বাচনের মূল বিষয়গুলো ঘুরছে জীবিকা, বেকারত্ব, অভিবাসন, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ঘিরে। তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুতি—রাজ্যের প্রতিটি ঘরে একটি করে সরকারি চাকরি—রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। এই প্রতিশ্রুতির মানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ চাকরি।

এনডিএর দাবি, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা এত বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মতো নয়। তাদের প্রতিশ্রুতি—১ কোটি চাকরি সৃষ্টি ও নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা, যার লক্ষ্য ১ কোটি নারী লাখপতি গড়ে তোলা।

আজ যে আসনগুলোতে ভোট হচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগই মধ্য বিহার অঞ্চলে। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই অঞ্চলেই মহাগাঠবন্ধন জোট ভালো ফল করেছিল—১২১টি আসনের মধ্যে ৬৩ টিতে জয় পেয়েছিল তারা। বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জেডিইউ মিলে পেয়েছিল ৫৫টি আসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিস্তল দিয়ে বাবলার পিঠে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুহূর্তেই সটকে পড়ে মুখোশধারীরা

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর

গভীর রাতে পিনাকীর বাড়ির সামনে আগুন জ্বেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চলে গেল দুই যুবক

নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাই বিপ্লবওয়ালারা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন সংবিধান চাইলে, সেটাই হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: জোহরান মামদানির জয় কি অভিজাতদের পরাজয়?

  • শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক মামদানির।
  • ব্যয়বহুল বিলবোর্ডের বদলে গেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
  • করপোরেট প্রভাবের বিরুদ্ধে জয়ের প্রতীক।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ১২
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ভোটের এই ফলকে ‘ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে। ছবি: এএফপি
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ভোটের এই ফলকে ‘ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কয়েক মাস ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জোহরান মামদানি। বাসচালকদের সংগঠক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা এই তরুণ যখন ভোটের মাঠে নামলেন, তখন কেউ ভাবেনি, তিনি এত দূর যাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী অভিজাতদের পরাস্ত করে হাজির হলেন বিজয়ীর বেশে। রেকর্ড গড়লেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে। হোয়াইট হাউসে যখন ট্রাম্পের মতো একজন তীব্র অভিবাসীবিরোধী প্রেসিডেন্ট, সেই সময়ে নিউইয়র্কে তাঁর মতো একজন অভিবাসী প্রার্থীর জয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের রাজনীতি ছিল করপোরেট অনুদাননির্ভর ও অভিজাত শ্রেণির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে অভিবাসী পরিবারের সন্তান মামদানির উত্থান যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

মামদানির প্রচারের ধরন ছিল একেবারে আলাদা। অন্য প্রার্থীদের মতো তিনি ব্যয়বহুল বিলবোর্ড বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে যাননি। বরং চষে বেড়িয়েছেন পাড়ায় পাড়ায়, মানুষের দরজায় দরজায়। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন চোখে চোখ রেখে। জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আপনার বাড়িভাড়া কত বেড়েছে? সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি কীভাবে দিচ্ছেন?’ এই সাধারণ প্রশ্নগুলোর মধ্যেই ছিল তাঁর আসল বার্তা; রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা।

মামদানির শিকড় দক্ষিণ এশিয়ায়। বাবা উগান্ডা থেকে আসা অভিবাসী, মা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে যুক্ত হন বাসচালকদের সংগঠনে। রাজনীতিতে আসার পরও নিজেকে পরিচয় দেন ‘কমিউনিটি অর্গানাইজার’ হিসেবে; নেতা হিসেবে নয়।

নির্বাচনের আগের মাসগুলোয় অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন এক দৃশ্য। একদল তরুণ রাতে কাজ শেষে বেরিয়ে পড়েছেন পোস্টার লাগাতে। কেউ কলেজে পড়েন, কেউ দোকানে কাজ করেন। হাতে লেখা স্লোগান, মুনাফার চেয়ে জীবন গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের কণ্ঠে দৃঢ়তা, ‘আমরা এমন কাউকে চাই, যিনি আমাদের মতো।’

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে তাঁদের বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। হিজাব পরা নারী, রেস্টুরেন্টকর্মী, তরুণ, অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ সবাই হাজির কেন্দ্রে। কোলের শিশু নিয়েও ভোট দিয়েছেন অনেকে। এই ভোটারদের বড় অংশের বিশ্বাস, মামদানি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি এক নতুন আশার প্রতীক।

ভোটে মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জনতা। তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত ভোটারদের কেউ বলছিলেন, এটা ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়। আবার কেউ বলেছেন, ‘আমরা এমন এক শহর তৈরি করতে চাই, যেখানে রাজনীতি মানে মানবিকতা।’

ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ধনীদের বদলে মানুষের জন্য রাজনীতি করার প্রত্যয়ের কথা জানান মামদানি। তিনি বলেন, ‘এই বিজয় আমার নয়। এটি তাঁদের বিজয়, যাঁরা ঘর হারিয়েছেন, যাঁদের সন্তান ঋণ শোধ করতে করতে কলেজ ছেড়ে দিয়েছেন; যাঁদের চিকিৎসা বিল দিতে হিমশিম খেতে হয়।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির জন্য একটি বড় বার্তা। এটি করপোরেট প্রভাব, ধনীদের দখলদারত্ব আর দলীয় সিন্ডিকেটের রাজনীতির প্রতি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিস্তল দিয়ে বাবলার পিঠে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুহূর্তেই সটকে পড়ে মুখোশধারীরা

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর

গভীর রাতে পিনাকীর বাড়ির সামনে আগুন জ্বেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চলে গেল দুই যুবক

নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাই বিপ্লবওয়ালারা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন সংবিধান চাইলে, সেটাই হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আটকে গেল ৩ চীনা নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীনের ‘শেনঝু-২০’ মহাকাশযানের তিন নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি। ছবি: সংগৃহীত
চীনের ‘শেনঝু-২০’ মহাকাশযানের তিন নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি। ছবি: সংগৃহীত

তিন চীনা নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ তাঁদের ফিরে আসার মহাকাশযান ‘শেনঝু-২০’ সম্ভবত মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি ছয় মাসের মিশন শেষে বুধবারই পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ফেরার ঠিক আগমুহূর্তে ‘শেনঝু-২০’ এর সম্ভাব্য আঘাতজনিত ঝুঁকি চিহ্নিত হওয়ায় মিশন স্থগিত রাখা হয়েছে।

চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে মহাকাশযানটির আঘাত বিশ্লেষণ ও ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে। ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে বা কখন নভোচারীরা ফিরবেন, সেই বিষয়ে কোনো সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। এই নভোচারীরা গত এপ্রিলে চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া অঞ্চল থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।

এদিকে কয়েক দিন আগেই চীন সফলভাবে ‘শেনঝু-২১’ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে আরও তিন নতুন নভোচারীকে ‘তিয়ানগং’ বা ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’ নামে তাদের মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছে। নতুন এই দলটিতে রয়েছেন ৩২ বছর বয়সী উ ফেই, যিনি চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ নভোচারী হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন। নতুন দলটি স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পুরোনো দলটির পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল।

মহাকাশ স্টেশনে ‘শেনঝু-২১’ পৌঁছানোর পর নতুন ও পুরোনো দুটি মহাকাশচারী দলের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। সেখানে পৃথিবীতে ফেরার অপেক্ষায় থাকা চেন দং বলেন, ‘আমরা এখন পৃথিবীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ কিন্তু তাঁদের মহাকাশযান পরিদর্শনের পরই আটকে যায় পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া।

চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, নভোচারীদের নিরাপত্তা ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেনঝু কর্মসূচি প্রতি ছয় মাস পরপর পরিচালিত হয় এবং চীনের মহাকাশ অগ্রযাত্রার একটি বড় গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন মহাকাশ গবেষণায় দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে।

চীনের এই ধারাবাহিক উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। যদিও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত বছর মার্কিন নভোচারী সুনি উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরও বোয়িং স্টারলাইনারের ত্রুটির কারণে ৯ মাস ধরে মহাকাশে আটকে ছিলেন। তাঁরা অবশেষে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফেরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিস্তল দিয়ে বাবলার পিঠে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুহূর্তেই সটকে পড়ে মুখোশধারীরা

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর

গভীর রাতে পিনাকীর বাড়ির সামনে আগুন জ্বেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে চলে গেল দুই যুবক

নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাই বিপ্লবওয়ালারা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন সংবিধান চাইলে, সেটাই হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত