আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’

ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা
২ ঘণ্টা আগে
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
সিএনএন জানিয়েছে, নিহত আইনজীবী খোসরো আলিকোরদির স্মরণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী হানা দিয়ে নার্গিস সহ আরও কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে।
২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি ইরানের অন্যতম সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী। গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় তিনি তেহরানের কুখ্যাত অ্যাভিন কারাগারে বন্দী ছিলেন। এই কারাগারে সাধারণত সরকার-বিরোধী ও সমালোচকদের রাখা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ এবং প্রচার চালানোর অভিযোগে নার্গিসের বিরুদ্ধে মোট ৩১ বছরের সাজা রয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পায়ের একটি অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিনের জন্য নার্গিসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। তিনি পুনরায় জেলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলেও তিনি কারাগার থেকে অল্প সময়ের চিকিৎসা ছুটির মধ্যেও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিগত এক বছরে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার আয়োজনে অংশ নিয়ে ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে সরব ছিলেন।
গত সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে নার্গিস বলেন—ইরানি জনগণ আসলে কোনো শান্তিই পায় না। কারণ রাষ্ট্র তাদের ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে। নজরদারি, সেন্সরশিপ, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও সহিংসতার হুমকিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত।
তিনি ইরানের নাগরিক সমাজ, স্বাধীন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার রক্ষকদের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থনের আহ্বান জানান।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অ্যাভিনের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি, লক্ষ্য একটিই—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।’
নার্গিস মোহাম্মাদি কারাগারে থাকার সময় থেকেই নারী বন্দীদের ওপর নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার অভিযোগ করে আসছেন। বিভিন্ন চিঠি ও বক্তব্যে তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হওয়া নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন। যদিও ইরানি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
নার্গিসের যমজ সন্তান কিয়ানা ও আলি তাঁর হয়ে ২০২৩ সালে নরওয়ের অসলোতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে। তাঁর স্বামী তাগি রাহমানিও দীর্ঘ ১৪ বছর রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন।

ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
সিএনএন জানিয়েছে, নিহত আইনজীবী খোসরো আলিকোরদির স্মরণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী হানা দিয়ে নার্গিস সহ আরও কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে।
২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি ইরানের অন্যতম সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী। গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় তিনি তেহরানের কুখ্যাত অ্যাভিন কারাগারে বন্দী ছিলেন। এই কারাগারে সাধারণত সরকার-বিরোধী ও সমালোচকদের রাখা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ এবং প্রচার চালানোর অভিযোগে নার্গিসের বিরুদ্ধে মোট ৩১ বছরের সাজা রয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পায়ের একটি অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিনের জন্য নার্গিসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। তিনি পুনরায় জেলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলেও তিনি কারাগার থেকে অল্প সময়ের চিকিৎসা ছুটির মধ্যেও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিগত এক বছরে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার আয়োজনে অংশ নিয়ে ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে সরব ছিলেন।
গত সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে নার্গিস বলেন—ইরানি জনগণ আসলে কোনো শান্তিই পায় না। কারণ রাষ্ট্র তাদের ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে। নজরদারি, সেন্সরশিপ, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও সহিংসতার হুমকিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত।
তিনি ইরানের নাগরিক সমাজ, স্বাধীন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার রক্ষকদের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থনের আহ্বান জানান।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অ্যাভিনের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি, লক্ষ্য একটিই—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।’
নার্গিস মোহাম্মাদি কারাগারে থাকার সময় থেকেই নারী বন্দীদের ওপর নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার অভিযোগ করে আসছেন। বিভিন্ন চিঠি ও বক্তব্যে তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হওয়া নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন। যদিও ইরানি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
নার্গিসের যমজ সন্তান কিয়ানা ও আলি তাঁর হয়ে ২০২৩ সালে নরওয়ের অসলোতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে। তাঁর স্বামী তাগি রাহমানিও দীর্ঘ ১৪ বছর রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন।

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা
২ ঘণ্টা আগে
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুর্কমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতারা মিলিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার এই বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ এক অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়।
Russia's RT channel releases visuals of Pakistan's PM 'Gate-crashing' Putin-Erdogan meet in Turkmenistan after waiting for 40 minutes pic.twitter.com/0RdsUfIxvf
— Sidhant Sibal (@sidhant) December 12, 2025
আরটি ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পুতিনের সঙ্গে তাঁর নির্ধারিত বৈঠক বিলম্বিত হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে চলা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রবেশ করেন।
আরটি ইন্ডিয়া বলছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তিনি অন্তত দ্রুত একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সেরে নিতে পারেন।
জানা গেছে, ওই কক্ষে প্রবেশের প্রায় ১০ মিনিট পর তিনি সেখান থেকে চলে যান।
ক্যামেরায় ধরা পড়া এই মুহূর্তটি অনলাইনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। ’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘পুতিন ভিক্ষুকদের পেছনে সময় নষ্ট করতে চান না’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘ট্রাম্পও এই ভিক্ষুকদের সঙ্গে একই আচরণ করতেন।’
উল্লেখ্য, ফোরামটি তুর্কমেনিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। দেশটির স্থায়ী নিরপেক্ষতার নীতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। এই নীতি অনুযায়ী, তুর্কমেনিস্তান কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয় না, আত্মরক্ষার বাইরে কোনো সংঘাতে অংশ নেয় না এবং নিজের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতিও দেয় না।

তুর্কমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতারা মিলিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার এই বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ এক অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়।
Russia's RT channel releases visuals of Pakistan's PM 'Gate-crashing' Putin-Erdogan meet in Turkmenistan after waiting for 40 minutes pic.twitter.com/0RdsUfIxvf
— Sidhant Sibal (@sidhant) December 12, 2025
আরটি ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পুতিনের সঙ্গে তাঁর নির্ধারিত বৈঠক বিলম্বিত হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে চলা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রবেশ করেন।
আরটি ইন্ডিয়া বলছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তিনি অন্তত দ্রুত একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সেরে নিতে পারেন।
জানা গেছে, ওই কক্ষে প্রবেশের প্রায় ১০ মিনিট পর তিনি সেখান থেকে চলে যান।
ক্যামেরায় ধরা পড়া এই মুহূর্তটি অনলাইনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। ’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘পুতিন ভিক্ষুকদের পেছনে সময় নষ্ট করতে চান না’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘ট্রাম্পও এই ভিক্ষুকদের সঙ্গে একই আচরণ করতেন।’
উল্লেখ্য, ফোরামটি তুর্কমেনিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। দেশটির স্থায়ী নিরপেক্ষতার নীতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। এই নীতি অনুযায়ী, তুর্কমেনিস্তান কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয় না, আত্মরক্ষার বাইরে কোনো সংঘাতে অংশ নেয় না এবং নিজের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতিও দেয় না।

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা
২ ঘণ্টা আগে
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশভাগের পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কৃত পড়ানো শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) সম্প্রতি ‘সংস্কৃতের পরিচিতি’ (Introduction to Sanskrit) নামে একটি কোর্সটি শেষ করেছে। দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষাটি পড়ানো শুরু হওয়ায় দেশটির শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেছে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এলইউএমএস জানায়, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম ও প্রভাবশালী ভাষাগুলোর একটি সংস্কৃত। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে এটি খুব কমই পড়ানো হয়েছে। কয়েক দশক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এর পুনরাবির্ভাব দক্ষিণ এশিয়ার সম্মিলিত বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি নতুন অঙ্গীকার তুলে ধরছে।’
এ উদ্যোগের কেন্দ্রে আছেন ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শাহিদ রশীদ। তিনি বলেন, ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার দার্শনিক, সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তানে সংস্কৃত ভাষার ওপর কোনো কোর্স পড়ানো ‘ক্ষুদ্র কিন্তু একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’।
এলইউএমএস জানিয়েছে, রশীদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আগ্রহই তাঁকে ভাষাটি শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনকে (ইন্ডিয়া) অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। এটি কোনো ধর্মের সম্পত্তি নয়।’
লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘গুরমানি সেন্টারের’ পরিচালক আলী উসমান কাসমি দ্য ট্রিবিউনকে জানান, শুরুতে সপ্তাহে একটি উন্মুক্ত প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল, যেখানে ছাত্র, গবেষক, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ—সবাই অংশ নিতে পারতেন। ভালো সাড়া পাওয়ায় পরে বিশ্ববিদ্যালয় এটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স হিসেবে চালু করে।
আলি উসমান কাসমি বলেন, ‘এখনো শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম, তবে আমরা আশাবাদী যে পরের কয়েক বছরে তা আরও বাড়বে। আশা করছি ২০২৭ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে এটি বছরব্যাপী কোর্স হিসেবে পড়ানো সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান-ভারত উপমহাদেশের যৌথ ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় সংস্কৃত চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য, কবিতা, শিল্প ও দর্শনের বহু শিকড় বৈদিক যুগে গাঁথা। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, বেদও এই অঞ্চলে রচিত হয়েছিল—তাই মূল ভাষায় এসব পাঠের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
এলইউএমএস জানিয়েছে, এই কোর্স ছাত্র ও গবেষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, দর্শন ও সংস্কৃতি বোঝার ক্ষেত্রে প্রাচীন ভাষার প্রতি নতুন আগ্রহের ইঙ্গিত। ভবিষ্যতে গুরমানি সেন্টার আরও এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাবে।
ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) মহাভারত এবং ভগবদ্গীতা নিয়ে কোর্স চালুর পরিকল্পনাও করছে।

দেশভাগের পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কৃত পড়ানো শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) সম্প্রতি ‘সংস্কৃতের পরিচিতি’ (Introduction to Sanskrit) নামে একটি কোর্সটি শেষ করেছে। দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষাটি পড়ানো শুরু হওয়ায় দেশটির শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেছে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এলইউএমএস জানায়, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম ও প্রভাবশালী ভাষাগুলোর একটি সংস্কৃত। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে এটি খুব কমই পড়ানো হয়েছে। কয়েক দশক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এর পুনরাবির্ভাব দক্ষিণ এশিয়ার সম্মিলিত বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি নতুন অঙ্গীকার তুলে ধরছে।’
এ উদ্যোগের কেন্দ্রে আছেন ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শাহিদ রশীদ। তিনি বলেন, ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার দার্শনিক, সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তানে সংস্কৃত ভাষার ওপর কোনো কোর্স পড়ানো ‘ক্ষুদ্র কিন্তু একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’।
এলইউএমএস জানিয়েছে, রশীদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আগ্রহই তাঁকে ভাষাটি শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনকে (ইন্ডিয়া) অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। এটি কোনো ধর্মের সম্পত্তি নয়।’
লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘গুরমানি সেন্টারের’ পরিচালক আলী উসমান কাসমি দ্য ট্রিবিউনকে জানান, শুরুতে সপ্তাহে একটি উন্মুক্ত প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল, যেখানে ছাত্র, গবেষক, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ—সবাই অংশ নিতে পারতেন। ভালো সাড়া পাওয়ায় পরে বিশ্ববিদ্যালয় এটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স হিসেবে চালু করে।
আলি উসমান কাসমি বলেন, ‘এখনো শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম, তবে আমরা আশাবাদী যে পরের কয়েক বছরে তা আরও বাড়বে। আশা করছি ২০২৭ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে এটি বছরব্যাপী কোর্স হিসেবে পড়ানো সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান-ভারত উপমহাদেশের যৌথ ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় সংস্কৃত চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য, কবিতা, শিল্প ও দর্শনের বহু শিকড় বৈদিক যুগে গাঁথা। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, বেদও এই অঞ্চলে রচিত হয়েছিল—তাই মূল ভাষায় এসব পাঠের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
এলইউএমএস জানিয়েছে, এই কোর্স ছাত্র ও গবেষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, দর্শন ও সংস্কৃতি বোঝার ক্ষেত্রে প্রাচীন ভাষার প্রতি নতুন আগ্রহের ইঙ্গিত। ভবিষ্যতে গুরমানি সেন্টার আরও এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাবে।
ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) মহাভারত এবং ভগবদ্গীতা নিয়ে কোর্স চালুর পরিকল্পনাও করছে।

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন তাদের সামরিক বাহিনী দনবাস থেকে প্রত্যাহার করে নিক। এরপর কিয়েভ বর্তমানে যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে ওয়াশিংটন একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ তৈরি করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়েভে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে দনবাসের নিয়ন্ত্রণাধীন অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি জানান, ওয়াশিংটন এখন একটি আপসের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা সরে যাবে, কিন্তু রাশিয়ার সৈন্যরা ওই অঞ্চলে প্রবেশ করবে না।
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। জেলেনস্কি মনে করেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দনবাসকে ভাগাভাগি করে নিতে চায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি একপক্ষের সৈন্যদের (ইউক্রেনীয়) পিছু হটতে হয় এবং অন্য পক্ষের সৈন্যরা (রুশ) যেখানে আছে সেখানেই থাকে, তবে অন্য পক্ষের সৈন্যদের কে ঠেকিয়ে রাখবে? অথবা তারা বেসামরিক নাগরিকের বেশে এসে এই মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল দখল করবে না সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?’
জেলেনস্কির মতে, মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়া যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেই দনবাস থেকে ইউক্রেন সরে আসবে। অন্যদিকে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে চলমান যুদ্ধরেখা ‘স্থির’ করা হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া অন্যান্য অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু ছোট এলাকা ছেড়ে দেবে।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যদি এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত হয়, তবে তা অনুমোদন করার জন্য নির্বাচন বা গণভোটের প্রয়োজন হবে। কারণ ‘কেবল ইউক্রেনীয় জনগণই’ আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আসা শান্তি চুক্তিতে দ্রুত সই করার জন্য ইউক্রেন প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, জেলেনস্কি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা ‘পড়েও দেখেননি’। তিনি মনে করেন, ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি কারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের ওপরই অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক করতেই ক্লান্ত।’
জার্মানিতে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, যদি পুতিনকে ইউক্রেনে তাঁর উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হয়, তবে ইউরোপে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাস্তব হয়ে উঠবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই মহাদেশ রাশিয়ার হুমকি নিয়ে ‘নীরবে আত্মতুষ্ট’ ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। ইউরোপের সব দেশকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে।
ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির নেতারা একমত যে আঞ্চলিক প্রশ্ন নিয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘চার বছর ধরে ভোগান্তি ও মৃত্যুর পর ইউক্রেনের জনগণকে এমন শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করা ভুল হবে।’
ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভে ইইউর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। যদিও হাঙ্গেরির রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ নেতা ভিক্টর অরবান আনুষ্ঠানিক আলোচনা আটকে রেখেছেন। তবে ইইউ এনলার্জমেন্ট কমিশনার মার্টা কস বলেন, ‘ইউক্রেন ইইউর সদস্য হবে এবং কেউ এটি আটকাতে পারবে না।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন তাদের সামরিক বাহিনী দনবাস থেকে প্রত্যাহার করে নিক। এরপর কিয়েভ বর্তমানে যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে ওয়াশিংটন একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ তৈরি করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়েভে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে দনবাসের নিয়ন্ত্রণাধীন অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি জানান, ওয়াশিংটন এখন একটি আপসের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা সরে যাবে, কিন্তু রাশিয়ার সৈন্যরা ওই অঞ্চলে প্রবেশ করবে না।
তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। জেলেনস্কি মনে করেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দনবাসকে ভাগাভাগি করে নিতে চায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি একপক্ষের সৈন্যদের (ইউক্রেনীয়) পিছু হটতে হয় এবং অন্য পক্ষের সৈন্যরা (রুশ) যেখানে আছে সেখানেই থাকে, তবে অন্য পক্ষের সৈন্যদের কে ঠেকিয়ে রাখবে? অথবা তারা বেসামরিক নাগরিকের বেশে এসে এই মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল দখল করবে না সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?’
জেলেনস্কির মতে, মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়া যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেই দনবাস থেকে ইউক্রেন সরে আসবে। অন্যদিকে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে চলমান যুদ্ধরেখা ‘স্থির’ করা হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া অন্যান্য অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু ছোট এলাকা ছেড়ে দেবে।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যদি এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত হয়, তবে তা অনুমোদন করার জন্য নির্বাচন বা গণভোটের প্রয়োজন হবে। কারণ ‘কেবল ইউক্রেনীয় জনগণই’ আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আসা শান্তি চুক্তিতে দ্রুত সই করার জন্য ইউক্রেন প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, জেলেনস্কি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা ‘পড়েও দেখেননি’। তিনি মনে করেন, ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি কারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের ওপরই অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক করতেই ক্লান্ত।’
জার্মানিতে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, যদি পুতিনকে ইউক্রেনে তাঁর উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হয়, তবে ইউরোপে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাস্তব হয়ে উঠবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই মহাদেশ রাশিয়ার হুমকি নিয়ে ‘নীরবে আত্মতুষ্ট’ ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। ইউরোপের সব দেশকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে।
ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির নেতারা একমত যে আঞ্চলিক প্রশ্ন নিয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘চার বছর ধরে ভোগান্তি ও মৃত্যুর পর ইউক্রেনের জনগণকে এমন শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করা ভুল হবে।’
ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভে ইইউর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। যদিও হাঙ্গেরির রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ নেতা ভিক্টর অরবান আনুষ্ঠানিক আলোচনা আটকে রেখেছেন। তবে ইইউ এনলার্জমেন্ট কমিশনার মার্টা কস বলেন, ‘ইউক্রেন ইইউর সদস্য হবে এবং কেউ এটি আটকাতে পারবে না।’

সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা
২ ঘণ্টা আগে