আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘লাশের স্তূপের মাঝে এক যুবতীকে বসে থাকতে দেখলাম। চোখ পড়ল তাঁর কোলের শিশুর দিকে। বাচ্চাটির মাথা উড়ে গেছে। মাথাহীন দেহ নিয়ে নির্বাক বসে আসেন নেই নারী। চিৎকার করতে ভুলে গেছেন যেন। সেই চোখে আমি ভয় দেখেছি। আর দেখেছি অবজ্ঞায় ছেয়ে থাকা কষ্ট।’
১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট। জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকান বি-২৯ বোম্বার দিয়ে পারমাণবিক বোমা ‘লিটল বয়’ ফেলার তিন দিন পর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাটম্যান’। নৃশংস সেই হামলায় কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যাওয়া সেনজি ইয়ামাগুচি এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন সেদিনের ঘটনা। ইতিহাসে প্রথম মানুষ মারতে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের সাক্ষী হয়ে থাকা এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন বয়ে বেড়ান দুঃসহ স্মৃতি।
সেনজি ইয়ামাগুচির বয়স তখন ১৪। প্রাণের জন্মস্থান নাগাসাকির অলিগলিতে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু ৯ আগস্ট সবকিছু থমকে যায়। যেখানে বোমা ফেলা হয়, সেখান থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ছিলেন তিনি। ইয়ামাগুচির ভাষায়, ‘একটা বিরাট আলোর ঝলক দেখে স্তম্ভিত হওয়ার আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি মৃত্যু উপত্যকায় লাশের পর লাশ পড়ে আছে। আমি তখন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় একটি নদী পার হলাম। পানিতে মানুষ আর ঘোড়ার মরদেহের স্তূপ। কারও পা নেই, কারও নেই হাত। কয়লার ভাগাড় যেন। সেদিন আমি যা দেখেছি তা কোনো কলম, কোনো কবি কিংবা লেখক লিখে বর্ণনা করতে পারবে না।’
১৯৮০ সালে জর্জিয়ার সাংবাদিক এড ট্যান্টকে এভাবেই বলছিলেন ইয়ামাগুচি। সেই হামলায় তিনি মানসিকভাবে এতটাই অসুস্থ হয়ে যান যে ১৯৫০–এর দশকে অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২০১৩ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় বেঁচে যাওয়া ইয়ামাগুচির। বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, নাগাসাকিতে বোমা হামলায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর তিন দিন আগে হিরোশিমায় হামলা হওয়ায় নাগাসাকি খুব কমবারই আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এখানেই নিক্ষেপ করা হয়েছিল সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা।
‘লাশের স্তূপের মাঝে এক যুবতীকে বসে থাকতে দেখলাম। চোখ পড়ল তাঁর কোলের শিশুর দিকে। বাচ্চাটির মাথা উড়ে গেছে। মাথাহীন দেহ নিয়ে নির্বাক বসে আসেন নেই নারী। চিৎকার করতে ভুলে গেছেন যেন। সেই চোখে আমি ভয় দেখেছি। আর দেখেছি অবজ্ঞায় ছেয়ে থাকা কষ্ট।’
১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট। জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকান বি-২৯ বোম্বার দিয়ে পারমাণবিক বোমা ‘লিটল বয়’ ফেলার তিন দিন পর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাটম্যান’। নৃশংস সেই হামলায় কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যাওয়া সেনজি ইয়ামাগুচি এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন সেদিনের ঘটনা। ইতিহাসে প্রথম মানুষ মারতে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের সাক্ষী হয়ে থাকা এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন বয়ে বেড়ান দুঃসহ স্মৃতি।
সেনজি ইয়ামাগুচির বয়স তখন ১৪। প্রাণের জন্মস্থান নাগাসাকির অলিগলিতে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু ৯ আগস্ট সবকিছু থমকে যায়। যেখানে বোমা ফেলা হয়, সেখান থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ছিলেন তিনি। ইয়ামাগুচির ভাষায়, ‘একটা বিরাট আলোর ঝলক দেখে স্তম্ভিত হওয়ার আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি মৃত্যু উপত্যকায় লাশের পর লাশ পড়ে আছে। আমি তখন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় একটি নদী পার হলাম। পানিতে মানুষ আর ঘোড়ার মরদেহের স্তূপ। কারও পা নেই, কারও নেই হাত। কয়লার ভাগাড় যেন। সেদিন আমি যা দেখেছি তা কোনো কলম, কোনো কবি কিংবা লেখক লিখে বর্ণনা করতে পারবে না।’
১৯৮০ সালে জর্জিয়ার সাংবাদিক এড ট্যান্টকে এভাবেই বলছিলেন ইয়ামাগুচি। সেই হামলায় তিনি মানসিকভাবে এতটাই অসুস্থ হয়ে যান যে ১৯৫০–এর দশকে অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২০১৩ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় বেঁচে যাওয়া ইয়ামাগুচির। বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, নাগাসাকিতে বোমা হামলায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর তিন দিন আগে হিরোশিমায় হামলা হওয়ায় নাগাসাকি খুব কমবারই আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এখানেই নিক্ষেপ করা হয়েছিল সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সাবেক ট্রাক মেকানিক টিম ফ্রিড ১৮ বছর ধরে নিজ শরীরে কোবরা, মাম্বা, রেটলস্ন্যাকসহ ১৬ প্রজাতির প্রাণঘাতী সাপের বিষ প্রয়োগ করে এক ব্যতিক্রমী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলেছেন। এর ফলে বিজ্ঞানীরা এখন তৈরি করতে পেরেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত ও কার্যকর অ্যান্টিভেনম। এটি ভবিষ্
৮ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে বিদেশে বসবাস শুরু করার পর হ্যারির নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয়েছিল। তখন থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যে তাঁর জন্য নির্ধারিত নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ‘নিম্ন মানের’ এবং ‘অসম আচরণ’ বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেগাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে রওনা হওয়া ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ জোটের একটি জাহাজ আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, মাল্টার উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করা ওই জাহাজে দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে নয়নাভিরাম ইনয়া লেকের ধারে অবস্থিত নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির ঐতিহাসিক উপনিবেশ আমলের বাসভবনটি। বাড়িটি বিক্রি করার জন্য টানা চতুর্থবারের মতো নিলামে তোলা হলেও কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
১০ ঘণ্টা আগে