ঘরের ভেতর প্রবীণ নারীদের ভিড়। তাঁদের হাত কুঞ্চিত, পিঠ বাঁকা। ধীর পায়ে তারা করিডরে হাঁটছেন, কেউ কেউ হাঁটার জন্য ওয়াকারও ব্যবহার করছেন। আর কিছু কর্মী তাঁদের গোসল, খাওয়া, হাঁটা এবং ওষুধ খেতে সাহায্য করছেন। তবে এটি কোনো নার্সিং হোম নয়, বরং জাপানের সবচেয়ে বড় নারীদের কারাগার।
সোমবার সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে কারাগার যেন বাইরের বয়স্ক সমাজেরই একটি প্রতিফলন। দেশটির অনেক বয়স্ক বন্দীর কাছে একাকিত্ব এতটাই তীব্র যে, তারা মুক্তির পরিবর্তে কারাগারেই থাকতে পছন্দ করেন।
তোচিগি নারী কারাগারের কর্মকর্তা তাকায়োশি শিরানাগা বলেন, ‘এমন অনেকেই আছেন, যারা মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার ইয়েন দিয়ে হলেও চিরদিন এখানে থাকতে চান।’
তোচিগি নারী কারাগারে বন্দীদের একজন হলেন ৮১ বছরের আকিও। খাবার চুরির দায়ে তিনি কারাভোগ করছেন। বয়সের ছাপ পড়া মুখে তাঁর শান্ত দৃষ্টিতে ধরা পড়ে মিশ্র অনুভূতি। তিনি বলেন, ‘এই কারাগারে খুব ভালো মানুষ আছেন। এমনকি এই জীবনটাই আমার জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল।’
প্রতিদিন বন্দীরা কারাগারের কারখানায় কাজ করেন। বিনিময়ে তাঁরা নিয়মিত খাবার, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং সময় কাটানোর মানুষ খুঁজে পান—বাইরের পৃথিবীতে এই পরিবেশ তাঁরা পান না বললেই চলে।
আরেক বন্দী ৫১ বছরের ইয়োকো মাদক মামলায় পাঁচবার কারাগারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি ফিরে আসি, দেখি কারাগারের বাসিন্দারা আরও বয়স্ক হয়ে গেছেন।’
ইয়োকো জানান, টাকা ফুরিয়ে গেলেও অনেকে খারাপ কোনো কাজ করে ধরা পড়েন এবং কারাগারে চলে আসেন।
একাকিত্ব ও দারিদ্র্যের যন্ত্রণা আকিও বেশ ভালো করেই জানেন। তাঁর প্রথম শাস্তি হয়েছিল ৬০ বছর বয়সে এবং সেবারও খাবার চুরির দায়ে। আকিও বলেন, ‘যদি আমার আর্থিক অবস্থা ভালো থাকত, তবে আমি এটা কখনোই করতাম না।’
২০২২ সালে জাপানের কারাগারে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বন্দীর সংখ্যা ২০০৩ সালের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেড়েছে। প্রবীণ বন্দীদের জন্য এখন বিশেষ সেবাও দেওয়া হয়। তাঁদের ডায়াপার বদলানো, গোসল করানো এবং খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করতে হয় কারা কর্মীদের।
এদিকে কারাগার থেকে বের হয়ে সমাজে পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য প্রবীণদেরকে সহায়তার অভাব প্রকট। তোগিচির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকে পরিবারের কাছে ফিরলেও তাঁদের গ্রহণ করা হয় না।’
দেশটির সরকার অবশ্য প্রবীণ বন্দীদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বাধীন জীবনযাপনের পরামর্শ এবং পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত করার শিক্ষা।
ঘরের ভেতর প্রবীণ নারীদের ভিড়। তাঁদের হাত কুঞ্চিত, পিঠ বাঁকা। ধীর পায়ে তারা করিডরে হাঁটছেন, কেউ কেউ হাঁটার জন্য ওয়াকারও ব্যবহার করছেন। আর কিছু কর্মী তাঁদের গোসল, খাওয়া, হাঁটা এবং ওষুধ খেতে সাহায্য করছেন। তবে এটি কোনো নার্সিং হোম নয়, বরং জাপানের সবচেয়ে বড় নারীদের কারাগার।
সোমবার সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে কারাগার যেন বাইরের বয়স্ক সমাজেরই একটি প্রতিফলন। দেশটির অনেক বয়স্ক বন্দীর কাছে একাকিত্ব এতটাই তীব্র যে, তারা মুক্তির পরিবর্তে কারাগারেই থাকতে পছন্দ করেন।
তোচিগি নারী কারাগারের কর্মকর্তা তাকায়োশি শিরানাগা বলেন, ‘এমন অনেকেই আছেন, যারা মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার ইয়েন দিয়ে হলেও চিরদিন এখানে থাকতে চান।’
তোচিগি নারী কারাগারে বন্দীদের একজন হলেন ৮১ বছরের আকিও। খাবার চুরির দায়ে তিনি কারাভোগ করছেন। বয়সের ছাপ পড়া মুখে তাঁর শান্ত দৃষ্টিতে ধরা পড়ে মিশ্র অনুভূতি। তিনি বলেন, ‘এই কারাগারে খুব ভালো মানুষ আছেন। এমনকি এই জীবনটাই আমার জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল।’
প্রতিদিন বন্দীরা কারাগারের কারখানায় কাজ করেন। বিনিময়ে তাঁরা নিয়মিত খাবার, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং সময় কাটানোর মানুষ খুঁজে পান—বাইরের পৃথিবীতে এই পরিবেশ তাঁরা পান না বললেই চলে।
আরেক বন্দী ৫১ বছরের ইয়োকো মাদক মামলায় পাঁচবার কারাগারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি ফিরে আসি, দেখি কারাগারের বাসিন্দারা আরও বয়স্ক হয়ে গেছেন।’
ইয়োকো জানান, টাকা ফুরিয়ে গেলেও অনেকে খারাপ কোনো কাজ করে ধরা পড়েন এবং কারাগারে চলে আসেন।
একাকিত্ব ও দারিদ্র্যের যন্ত্রণা আকিও বেশ ভালো করেই জানেন। তাঁর প্রথম শাস্তি হয়েছিল ৬০ বছর বয়সে এবং সেবারও খাবার চুরির দায়ে। আকিও বলেন, ‘যদি আমার আর্থিক অবস্থা ভালো থাকত, তবে আমি এটা কখনোই করতাম না।’
২০২২ সালে জাপানের কারাগারে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বন্দীর সংখ্যা ২০০৩ সালের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেড়েছে। প্রবীণ বন্দীদের জন্য এখন বিশেষ সেবাও দেওয়া হয়। তাঁদের ডায়াপার বদলানো, গোসল করানো এবং খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করতে হয় কারা কর্মীদের।
এদিকে কারাগার থেকে বের হয়ে সমাজে পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য প্রবীণদেরকে সহায়তার অভাব প্রকট। তোগিচির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকে পরিবারের কাছে ফিরলেও তাঁদের গ্রহণ করা হয় না।’
দেশটির সরকার অবশ্য প্রবীণ বন্দীদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বাধীন জীবনযাপনের পরামর্শ এবং পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত করার শিক্ষা।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মার্কিন মাটি থেকে দেওয়া পারমাণবিক হুমকি ঘিরে বিশ্বরাজনীতিতে তোলপাড়। মুনির বলেছেন, আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, প্রয়োজনে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাব। তাঁর এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখায় চাপে পাকিস্তান। এই আবহে দেশটির সাবেক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো গতকাল সোমবার সিন্ধে এক সমাবেশে বলেছেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায়, তবে ছয়টি নদীর পানি পাওয়ার জন্য যুদ্ধ ছাড়া বিকল্প থাকবে না।’ তাঁর মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা নিয়ে কড়া অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভারত থেকে বাণিজ্যিক লেনদেনের অর্থ রাশিয়া ব্যবহার করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে। এর জেরেই ভারতীয় পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নতুন...
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে