Ajker Patrika

উড়োজাহাজ ছেড়ে বুলেটপ্রুফ সাঁজোয়া ট্রেনে চীনে গেলেন কিম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৪
সবুজ রঙের সাঁজোয়া ট্রেন থেকে নামছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
সবুজ রঙের সাঁজোয়া ট্রেন থেকে নামছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আজ মঙ্গলবার তাঁর সবুজ রঙের সাঁজোয়া ট্রেনে চড়ে বেইজিং পৌঁছান। এ বিশেষ ধরনের ধীরগতির যান দেশটির নেতারা বহু দশক ধরে ব্যবহার করে আসছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়ার পুরোনো যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের তুলনায় এ বুলেটপ্রুফ ট্রেন অনেক বেশি নিরাপদ ও আরামদায়ক। এতে কিমের বৃহৎ সফরসঙ্গী দল, নিরাপত্তারক্ষী, খাবার ও অন্যান্য সুবিধা বহন করা যায় এবং বৈঠকের আগে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও থাকে।

২০১১ সালের শেষদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে চীন, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া সফরে ট্রেন ব্যবহার করেন কিম।

ট্রেনের ভেতরে কী রয়েছে

উত্তর কোরিয়ার নেতারা বছরের পর বছর ধরে ঠিক কতগুলো ট্রেন ব্যবহার করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির পরিবহন বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ কোরিয়ার আন বিয়ং-মিন জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে একাধিক ট্রেনের প্রয়োজন হয়।

আন জানান, প্রতিটি ট্রেনে ১০ থেকে ১৫টি করে বগি থাকে; যার মধ্যে কয়েকটি শুধু দেশটির নেতা ব্যবহার করেন। তাঁর জন্য ট্রেনে শয়নকক্ষও রয়েছে। অন্য বগিগুলোতে নিরাপত্তারক্ষী ও চিকিৎসাকর্মীরা থাকেন।

আন আরও জানান, ট্রেনগুলোতে সাধারণত কিমের কার্যালয়, যোগাযোগ সরঞ্জাম, একটি রেস্তোরাঁ ও দুটি সাঁজোয়া মার্সিডিজ গাড়ির জন্য আলাদা জায়গা থাকে।

আজ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সবুজ বগির পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট বিরতি নিচ্ছেন কিম, যার ওপর সোনালি রঙের প্রতীক ও কারুকার্য খোদাই করা রয়েছে। আরও একটি ছবিতে তাঁকে কাঠের প্যানেলযুক্ত একটি অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়, যার পেছনে একটি বড় সোনালি প্রতীক ও দুই পাশে উত্তর কোরিয়ার পতাকা রয়েছে।

কিমের ডেস্কের ওপর একটি সোনালি নকশা করা ল্যাপটপ, একগুচ্ছ টেলিফোন, সিগারেটের প্যাকেট ও নীল বা স্বচ্ছ তরল ভরা বোতল রাখা ছিল। জানালাগুলো নীল ও সোনালি রঙের পর্দা দিয়ে আবৃত ছিল।

২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে কিমকে শীর্ষ চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোলাপি রঙের সোফায় ঘেরা একটি প্রশস্ত ট্রেনের বগিতে বৈঠক করতে দেখা যায়।

এরপর ২০২০ সালে রাষ্ট্রীয় টিভির ফুটেজে কিমকে টাইফুনে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে ট্রেনে চড়তে দেখা যায়, যা ফুল আকৃতির আলো ও জেব্রা প্রিন্টেড কাপড়ের চেয়ার দিয়ে সাজানো ছিল।

২০০২ সালে প্রকাশিত ‘ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’ বইয়ে কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের তিন সপ্তাহের মস্কো যাত্রার বর্ণনা দেন রাশিয়ার কর্মকর্তা কনস্তান্তিন পুলিকোভস্কি।

সে ট্রেনে প্যারিস থেকে উড়োজাহাজে আনা হতো বোর্দো ও বোজোলে ওয়াইন, এমনকি জীবন্ত লবস্টারও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলি, এক শ্রমিক নিহত

শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক আমিও কম খাই নাই: শিবির প্যানেলের প্রার্থী জুমা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারত এসসিওর সদস্যপদ আটকে দেয়: আজারবাইজান

দেশে চালু হলো ৫-জি নেটওয়ার্ক, কী কী সুবিধা মিলবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত