Ajker Patrika

মিয়ানমার ছাড়তে পারবেন না টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিদেশি কর্মকর্তারা

রয়টার্স, সিঙ্গাপুর
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২১, ১৪: ১৫
মিয়ানমার ছাড়তে পারবেন না টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিদেশি কর্মকর্তারা

মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠানে থাকা বিদেশি জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তারা অনুমতি ছাড়া সে দেশ ছাড়তে পারবেন না। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানি মিয়ানমার পোস্টস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি একটি গোপন নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, বিদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।

এর এক সপ্তাহ পর টেলিকম কোম্পানিগুলোকে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ফোন, মেসেজ ও ওয়েব ট্রাফিকে আড়িপাতার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা ৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এই নির্দেশনার কথা জানালেও রয়টার্সের হাতে এখনো সেই নির্দেশনার কোনো অনুলিপি আসেনি। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও তাতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কখনোই ইলেকট্রনিক নজরদারির কথা স্বীকার করে না। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর তারা জানিয়েছিল, দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে একটি সাইবার সিকিউরিটি বিল পাস করা হবে। এর মাধ্যমে টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে দরকারি তথ্য নিতে পারবেন মিয়ানমারের সেনারা।

এ ছাড়া মিয়ানমারের গোপনীয়তার আইনও সংশোধন করা হয়েছে। নতুন গোপনীয়তার আইন অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চাইলে যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের জান্তা সরকার চাইছে দ্রুত আড়িপাতার যন্ত্রগুলো স্থাপন করতে। আর এ জন্যই তারা টেলিকম কোম্পানির বিদেশি কর্মকর্তাদের মিয়ানমার ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। টেলিকম খাতসংশ্লিষ্ট আরও তিনটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এর মধ্যে দুটি সূত্র জানায়, তাদের কোম্পানিকে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে।

এ নিয়ে নরওয়েভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনরের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এ ছাড়া ওরেডু, রাষ্ট্রায়ত্ত এমপিটি ও মাইটেলের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গত মে মাসে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের আগেই জনগণের যোগাযোগের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল মিয়ানমার সরকার।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মিয়ানমারের এই পরিস্থিতিতে সেনাদের এমন আচরণ দেশটির টেলিকম খাতকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ নিয়ে শুক্রবার টেলিনরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা মিয়ানমারে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। এমনকি মিয়ানমারে নিজেদের ইউনিট বিক্রির কথাও ভাবছে বলে প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ভোট বয়কট প্রগতিশীলদের, পুনর্নির্বাচন দাবি

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত ভিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত