অনলাইন ডেস্ক
‘সৌন্দর্যের উদ্দেশ্য রয়েছে’—এই মন্ত্র নিয়ে চলা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত এক অভিযোগ উঠেছে। এবারের আসরে অংশ নেওয়া মিস ইংল্যান্ড মিলা ম্যাগি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা হয়েছে কেবল ‘উইন্ডো ড্রেসিং’ হিসেবে এবং প্রতিযোগিতার নামে বিনিয়োগকারীদের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসেবে।
ম্যাগি জানান, এবার (২০২৫ সাল) মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন মূলত তাঁর প্রচারিত ক্যাম্পেইন ‘গো ফর উইদ সিপিআর’কে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তিনি স্কুলপাঠ্যক্রমে সিপিআর (কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন) অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু মিলার বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে একেবারেই বিপরীত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শনিবার (৩১ মে) ভারতের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান মিলা। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে ও অন্য নারী প্রতিযোগীদেরকে বিনিয়োগকারীদের জন্য একধরনের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিষয়টি ছিল শোষণমূলক।’
মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ম্যাগির বক্তব্যকে মিথ্যা ও মানহানিকর বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘তার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এসব অভিযোগের কোনো মিল নেই।’
এদিকে সংস্থাটির সিইও জুলিয়া মরলি আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় বলেছেন, ম্যাগি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান; কারণ, তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর জেতার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
এ বিষয়ে ম্যাগির প্রতিক্রিয়া ছিল কড়া। তিনি বলেছেন, ‘জুলিয়ার মন্তব্য প্রতিহিংসাপরায়ণ ও তীব্র ক্ষোভপূর্ণ। ওটা ছিল হাস্যকর। আমি জেতার সম্ভাবনা না দেখে সরে যাইনি। আমি সরে গেছি; কারণ, এই প্ল্যাটফর্ম আমার বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে মানানসই ছিল না। আমি চাই না আর কোনো তরুণী আমার অভিজ্ঞতা দেখে এই ব্যবস্থায় প্রবেশ করুক।’
মিলা জানান, হায়দরাবাদের অনুষ্ঠানে বাহ্যিক হাসির আড়ালে ছিল চোখের জল। প্রতিযোগিতার প্রতিশ্রুতি ছিল ‘উদ্দেশ্যসম্পন্ন’ সৌন্দর্যের। কিন্তু বাস্তবে ছিল, প্রতিদিন নতুন গাউন পরে সাজিয়ে তোলা ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রদর্শনী।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এই প্রতিযোগিতার ভেতরে একটা ভ্রান্ত গল্প আছে। এটা নাকি অ্যাডভোকেসির প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিযোগীরা তাদের প্রচারণার বিষয় নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, আমাদের শুধু অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য রাখা হয়েছে। নিজের ক্যাম্পেইন নিয়ে বলার সুযোগ খুবই সীমিত ছিল।’
তিনি অভিযোগ করেন, মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে এবং তাঁর প্রতি যে সহানুভূতিশীল দায়িত্ব রাখা উচিত ছিল, তা রাখেনি।
তবে ম্যাগি জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অনেক নারীই তাঁকে ব্যক্তিগত বার্তায় সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁদেরও হয়েছে।
মিলার আহ্বান, এখন সময় এসেছে মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের নিজেদের বদলানোর। তিনি বলেন, ‘তারা যেন বুঝতে চেষ্টা করে, আমি কেন সরে এসেছি। যেন দায়িত্বহীনভাবে এই বলে দায় এড়িয়ে না যায় যে আমি হারার ভয়েই নাকি পালিয়েছি।’
মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে আর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।
‘সৌন্দর্যের উদ্দেশ্য রয়েছে’—এই মন্ত্র নিয়ে চলা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত এক অভিযোগ উঠেছে। এবারের আসরে অংশ নেওয়া মিস ইংল্যান্ড মিলা ম্যাগি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা হয়েছে কেবল ‘উইন্ডো ড্রেসিং’ হিসেবে এবং প্রতিযোগিতার নামে বিনিয়োগকারীদের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসেবে।
ম্যাগি জানান, এবার (২০২৫ সাল) মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন মূলত তাঁর প্রচারিত ক্যাম্পেইন ‘গো ফর উইদ সিপিআর’কে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তিনি স্কুলপাঠ্যক্রমে সিপিআর (কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন) অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু মিলার বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে একেবারেই বিপরীত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শনিবার (৩১ মে) ভারতের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান মিলা। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে ও অন্য নারী প্রতিযোগীদেরকে বিনিয়োগকারীদের জন্য একধরনের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিষয়টি ছিল শোষণমূলক।’
মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ম্যাগির বক্তব্যকে মিথ্যা ও মানহানিকর বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘তার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এসব অভিযোগের কোনো মিল নেই।’
এদিকে সংস্থাটির সিইও জুলিয়া মরলি আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় বলেছেন, ম্যাগি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান; কারণ, তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর জেতার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
এ বিষয়ে ম্যাগির প্রতিক্রিয়া ছিল কড়া। তিনি বলেছেন, ‘জুলিয়ার মন্তব্য প্রতিহিংসাপরায়ণ ও তীব্র ক্ষোভপূর্ণ। ওটা ছিল হাস্যকর। আমি জেতার সম্ভাবনা না দেখে সরে যাইনি। আমি সরে গেছি; কারণ, এই প্ল্যাটফর্ম আমার বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে মানানসই ছিল না। আমি চাই না আর কোনো তরুণী আমার অভিজ্ঞতা দেখে এই ব্যবস্থায় প্রবেশ করুক।’
মিলা জানান, হায়দরাবাদের অনুষ্ঠানে বাহ্যিক হাসির আড়ালে ছিল চোখের জল। প্রতিযোগিতার প্রতিশ্রুতি ছিল ‘উদ্দেশ্যসম্পন্ন’ সৌন্দর্যের। কিন্তু বাস্তবে ছিল, প্রতিদিন নতুন গাউন পরে সাজিয়ে তোলা ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রদর্শনী।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এই প্রতিযোগিতার ভেতরে একটা ভ্রান্ত গল্প আছে। এটা নাকি অ্যাডভোকেসির প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিযোগীরা তাদের প্রচারণার বিষয় নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, আমাদের শুধু অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য রাখা হয়েছে। নিজের ক্যাম্পেইন নিয়ে বলার সুযোগ খুবই সীমিত ছিল।’
তিনি অভিযোগ করেন, মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে এবং তাঁর প্রতি যে সহানুভূতিশীল দায়িত্ব রাখা উচিত ছিল, তা রাখেনি।
তবে ম্যাগি জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অনেক নারীই তাঁকে ব্যক্তিগত বার্তায় সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁদেরও হয়েছে।
মিলার আহ্বান, এখন সময় এসেছে মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের নিজেদের বদলানোর। তিনি বলেন, ‘তারা যেন বুঝতে চেষ্টা করে, আমি কেন সরে এসেছি। যেন দায়িত্বহীনভাবে এই বলে দায় এড়িয়ে না যায় যে আমি হারার ভয়েই নাকি পালিয়েছি।’
মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে আর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৭ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে