Ajker Patrika

সুদের হার বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মাশুল গুনছে এশিয়া

সুদের হার বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মাশুল গুনছে এশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ গত বুধবার সুদের হার ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ৪ দফা সুদহার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ। আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েক দফা বাড়তে পারে। এমনকি, ১ শতাংশ পর্যন্তও সুদহার বাড়তে পারে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ফেডারেল রিজার্ভের বারবার সুদহার বৃদ্ধি নিয়ে সারা বিশ্বে বিশেষত এশিয়ায় নতুন আর্থিক সংকট তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে। 

এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে—ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এর আগে অনেক ভুল করেছেন। করোনা ও সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির চেয়ে পাওয়েলের ধারাবাহিক ভুলের মাশুলই বেশি গুনতে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। আর তার আঁচ এসে লাগছে এশিয়ার অর্থনীতিতে। 

যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বর্তমানে ৯ শতাংশের বেশি। যা দেশটির ইতিহাসে বিগত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতেই মূলত বারবার সুদহার বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করছেন জেরোম পাওয়েল। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ‘সাময়িক’। এটি শিগগিরই কেটে যাবে। 

এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষক উইলিয়াম পেসেকের মতে, পাওয়েল আগে যে ভুলগুলো করেছেন সাম্প্রতিক সুদহার বাড়ানোর মাধ্যমে তিনি তা শোধরাতে চেষ্টা করছেন। ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক চেয়ারম্যান বেন বার্নানকেও এমনটাই মনে করেন। 

ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোয় এশিয়ার যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের অন্যতম চীন। দেশটির বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসেছে। আবাসন খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগ্রাম আরও বাড়বে। কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য নাও অর্জিত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে। 

এদিকে, ডলারের মান বাড়তে থাকায় এশিয়ার দেশগুলোর মুদ্রা মান পড়ে যাচ্ছে। চলতি বছর ডলারের বিপরীতে ১৮ শতাংশ মান হারিয়েছে জাপানি মুদ্রা ইয়েন। থাই মুদ্রা বাথ হারিয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসো হারিয়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। মালয়েশিয়ার রিঙ্গিত ও ভারতের রুপি হারিয়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রা দুর্বল হওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে টান পড়ছে। ডলার ধরে রাখতে নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করছে দেশগুলো। 

এই পরিস্থিতি এশিয়ার দেশগুলোর করণীয় কী—এমন প্রশ্নের জবাবে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, ‘এশিয়ার কিছু দেশকে দ্রুত সুদহার বাড়াতে হবে। নইলে বড় ধরনের সংকটে পড়তে পারে দেশগুলো।’ কিন্তু এতে করে এশিয়ার দেশগুলো সম্ভাব্য নতুন সংকট এড়াতে পারবে না বলেই মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জেফরি ফ্রাঙ্কেল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

জুলাই অভ্যুত্থান: নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এরদোয়ানও

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত