পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সম্প্রচার করায় বিবিসি আফ্রিকা ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) রেডিও সম্প্রচার স্থগিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নিজস্ব তদন্তের ভিত্তিতে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২২৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৫৬টি শিশু রয়েছে। চরমপন্থী মিলিশিয়াদের সহযোগিতা করার অভিযোগে চালানো এক প্রচারণার অংশ হিসেবে তাঁদের এ সাজা দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুরকিনা ফাসো থেকে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নামে বারবার বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চালানো হত্যাকাণ্ড তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুরকিনা ফাসোর যোগাযোগবিষয়ক কাউন্সিল বলেছে, এইচআরডব্লিউর ওই প্রতিবেদনে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত কর্তৃত্বপরায়ণ ও উদ্দেশ্যমূলক’ বক্তব্য রয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রচার করায় বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার রেডিও সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে।
দুই সপ্তাহের জন্য নিজেদের রেডিও সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবিসির একজন মুখপাত্র। বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘বুরকিনা ফাসোর কনসিল সুপারিউর দে লা কমিউনিকেশনের কাছ থেকে বিবিসি একটি চিঠি পেয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রচার করায় বুরকিনা ফাসোতে আমাদের সম্প্রচার দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে শ্রোতাদের কাছে সংবাদ পৌঁছানো আমাদের জন্য সীমীত হয়ে পড়েছে। তবে আমরা থামব না। এই অঞ্চলে আমরা ভীতি ও পক্ষপাত ছাড়াই সংবাদ প্রচার করে যাব।’
এক বিবৃতিতে ভয়েস অব আমেরিকার ডিরেক্টর জন লিপমান বুরকিনা ফাসোর সরকারকে গৃহীত ‘সমস্যাজনক’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভয়েস অব আমেরিকা বুরকিনা ফাসোতে প্রচারিত সব সংবাদের সত্যতার পক্ষে এবং ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচার করতে আগ্রহী।’
এদিকে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়া সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
নিউইয়র্কে সিপিজের আফ্রিকা কর্মসূচির প্রধান অ্যাঞ্জেলা কুইনটাল বলেন, ‘বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিবিসি আফ্রিকা ও ভয়েস অব আমেরিকার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
অ্যাঞ্জেলা কুইনটাল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড প্রকাশ করাটা কোনো নিষিদ্ধ বিষয় হতে পারে না। জনস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে অবগত হওয়ার অধিকার বুরকিনা ফাসোর জনগণের রয়েছে।’
চলতি বছরের মার্চে দেশটির কমসিলগা, নোদিন এবং সোরো গ্রামে ১৭০ জনকে হত্যার বিষয়ে একজন আঞ্চলিক প্রসিকিউটর জানালে এইচআরডব্লিউ এ নিয়ে তদন্ত পরিচালনা করে।
দুটি সংবাদমাধ্যমকে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে শিশুসহ বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সাহেল দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটি আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। এই বিদ্রোহ ২০১২ সালে প্রতিবেশী মালি থেকে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার ফলে ২০২০ সাল থেকে মালিতে দুটি, বুরকিনা ফাসোতে দুটি এবং নাইজারে একটি অভ্যুত্থানে হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সম্প্রচার করায় বিবিসি আফ্রিকা ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) রেডিও সম্প্রচার স্থগিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নিজস্ব তদন্তের ভিত্তিতে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২২৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৫৬টি শিশু রয়েছে। চরমপন্থী মিলিশিয়াদের সহযোগিতা করার অভিযোগে চালানো এক প্রচারণার অংশ হিসেবে তাঁদের এ সাজা দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুরকিনা ফাসো থেকে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নামে বারবার বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চালানো হত্যাকাণ্ড তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুরকিনা ফাসোর যোগাযোগবিষয়ক কাউন্সিল বলেছে, এইচআরডব্লিউর ওই প্রতিবেদনে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত কর্তৃত্বপরায়ণ ও উদ্দেশ্যমূলক’ বক্তব্য রয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রচার করায় বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার রেডিও সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে।
দুই সপ্তাহের জন্য নিজেদের রেডিও সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবিসির একজন মুখপাত্র। বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘বুরকিনা ফাসোর কনসিল সুপারিউর দে লা কমিউনিকেশনের কাছ থেকে বিবিসি একটি চিঠি পেয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রচার করায় বুরকিনা ফাসোতে আমাদের সম্প্রচার দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে শ্রোতাদের কাছে সংবাদ পৌঁছানো আমাদের জন্য সীমীত হয়ে পড়েছে। তবে আমরা থামব না। এই অঞ্চলে আমরা ভীতি ও পক্ষপাত ছাড়াই সংবাদ প্রচার করে যাব।’
এক বিবৃতিতে ভয়েস অব আমেরিকার ডিরেক্টর জন লিপমান বুরকিনা ফাসোর সরকারকে গৃহীত ‘সমস্যাজনক’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভয়েস অব আমেরিকা বুরকিনা ফাসোতে প্রচারিত সব সংবাদের সত্যতার পক্ষে এবং ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচার করতে আগ্রহী।’
এদিকে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়া সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
নিউইয়র্কে সিপিজের আফ্রিকা কর্মসূচির প্রধান অ্যাঞ্জেলা কুইনটাল বলেন, ‘বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিবিসি আফ্রিকা ও ভয়েস অব আমেরিকার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
অ্যাঞ্জেলা কুইনটাল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড প্রকাশ করাটা কোনো নিষিদ্ধ বিষয় হতে পারে না। জনস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে অবগত হওয়ার অধিকার বুরকিনা ফাসোর জনগণের রয়েছে।’
চলতি বছরের মার্চে দেশটির কমসিলগা, নোদিন এবং সোরো গ্রামে ১৭০ জনকে হত্যার বিষয়ে একজন আঞ্চলিক প্রসিকিউটর জানালে এইচআরডব্লিউ এ নিয়ে তদন্ত পরিচালনা করে।
দুটি সংবাদমাধ্যমকে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে শিশুসহ বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সাহেল দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটি আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। এই বিদ্রোহ ২০১২ সালে প্রতিবেশী মালি থেকে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার ফলে ২০২০ সাল থেকে মালিতে দুটি, বুরকিনা ফাসোতে দুটি এবং নাইজারে একটি অভ্যুত্থানে হয়েছে।
ভারত আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাবে বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই দাবি করেন তারার। তবে তিনি তাঁর দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। কেবল গোয়েন্দা তথ্যের কথা বলেছেন।
১১ মিনিট আগেভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সেনারা আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সীমান্তে গুলি চালাল পাকিস্তানি সেনারা। পাল্টা জবাব দেওয়ারও দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩৭ মিনিট আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
১০ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে