
ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাঁ পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যেকোনো সময় হৃদ্যন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব খাদ্যে আঁশজাতীয় উপাদান রয়েছে, সেগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে ধমনিতে প্লাক জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। কমে যায় হৃদ্রোগের আশঙ্কা।
আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ইনসুলিনের অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তচাপ ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা হৃদ্রোগের দুটি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, যা সরাসরি হৃদ্যন্ত্রের উপকারে আসে।
চলুন, এমন কিছু আঁশসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জেনে নেওয়া যাক, যা হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে—
১. ওটস
দ্রবণীয় আঁশের অন্যতম সেরা উৎস ওটস। বিশেষ করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটমিল খাওয়া বা স্মুদি ও বেকড খাবারে ওটস যুক্ত করে হৃদ্যন্ত্রের যত্ন করতে পারেন।
২. ডাল
ডালে প্রচুর আঁশ, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্যুপ, কারি বা সালাদে ডাল যোগ করা হৃদ্যন্ত্রের জন্য পুষ্টিকর হতে পারে।
৩. চিয়া বীজ
উচ্চমাত্রার আঁশ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া বীজ প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া বা দই, স্মুদি ও পুডিংয়ে মিশিয়ে গ্রহণ করা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমের জন্য উপকারী।
৪. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসির বীজ)
ফ্ল্যাক্সসিড কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গুঁড়ো করা ফ্ল্যাক্সসিড সালাদ, ওটমিল বা স্মুদিতে যোগ করলে এর সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
৫. আপেল
আপেলে পেকটিন নামক একধরনের দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনিতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময় বা বিকেলের নাশতায় একটি আপেল খেতে পারেন। সালাদ ও ওটমিলেও আপেল যোগ করতে পারেন।
৬. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্মুদিতে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।
৭. বিনস (শিমজাতীয় খাবার)
বিনস প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্যুপ, স্টু বা সালাদে বিনস যোগ করলে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে।
৮. বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি)
বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও পলিফেনল রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ধমনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো বেরি খাওয়া বা স্মুদিতে মিশিয়ে গ্রহণ করলে এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করতে পারে।
৯. সম্পূর্ণ শস্য (হোল গ্রেইন)
খাদ্যশস্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে সম্পূর্ণ শস্য গ্রহণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
১০. গাজর
গাজরে আঁশ, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্যন্ত্রের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবে বা এমনিতেই খেতে পারেন। স্যুপে যোগ করেও খেতে পারেন হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী এই খাবার।
আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ধমনিতে ব্লকেজ প্রতিরোধ করে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই আশসমৃদ্ধ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাঁ পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যেকোনো সময় হৃদ্যন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব খাদ্যে আঁশজাতীয় উপাদান রয়েছে, সেগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে ধমনিতে প্লাক জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। কমে যায় হৃদ্রোগের আশঙ্কা।
আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ইনসুলিনের অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তচাপ ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা হৃদ্রোগের দুটি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, যা সরাসরি হৃদ্যন্ত্রের উপকারে আসে।
চলুন, এমন কিছু আঁশসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জেনে নেওয়া যাক, যা হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে—
১. ওটস
দ্রবণীয় আঁশের অন্যতম সেরা উৎস ওটস। বিশেষ করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটমিল খাওয়া বা স্মুদি ও বেকড খাবারে ওটস যুক্ত করে হৃদ্যন্ত্রের যত্ন করতে পারেন।
২. ডাল
ডালে প্রচুর আঁশ, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্যুপ, কারি বা সালাদে ডাল যোগ করা হৃদ্যন্ত্রের জন্য পুষ্টিকর হতে পারে।
৩. চিয়া বীজ
উচ্চমাত্রার আঁশ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া বীজ প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া বা দই, স্মুদি ও পুডিংয়ে মিশিয়ে গ্রহণ করা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমের জন্য উপকারী।
৪. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসির বীজ)
ফ্ল্যাক্সসিড কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গুঁড়ো করা ফ্ল্যাক্সসিড সালাদ, ওটমিল বা স্মুদিতে যোগ করলে এর সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
৫. আপেল
আপেলে পেকটিন নামক একধরনের দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনিতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময় বা বিকেলের নাশতায় একটি আপেল খেতে পারেন। সালাদ ও ওটমিলেও আপেল যোগ করতে পারেন।
৬. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্মুদিতে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।
৭. বিনস (শিমজাতীয় খাবার)
বিনস প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্যুপ, স্টু বা সালাদে বিনস যোগ করলে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে।
৮. বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি)
বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও পলিফেনল রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ধমনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো বেরি খাওয়া বা স্মুদিতে মিশিয়ে গ্রহণ করলে এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করতে পারে।
৯. সম্পূর্ণ শস্য (হোল গ্রেইন)
খাদ্যশস্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে সম্পূর্ণ শস্য গ্রহণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
১০. গাজর
গাজরে আঁশ, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্যন্ত্রের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবে বা এমনিতেই খেতে পারেন। স্যুপে যোগ করেও খেতে পারেন হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী এই খাবার।
আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ধমনিতে ব্লকেজ প্রতিরোধ করে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই আশসমৃদ্ধ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাঁ পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যেকোনো সময় হৃদ্যন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব খাদ্যে আঁশজাতীয় উপাদান রয়েছে, সেগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে ধমনিতে প্লাক জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। কমে যায় হৃদ্রোগের আশঙ্কা।
আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ইনসুলিনের অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তচাপ ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা হৃদ্রোগের দুটি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, যা সরাসরি হৃদ্যন্ত্রের উপকারে আসে।
চলুন, এমন কিছু আঁশসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জেনে নেওয়া যাক, যা হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে—
১. ওটস
দ্রবণীয় আঁশের অন্যতম সেরা উৎস ওটস। বিশেষ করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটমিল খাওয়া বা স্মুদি ও বেকড খাবারে ওটস যুক্ত করে হৃদ্যন্ত্রের যত্ন করতে পারেন।
২. ডাল
ডালে প্রচুর আঁশ, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্যুপ, কারি বা সালাদে ডাল যোগ করা হৃদ্যন্ত্রের জন্য পুষ্টিকর হতে পারে।
৩. চিয়া বীজ
উচ্চমাত্রার আঁশ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া বীজ প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া বা দই, স্মুদি ও পুডিংয়ে মিশিয়ে গ্রহণ করা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমের জন্য উপকারী।
৪. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসির বীজ)
ফ্ল্যাক্সসিড কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গুঁড়ো করা ফ্ল্যাক্সসিড সালাদ, ওটমিল বা স্মুদিতে যোগ করলে এর সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
৫. আপেল
আপেলে পেকটিন নামক একধরনের দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনিতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময় বা বিকেলের নাশতায় একটি আপেল খেতে পারেন। সালাদ ও ওটমিলেও আপেল যোগ করতে পারেন।
৬. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্মুদিতে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।
৭. বিনস (শিমজাতীয় খাবার)
বিনস প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্যুপ, স্টু বা সালাদে বিনস যোগ করলে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে।
৮. বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি)
বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও পলিফেনল রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ধমনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো বেরি খাওয়া বা স্মুদিতে মিশিয়ে গ্রহণ করলে এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করতে পারে।
৯. সম্পূর্ণ শস্য (হোল গ্রেইন)
খাদ্যশস্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে সম্পূর্ণ শস্য গ্রহণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
১০. গাজর
গাজরে আঁশ, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্যন্ত্রের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবে বা এমনিতেই খেতে পারেন। স্যুপে যোগ করেও খেতে পারেন হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী এই খাবার।
আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ধমনিতে ব্লকেজ প্রতিরোধ করে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই আশসমৃদ্ধ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাঁ পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যেকোনো সময় হৃদ্যন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব খাদ্যে আঁশজাতীয় উপাদান রয়েছে, সেগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে ধমনিতে প্লাক জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। কমে যায় হৃদ্রোগের আশঙ্কা।
আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ইনসুলিনের অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তচাপ ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা হৃদ্রোগের দুটি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, যা সরাসরি হৃদ্যন্ত্রের উপকারে আসে।
চলুন, এমন কিছু আঁশসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জেনে নেওয়া যাক, যা হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে—
১. ওটস
দ্রবণীয় আঁশের অন্যতম সেরা উৎস ওটস। বিশেষ করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটমিল খাওয়া বা স্মুদি ও বেকড খাবারে ওটস যুক্ত করে হৃদ্যন্ত্রের যত্ন করতে পারেন।
২. ডাল
ডালে প্রচুর আঁশ, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্যুপ, কারি বা সালাদে ডাল যোগ করা হৃদ্যন্ত্রের জন্য পুষ্টিকর হতে পারে।
৩. চিয়া বীজ
উচ্চমাত্রার আঁশ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া বীজ প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া বা দই, স্মুদি ও পুডিংয়ে মিশিয়ে গ্রহণ করা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমের জন্য উপকারী।
৪. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসির বীজ)
ফ্ল্যাক্সসিড কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গুঁড়ো করা ফ্ল্যাক্সসিড সালাদ, ওটমিল বা স্মুদিতে যোগ করলে এর সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
৫. আপেল
আপেলে পেকটিন নামক একধরনের দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনিতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময় বা বিকেলের নাশতায় একটি আপেল খেতে পারেন। সালাদ ও ওটমিলেও আপেল যোগ করতে পারেন।
৬. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আঁশ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্মুদিতে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।
৭. বিনস (শিমজাতীয় খাবার)
বিনস প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্যুপ, স্টু বা সালাদে বিনস যোগ করলে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে।
৮. বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি)
বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও পলিফেনল রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ধমনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো বেরি খাওয়া বা স্মুদিতে মিশিয়ে গ্রহণ করলে এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করতে পারে।
৯. সম্পূর্ণ শস্য (হোল গ্রেইন)
খাদ্যশস্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে সম্পূর্ণ শস্য গ্রহণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
১০. গাজর
গাজরে আঁশ, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদ্যন্ত্রের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবে বা এমনিতেই খেতে পারেন। স্যুপে যোগ করেও খেতে পারেন হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী এই খাবার।
আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কোলেস্টেরল হ্রাস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ধমনিতে ব্লকেজ প্রতিরোধ করে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই আশসমৃদ্ধ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
২ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১৭ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটি নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটি নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাম পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যে কোনো সময় হৃদযন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
১৪ মার্চ ২০২৫
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১৭ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ৬টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ‘৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুইটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।’
চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ৬টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ‘৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুইটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।’
চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাম পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যে কোনো সময় হৃদযন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
১৪ মার্চ ২০২৫
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
২ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাম পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যে কোনো সময় হৃদযন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
১৪ মার্চ ২০২৫
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
২ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১৭ মিনিট আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

ব্যস্ততায় ছুটতে ছুটতে বুকের বাম পাশে হঠাৎ ব্যথায় কুঁকড়ে না যাওয়া পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের যত্ন নিয়ে আমরা ভাবি না। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নের ক্ষেত্রে খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। খাবার গ্রহণে সচেতন না হলে যে কোনো সময় হৃদযন্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসতে পারে।
১৪ মার্চ ২০২৫
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
২ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১৭ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে