আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।

মাত্র তিন বছরের শিশু অলিভার চু বিরল ও ভয়াবহ একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সম্প্রতি জিন থেরাপি নেওয়ার পর তাঁর উন্নতি দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়েছেন। হান্টার সিনড্রোম বা এমপিএস-২ নামে পরিচিত এই রোগে আক্রান্ত অলিভার এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হান্টার সিনড্রোম হলো একটি বিরল ও বংশগত রোগ, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশ্বে প্রতি এক লাখ ছেলেশিশুর মধ্যে একটি এতে আক্রান্ত হয়। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত ২০ বছরের আগে মারা যায়।
ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে ছোট অলিভারের শরীর জরুরি একটি এনজাইম উৎপাদন করতে পারত না। কিন্তু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসকেরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপির মাধ্যমে অলিভারের কোষ পরিবর্তন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
এই থেরাপির দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটি ঘটনার জন্য। অলিভারের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।’ অলিভার বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি পাওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে প্রথম।
চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তার ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
বিবিসি গত এক বছর ধরে অলিভারের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রেখেছে। যুক্তরাজ্যে কীভাবে এই জিন থেরাপি তৈরি হলো এবং অর্থাভাবের কারণে কীভাবে অলিভারের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সবই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টারের হাসপাতালে অলিভার ও তার বাবা রিকির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হান্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিল থেকে অলিভারের জীবন কেটেছে হাসপাতালে।
অলিভারের বড় ভাই স্কাইলারও একই রোগে আক্রান্ত। তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে শুরুতে তা কোভিড মহামারির সময় জন্মানোর পরিণতি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
রিকি বলেন, ছেলেদের রোগ নির্ণয়ের খবর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ছিল। চিকিৎসকেরা প্রথমেই বলেন—ইন্টারনেটে কিছু খুঁজবেন না। সেখানে ভয়াবহ কেস দেখে মন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিকির কথায়, ‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করলেও মানুষ এটা খুঁজবে। আমরাও খুঁজেছি আর মনে হয়েছে—ওহ ঈশ্বর! আমার দুই ছেলেরও কি এটাই হতে যাচ্ছে?’
এই অবস্থায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অলিভারের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ শুরু হয়। রয়্যাল ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হাসপাতালের চিকিৎসক ক্লেয়ার হরগান বলেন, অলিভারের রক্ত একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট স্টেম সেল সংগ্রহ করবে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে পরিবর্তন করা হবে এবং পরে আবার তার শরীরে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ। এগুলো শরীরের যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এগুলোকে সাধারণত শরীরের ‘মেরামতব্যবস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরে প্রধানত দুই ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়—ভ্রূণীয় স্টেম সেল ও প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল।
অলিভারের কোষগুলোকে লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হান্টার সিনড্রোমে রোগীর জিনে কিছু ত্রুটি থাকে, যার ফলে কোষে আইডিএস নামে জরুরি একটি এনজাইম তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীরা সেই অনুপস্থিত জিনটি একটি ভাইরাসে বসিয়ে দেন। তবে এর আগে ওই ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়।
গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যারেন বাকল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে স্টেম সেলের ভেতর কার্যকর জিনটি ঢুকিয়ে দিই। পরে এগুলো অলিভারের শরীরে ফিরে গেলে নতুন সাদা রক্তকণিকা ও অনুপস্থিত এনজাইম তৈরি করে।’
মস্তিষ্কে এনজাইম পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন। তাই জিনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে উৎপন্ন এনজাইম-রক্ত সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার ম্যানচেস্টারে ফেরত আসে জিন-সম্পাদিত কোষ নিতে। গবেষণা দলের সদস্যরা ক্রায়ো ট্যাংক (বিশেষ ধরনের পাত্র) খুলে বরফ-ঠান্ডা অবস্থায় থাকা কোষগুলো বের করেন। গরম করে সেগুলো অলিভারের শরীরের তাপমাত্রায় আনা হয়।
এরপর একটি ছোট ইনফিউশন ব্যাগে থাকা প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জিন-পরিবর্তিত কোষ সিরিঞ্জে তোলা হয়। নার্স ধীরে ধীরে ক্যাথেটারের মাধ্যমে কোষগুলো অলিভারের শরীরে প্রবেশ করান। অলিভারের মা জিংরু তাকে ধরে রাখেন। ১০ মিনিটে প্রথম ইনফিউশন শেষ হয়, তারপর এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ইনফিউশন।
এতেই শেষ জিন থেরাপির পুরো প্রক্রিয়া। খুব দ্রুত শেষ হলেও এর লক্ষ্য বিশাল—জটিল এক রোগ থামানো। কয়েক দিন পর মা-ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যান। এখন অপেক্ষা—থেরাপি কাজ করছে কি না।
চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষার জন্য অলিভার আবার ম্যানচেস্টারে আসে। এবার পরিবারের সবাই এসেছে। পার্কে দেখা হতেই বোঝা গেল অলিভারের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সে আগের চেয়ে বেশি চলাফেরা করছে, সতেজ ও সক্রিয়।
অলিভারের বাবা রিকি বলেন, সে খুব ভালো করছে। কথা বলা ও চলাফেরায় উন্নতি হচ্ছে। মাত্র তিন মাসে সে অনেক পরিণত হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর—এখন প্রতি সপ্তাহে অলিভারের শরীরে আর এনজাইম প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ছে না। সে এখন নিজেই এনজাইম তৈরি করছে।
অলিভারের মা জিংরু বলেন, চিকিৎসার আগে ও পরে অলিভারের মধ্যে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে কথা বলছে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। বাবা রিকি বলেন, স্কাইলারেরও যদি এমন থেরাপি দেওয়া যেত! মনে হচ্ছে, অলিভার যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
হাসপাতালের ছাদবাগানে খেলতে থাকা অলিভারকে দেখে রিকি বলেন, এ যেন সম্পূর্ণ নতুন এক বাচ্চা—দৌড়াচ্ছে, কথা বলছে, হাসছে।
প্রতি তিন মাসে পরীক্ষা করতে অলিভার ম্যানচেস্টারে আসে। আগস্টে নিশ্চিত হয়—থেরাপি সফলভাবে কাজ করছে। এখন নয় মাস পেরিয়েছে। অলিভারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর সায়মন জোনস বলেন, আগে অলিভারের শরীরে এনজাইমই তৈরি হতো না, এখন স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি সতর্কও করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব ভালো, কিন্তু আমাদের আরও সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
জানা গেছে, এই জিন থেরাপি ট্রায়ালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ শিশুকে নির্বাচন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে কেউ নেই—কারণ, সেখানকার রোগীরা দেরিতে ধরা পড়েছিল।
দুই বছর পর্যবেক্ষণ শেষে ট্রায়াল সফল হলে জিন থেরাপিটি লাইসেন্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে। একই পদ্ধতিতে আরও বিরল জিনগত রোগের চিকিৎসা তৈরি হচ্ছে।
রিকি ও জিংরু ম্যানচেস্টারের চিকিৎসক দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁদের মতে, অলিভারের উন্নতি অবিশ্বাস্য। রিকি বলেন, অলিভারের জীবন আর সুচ ও হাসপাতাল দিয়ে ঘেরা নয়। তার কথা বলা, চলাফেরা, শেখার ক্ষমতা—সবকিছুই বেড়েছে।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রায়ান বিগারের নেতৃত্বে হান্টার সিনড্রোমের জিন থেরাপি তৈরিতে লেগেছিল ১৫ বছরের বেশি সময়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান অ্যাভ্রোবায়োর সঙ্গে ট্রায়ালের চুক্তি হয়। কিন্তু তিন বছর পর প্রতিষ্ঠানটি অর্থাভাবে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়। এতে প্রথম মানব ট্রায়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
প্রফেসর জোনস বলেন, ‘আমাদের দ্রুত বিকল্প স্পন্সর ও তহবিল খুঁজতে হয়েছে। ঠিক তখনই ব্রিটেনের মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটি লাইফআর্ক ২৫ লাখ পাউন্ড তহবিল দিয়ে এগিয়ে আসে।’
ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা লাইফআর্কের সিইও স্যাম ব্যারেল বলেন, যুক্তরাজ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বড় সমস্যা হলো—চিকিৎসার অভাব। ৯৫ শতাংশ রোগেরই চিকিৎসা নেই। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগের চিকিৎসা করা গেলে অনেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
শিশুরা জন্মের পর সুস্থ দেখালেও সাধারণত দুই বছর বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়—শারীরিক পরিবর্তন, অঙ্গ-সন্ধির শক্ত হয়ে যাওয়া, খাটো গড়ন, হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, হাড়ের জোড়ায় ক্ষতি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্নায়বিক অবনমন দেখা দেয়। এত দিন হান্টার সিনড্রোমের একমাত্র ওষুধ ছিল এলাপ্রেস, যার বার্ষিক খরচ রোগীপ্রতি প্রায় তিন লাখ পাউন্ড বা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে জিন থেরাপি অনুমোদন পেলে এই রোগের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ হবে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
২০ দিন আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
২০ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
২০ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

চিকিৎসা শুরুর এক বছর পর এখন অলিভার স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁর মা জিংরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় অলিভারকে নিয়ে কথা বলি। যখন তাঁর ওই রোগের কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে। কিন্তু এখন অলিভার সুস্থ। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
২০ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে