অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
নতুন বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক সংকল্প নেন অনেকেই। কিন্তু প্রথম কিছুদিন মেনে চলার পর আর সেই অঙ্গীকারে অটল থাকতে পারেন না। স্বাস্থ্য সংকল্প মেনে চলার জন্য চাই দৃঢ় অঙ্গীকার। তা কাজে পরিণত করতে হবে ধীরে ধীরে, অনেক ধৈর্য নিয়ে। প্রথম দিকে কিছুটা ব্যর্থতা আসতেই পারে। কিন্তু এর জন্য হাল ছাড়া উচিত নয়; বরং লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। আর মনে রাখবেন, এবার বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর স্ক্রিনিং করাতে ভুলবেন না। সঙ্গে প্রয়োজনীয় টিকাও নিতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর চেষ্টা করুন
এখনকার সময়ে পেটের মেদ হলো বড় সমস্য়া। তলপেটে মেদ থাকলে তা ডেকে আনে অনেক ক্রনিক রোগ। তাই মেদ ঝেড়ে ফেলা হবে প্রথম কাজ। সহজ কিছু উপায়েই পেটের মেদ কমানো যায়।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট রুটিন মেনে চলুন
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রবক্তা আর ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, খাবারে সবজির প্রাধান্য থাকতে হবে। লাল চাল, লাল আটার রুটি, শাকসবজি, ডাল, বাদাম, বীজ, ফল, সামান্য তেল খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য দিতে হবে। সঙ্গে থাকবে মাছ, ডিম, কচি মোরগের মাংস। ননি তোলা দুধ দিয়ে তৈরি টক দই খেতে পারেন। তবে সরসহ দুধ, মাখন, ঘি ডালডা বাদ দিতে হবে।
দিনে তিন বেলার খাবার আর দুই বেলা হালকা নাশতা খেতে হবে। প্রতি বেলার খাবারের সময় প্লেট অর্ধেক করে এর তিন ভাগের দুই ভাগের অংশে থাকবে বৈচিত্র্যময় নানা রঙের সবজি। বাকি তিন ভাগের এক অংশে থাকবে মৌসুমি ফল। প্লেটের বাকি অর্ধেকের অর্ধেকটায় থাকবে হোল গ্রেন, লাল চালের ভাত বা লাল আটার রুটি। বাকি অর্ধেকের মধ্যে থাকবে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। সারা দিনে পানি পান করবেন ৮ গ্লাস, রং চা, গ্রিন টি, চিনি ছাড়া ঘরে বানানো ফলের রস। দুধ খেলে এক কাপের বেশি নয়।
ব্যায়াম করুন
এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্ক জব করেন। ফলে বসে থাকা হয় বেশি। কিন্তু সুস্থ থাকতে বেশি সক্রিয় থাকতে হবে। তাই হাঁটুন প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা। একসঙ্গে আধা ঘণ্টা না হাঁটতে পারলে ১০ মিনিট করে করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। সাইকেল চালান, সাঁতার কাটুন, ভারোত্তোলন বা ইয়োগা করুন। আর কাজের সময় সক্রিয় হোন আধা ঘণ্টা পরপর। একটু উঠে দাঁড়ান, স্ট্রেচ করুন। সিঁড়ি বেয়ে উঠুন, লিফট ব্যবহার করবেন না।
মানসিক চাপ কমান, সুনিদ্রা নিন
কী করে মানসিক চাপ কমাবেন, তা শিখুন এবং চর্চা করুন। করতে পারেন ধ্যানচর্চা। নিশ্বাসের ব্যায়াম, প্রাণায়াম। সেই সঙ্গে নিয়ম করে ঘুমান। মানসিক চাপ কমাতে গান শুনতে পারেন। মনের কুশলের জন্য হাঁটুন। পার্কে সঙ্গীর সঙ্গে হাঁটুন। নিজের শখ মেটান এবং পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান ছুটির দিনে। খেলুন শিশুদের সঙ্গে। পরিবারকে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন।
ধূমপান বর্জন করুন
ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের অঙ্গীকার হবে এ বছর ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। সে জন্য মনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আর হঠাৎ ছেড়ে দেওয়া যথেষ্ট। ধূমপান বা তামাক গ্রহণের কোনো ভালো দিক নেই; বরং হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসারসহ অনেক ক্রনিক রোগ।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নতুন বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক সংকল্প নেন অনেকেই। কিন্তু প্রথম কিছুদিন মেনে চলার পর আর সেই অঙ্গীকারে অটল থাকতে পারেন না। স্বাস্থ্য সংকল্প মেনে চলার জন্য চাই দৃঢ় অঙ্গীকার। তা কাজে পরিণত করতে হবে ধীরে ধীরে, অনেক ধৈর্য নিয়ে। প্রথম দিকে কিছুটা ব্যর্থতা আসতেই পারে। কিন্তু এর জন্য হাল ছাড়া উচিত নয়; বরং লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। আর মনে রাখবেন, এবার বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর স্ক্রিনিং করাতে ভুলবেন না। সঙ্গে প্রয়োজনীয় টিকাও নিতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর চেষ্টা করুন
এখনকার সময়ে পেটের মেদ হলো বড় সমস্য়া। তলপেটে মেদ থাকলে তা ডেকে আনে অনেক ক্রনিক রোগ। তাই মেদ ঝেড়ে ফেলা হবে প্রথম কাজ। সহজ কিছু উপায়েই পেটের মেদ কমানো যায়।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট রুটিন মেনে চলুন
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রবক্তা আর ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, খাবারে সবজির প্রাধান্য থাকতে হবে। লাল চাল, লাল আটার রুটি, শাকসবজি, ডাল, বাদাম, বীজ, ফল, সামান্য তেল খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য দিতে হবে। সঙ্গে থাকবে মাছ, ডিম, কচি মোরগের মাংস। ননি তোলা দুধ দিয়ে তৈরি টক দই খেতে পারেন। তবে সরসহ দুধ, মাখন, ঘি ডালডা বাদ দিতে হবে।
দিনে তিন বেলার খাবার আর দুই বেলা হালকা নাশতা খেতে হবে। প্রতি বেলার খাবারের সময় প্লেট অর্ধেক করে এর তিন ভাগের দুই ভাগের অংশে থাকবে বৈচিত্র্যময় নানা রঙের সবজি। বাকি তিন ভাগের এক অংশে থাকবে মৌসুমি ফল। প্লেটের বাকি অর্ধেকের অর্ধেকটায় থাকবে হোল গ্রেন, লাল চালের ভাত বা লাল আটার রুটি। বাকি অর্ধেকের মধ্যে থাকবে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। সারা দিনে পানি পান করবেন ৮ গ্লাস, রং চা, গ্রিন টি, চিনি ছাড়া ঘরে বানানো ফলের রস। দুধ খেলে এক কাপের বেশি নয়।
ব্যায়াম করুন
এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্ক জব করেন। ফলে বসে থাকা হয় বেশি। কিন্তু সুস্থ থাকতে বেশি সক্রিয় থাকতে হবে। তাই হাঁটুন প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা। একসঙ্গে আধা ঘণ্টা না হাঁটতে পারলে ১০ মিনিট করে করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। সাইকেল চালান, সাঁতার কাটুন, ভারোত্তোলন বা ইয়োগা করুন। আর কাজের সময় সক্রিয় হোন আধা ঘণ্টা পরপর। একটু উঠে দাঁড়ান, স্ট্রেচ করুন। সিঁড়ি বেয়ে উঠুন, লিফট ব্যবহার করবেন না।
মানসিক চাপ কমান, সুনিদ্রা নিন
কী করে মানসিক চাপ কমাবেন, তা শিখুন এবং চর্চা করুন। করতে পারেন ধ্যানচর্চা। নিশ্বাসের ব্যায়াম, প্রাণায়াম। সেই সঙ্গে নিয়ম করে ঘুমান। মানসিক চাপ কমাতে গান শুনতে পারেন। মনের কুশলের জন্য হাঁটুন। পার্কে সঙ্গীর সঙ্গে হাঁটুন। নিজের শখ মেটান এবং পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান ছুটির দিনে। খেলুন শিশুদের সঙ্গে। পরিবারকে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন।
ধূমপান বর্জন করুন
ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের অঙ্গীকার হবে এ বছর ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। সে জন্য মনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আর হঠাৎ ছেড়ে দেওয়া যথেষ্ট। ধূমপান বা তামাক গ্রহণের কোনো ভালো দিক নেই; বরং হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসারসহ অনেক ক্রনিক রোগ।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া ও এমআরএসএ (মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস) মোকাবিলায় দুটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধগুলোর ‘পরমাণু থেকে পরমাণু’ সম্পূর্ণভাবে এআই দিয়ে নকশা করা হয়েছে...
১০ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেসচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
২ দিন আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
২ দিন আগে