আলমগীর আলম
শরীরে ইউরিয়া অথবা ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন কিংবা বিইউএন বেড়ে যাওয়া সাধারণত কিডনির কার্যক্ষমতা, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের শরীরে ইউরিয়া সরাসরি খাবার থেকে আসে না। ইউরিয়া হলো প্রোটিন বিপাকের একটি উপজাত। যখন আমরা প্রোটিন খাই, তখন শরীর সেগুলো অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে ফেলে। কিন্তু এটি পরিমাণে বেশি হলে বা কোনো কারণে ব্যবহৃত না হলে শরীর থেকে নাইট্রোজেন সরানোর জন্য সেগুলো অ্যামোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়। এই বিষাক্ত অ্যামোনিয়াকে যকৃৎ বা লিভার ইউরিয়ায় পরিণত করে, যা কম বিষাক্ত। এগুলো কিডনির মাধ্যমে মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে এই ইউরিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যে খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, সেসব খাবার গ্রহণ করলে পরোক্ষভাবে শরীরে ইউরিয়ার উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে; বিশেষ করে কিডনির সমস্যা থাকলে প্রোটিন বেশি খাওয়া ইউরিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যেসব খাবারে প্রোটিন বেশি থাকে এবং যা ইউরিয়ার মাত্রা বাড়াতে পারে, সেগুলো হলো—
» গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ বা হাঁসের মাংস।
» প্রাণীর মগজ, কলিজা, গুর্দা বা কিডনি, ফুসফুস ইত্যাদি। এগুলোয় পিউরিন নামক উপাদান বেশি থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
» সামুদ্রিক খাবার; যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ।
» মুরগির চামড়া; এতে প্রোটিন ও চর্বি বেশি থাকে।
» যাঁরা দৈনিক প্রচুর মাছ-মাংস খান, তাঁদের ইউরিয়ার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
» এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ইউরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও প্রোটিন বিপাকের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই ধরনের খাবারগুলো কিডনি রোগীরা খেতে পারবেন না। খাবারগুলো হলো—
» অ্যালকোহল, বিশেষ করে বিয়ার। এতে পিউরিন বেশি থাকে।
» চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যান্ডি ও ডেজার্ট। এগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে।
» কিছু কিছু ডাল। যেমন মসুর ডাল। যদিও ডাল প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে এটি কিডনি রোগীদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ
দেওয়া হয়।
» ফসফরাস ও উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার; যেমন কলা, কমলা, আলু, টমেটো ইত্যাদি কিডনিজনিত সমস্যায় কম
খেতে হবে।
ইউরিয়ার মাত্রা বেশি হলে যা করবেন
» আপনার শারীরিক অবস্থা ও কিডনির কার্যকারিতা অনুযায়ী প্রোটিনের পরিমাণ সীমিত রাখতে হবে।
» পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি ইউরিয়ার মতো বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে পানি পানের পরিমাণও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া উচিত।
» পিউরিন ইউরিক অ্যাসিড বাড়ালেও এটি প্রোটিনের অংশ। তাই লাল মাংস, প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং কিছু সামুদ্রিক খাবার পরিহার করা ভালো।
» নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে ইউরিয়া ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিয়া নিয়ন্ত্রণ
ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার
ধনেপাতা: ধনেপাতার রস বা চা কিডনি পরিষ্কারে সাহায্য করতে পারে। এক মুঠো ধনেপাতা পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে পান করুন।
পুদিনা: এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়ক।
তুলসী: তুলসী পাতার চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আদা: এর চা বা আদামিশ্রিত পানি প্রদাহ কমাতে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক।
দারুচিনি: অল্প পরিমাণে দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে কিডনির ওপর চাপ কমায়।
ইউরিয়ার উচ্চ মাত্রা কিডনি রোগ, সংক্রমণ বা অন্য গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
শরীরে ইউরিয়া অথবা ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন কিংবা বিইউএন বেড়ে যাওয়া সাধারণত কিডনির কার্যক্ষমতা, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের শরীরে ইউরিয়া সরাসরি খাবার থেকে আসে না। ইউরিয়া হলো প্রোটিন বিপাকের একটি উপজাত। যখন আমরা প্রোটিন খাই, তখন শরীর সেগুলো অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে ফেলে। কিন্তু এটি পরিমাণে বেশি হলে বা কোনো কারণে ব্যবহৃত না হলে শরীর থেকে নাইট্রোজেন সরানোর জন্য সেগুলো অ্যামোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়। এই বিষাক্ত অ্যামোনিয়াকে যকৃৎ বা লিভার ইউরিয়ায় পরিণত করে, যা কম বিষাক্ত। এগুলো কিডনির মাধ্যমে মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে এই ইউরিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যে খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, সেসব খাবার গ্রহণ করলে পরোক্ষভাবে শরীরে ইউরিয়ার উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে; বিশেষ করে কিডনির সমস্যা থাকলে প্রোটিন বেশি খাওয়া ইউরিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যেসব খাবারে প্রোটিন বেশি থাকে এবং যা ইউরিয়ার মাত্রা বাড়াতে পারে, সেগুলো হলো—
» গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ বা হাঁসের মাংস।
» প্রাণীর মগজ, কলিজা, গুর্দা বা কিডনি, ফুসফুস ইত্যাদি। এগুলোয় পিউরিন নামক উপাদান বেশি থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
» সামুদ্রিক খাবার; যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ।
» মুরগির চামড়া; এতে প্রোটিন ও চর্বি বেশি থাকে।
» যাঁরা দৈনিক প্রচুর মাছ-মাংস খান, তাঁদের ইউরিয়ার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
» এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ইউরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও প্রোটিন বিপাকের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই ধরনের খাবারগুলো কিডনি রোগীরা খেতে পারবেন না। খাবারগুলো হলো—
» অ্যালকোহল, বিশেষ করে বিয়ার। এতে পিউরিন বেশি থাকে।
» চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যান্ডি ও ডেজার্ট। এগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে।
» কিছু কিছু ডাল। যেমন মসুর ডাল। যদিও ডাল প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে এটি কিডনি রোগীদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ
দেওয়া হয়।
» ফসফরাস ও উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার; যেমন কলা, কমলা, আলু, টমেটো ইত্যাদি কিডনিজনিত সমস্যায় কম
খেতে হবে।
ইউরিয়ার মাত্রা বেশি হলে যা করবেন
» আপনার শারীরিক অবস্থা ও কিডনির কার্যকারিতা অনুযায়ী প্রোটিনের পরিমাণ সীমিত রাখতে হবে।
» পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি ইউরিয়ার মতো বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে পানি পানের পরিমাণও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া উচিত।
» পিউরিন ইউরিক অ্যাসিড বাড়ালেও এটি প্রোটিনের অংশ। তাই লাল মাংস, প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং কিছু সামুদ্রিক খাবার পরিহার করা ভালো।
» নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে ইউরিয়া ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিয়া নিয়ন্ত্রণ
ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার
ধনেপাতা: ধনেপাতার রস বা চা কিডনি পরিষ্কারে সাহায্য করতে পারে। এক মুঠো ধনেপাতা পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে পান করুন।
পুদিনা: এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়ক।
তুলসী: তুলসী পাতার চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আদা: এর চা বা আদামিশ্রিত পানি প্রদাহ কমাতে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক।
দারুচিনি: অল্প পরিমাণে দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে কিডনির ওপর চাপ কমায়।
ইউরিয়ার উচ্চ মাত্রা কিডনি রোগ, সংক্রমণ বা অন্য গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
শিশুদের অসুখ-বিসুখ দিনরাত যেন লেগেই থাকে। হঠাৎ নবজাতকের কান্না, পেটব্যথা, কানব্যথা, পিঁপড়া অথবা পোকামাকড়ের কামড়, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হাত-পা মচকানো, অ্যালার্জির কারণে সাদা শরীরে লাল দানা—এ ধরনের সমস্যার কারণে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকলে...
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি মেশানো কোমল পানীয় এবং ট্রান্স ফ্যাট শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের বিজ্ঞানীরা ৬০টির বেশি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, এসব খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস...
৭ ঘণ্টা আগেকন্টাক্ট লেন্স হলো একটি ছোট, পাতলা, স্বচ্ছ বা অর্ধ স্বচ্ছ প্লাস্টিকের তৈরি ডিভাইস, যা সরাসরি চোখের কর্নিয়ার ওপর বসানো হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা, যেভাবে চশমা কাজ করে।
৮ ঘণ্টা আগেসকালে শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কয়েক ধরনের পানীয় পান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অল্প সময়ে সহজে সেগুলো তৈরি করা যায় এবং মৌসুমি ফ্লু ও অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক...
৮ ঘণ্টা আগে