ডা. ফারজানা রহমান
কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে স্নায়ুকোষ নষ্ট হলে স্ট্রোক হয়। সাধারণত দুটি কারণে স্ট্রোক হয়—মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে এবং রক্তক্ষরণ ঘটলে।
স্ট্রোকের ঝুঁকিতে যাঁরা
যেকোনো বয়সে স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক হয় সাধারণত বয়স ৫০-এর ওপরে হলে, পরিবারে স্ট্রোকের রোগী থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে, ধূমপায়ী হলে, ডায়াবেটিস থাকলে, ইতিপূর্বে একবার স্ট্রোক হলে, অ্যালকোহলিক হলে এবং রক্তনালিতে কোনো সমস্যা থাকলে।
স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ
» হঠাৎ অতিরিক্ত মাথাব্যথা।
» হঠাৎ মুখ, হাত ও পা অবশ হয়ে যাওয়া।
» হঠাৎ কথা বলতে ও বুঝতে সমস্যা হওয়া।
» হঠাৎ এক চোখে অথবা দুই চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
» হঠাৎ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা বা সোজা হয়ে বসা ও দাঁড়াতে সমস্যা হওয়া।
» মাথা ঘোরানো এবং হাঁটতে সমস্যা হওয়া।
স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যা
» শরীরের এক পাশ অথবা উভয় পাশ অবশ হয়ে যায়।
» মাংসপেশির টান প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যায়।
» হাত ও পায়ে ব্যথা থাকতে পারে।
» হাত ও পায়ের নড়াচড়া সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে কমতে পারে।
» মাংসপেশি শুকিয়ে অথবা শক্ত হতে পারে।
» হাঁটাচলা, ওঠাবসা ও বিছানায় নড়াচড়া কমতে পারে। নড়াচড়া কমার ফলে চাপজনিত ঘা দেখা দিতে পারে।
» শোল্ডার বা ঘাড়ের জয়েন্ট সরে যেতে পারে।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়
» উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে জানা ও নিয়ন্ত্রণ করা।
» রক্তনালির কোনো সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করা।
» ধূমপান বন্ধ করা, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম ও ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে রাখা।
» চর্বি ও শর্করা কম খাওয়া।
» অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা।
» ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা করা।
» নিয়মিত ৪৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করা।
» অতিরিক্ত ওষুধ সেবন না করা।
স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ফিজিক্যাল এক্সামিনেশনসহ বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে কী ধরনের স্ট্রোক হয়েছে এবং শারীরিক সমস্যা নির্ণয় করা হয়। এরপর চিকিৎসক রোগীর সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা বা চিকিৎসা করেন এবং সে অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি দিয়ে থাকেন।
রোগীর শারীরিক সমস্যা দূর করে কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা অপরিসীম। ফিজিওথেরাপির নামে শুধু মেশিন ব্যবহার করে যে অপচিকিৎসা দেওয়া হয়, তা থেকে বেঁচে থাকা ভালো। ভুল চিকিৎসায় রোগীর ভালোর পরিবর্তে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট, আউটডোর ইনচার্জ, ফিজিওথেরাপি বিভাগ, সিআরপি
কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে স্নায়ুকোষ নষ্ট হলে স্ট্রোক হয়। সাধারণত দুটি কারণে স্ট্রোক হয়—মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে এবং রক্তক্ষরণ ঘটলে।
স্ট্রোকের ঝুঁকিতে যাঁরা
যেকোনো বয়সে স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক হয় সাধারণত বয়স ৫০-এর ওপরে হলে, পরিবারে স্ট্রোকের রোগী থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে, ধূমপায়ী হলে, ডায়াবেটিস থাকলে, ইতিপূর্বে একবার স্ট্রোক হলে, অ্যালকোহলিক হলে এবং রক্তনালিতে কোনো সমস্যা থাকলে।
স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ
» হঠাৎ অতিরিক্ত মাথাব্যথা।
» হঠাৎ মুখ, হাত ও পা অবশ হয়ে যাওয়া।
» হঠাৎ কথা বলতে ও বুঝতে সমস্যা হওয়া।
» হঠাৎ এক চোখে অথবা দুই চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
» হঠাৎ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা বা সোজা হয়ে বসা ও দাঁড়াতে সমস্যা হওয়া।
» মাথা ঘোরানো এবং হাঁটতে সমস্যা হওয়া।
স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যা
» শরীরের এক পাশ অথবা উভয় পাশ অবশ হয়ে যায়।
» মাংসপেশির টান প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যায়।
» হাত ও পায়ে ব্যথা থাকতে পারে।
» হাত ও পায়ের নড়াচড়া সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে কমতে পারে।
» মাংসপেশি শুকিয়ে অথবা শক্ত হতে পারে।
» হাঁটাচলা, ওঠাবসা ও বিছানায় নড়াচড়া কমতে পারে। নড়াচড়া কমার ফলে চাপজনিত ঘা দেখা দিতে পারে।
» শোল্ডার বা ঘাড়ের জয়েন্ট সরে যেতে পারে।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়
» উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে জানা ও নিয়ন্ত্রণ করা।
» রক্তনালির কোনো সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করা।
» ধূমপান বন্ধ করা, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম ও ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে রাখা।
» চর্বি ও শর্করা কম খাওয়া।
» অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা।
» ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা করা।
» নিয়মিত ৪৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করা।
» অতিরিক্ত ওষুধ সেবন না করা।
স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ফিজিক্যাল এক্সামিনেশনসহ বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে কী ধরনের স্ট্রোক হয়েছে এবং শারীরিক সমস্যা নির্ণয় করা হয়। এরপর চিকিৎসক রোগীর সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা বা চিকিৎসা করেন এবং সে অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি দিয়ে থাকেন।
রোগীর শারীরিক সমস্যা দূর করে কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা অপরিসীম। ফিজিওথেরাপির নামে শুধু মেশিন ব্যবহার করে যে অপচিকিৎসা দেওয়া হয়, তা থেকে বেঁচে থাকা ভালো। ভুল চিকিৎসায় রোগীর ভালোর পরিবর্তে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট, আউটডোর ইনচার্জ, ফিজিওথেরাপি বিভাগ, সিআরপি
চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রোটিন বার, লো-কার্ব ডায়েট পণ্য থেকে শুরু করে সকালের চা-কফিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এরিথ্রিটলের মতো কৃত্রিম চিনি। ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ক্যালরি কমানোর লক্ষ্যে একে দারুণ সমাধান মনে করা হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন শঙ্কা। কার্ডিওভাসকুলার...
১৮ ঘণ্টা আগেগরমের দিনে আমাদের কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। গরমে শিশুরা বেশ কষ্ট পায় এবং বিভিন্ন উপসর্গও দেখা দেয়। যেমন শিশুর ঠান্ডা লাগা, র্যাশ ও ঘামাচি হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই এ সময় শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা ও যত্ন।
১৯ ঘণ্টা আগেপার্কে হাঁটতে গিয়ে বড় কোনো গাছ জড়িয়ে ধরে খানিকক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখার অভ্য়াস কি আপনারও আছে? তাহলে বলে রাখা ভালো, এই অভ্যাস আপনার জীবনে শান্তিই বয়ে আনবে।
১৯ ঘণ্টা আগেগরমের এই সময়ে কাঁচা আম যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের নানা উপকার হয়। কাঁচা আমে রয়েছে প্রাকৃতিক কুলিং এজেন্ট, যা গ্রীষ্মের হিট স্ট্রোক থেকে শরীর রক্ষা করে। দেহ থাকে শীতল ও সতেজ। গরমে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম খেলে হজমজনিত কোনো ধরনের সমস্যা থাকে না। তা ছাড়া গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে...
১৯ ঘণ্টা আগে