ডা. নাসির হোসেন
ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর যত্নের ধরনও বদলে যায়। গ্রীষ্মকালে যেমন প্রচণ্ড গরম, শীতকালে তেমনি ঠান্ডা। আবার বর্ষাকালে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া হয়ে ওঠে গরম কিংবা ঠান্ডা। এ জন্য শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হয় ঋতুভেদে।
নিয়মিত গোসল করান: এ সময় শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়, গরম আর ঘাম ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়ায় খুব দ্রুত। গোসলের পর চুলের গোড়া ভালো করে শুকাতে হবে, যাতে ছত্রাক সংক্রমিত না হয়। ভাপসা গরমের জন্য কানের ভেতর ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। এই আবহাওয়ায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন খুব দ্রুত ছড়ায়। এতে কানে চুলকানি হয়। তাই সতর্ক থাকুন।
বাড়ির ভেতর পরিষ্কার রাখুন: বর্ষায় মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। আর এ থেকে ডেঙ্গুজ্বরসহ নানা রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই এই ঋতুতে বাড়ির ভেতর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। মশার ওষুধ ছিটিয়ে দিন। ঘরের ভেতর খাটের নিচে, আলমারির পেছনসহ বিভিন্ন আসবাবে আটকানো জায়গাগুলো পরিষ্কার করে নিন। ফুলদানি, ফুলের টব বা পড়ে থাকা পাত্রে এক সপ্তাহের বেশি যেন পানি আটকে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু ঘুমালে মশারি টানিয়ে দিন।
পোশাকে গুরুত্ব দিন: বর্ষার পোশাকের ক্ষেত্রে শিশুর জন্য আরামদায়ক সুতি কাপড় বেছে নিন। ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তন করে দিন। ছোট শিশুদের কাঁথা ও চাদর ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে রাখুন। এই সময় প্রায় রাতেই বৃষ্টি হয়। তাই ঘুমের সময় শিশুকে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখুন।
ঘরোয়া চিকিৎসা: জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশি ইত্যাদি দেখা দিলে লেবু-চা, আদা ও পুদিনা পাতার রস, মধু বেশ কার্যকর। গলাব্যথা থাকলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিন। দ্রুত গলাব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
খাবারে সতর্কতা: এ সময় শিশুদের বাইরের খাবার ও বাসি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘরে তৈরি হালকা খাবার দিন। তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
মৌসুমি ফল যেমন: আম, লিচু, জামরুল, জাম, কাঁঠাল, আনারসসহ নানা রকম ফল খেতে দিন।
লেখক: শিশু ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর যত্নের ধরনও বদলে যায়। গ্রীষ্মকালে যেমন প্রচণ্ড গরম, শীতকালে তেমনি ঠান্ডা। আবার বর্ষাকালে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া হয়ে ওঠে গরম কিংবা ঠান্ডা। এ জন্য শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হয় ঋতুভেদে।
নিয়মিত গোসল করান: এ সময় শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়, গরম আর ঘাম ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়ায় খুব দ্রুত। গোসলের পর চুলের গোড়া ভালো করে শুকাতে হবে, যাতে ছত্রাক সংক্রমিত না হয়। ভাপসা গরমের জন্য কানের ভেতর ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। এই আবহাওয়ায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন খুব দ্রুত ছড়ায়। এতে কানে চুলকানি হয়। তাই সতর্ক থাকুন।
বাড়ির ভেতর পরিষ্কার রাখুন: বর্ষায় মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। আর এ থেকে ডেঙ্গুজ্বরসহ নানা রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই এই ঋতুতে বাড়ির ভেতর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। মশার ওষুধ ছিটিয়ে দিন। ঘরের ভেতর খাটের নিচে, আলমারির পেছনসহ বিভিন্ন আসবাবে আটকানো জায়গাগুলো পরিষ্কার করে নিন। ফুলদানি, ফুলের টব বা পড়ে থাকা পাত্রে এক সপ্তাহের বেশি যেন পানি আটকে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু ঘুমালে মশারি টানিয়ে দিন।
পোশাকে গুরুত্ব দিন: বর্ষার পোশাকের ক্ষেত্রে শিশুর জন্য আরামদায়ক সুতি কাপড় বেছে নিন। ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তন করে দিন। ছোট শিশুদের কাঁথা ও চাদর ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে রাখুন। এই সময় প্রায় রাতেই বৃষ্টি হয়। তাই ঘুমের সময় শিশুকে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখুন।
ঘরোয়া চিকিৎসা: জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশি ইত্যাদি দেখা দিলে লেবু-চা, আদা ও পুদিনা পাতার রস, মধু বেশ কার্যকর। গলাব্যথা থাকলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিন। দ্রুত গলাব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
খাবারে সতর্কতা: এ সময় শিশুদের বাইরের খাবার ও বাসি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘরে তৈরি হালকা খাবার দিন। তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
মৌসুমি ফল যেমন: আম, লিচু, জামরুল, জাম, কাঁঠাল, আনারসসহ নানা রকম ফল খেতে দিন।
লেখক: শিশু ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
৭ ঘণ্টা আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
২ দিন আগে