Ajker Patrika

শিশু-কিশোরদের যে ধরনের পানীয় না দেওয়া ভালো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শিশুদের পানীয়র বেলায় সচেতন হওয়া উচিত। ছবি: ফার্স্টক্রাই প্যারেন্টিং
শিশুদের পানীয়র বেলায় সচেতন হওয়া উচিত। ছবি: ফার্স্টক্রাই প্যারেন্টিং

পরিবারের শিশুটির জন্য খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাজা ফল, সবজি, মাছসহ স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করা হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী পরিবারের শিশু সদস্যটি কী ধরনের পানীয় গ্রহণ করছে, সেদিকে খেয়াল রাখছেন তো? অনেকেই শিশু-কিশোরদের পানীয় গ্রহণের পরিমাণ বা কী ধরনের পানীয় গ্রহণ করা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে খেয়াল রাখেন না। তবে চারটি মার্কিন শীর্ষস্থানীয় জাতীয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংস্থা এক গবেষণায় সুপারিশ করেছে, শিশুরা কী পানীয় গ্রহণ করছে এবং কতটুকু পরিমাণে, সেটিও বিবেচনায় রাখা উচিত।

গবেষণায় স্কুলবয়সী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। বয়স অনুযায়ী পানির চাহিদা, পানীয়ের ধরন, সীমিত পরিমাণে গ্রহণযোগ্য পানীয় এবং যেসব পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত, সে কথা বলা আছে।

শিশুদের কতটুকু দুধ পান করা উচিত, জুস বা জুসজাতীয় পানীয় কি সুপারিশযোগ্য এবং স্পোর্টস ড্রিংক শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর কি না—এসব বিষয় অভিভাবকদের ভাবনায় রাখা উচিত।

এসব বিষয়ে সিএনএন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাংক্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. লিয়ানা ওয়েনের সঙ্গে কথা বলেছে। দুই সন্তানের জননী লিয়ানা বাল্টিমোরের স্বাস্থ্য কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

লিয়ানা ওয়েন বলেন, বাবা-মায়েরা যেভাবে তাদের সন্তানের খাবার নিয়ে সচেতন, ঠিক সেভাবেই তাদের পানীয়ের ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন প্রায় ৪০ আউন্স (প্রায় ৫ কাপ) তরল পান করা উচিত। ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের জন্য এই পরিমাণ ৫৪ থেকে ৬১ আউন্স (প্রায় ৭ থেকে ৭.৫ কাপ) এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য এটি ৬১ থেকে ৮৮ আউন্স (প্রায় ৭.৫ থেকে ১১ কাপ) হওয়া উচিত।

লিয়ানা বলেন, শিশুর মোট জলীয় চাহিদা তার শারীরিক গঠন, দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। শিশুদের পানির চাহিদার বেশির ভাগই পানি থেকেই পূরণ করা সম্ভব।

সিএনএনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, শিশুরা যে দুধ ও জুস খেতে পছন্দ করে, সেগুলোর বেলায় কী হবে? লিয়ানা বলেন, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত পাস্তুরিত দুধ পান করার পরামর্শ দেন—৫ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ আউন্স এবং বয়স্ক শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ ২৪ আউন্স। তবে মিষ্টি-স্বাদযুক্ত দুধ (যেমন চকোলেট দুধ, স্ট্রবেরি দুধ ইত্যাদি) সুপারিশ করা হয় না, কারণ এতে প্রতি পরিবেশনে উচ্চমাত্রায় সংযোজিত চিনি থাকে।

জুসের পরিমাণ এর চেয়ে কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন লিয়ানা। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে শিশুদের জুস পান করার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং তাদের দৈনিক ফলের চাহিদা পুরো ফল খেয়ে পূরণ করাই সবচেয়ে ভালো।

যারা স্কুলের পর বা অবসর সময়ে খেলাধুলায় অংশ নেয়, তারা কীভাবে জলীয় চাহিদা পূরণ করবে—এই প্রশ্নের জবাবে ড. লিয়ানা বলেন, শিশুদের স্পোর্টস ড্রিংক না দেওয়াই ভালো। অনেক স্পোর্টস ড্রিংকে উচ্চমাত্রার চিনি থাকে, যা অস্বাস্থ্যকর। সাধারণত এগুলোর প্রয়োজন হয় না। শরীরের জলীয় চাহিদা শুধু পানির মাধ্যমেই পূরণ করা সম্ভব।

লিয়ানা আরও বলেন, কিছু স্পোর্টস ড্রিংক এনার্জি ড্রিংক হিসেবে বাজারজাত করা হয়, যাতে ক্যাফেইন ও অন্যান্য উত্তেজক উপাদান থাকতে পারে। ক্যাফেইন ও অন্যান্য উত্তেজক উপাদানযুক্ত পানীয় শিশু ও কিশোরদের কখনোই দেওয়া যাবে না।

শিশুদের তরল গ্রহণের জন্য মিষ্টি পানীয়র ওপর নির্ভর না করে সাধারণ পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেন ড. লিয়ানা। তিনি আরও বলেন, পাস্তুরিত দুধও একটি ভালো বিকল্প। ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ জুস অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে ফ্লেভারযুক্ত দুধ ও জুসজাতীয় পানীয়সহ অন্যান্য পানীয় দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার অংশ হওয়া উচিত নয়।

ড. লিয়ানা বলেন, ‘আমার পরিবারও সাধারণত এভাবেই চলে। আমরা পানীয় হিসেবে প্রধানত পানি ও দুধের ওপর গুরুত্ব দিই। জুসকে বিশেষ উপলক্ষের খাবার হিসেবে ধরা হয়, প্রতিদিন দেওয়া হয় না। যদি আমার সন্তানেরা কোনো পার্টিতে যায় এবং সেখানে জুসজাতীয় পানীয় থাকে, আমরা তাদের সেটি পান করতে দিই। তবে ব্যাখ্যা করি যে, এটি বিশেষ উপলক্ষের পানীয়। আমরা সোডা, স্পোর্টস ড্রিংক বা এনার্জি ড্রিংক দিই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমল ৩৬৭টি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমল ৩৬৭টি

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।

দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।

চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২৮
সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।

বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।

চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।

অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ০৩
দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।

অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ০৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।

চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত