আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। ‘যক্ষ্মা’ শব্দটা বাংলা ‘রাজক্ষয়’ শব্দ থেকে এসেছে। এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। তবে হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশি ও থাইরয়েড গ্রন্থি ছাড়া শরীরের যেকোনো অঙ্গেই এই রোগ হতে পারে। এমনকি কিডনি, মেরুদণ্ড অথবা মস্তিষ্ক পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। তবে জীবাণু শরীরে ঢুকলেই কিন্তু যক্ষ্মা হয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম হলেই যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৪২ হাজার রোগী মারা গেছে। সে হিসাবে এই রোগে গড়ে প্রতি মিনিটে একজন আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। তাই যক্ষ্মা রোধে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। যক্ষ্মা হলে প্রাথমিকভাবে যেসব লক্ষণ শরীরে দেখা দিতে পারে—
১. টানা ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে কাশি হলে।
২. বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
৩. কফে রক্ত (কাশি বা গলা পরিষ্কার করার সময় শ্লেষ্মা এবং লালা উৎপন্ন হয়)
ওপরের লক্ষণগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে যক্ষ্মা হয়েছে কি না। এরপর সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে রোগটি পুরোপুরি সেরে যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ায় এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ খেতে হয়। সেটা ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় রোগীদের ধৈর্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী পুরো মেয়াদে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে দুই থেকে তিন মাস ওষুধ খাওয়ার পর রোগী খুব ভালো অনুভব করতে শুরু করে। এরপর রোগটির সব লক্ষণ চলে যেতে শুরু করে। তাই রোগটি প্রতিরোধে আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এর জন্য সবাইকে রোগটির লক্ষ্মণ ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে যক্ষ্মায় সংক্রমণ ও মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমাতে হবে। সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য এই রোগ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে কার্যক্রম চলছে, তাতে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কয়েক দশক ধরে যক্ষ্মা চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হলেও এর সংক্রমণ বন্ধ হয়নি। এখনো এটি বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক রোগ। তাই এবার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নতুন প্রণীত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে যক্ষ্মা প্রতিরোধের আহ্বান জানাবে সংস্থাটি। রোগটি মূলত পিছিয়ে পড়া ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি বিস্তার করে। যেসব জনগোষ্ঠীর পানযোগ্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই এবং যারা অনুন্নত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় অভ্যস্ত, তাদের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে অভিবাসী, শরণার্থী, জাতিগত সংখ্যালঘু বসবাস করে এমন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকা যক্ষ্মার ঝুঁকিপ্রবণ।
আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। ‘যক্ষ্মা’ শব্দটা বাংলা ‘রাজক্ষয়’ শব্দ থেকে এসেছে। এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। তবে হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশি ও থাইরয়েড গ্রন্থি ছাড়া শরীরের যেকোনো অঙ্গেই এই রোগ হতে পারে। এমনকি কিডনি, মেরুদণ্ড অথবা মস্তিষ্ক পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। তবে জীবাণু শরীরে ঢুকলেই কিন্তু যক্ষ্মা হয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম হলেই যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৪২ হাজার রোগী মারা গেছে। সে হিসাবে এই রোগে গড়ে প্রতি মিনিটে একজন আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। তাই যক্ষ্মা রোধে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। যক্ষ্মা হলে প্রাথমিকভাবে যেসব লক্ষণ শরীরে দেখা দিতে পারে—
১. টানা ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে কাশি হলে।
২. বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
৩. কফে রক্ত (কাশি বা গলা পরিষ্কার করার সময় শ্লেষ্মা এবং লালা উৎপন্ন হয়)
ওপরের লক্ষণগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে যক্ষ্মা হয়েছে কি না। এরপর সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে রোগটি পুরোপুরি সেরে যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ায় এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ খেতে হয়। সেটা ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় রোগীদের ধৈর্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী পুরো মেয়াদে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে দুই থেকে তিন মাস ওষুধ খাওয়ার পর রোগী খুব ভালো অনুভব করতে শুরু করে। এরপর রোগটির সব লক্ষণ চলে যেতে শুরু করে। তাই রোগটি প্রতিরোধে আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এর জন্য সবাইকে রোগটির লক্ষ্মণ ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে যক্ষ্মায় সংক্রমণ ও মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমাতে হবে। সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য এই রোগ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে কার্যক্রম চলছে, তাতে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কয়েক দশক ধরে যক্ষ্মা চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হলেও এর সংক্রমণ বন্ধ হয়নি। এখনো এটি বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক রোগ। তাই এবার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নতুন প্রণীত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে যক্ষ্মা প্রতিরোধের আহ্বান জানাবে সংস্থাটি। রোগটি মূলত পিছিয়ে পড়া ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি বিস্তার করে। যেসব জনগোষ্ঠীর পানযোগ্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই এবং যারা অনুন্নত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় অভ্যস্ত, তাদের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে অভিবাসী, শরণার্থী, জাতিগত সংখ্যালঘু বসবাস করে এমন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকা যক্ষ্মার ঝুঁকিপ্রবণ।
বিশ্বের অন্যতম নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক স্নায়বিক অসুখ হান্টিংটন রোগের প্রথম সফল চিকিৎসার ঘোষণা দিলেন চিকিৎসকেরা। এই রোগ বংশানুক্রমে এবং পরিবার থেকে পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে এবং একই সঙ্গে ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও মোটর নিউরন রোগের মতো উপসর্গ তৈরি করে।
১ দিন আগেডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
১ দিন আগেএডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে এর বিস্তার মূলত নগরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত পাঁচ বছরে কম-বেশি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী গণপরিসরে কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় রোগী ও মৃত্যুহার কমানোর...
২ দিন আগেদেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
৩ দিন আগে