নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত পাঁচ দিনের প্রতিদিনই তিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবারের তথ্য অনুযায়ী আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় বলে জানা গেছে। এই সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্যে জানায়, সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজন পুরুষ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩৬ জন। যাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৮ হাজার ৮৮০ জন। তাদের মধ্যেও পুরুষের হার বেশি; যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।
নতুন রোগী ভর্তির তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রকোপ বরিশাল বিভাগে। ওই বিভাগে নতুন রোগীর সংখ্যা ১১৮ জন। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে রয়েছে ৭১ জন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩, খুলনা বিভাগে ১৬, রাজশাহী বিভাগে ২৯ এবং সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ১ হাজার ৮৫ ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ৩১৮ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৭৬৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
বরগুনায় ডেঙ্গুর ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়ায় সেখানে জরিপ চালায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। জরিপে ডেঙ্গুর ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ বেশি পাওয়া যায়। সেখানকার ডেঙ্গু রোগীর ৪৬ শতাংশই ডেন-৩ ধরনে আক্রান্ত। গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন। ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। ২০১৮ সালের পর ডেঙ্গুর ডেন-১ ধরনে মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি। ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ দেখা যায় ২০২১ সালে। আর ২০২২ সালে ডেন-৪ ধরনের প্রকোপ বেশি ছিল। তবে সে সময় ডেন-৩ ও ডেন-১ ধরনেও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ ডেন-৩ ধরনে আক্রান্ত। ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী ডেন-২ তে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ১৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন অন্য ধরন ডেন-২ ও ৩-এ। ৪৩টি নমুনা জিনোম পরীক্ষা করে এই তথ্য মিলেছে।’
আইইডিসিআর জানিয়েছে, বরগুনার সদর উপজেলায় এডিস মশার ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ গুণ বেশি। বরগুনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা আরও ভয়াবহ—ব্রুটো ইনডেক্স ১৫৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, উৎস বন্ধ না করলে শুধু চিকিৎসক বাড়িয়ে ডেঙ্গু ঠেকানো সম্ভব নয়।
গত পাঁচ দিনের প্রতিদিনই তিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবারের তথ্য অনুযায়ী আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় বলে জানা গেছে। এই সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্যে জানায়, সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজন পুরুষ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩৬ জন। যাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৮ হাজার ৮৮০ জন। তাদের মধ্যেও পুরুষের হার বেশি; যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।
নতুন রোগী ভর্তির তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রকোপ বরিশাল বিভাগে। ওই বিভাগে নতুন রোগীর সংখ্যা ১১৮ জন। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে রয়েছে ৭১ জন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩, খুলনা বিভাগে ১৬, রাজশাহী বিভাগে ২৯ এবং সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ১ হাজার ৮৫ ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ৩১৮ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৭৬৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
বরগুনায় ডেঙ্গুর ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়ায় সেখানে জরিপ চালায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। জরিপে ডেঙ্গুর ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ বেশি পাওয়া যায়। সেখানকার ডেঙ্গু রোগীর ৪৬ শতাংশই ডেন-৩ ধরনে আক্রান্ত। গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন। ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। ২০১৮ সালের পর ডেঙ্গুর ডেন-১ ধরনে মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি। ডেন-৩ ধরনের সংক্রমণ দেখা যায় ২০২১ সালে। আর ২০২২ সালে ডেন-৪ ধরনের প্রকোপ বেশি ছিল। তবে সে সময় ডেন-৩ ও ডেন-১ ধরনেও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ ডেন-৩ ধরনে আক্রান্ত। ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী ডেন-২ তে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ১৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন অন্য ধরন ডেন-২ ও ৩-এ। ৪৩টি নমুনা জিনোম পরীক্ষা করে এই তথ্য মিলেছে।’
আইইডিসিআর জানিয়েছে, বরগুনার সদর উপজেলায় এডিস মশার ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ গুণ বেশি। বরগুনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা আরও ভয়াবহ—ব্রুটো ইনডেক্স ১৫৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, উৎস বন্ধ না করলে শুধু চিকিৎসক বাড়িয়ে ডেঙ্গু ঠেকানো সম্ভব নয়।
ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। গবেষকেরা এমনই এক অভিনব উপায় খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে টেকসই উপায়ে এসব ওষুধ উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১ দিন আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯৪ জন সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হিসাব পাওয়া গেছে।
১ দিন আগেকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন।
২ দিন আগে