অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
রঙিন ফল আর সবজি খাবেন, তাহলে শরীরে বাড়বে প্রতিরোধশক্তি। তাই অন্যদিকে খরচ কমিয়ে এদিকে মন দিন। আজকাল মানুষের ভুঁড়ি হচ্ছে। এটি দেখতে যেমন বেখাপ্পা, তেমনি অস্বাস্থ্যকর। এই বেখাপ্পা ভুঁড়িকে খাপে আনতে রেইনবো ডায়েট বা রংধনু ডায়েটের জুড়ি মিলবে না।
রংধনু ডায়েট কী
এতে থাকবে বাহারি রঙের ফল আর সবজি। লাল, হলুদ, বেগুনি, সবুজ কিংবা কমলা রঙের এই ডায়েটে সীমিত করা যাবে চর্বি, শর্করা, গ্লুটেন—যেগুলো দেহযন্ত্রের ওপর ভার তৈরি করে বা ওজন বাড়ায়।
আমাদের জানা আছে, রোজ নিয়ম করে শাকসবজি ও ফল খেতে হবে সুস্বাস্থ্যের জন্য। যদিও বাজারে এসবের দাম লাগামছাড়া, তবু এসব খেতে হবে কেবল শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যের জন্য। এই ডায়েটের জন্য রংধনুর সব রংকে দিতে হবে প্রাধান্য। কিন্তু কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব রঙিন শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন আর খনিজের নানান গুণ। কারণ, আলাদা আলাদা রঙের ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ আলাদা। তাই এই ডায়েটের পুষ্টি হবে বিচিত্র।
কোন রঙের কী গুণ
বেগুনি-নীল-আকাশি: এমন রঙের সবজি ও ফল তেমন নেই। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেয়ে নিন জাম, বেগুন, বেগুনি বাঁধাকপি, কালো জাম ও ব্লুবেরি। ব্লুবেরি লিভারের জন্য ভালো। এটি খেলে বার্ধক্য আসে ধীরে।
সবুজ শাকসবজি: এই রঙের শাকসবজির প্রাচুর্য আছে। পালংশাক দারুণ ভালো শরীরের জন্য। আছে কলমিশাক, ধনেপাতা, লালশাক, কচুশাক, শাপলা, মটরশুঁটি, পটোল, ঝিঙে, বাঁধাকপি, পেঁপে, পেয়ারা, কুল ইত্যাদি। এগুলোতে আছে দারুণ ভিটামিন ও খনিজ। এই রঙের খাবার ভালো রাখবে দৃষ্টিশক্তি ও হৃৎপিণ্ড। তবে এগুলো বেশি রান্না না করে হালকা রান্না বা ভাপে সেদ্ধ করে খেতে হবে।
হলুদ: মোসাম্বি লেবু, ভুট্টা, আনারস, হলুদ বেল আছে এই রঙের খাবারে। হলুদ রঙের খাবার ক্যানসার তৈরিতে বাধা দেয়। এগুলোতে আছে ক্যারটিনয়েড, যা ত্বক ভালো রাখে। এই রঙের শাকসবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। এই রঙের কমলা পাবেন শীতকালে। আর সহজলভ্য সবজির মধ্যে আছে গাজর, মিষ্টিকুমড়া। এগুলো ভালো রাখে দৃষ্টিশক্তি আর ত্বক।
লাল: টমেটো, স্ট্রবেরি, মিষ্টি আলুর রং লাল। এগুলোতে আছে ভিটামিন সি। এই রঙের শাকে আছে প্রচুর আঁশ। খেলে পেট অনেক সময় ভরা থাকে। ফলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে। এতে ক্যালরি কম, তাই শরীর স্থূল হয় না এবং শরীরে চর্বি জমার শঙ্কা থাকে কম।
প্লেটের অর্ধেক ভরা রাখুন রঙিন শাকে। এতে শর্করা কম। বাকি অর্ধেকের অর্ধেক অংশে রাখুন সবজি আর বাকি অংশে আমিষ হিসেবে ডিম, কচি মাংস ও মাছ। এতে থাকবেন স্লিম আর পেটের মেদ যাবে ঝরে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রঙিন ফল আর সবজি খাবেন, তাহলে শরীরে বাড়বে প্রতিরোধশক্তি। তাই অন্যদিকে খরচ কমিয়ে এদিকে মন দিন। আজকাল মানুষের ভুঁড়ি হচ্ছে। এটি দেখতে যেমন বেখাপ্পা, তেমনি অস্বাস্থ্যকর। এই বেখাপ্পা ভুঁড়িকে খাপে আনতে রেইনবো ডায়েট বা রংধনু ডায়েটের জুড়ি মিলবে না।
রংধনু ডায়েট কী
এতে থাকবে বাহারি রঙের ফল আর সবজি। লাল, হলুদ, বেগুনি, সবুজ কিংবা কমলা রঙের এই ডায়েটে সীমিত করা যাবে চর্বি, শর্করা, গ্লুটেন—যেগুলো দেহযন্ত্রের ওপর ভার তৈরি করে বা ওজন বাড়ায়।
আমাদের জানা আছে, রোজ নিয়ম করে শাকসবজি ও ফল খেতে হবে সুস্বাস্থ্যের জন্য। যদিও বাজারে এসবের দাম লাগামছাড়া, তবু এসব খেতে হবে কেবল শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যের জন্য। এই ডায়েটের জন্য রংধনুর সব রংকে দিতে হবে প্রাধান্য। কিন্তু কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব রঙিন শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন আর খনিজের নানান গুণ। কারণ, আলাদা আলাদা রঙের ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ আলাদা। তাই এই ডায়েটের পুষ্টি হবে বিচিত্র।
কোন রঙের কী গুণ
বেগুনি-নীল-আকাশি: এমন রঙের সবজি ও ফল তেমন নেই। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেয়ে নিন জাম, বেগুন, বেগুনি বাঁধাকপি, কালো জাম ও ব্লুবেরি। ব্লুবেরি লিভারের জন্য ভালো। এটি খেলে বার্ধক্য আসে ধীরে।
সবুজ শাকসবজি: এই রঙের শাকসবজির প্রাচুর্য আছে। পালংশাক দারুণ ভালো শরীরের জন্য। আছে কলমিশাক, ধনেপাতা, লালশাক, কচুশাক, শাপলা, মটরশুঁটি, পটোল, ঝিঙে, বাঁধাকপি, পেঁপে, পেয়ারা, কুল ইত্যাদি। এগুলোতে আছে দারুণ ভিটামিন ও খনিজ। এই রঙের খাবার ভালো রাখবে দৃষ্টিশক্তি ও হৃৎপিণ্ড। তবে এগুলো বেশি রান্না না করে হালকা রান্না বা ভাপে সেদ্ধ করে খেতে হবে।
হলুদ: মোসাম্বি লেবু, ভুট্টা, আনারস, হলুদ বেল আছে এই রঙের খাবারে। হলুদ রঙের খাবার ক্যানসার তৈরিতে বাধা দেয়। এগুলোতে আছে ক্যারটিনয়েড, যা ত্বক ভালো রাখে। এই রঙের শাকসবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। এই রঙের কমলা পাবেন শীতকালে। আর সহজলভ্য সবজির মধ্যে আছে গাজর, মিষ্টিকুমড়া। এগুলো ভালো রাখে দৃষ্টিশক্তি আর ত্বক।
লাল: টমেটো, স্ট্রবেরি, মিষ্টি আলুর রং লাল। এগুলোতে আছে ভিটামিন সি। এই রঙের শাকে আছে প্রচুর আঁশ। খেলে পেট অনেক সময় ভরা থাকে। ফলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে। এতে ক্যালরি কম, তাই শরীর স্থূল হয় না এবং শরীরে চর্বি জমার শঙ্কা থাকে কম।
প্লেটের অর্ধেক ভরা রাখুন রঙিন শাকে। এতে শর্করা কম। বাকি অর্ধেকের অর্ধেক অংশে রাখুন সবজি আর বাকি অংশে আমিষ হিসেবে ডিম, কচি মাংস ও মাছ। এতে থাকবেন স্লিম আর পেটের মেদ যাবে ঝরে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১১ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১ দিন আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে