আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৩ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৩ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
১৫ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৩ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে