আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় শহরে কম দেখা যায় এডিএইচডি। এই মানসিক সমস্যা আবার স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, এডিএইচডি থাকলে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়ায়।
বড় শহরগুলোতে এসব সমস্যা কম হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অথবা শিক্ষা ও সচেতনতা। তবে গবেষকেরা এসব ব্যাখ্যাকে আপাতত অনুমান হিসেবেই দেখছেন।
বিশ্বজুড়েই স্থূলতা এখন একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থূলতার পেছনে খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক গঠন এবং পরিবেশের মতো নানা কারণ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, ইম্পালসিভিটি বা impulsivity (ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগ দিয়ে কাজ করা)–স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে কাজ করে।
যদিও কিছু পরিস্থিতিতে ইম্পালসিভিটি উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ইম্পালসিভিটি খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ইম্পালসিভিটির একটি ক্লিনিক্যাল রূপ হলো—এডিএইচডি। ইতিপূর্বে ডাচ্ ও কোরিয়ান শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায়ও স্থূলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ গবেষণায় শহরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে ‘অবিসোজেনিক ইনভায়রনমেন্ট’-এর (যেসব পরিবেশ স্থূলতাকে উৎসাহিত করে) প্রভাবকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরে স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বেশি থাকায় এসব সমস্যার প্রকোপ কম থাকে।
গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের ‘কারণ নির্ধারণ পদ্ধতি’ (causal inference method) ব্যবহার করে এডিএইচডি ও শহরের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা শহরভিত্তিক এবং ব্যক্তিভিত্তিক—দুই ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি মাইক্রো ও মেট্রোপলিটন এলাকার ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। বিবেচনায় নেওয়া হয়—শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, কলেজ শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার তথ্য।
গবেষণায় ১৯ হাজারেরও বেশি ১০–১৭ বছর বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—বিএমআই, সাপ্তাহিক শারীরিক কার্যকলাপ, এডিএইডির তীব্রতা, পরিবারে খাদ্যসংকট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবহার এবং অভিভাবকের শিক্ষা।
শহরভিত্তিক ডেটা ‘log’ রূপে রূপান্তর করে পরিসংখ্যানের ওএলএস (অর্ডিনারি লিস্ট স্কোয়ারস) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এবং ‘পিটার-ক্লার্ক’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ‘জিনি’ সূচক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সামাজিক-স্বাস্থ্যগত বৈষম্যও পরিমাপ করা হয়।
গবেষণার শহরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড় শহরগুলোতে শিশুদের এডিএইচডি, প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ, শহরের আকার যত বড়, এসব সমস্যা তত কম পরিমাণে দেখা দেয়। অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং কলেজ শিক্ষার হার বড় শহরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণা আরও দেখায় যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শহরের আকারভেদে খুব একটা পরিবর্তন করে না; এটি মোটামুটি সমানভাবে সবখানে বিস্তৃত। তবে ছোট শহরগুলোতে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি, যা স্থূলতার একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব শিশুর এডিএইচডি রয়েছে, তাদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের হার তুলনামূলকভাবে কম এবং বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি। এটি ইঙ্গিত করে যে এডিএইচডি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিভাবকের উচ্চশিক্ষা। যদিও এই শিক্ষাগত সুবিধা থাকা পরিবারের শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ কিছুটা কম হতে দেখা গেছে, তবুও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা একটি সুরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিএইচডি শিশুদের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, যার পরিণতিতে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। তবে শহরের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার হার ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ে, যা এডিএইচডি এবং স্থূলতা—দুই সমস্যারই নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, বড় শহরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম কিছু মৌলিক অনুমানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া, গবেষণাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ফলাফলকে সাধারণীকরণ করাও কিছুটা সীমিত।
গবেষণা বলছে, বড় শহরের সুবিধা শুধু অর্থনৈতিক নয়—স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা এবং শিক্ষার সুযোগও এখানে বেশি। এডিএইডি ও স্থূলতার মতো জটিল সমস্যাগুলোর পেছনে আছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শিক্ষাগত ও মানসিক সহায়তার ভূমিকা। ফলে, ছোট ও অনুন্নত শহরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটিয়ে স্থূলতা এবং এডিএইচডির মতো সমস্যা কমানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: নিউজ মেডিকেল লাইফ সায়েন্সেস

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৬ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেআইসিডিডিআরবির গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৬ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৮ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

বড় শহরগুলোতে মানুষের মধ্যে স্থূলতা ও মানসিক অস্থিরতা—বিশেষ করে এডিএইচডির হার তুলনামূলক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১৫টি শহরের তথ্য নিয়ে পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, বড় শহরগুলোতে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ ও সক্রিয় জীবনধারা এ পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
১৯ মে ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৬ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে