ফিচার ডেস্ক
ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং জনপ্রিয় পদ্ধতি। এর অনেক ধরনের একটি হলো ১৬/৮ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে কাটাতে হয়। বাকি ৮ ঘণ্টাকে পাঁচ বেলায় ভাগ করে নিয়ে অর্থাৎ ২ ঘণ্টা পরপর প্রতিবেলায় সর্বনিম্ন ক্যালরির খাবার খেতে হয়।
যেকোনো ডায়েটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পানি। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এই ফাস্টিং শুরু করলে পরিষ্কার পানির পাশাপাশি পান করা যেতে পারে স্পার্কিং ওয়াটার। এটি কার্বনেটেড হলেও এতে কোনো ক্যালরি নেই। এগুলো ছাড়া আরও ছয় ধরনের পানীয় পান করা যেতে পারে নেই ফাস্টিং করার সময়।
লেবু পানি
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জন্য লেবু পানি বেশ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। এটি হজমে সহায়তা করে, মূত্রবর্ধক হিসেবে কিছুটা কাজ করে। এটি শরীর সতেজ রাখে এবং টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওজন কমানোর জন্য লেবু পানি খেলে তা ক্ষুধা এবং ক্যালরির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এতে চিনি বা মিষ্টি ব্যবহার করা যাবে না।
ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। ‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এটি চর্বি ভাঙতে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। এটি বিপাক এবং চর্বি অক্সিডেশন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জন্য উপকারী। চিনি, ক্রিম বা দুধ না যোগ করে ব্ল্যাক কফি পান করতে হবে। কারণ, এই উপাদানগুলো ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
গ্রিন টি
ব্ল্যাক কফির মতো গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকে। তবে এর পরিমাণ কম। ‘কোচরান ডেটাবেইস অব সিস্টেমিক রিভিউজ’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ক্যাটেচিন নামে পরিচিত। এটি এপিগালোক্যাচিন গ্যালেটসমৃদ্ধ, যা বিপাক, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং চর্বি কমানোতে সহায়তা করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করা প্রদাহ কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। তবে প্রতিদিন ৪ কাপের কম গ্রিন টি পান করতে হবে।
ভেষজ চা
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময় ভেষজ চা পান করা যায়। হিবিস্কাস বা গোলাপ চা, পুদিনা কিংবা আদা দিয়ে তৈরি ভেষজ চা প্রাকৃতিকভাবে ক্যালরিমুক্ত। এগুলোতে ক্যাফেইন থাকে না। এগুলো ওজন এবং চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এগুলো বদহজম এবং বমি ভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া ঘুমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে থাকে ভেষজ চা।
আপেল সিডার ভিনেগার
হজম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকে এটি খেয়ে থাকে। ২০১৮ সালে ৩৯ জন মানুষের অংশগ্রহণে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছিল ‘জার্নাল অব ফাংশনাল ফুডস’। অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ২ টেবিল চামচ করে আপেল সিডার ভিনেগার খেয়েছেন। এতে তাঁদের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ওজন এবং চর্বি কমেছিল। তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে এক গ্লাস পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে এটি পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মৌরি ও জিরার পানি
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সময় পরিমিত পরিমাণে মৌরি এবং জিরার পানি পান করা যেতে পারে। এগুলো হজম ও বিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে। ‘মেনোপজাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলে হয়েছে, মৌরি বীজে প্রদাহরোধী এবং ক্ষুধা দমনকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের ফোলা ভাব এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে জিরার বীজ হজমশক্তি বাড়াতে পারে এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং জনপ্রিয় পদ্ধতি। এর অনেক ধরনের একটি হলো ১৬/৮ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে কাটাতে হয়। বাকি ৮ ঘণ্টাকে পাঁচ বেলায় ভাগ করে নিয়ে অর্থাৎ ২ ঘণ্টা পরপর প্রতিবেলায় সর্বনিম্ন ক্যালরির খাবার খেতে হয়।
যেকোনো ডায়েটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পানি। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এই ফাস্টিং শুরু করলে পরিষ্কার পানির পাশাপাশি পান করা যেতে পারে স্পার্কিং ওয়াটার। এটি কার্বনেটেড হলেও এতে কোনো ক্যালরি নেই। এগুলো ছাড়া আরও ছয় ধরনের পানীয় পান করা যেতে পারে নেই ফাস্টিং করার সময়।
লেবু পানি
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জন্য লেবু পানি বেশ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। এটি হজমে সহায়তা করে, মূত্রবর্ধক হিসেবে কিছুটা কাজ করে। এটি শরীর সতেজ রাখে এবং টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওজন কমানোর জন্য লেবু পানি খেলে তা ক্ষুধা এবং ক্যালরির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এতে চিনি বা মিষ্টি ব্যবহার করা যাবে না।
ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। ‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এটি চর্বি ভাঙতে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। এটি বিপাক এবং চর্বি অক্সিডেশন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের জন্য উপকারী। চিনি, ক্রিম বা দুধ না যোগ করে ব্ল্যাক কফি পান করতে হবে। কারণ, এই উপাদানগুলো ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
গ্রিন টি
ব্ল্যাক কফির মতো গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকে। তবে এর পরিমাণ কম। ‘কোচরান ডেটাবেইস অব সিস্টেমিক রিভিউজ’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ক্যাটেচিন নামে পরিচিত। এটি এপিগালোক্যাচিন গ্যালেটসমৃদ্ধ, যা বিপাক, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং চর্বি কমানোতে সহায়তা করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করা প্রদাহ কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। তবে প্রতিদিন ৪ কাপের কম গ্রিন টি পান করতে হবে।
ভেষজ চা
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময় ভেষজ চা পান করা যায়। হিবিস্কাস বা গোলাপ চা, পুদিনা কিংবা আদা দিয়ে তৈরি ভেষজ চা প্রাকৃতিকভাবে ক্যালরিমুক্ত। এগুলোতে ক্যাফেইন থাকে না। এগুলো ওজন এবং চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এগুলো বদহজম এবং বমি ভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া ঘুমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে থাকে ভেষজ চা।
আপেল সিডার ভিনেগার
হজম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকে এটি খেয়ে থাকে। ২০১৮ সালে ৩৯ জন মানুষের অংশগ্রহণে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছিল ‘জার্নাল অব ফাংশনাল ফুডস’। অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ২ টেবিল চামচ করে আপেল সিডার ভিনেগার খেয়েছেন। এতে তাঁদের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ওজন এবং চর্বি কমেছিল। তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে এক গ্লাস পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে এটি পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মৌরি ও জিরার পানি
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সময় পরিমিত পরিমাণে মৌরি এবং জিরার পানি পান করা যেতে পারে। এগুলো হজম ও বিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে। ‘মেনোপজাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলে হয়েছে, মৌরি বীজে প্রদাহরোধী এবং ক্ষুধা দমনকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের ফোলা ভাব এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে জিরার বীজ হজমশক্তি বাড়াতে পারে এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১৭ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২ দিন আগে