অনলাইন ডেস্ক
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি নীরব ঘাতক, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রধান ঝুঁকির কারণ। দীর্ঘ সময় ধরে রক্তনালির ওপর রক্তের চাপ বেশি থাকলে রক্তনালির গঠন পরিবর্তন হয়, যাকে বলে ভাসকুলার রিমডেলিং। এতে রক্তনালিগুলো কঠিন ও সরু হয়ে যায়, ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
তবে সম্প্রতি মিশিগান মেডিসিনের গবেষকেরা উচ্চ রক্তচাপের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনগত কারণ শনাক্ত করেছেন, যা ভবিষ্যতে এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসার পথ দেখাতে পারে।
দ্য জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ প্রোটিন জেএমজেডি-৩ (JMJD3) এবং এটি কীভাবে শরীরের একটি পরিচিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করে, তা বিশ্লেষণ করেছেন।
জেএমজেডি-৩ হলো একটি এনজাইম, যা জিনের অন–অফ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ, কিছু জিন (ডিএনএর অংশ) কখন কাজ করবে আর কখন কাজ করবে না, সেটা ঠিক করে দেয়।
জেনেটিক গবেষণায় জেএমজেডি-৩-এর সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক দেখতে পারেন গবেষকেরা। রক্তনালির মসৃণ পেশিতে থাকা দুই ধরনের এন্ডোথেলিন রিসেপ্টরকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরাসরি রক্তনালির আচরণকে প্রভাবিত করে জেএমজেডি-৩।
এই রিসেপ্টরগুলো নির্ধারণ করে রক্তনালি সংকুচিত হবে নাকি প্রশস্ত। যখন ইঁদুরের শরীরে জেএমজেডি-৩-এর পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়, তখন দেখা যায় রিসেপ্টরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। রক্তনালি প্রশস্তকারী ‘রিল্যাক্সিং’ রিসেপ্টরের (এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘বি’) পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তনালি সংকোচনকারী ‘টাইটেনিং’ রিসেপ্টরের (এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘এ’) পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তনালি অতিরিক্ত সংকুচিত হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয় রক্তনালির।
এই প্রক্রিয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সাধারণ জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে, যার নাম আরএস ৬২০৫৯৭১২ (rs 62059712)। গবেষকদের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে এই জিনের ‘টি’ সংস্করণ রয়েছে, যা শরীরে জেএমজেডি-৩ প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
তবে আশার কথা হলো, একই গবেষণায় দেখা যায়, জেএমজেডি-৩ কম থাকলেও একটি ওষুধ দিয়ে ইঁদুরের রক্তচাপ কমিয়ে আনা যায়। বিকিউ-১২৩ নামের এই ওষুধ এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘এ’কে ব্লক করে, যা রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমায়। ফলে যাঁদের ‘আরএস ৬২০৫৯৭১২’ জিন আছে, তাঁদের জন্য এই ওষুধ উপকারী হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. ক্যাথরিন গ্যালাঘার বলেন, ‘আমরা এখন এমন থেরাপি ডিজাইন করতে পারি, যা একেকজন মানুষের জিনগত প্রোফাইল অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।’
গবেষকেরা মনে করেন, জেএমজেডি-৩ ও তার প্রভাব নিয়ে এই পদ্ধতিতে গবেষণা করলে হৃদ্রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টও বোঝা যাবে। ভবিষ্যতে ডিএনএ অনুযায়ী রোগীর জন্য চিকিৎসা নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি নীরব ঘাতক, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রধান ঝুঁকির কারণ। দীর্ঘ সময় ধরে রক্তনালির ওপর রক্তের চাপ বেশি থাকলে রক্তনালির গঠন পরিবর্তন হয়, যাকে বলে ভাসকুলার রিমডেলিং। এতে রক্তনালিগুলো কঠিন ও সরু হয়ে যায়, ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
তবে সম্প্রতি মিশিগান মেডিসিনের গবেষকেরা উচ্চ রক্তচাপের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনগত কারণ শনাক্ত করেছেন, যা ভবিষ্যতে এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসার পথ দেখাতে পারে।
দ্য জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ প্রোটিন জেএমজেডি-৩ (JMJD3) এবং এটি কীভাবে শরীরের একটি পরিচিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করে, তা বিশ্লেষণ করেছেন।
জেএমজেডি-৩ হলো একটি এনজাইম, যা জিনের অন–অফ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ, কিছু জিন (ডিএনএর অংশ) কখন কাজ করবে আর কখন কাজ করবে না, সেটা ঠিক করে দেয়।
জেনেটিক গবেষণায় জেএমজেডি-৩-এর সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক দেখতে পারেন গবেষকেরা। রক্তনালির মসৃণ পেশিতে থাকা দুই ধরনের এন্ডোথেলিন রিসেপ্টরকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরাসরি রক্তনালির আচরণকে প্রভাবিত করে জেএমজেডি-৩।
এই রিসেপ্টরগুলো নির্ধারণ করে রক্তনালি সংকুচিত হবে নাকি প্রশস্ত। যখন ইঁদুরের শরীরে জেএমজেডি-৩-এর পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়, তখন দেখা যায় রিসেপ্টরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। রক্তনালি প্রশস্তকারী ‘রিল্যাক্সিং’ রিসেপ্টরের (এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘বি’) পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তনালি সংকোচনকারী ‘টাইটেনিং’ রিসেপ্টরের (এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘এ’) পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তনালি অতিরিক্ত সংকুচিত হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয় রক্তনালির।
এই প্রক্রিয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সাধারণ জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে, যার নাম আরএস ৬২০৫৯৭১২ (rs 62059712)। গবেষকদের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে এই জিনের ‘টি’ সংস্করণ রয়েছে, যা শরীরে জেএমজেডি-৩ প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
তবে আশার কথা হলো, একই গবেষণায় দেখা যায়, জেএমজেডি-৩ কম থাকলেও একটি ওষুধ দিয়ে ইঁদুরের রক্তচাপ কমিয়ে আনা যায়। বিকিউ-১২৩ নামের এই ওষুধ এন্ডোথেলিন রিসেপ্টর ‘এ’কে ব্লক করে, যা রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমায়। ফলে যাঁদের ‘আরএস ৬২০৫৯৭১২’ জিন আছে, তাঁদের জন্য এই ওষুধ উপকারী হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. ক্যাথরিন গ্যালাঘার বলেন, ‘আমরা এখন এমন থেরাপি ডিজাইন করতে পারি, যা একেকজন মানুষের জিনগত প্রোফাইল অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।’
গবেষকেরা মনে করেন, জেএমজেডি-৩ ও তার প্রভাব নিয়ে এই পদ্ধতিতে গবেষণা করলে হৃদ্রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টও বোঝা যাবে। ভবিষ্যতে ডিএনএ অনুযায়ী রোগীর জন্য চিকিৎসা নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি তাদের ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বা ভিইউএম তালিকায় এনবি ১.৮.১ যুক্ত করেছে। এটি মূলত ওমিক্রন উপধরন, যা ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এনবি ১.৮.১ বেশ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির...
১৭ ঘণ্টা আগেদেখা দিয়েছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই সময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারই পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে।
১৭ ঘণ্টা আগে