লিনা আক্তার
চলছে রোজা। এ সময় অনেকে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। একটু সচেতন হলে এ সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
নরম বা ভেজানো খাবার
যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা তো বটেই, এ সময় সবারই নরম খাবার খাওয়া দরকার। এ ধরনের খাবার হজমে সহায়তা করে পাকস্থলী সুস্থ রাখবে। যেমন নরম খিচুড়ি, স্যুপ, দই-চিড়া-কলা, দুধ-চিড়া, সাগু, কম চিনি দিয়ে সুজি, সেমাই, পায়েস, ফিরনি, ফলের স্মুদি, ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি।
খুব ঘন খাবার নয়
খুব বেশি ঘন শরবত পান করবেন না। খুব বেশি জ্বাল দিয়ে ঘন করে কোনো খাবার বানাবেন না। যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাঁরা টকজাতীয় শরবত প্রথমে না খেয়ে শুধু পানি বা পানির সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি, তোকমাদানা ১ চা-চামচ ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এ সময় ফলের শরবত খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
আঁশজাতীয় খাবার
রোজায় বেশি খাবারের আইটেম থাকায় অনেকেই শাকসবজি কম খান কিংবা খান না। তাতে শরীরে পর্যাপ্ত আঁশের ঘাটতি দেখা দেয়। বড়া, চপ, বেগুনি বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে কম তেলে ঘরেই তৈরি করুন। এ ছাড়া প্রতিদিনের খাবারে কিছু শাকসবজি ও সালাদ রাখুন, তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকবে না। ছোলায় অতিরিক্ত তেল, মসলা ব্যবহার না করে ছোলা সেদ্ধ করে শসা, আপেল, গাজর, টমেটো, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে সামান্য মরিচ ও তেল মেখে সালাদ তৈরি করে খান। এতে হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি
হবে না। এ ছাড়া খাবারে পর্যাপ্ত সালাদ রাখুন।
ডালের তৈরি খাবার
পিয়াজি, হালিম, চটপটি, বেসনে বানানো খাবার ইত্যাদি মূলত ডালে তৈরি। এ খাবারগুলো এক দিনে সব না খেয়ে একেক দিন একেকটি খান।
পর্যাপ্ত পানি
ইফতারে ২ গ্লাস, রাত থেকে সাহ্রির মধ্যে ৪ গ্লাস ও সাহ্রিতে ২ গ্লাস মোট ৮ গ্লাস পানি পান করুন। না হলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া পানিশূন্যতা রোধে ইফতারে খেতে পারেন রসাল মৌসুমি ফল, ডাবের পানি, বিভিন্ন ফলের জুস।
খাবারের পরিমাণ
যাঁদের গ্যাস্ট্রিক বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, তাঁরা অবশ্যই একবারে অনেক খাবার খাবেন না। অল্প করে বারবার ভালো করে চিবিয়ে খান। এতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
তেল-মসলা কম
রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল, ঝাল, মসলা ব্যবহার করুন। প্রতিবার খাওয়া শেষে একটুখানি আদা চিবোতে পারেন। প্রতিবার খাদ্যতালিকায় রাখুন টমেটো, গাজর, পেঁপে, শসা, বেরিজাতীয় খাবার এবং প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার দই।
লেখক: পুষ্টিবিদ ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল
চলছে রোজা। এ সময় অনেকে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। একটু সচেতন হলে এ সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
নরম বা ভেজানো খাবার
যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা তো বটেই, এ সময় সবারই নরম খাবার খাওয়া দরকার। এ ধরনের খাবার হজমে সহায়তা করে পাকস্থলী সুস্থ রাখবে। যেমন নরম খিচুড়ি, স্যুপ, দই-চিড়া-কলা, দুধ-চিড়া, সাগু, কম চিনি দিয়ে সুজি, সেমাই, পায়েস, ফিরনি, ফলের স্মুদি, ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি।
খুব ঘন খাবার নয়
খুব বেশি ঘন শরবত পান করবেন না। খুব বেশি জ্বাল দিয়ে ঘন করে কোনো খাবার বানাবেন না। যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাঁরা টকজাতীয় শরবত প্রথমে না খেয়ে শুধু পানি বা পানির সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি, তোকমাদানা ১ চা-চামচ ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এ সময় ফলের শরবত খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
আঁশজাতীয় খাবার
রোজায় বেশি খাবারের আইটেম থাকায় অনেকেই শাকসবজি কম খান কিংবা খান না। তাতে শরীরে পর্যাপ্ত আঁশের ঘাটতি দেখা দেয়। বড়া, চপ, বেগুনি বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে কম তেলে ঘরেই তৈরি করুন। এ ছাড়া প্রতিদিনের খাবারে কিছু শাকসবজি ও সালাদ রাখুন, তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকবে না। ছোলায় অতিরিক্ত তেল, মসলা ব্যবহার না করে ছোলা সেদ্ধ করে শসা, আপেল, গাজর, টমেটো, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে সামান্য মরিচ ও তেল মেখে সালাদ তৈরি করে খান। এতে হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি
হবে না। এ ছাড়া খাবারে পর্যাপ্ত সালাদ রাখুন।
ডালের তৈরি খাবার
পিয়াজি, হালিম, চটপটি, বেসনে বানানো খাবার ইত্যাদি মূলত ডালে তৈরি। এ খাবারগুলো এক দিনে সব না খেয়ে একেক দিন একেকটি খান।
পর্যাপ্ত পানি
ইফতারে ২ গ্লাস, রাত থেকে সাহ্রির মধ্যে ৪ গ্লাস ও সাহ্রিতে ২ গ্লাস মোট ৮ গ্লাস পানি পান করুন। না হলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া পানিশূন্যতা রোধে ইফতারে খেতে পারেন রসাল মৌসুমি ফল, ডাবের পানি, বিভিন্ন ফলের জুস।
খাবারের পরিমাণ
যাঁদের গ্যাস্ট্রিক বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, তাঁরা অবশ্যই একবারে অনেক খাবার খাবেন না। অল্প করে বারবার ভালো করে চিবিয়ে খান। এতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
তেল-মসলা কম
রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল, ঝাল, মসলা ব্যবহার করুন। প্রতিবার খাওয়া শেষে একটুখানি আদা চিবোতে পারেন। প্রতিবার খাদ্যতালিকায় রাখুন টমেটো, গাজর, পেঁপে, শসা, বেরিজাতীয় খাবার এবং প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার দই।
লেখক: পুষ্টিবিদ ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল
গর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত
২ দিন আগেডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইড। তবে এই ওষুধটির ভিন্ন ব্যবহারও আবিষ্কার করেছেন একদল আন্তর্জাতিক গবেষক। তাঁরা বলেছে, যারা লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্যও এই ওষুধটি বেশ কার্যকর হতে পারে।
২ দিন আগে‘ডিজিটাল অন্তরঙ্গতা বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে। তাই শিশুরা যখন গেম খেলে অথবা জীবনসঙ্গীরা যখন গেমে মগ্ন হয়, তারা প্রকৃত ঘনিষ্ঠতার প্রতি আগ্রহ হারায়। শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সংযুক্তির প্রয়োজন মেটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা তাদের ও মা-বাবার মধ্যকার...
২ দিন আগেকখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দে অসহ্য যন্ত্রণা; এসবের কারণে কাজের জায়গা তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। এসবই মাইগ্রেন নামের এক নীরব শত্রুর কাজ। অনেকে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর মাইগ্রেনকে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা নিলে...
২ দিন আগে