ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
চুল পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা। তবে কিছু কারণ আজকাল চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে সহায়ক ও ফলপ্রসূ।
কারণগুলো হলো
* অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের প্রভাব। এতে নারীদের চুল পড়ে ও পুরুষের টাক হয় বলে মনে করা হয়। যাদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি, তাদেরই বেশি করে চুল পড়ে।
নারীর মেনোপজের সময় ও পরে এ হরমোনের হারে বেড়ে যায়।
* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাক।
* দুশ্চিন্তা বা মানসিক সমস্যায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে।
* কেমোথেরাপি দেওয়ার দুই-তিন সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু করে।
* টাইট করে খোঁপা বা ব্যান্ড করলেও চুল পড়ে যেতে পারে।
* চুল রঙিন করার প্রসাধন বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে, চুল সোজা করা বা ক্রমাগত রিবন্ডিং করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে।
* অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কিছু অসুখে চুল পড়ে যেতে পারে।
* শরীরে বড় কোনো অপারেশনের পর বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন অথবা মানসিক উদ্বেগের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
* বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে।
চুল পড়ে যাচ্ছে বুঝবেন যেভাবে
একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ বা তার কিছু বেশি চুল পড়া স্বাভাবিক। এর বেশি পড়লে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুণেও কিছুটা অনুমান করা যায় চুল অতিরিক্ত পড়ছে কিনা। আরও নিশ্চিত হতে অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুল উঠে আসে, তবে মনে করবেন চুল অতিরিক্ত পড়ে যাচ্ছে।
নিজেই করুন প্রাথমিক প্রতিরোধ
* চুল খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
* মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান।
* চুলে কলপ, কৃত্রিম রং এসব এড়িয়ে চলুন।
* জোর করে বা চুলে চাপ দিয়ে কোঁকড়া চুল সোজা করবেন না, চুলে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করাই ভালো।
* চুল শুকিয়ে আস্তে আস্তে আঁচড়াবেন এবং ভেজা চুল বেশি আঁচড়াবেন না।
* চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
চিকিৎসা
চুল পড়া রোগীদের টেনশন দূর করতে এবং নতুন চুল গজাতে বেশ কিছু কার্যকরী চিকিৎসা আছে। প্রথমে চুল পড়া ব্যক্তির চুলের অবস্থা দেখে এবং ট্রাইকোস্ক্যান করে চুলের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করা হয়। গুরুতর সমস্যা না থাকলে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ ও পথ্য দেওয়া হয়। সমস্যা গুরুতর হলে কিছু চিকিৎসা, থেরাপি ও চুল প্রতিস্থাপন পদ্ধতির দ্বারস্থ হতে হয়।
স্থায়ী পদ্ধতি
টাক মাথার ব্যক্তিদের যদি পেছনে যথেষ্ট চুল থাকলে সেখান থেকে চুল তুলে এনে প্রতিস্থাপন করা হয়। যাকে বলা হয় স্থায়ী পদ্ধতি। শরীরের অন্য জায়গা থেকেও চুল তুলে এনে প্রতিস্থাপন করা যায়।
এ ধরনের চিকিৎসা এখন দেশে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে করা সম্ভব।
এ ছাড়া চুলের সমস্যা হলে ও নতুন চুল গজাতে বর্তমানে পিআরপি থেরাপি খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি। এগুলো ছাড়াও কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে চুল পড়া রোধের চিকিৎসায়।
লেখক: হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন এবং সাবেক সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা
চুল পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা। তবে কিছু কারণ আজকাল চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে সহায়ক ও ফলপ্রসূ।
কারণগুলো হলো
* অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের প্রভাব। এতে নারীদের চুল পড়ে ও পুরুষের টাক হয় বলে মনে করা হয়। যাদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি, তাদেরই বেশি করে চুল পড়ে।
নারীর মেনোপজের সময় ও পরে এ হরমোনের হারে বেড়ে যায়।
* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাক।
* দুশ্চিন্তা বা মানসিক সমস্যায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে।
* কেমোথেরাপি দেওয়ার দুই-তিন সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু করে।
* টাইট করে খোঁপা বা ব্যান্ড করলেও চুল পড়ে যেতে পারে।
* চুল রঙিন করার প্রসাধন বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে, চুল সোজা করা বা ক্রমাগত রিবন্ডিং করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে।
* অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কিছু অসুখে চুল পড়ে যেতে পারে।
* শরীরে বড় কোনো অপারেশনের পর বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন অথবা মানসিক উদ্বেগের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
* বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে।
চুল পড়ে যাচ্ছে বুঝবেন যেভাবে
একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ বা তার কিছু বেশি চুল পড়া স্বাভাবিক। এর বেশি পড়লে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুণেও কিছুটা অনুমান করা যায় চুল অতিরিক্ত পড়ছে কিনা। আরও নিশ্চিত হতে অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুল উঠে আসে, তবে মনে করবেন চুল অতিরিক্ত পড়ে যাচ্ছে।
নিজেই করুন প্রাথমিক প্রতিরোধ
* চুল খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
* মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান।
* চুলে কলপ, কৃত্রিম রং এসব এড়িয়ে চলুন।
* জোর করে বা চুলে চাপ দিয়ে কোঁকড়া চুল সোজা করবেন না, চুলে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করাই ভালো।
* চুল শুকিয়ে আস্তে আস্তে আঁচড়াবেন এবং ভেজা চুল বেশি আঁচড়াবেন না।
* চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
চিকিৎসা
চুল পড়া রোগীদের টেনশন দূর করতে এবং নতুন চুল গজাতে বেশ কিছু কার্যকরী চিকিৎসা আছে। প্রথমে চুল পড়া ব্যক্তির চুলের অবস্থা দেখে এবং ট্রাইকোস্ক্যান করে চুলের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করা হয়। গুরুতর সমস্যা না থাকলে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ ও পথ্য দেওয়া হয়। সমস্যা গুরুতর হলে কিছু চিকিৎসা, থেরাপি ও চুল প্রতিস্থাপন পদ্ধতির দ্বারস্থ হতে হয়।
স্থায়ী পদ্ধতি
টাক মাথার ব্যক্তিদের যদি পেছনে যথেষ্ট চুল থাকলে সেখান থেকে চুল তুলে এনে প্রতিস্থাপন করা হয়। যাকে বলা হয় স্থায়ী পদ্ধতি। শরীরের অন্য জায়গা থেকেও চুল তুলে এনে প্রতিস্থাপন করা যায়।
এ ধরনের চিকিৎসা এখন দেশে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে করা সম্ভব।
এ ছাড়া চুলের সমস্যা হলে ও নতুন চুল গজাতে বর্তমানে পিআরপি থেরাপি খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি। এগুলো ছাড়াও কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে চুল পড়া রোধের চিকিৎসায়।
লেখক: হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন এবং সাবেক সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা
সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
৭ ঘণ্টা আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৪ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
২ দিন আগে