ফিচার ডেস্ক
কিডনিতে পাথর এখন খুব সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী বা পুরুষ যে কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। দেরিতে ধরা পড়লে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তবে কিডনিতে পাথর কেন হয়, এর লক্ষণ কি কি এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় জানা থাকলে এই স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে নিজে মুক্ত রাখা সম্ভব। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকানোর নিশ্চয়তা দেওয়া না গেলেও ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর পানাহার ও জীবনযাপন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাবে। পাথর হলে যেমন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দরকার হয়। তেমনি ক্ষেত্রবিশেষে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিডনির পাথর দূর করা সম্ভব। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি পাথর আসলে কী?
কিডনির ভেতরে মিনারেল বা খনিজ উপাদান জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি হয়। একে কিডনির পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের জমে এই রোগের উৎপত্তি হয়।
লক্ষণ
# বমি বমি ভাব বা কখনও কখনও বমি হওয়া।
# তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া।
# প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া।
# কালচে লাল, লাল কিংবা বাদামি রঙের প্রস্রাব হওয়া।
প্রতিরোধের উপায়
# প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লিটার প্রস্রাব হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়। এজন্য প্রতিদিন প্রায় ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
# রক্ত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে পাথর প্রতিরোধকারী ওষুধ সেবন করা যায়।
# কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে বাধা দেয়। ২৫০ এমএল গরম পানিতে অর্ধেক চা চামচ শুকনো কালিজিরা বীজ মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।
# সোডিয়াম প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়, তাতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দিনে ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়।
# খোলসযুক্ত মাছ যেমন চিংড়ি, ঝিনুক সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাংস, ডিম এবং সামুদ্রিক খাবারেও পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এমন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
প্রতিকারে যা করবেন
# খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো পানি পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
# লেবু এটি নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা দেয় এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। প্রতিদিন সকালে পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন।
# আপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর দূর করে এবং ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পান করুন। তবে একদিনে ১৬ চামচের বেশি খাবেন না।
সূত্র: হার্ভার্ড হেলথ
কিডনিতে পাথর এখন খুব সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী বা পুরুষ যে কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। দেরিতে ধরা পড়লে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তবে কিডনিতে পাথর কেন হয়, এর লক্ষণ কি কি এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় জানা থাকলে এই স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে নিজে মুক্ত রাখা সম্ভব। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকানোর নিশ্চয়তা দেওয়া না গেলেও ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর পানাহার ও জীবনযাপন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাবে। পাথর হলে যেমন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দরকার হয়। তেমনি ক্ষেত্রবিশেষে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিডনির পাথর দূর করা সম্ভব। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি পাথর আসলে কী?
কিডনির ভেতরে মিনারেল বা খনিজ উপাদান জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি হয়। একে কিডনির পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের জমে এই রোগের উৎপত্তি হয়।
লক্ষণ
# বমি বমি ভাব বা কখনও কখনও বমি হওয়া।
# তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া।
# প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া।
# কালচে লাল, লাল কিংবা বাদামি রঙের প্রস্রাব হওয়া।
প্রতিরোধের উপায়
# প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লিটার প্রস্রাব হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়। এজন্য প্রতিদিন প্রায় ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
# রক্ত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে পাথর প্রতিরোধকারী ওষুধ সেবন করা যায়।
# কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে বাধা দেয়। ২৫০ এমএল গরম পানিতে অর্ধেক চা চামচ শুকনো কালিজিরা বীজ মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।
# সোডিয়াম প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়, তাতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দিনে ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়।
# খোলসযুক্ত মাছ যেমন চিংড়ি, ঝিনুক সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাংস, ডিম এবং সামুদ্রিক খাবারেও পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এমন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
প্রতিকারে যা করবেন
# খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো পানি পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
# লেবু এটি নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা দেয় এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। প্রতিদিন সকালে পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন।
# আপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর দূর করে এবং ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পান করুন। তবে একদিনে ১৬ চামচের বেশি খাবেন না।
সূত্র: হার্ভার্ড হেলথ
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১০ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে