
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
‘এমআরএনএ’ বা মেসেঞ্জার আরএনএ–কে এককথায় বলা যায় বার্তাবাহী রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। কোষে প্রোটিন তৈরির বার্তা বহন করে বলেই এ নাম দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী নেচার বলছে, মানবদেহে কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে এই এমআরএনএ একজন বার্তাবাহকের মতোই কাজ করে।
মানুষের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে ডিএনএ অনুসরণ করে তৈরি হয় আরএনএ বা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। সেখান থেকে ট্রান্সলেশন নামক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় প্রোটিন। মূলত এসব প্রোটিনই জীবাণু বা ভাইরাসের কার্যক্রম রুখে দেয়। আর এসব প্রোটিনকে কার্যকর হিসেবে গড়ে তোলে মেসেঞ্জার রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড বা এমআরএনএ। এটি নিউক্লিয়াসে থাকা ডিএনএর কোডগুলো বহন করে প্রথমে সাইটোপ্লাজমে নিয়ে যায়। এরপর কোড অনুযায়ী একের পর এক অ্যামাইনো অ্যাসিড বসিয়ে তৈরি করে প্রোটিন। অনেকটা পুঁতির মালা, তসবি কিংবা লোহার শিকলের মতো। তাই একে চেইন বলা হয়। কোড বসানোর বার্তাটা এমআরএনএ–ই দেয়।
প্রচলিত ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে
সব ধরনের ভাইরাসে প্রোটিনের আবরণে মোড়া ডিএনএ বা আরএনএ দিয়ে তৈরি জিনের একটি কোর থাকে। একটি নির্দিষ্ট সংক্রামক এজেন্টের জন্য ডিজাইন করা একটি ভ্যাকসিনের মূল লক্ষ্য, সেই ভাইরাসটি কেমন তা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) শেখানো। কিছু সাধারণ টিকায় সংশ্লিষ্ট রোগের দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য টিকায় সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। কোভিড–১৯–এর ক্ষেত্রে, স্পাইক প্রোটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। মানুষের ইমিউন সিস্টেম একবার এই স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রকৃত ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে সেটির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
পোলিও এবং হামের মতো রোগের টিকা সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সম্মিলিতভাবে টিকাগুলো সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগতির চেয়েও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে বিপুল পরিমাণে ভাইরাস উৎপাদন এবং পরে সেগুলোকে আবার দুর্বল করতে পারার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে অনেক সময় লাগে। ফলে প্রথাগত পদ্ধতিতে টিকা তৈরি কোভিডের মতো মহামারী মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়। এ কারণেই নতুন প্রযুক্তির খোঁজে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা।
এমআরএনও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পদক্ষেপ
প্রায় ৩০ বছর আগে, হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন তৈরি আরও সহজ করার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি অংশ শরীরে প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, তাঁরা একটি বিকল্প পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, শরীরে ভাইরাসের একটি অংশ সরাসরি প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, যদি শরীরের কোষগুলোকেই ভাইরাসের সেই প্রোটিন অংশ তৈরি দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়! এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ভাইরাসকে চিনতে ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষিত করা যায়। ফলে প্রকৃত ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করানো ছাড়াই সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে।
এই পদ্ধতির কয়েকটি ধাপ রয়েছে—প্রথমত, এমআরএনও তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শরীরে এমআরএনএ প্রবেশ করাতে হবে। এরপর সেটি শরীরের কোষে প্রবেশ করতে পারতে হবে।
একটি ভাইরাসের জিন মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনও) তৈরি করে। সেটি একাধিক প্রোটিন তৈরি করে যা এই আরএনএর আবরণ তৈরি করে। প্রতিটি এমআরএনএ প্রোটিন আবরণের একটি আলাদা অংশ তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট কাঠামোসহ একটি জিন নির্দিষ্ট কাঠামোর এমআরএনএ তৈরি করে। এই এমআরএনএ আবার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রোটিন তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো—স্পাইক প্রোটিন।
নতুন প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির প্রথম অংশ—এমআরএনএ তৈরি—অপেক্ষাকৃত সহজই ছিল। দ্বিতীয় অংশটি—নিরাপদে শরীরের কোষে সেই এমআরএনএ প্রবেশ করানো—এই পদ্ধতি বের করতে ৩০ বছর লেগে গেছে। শরীরে প্রবেশ করানো এমআরএনএকে রক্তে ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোতে প্রবেশ করতে হবে যা কাঙ্ক্ষিত প্রোটিনের অংশ তৈরি করতে শুরু করবে। এই প্রোটিনই ইমিউন সিস্টেমকে সেই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা দেবে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
এমআরএনও ভ্যাকসিন তৈরিতে বাধা অতিক্রম
কোভিড কালে অবিশ্বাস্য গতিতে টিকা তৈরি হলেও এর আগে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। প্রথমত, এমআরএনএকে মাইক্রোস্কোপিক (অতিক্ষুদ্র) ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকানো যাতে এটি রক্তে রাসায়নিকের সংস্পর্শে গিয়ে ধ্বংস হয়ে না যায়। দ্বিতীয়ত, এমআরএনএকে পরিবর্তন করার কৌশল বের করতে হয়েছে যাতে, এটি ইমিউন সিস্টেম আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে। তৃতীয়ত, রক্তের মধ্যে প্রবাহিত এমআরএনএকে গ্রহণ করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোকে উৎসাহিত করা। অবশেষে, কোষগুলোকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তৈরির জন্য উৎসাহিত করা, যাতে এটি ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে।
কোভিড–১৯
৩০ বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণা ফাইজার–বায়োএনটেক এবং মডার্নার মতো কোম্পানিকে এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি বাস্তবে কাজে লাগানোর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কোম্পানিগুলো তাত্ত্বিকভাবে এমন কৌশল উদ্ভাবন করেছে, যা যে কোনো সংক্রামক রোগের জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
এরপর আসে কোভিড–১৯। এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীরা স্পাইক প্রোটিন তৈরিকারী জিনসহ এর সমস্ত জিনের গঠন শনাক্ত করেছিলেন এবং এই তথ্য তাঁরা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলেন।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার মাইল দূরের বিজ্ঞানীরা একটি এমআরএনও ভ্যাকসিনের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা পশু এবং পরে মানুষের শরীরে এটি পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেন।
সার্স–কোভ–২ ভাইরাস আবিষ্কারের মাত্র ১১ মাস পর যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে, কোভিড–১৯–এর জন্য একটি কার্যকর এবং নিরাপদ এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর আগে, চার বছরের কম সময়ে কোনও নতুন ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়নি।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। বিজয়ী হিসেবে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যানের নাম আজ সোমবার বিকেলে ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে কাজ করতেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেনসিলভানিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। আর ওয়েইসম্যান ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসচুয়েটসে জন্ম নেন। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশন কাজ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
‘এমআরএনএ’ বা মেসেঞ্জার আরএনএ–কে এককথায় বলা যায় বার্তাবাহী রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। কোষে প্রোটিন তৈরির বার্তা বহন করে বলেই এ নাম দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী নেচার বলছে, মানবদেহে কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে এই এমআরএনএ একজন বার্তাবাহকের মতোই কাজ করে।
মানুষের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে ডিএনএ অনুসরণ করে তৈরি হয় আরএনএ বা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। সেখান থেকে ট্রান্সলেশন নামক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় প্রোটিন। মূলত এসব প্রোটিনই জীবাণু বা ভাইরাসের কার্যক্রম রুখে দেয়। আর এসব প্রোটিনকে কার্যকর হিসেবে গড়ে তোলে মেসেঞ্জার রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড বা এমআরএনএ। এটি নিউক্লিয়াসে থাকা ডিএনএর কোডগুলো বহন করে প্রথমে সাইটোপ্লাজমে নিয়ে যায়। এরপর কোড অনুযায়ী একের পর এক অ্যামাইনো অ্যাসিড বসিয়ে তৈরি করে প্রোটিন। অনেকটা পুঁতির মালা, তসবি কিংবা লোহার শিকলের মতো। তাই একে চেইন বলা হয়। কোড বসানোর বার্তাটা এমআরএনএ–ই দেয়।
প্রচলিত ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে
সব ধরনের ভাইরাসে প্রোটিনের আবরণে মোড়া ডিএনএ বা আরএনএ দিয়ে তৈরি জিনের একটি কোর থাকে। একটি নির্দিষ্ট সংক্রামক এজেন্টের জন্য ডিজাইন করা একটি ভ্যাকসিনের মূল লক্ষ্য, সেই ভাইরাসটি কেমন তা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) শেখানো। কিছু সাধারণ টিকায় সংশ্লিষ্ট রোগের দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য টিকায় সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। কোভিড–১৯–এর ক্ষেত্রে, স্পাইক প্রোটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। মানুষের ইমিউন সিস্টেম একবার এই স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রকৃত ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে সেটির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
পোলিও এবং হামের মতো রোগের টিকা সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সম্মিলিতভাবে টিকাগুলো সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগতির চেয়েও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে বিপুল পরিমাণে ভাইরাস উৎপাদন এবং পরে সেগুলোকে আবার দুর্বল করতে পারার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে অনেক সময় লাগে। ফলে প্রথাগত পদ্ধতিতে টিকা তৈরি কোভিডের মতো মহামারী মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়। এ কারণেই নতুন প্রযুক্তির খোঁজে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা।
এমআরএনও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পদক্ষেপ
প্রায় ৩০ বছর আগে, হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন তৈরি আরও সহজ করার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি অংশ শরীরে প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, তাঁরা একটি বিকল্প পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, শরীরে ভাইরাসের একটি অংশ সরাসরি প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, যদি শরীরের কোষগুলোকেই ভাইরাসের সেই প্রোটিন অংশ তৈরি দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়! এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ভাইরাসকে চিনতে ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষিত করা যায়। ফলে প্রকৃত ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করানো ছাড়াই সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে।
এই পদ্ধতির কয়েকটি ধাপ রয়েছে—প্রথমত, এমআরএনও তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শরীরে এমআরএনএ প্রবেশ করাতে হবে। এরপর সেটি শরীরের কোষে প্রবেশ করতে পারতে হবে।
একটি ভাইরাসের জিন মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনও) তৈরি করে। সেটি একাধিক প্রোটিন তৈরি করে যা এই আরএনএর আবরণ তৈরি করে। প্রতিটি এমআরএনএ প্রোটিন আবরণের একটি আলাদা অংশ তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট কাঠামোসহ একটি জিন নির্দিষ্ট কাঠামোর এমআরএনএ তৈরি করে। এই এমআরএনএ আবার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রোটিন তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো—স্পাইক প্রোটিন।
নতুন প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির প্রথম অংশ—এমআরএনএ তৈরি—অপেক্ষাকৃত সহজই ছিল। দ্বিতীয় অংশটি—নিরাপদে শরীরের কোষে সেই এমআরএনএ প্রবেশ করানো—এই পদ্ধতি বের করতে ৩০ বছর লেগে গেছে। শরীরে প্রবেশ করানো এমআরএনএকে রক্তে ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোতে প্রবেশ করতে হবে যা কাঙ্ক্ষিত প্রোটিনের অংশ তৈরি করতে শুরু করবে। এই প্রোটিনই ইমিউন সিস্টেমকে সেই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা দেবে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
এমআরএনও ভ্যাকসিন তৈরিতে বাধা অতিক্রম
কোভিড কালে অবিশ্বাস্য গতিতে টিকা তৈরি হলেও এর আগে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। প্রথমত, এমআরএনএকে মাইক্রোস্কোপিক (অতিক্ষুদ্র) ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকানো যাতে এটি রক্তে রাসায়নিকের সংস্পর্শে গিয়ে ধ্বংস হয়ে না যায়। দ্বিতীয়ত, এমআরএনএকে পরিবর্তন করার কৌশল বের করতে হয়েছে যাতে, এটি ইমিউন সিস্টেম আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে। তৃতীয়ত, রক্তের মধ্যে প্রবাহিত এমআরএনএকে গ্রহণ করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোকে উৎসাহিত করা। অবশেষে, কোষগুলোকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তৈরির জন্য উৎসাহিত করা, যাতে এটি ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে।
কোভিড–১৯
৩০ বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণা ফাইজার–বায়োএনটেক এবং মডার্নার মতো কোম্পানিকে এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি বাস্তবে কাজে লাগানোর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কোম্পানিগুলো তাত্ত্বিকভাবে এমন কৌশল উদ্ভাবন করেছে, যা যে কোনো সংক্রামক রোগের জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
এরপর আসে কোভিড–১৯। এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীরা স্পাইক প্রোটিন তৈরিকারী জিনসহ এর সমস্ত জিনের গঠন শনাক্ত করেছিলেন এবং এই তথ্য তাঁরা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলেন।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার মাইল দূরের বিজ্ঞানীরা একটি এমআরএনও ভ্যাকসিনের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা পশু এবং পরে মানুষের শরীরে এটি পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেন।
সার্স–কোভ–২ ভাইরাস আবিষ্কারের মাত্র ১১ মাস পর যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে, কোভিড–১৯–এর জন্য একটি কার্যকর এবং নিরাপদ এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর আগে, চার বছরের কম সময়ে কোনও নতুন ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়নি।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। বিজয়ী হিসেবে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যানের নাম আজ সোমবার বিকেলে ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে কাজ করতেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেনসিলভানিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। আর ওয়েইসম্যান ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসচুয়েটসে জন্ম নেন। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশন কাজ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
‘এমআরএনএ’ বা মেসেঞ্জার আরএনএ–কে এককথায় বলা যায় বার্তাবাহী রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। কোষে প্রোটিন তৈরির বার্তা বহন করে বলেই এ নাম দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী নেচার বলছে, মানবদেহে কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে এই এমআরএনএ একজন বার্তাবাহকের মতোই কাজ করে।
মানুষের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে ডিএনএ অনুসরণ করে তৈরি হয় আরএনএ বা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। সেখান থেকে ট্রান্সলেশন নামক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় প্রোটিন। মূলত এসব প্রোটিনই জীবাণু বা ভাইরাসের কার্যক্রম রুখে দেয়। আর এসব প্রোটিনকে কার্যকর হিসেবে গড়ে তোলে মেসেঞ্জার রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড বা এমআরএনএ। এটি নিউক্লিয়াসে থাকা ডিএনএর কোডগুলো বহন করে প্রথমে সাইটোপ্লাজমে নিয়ে যায়। এরপর কোড অনুযায়ী একের পর এক অ্যামাইনো অ্যাসিড বসিয়ে তৈরি করে প্রোটিন। অনেকটা পুঁতির মালা, তসবি কিংবা লোহার শিকলের মতো। তাই একে চেইন বলা হয়। কোড বসানোর বার্তাটা এমআরএনএ–ই দেয়।
প্রচলিত ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে
সব ধরনের ভাইরাসে প্রোটিনের আবরণে মোড়া ডিএনএ বা আরএনএ দিয়ে তৈরি জিনের একটি কোর থাকে। একটি নির্দিষ্ট সংক্রামক এজেন্টের জন্য ডিজাইন করা একটি ভ্যাকসিনের মূল লক্ষ্য, সেই ভাইরাসটি কেমন তা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) শেখানো। কিছু সাধারণ টিকায় সংশ্লিষ্ট রোগের দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য টিকায় সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। কোভিড–১৯–এর ক্ষেত্রে, স্পাইক প্রোটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। মানুষের ইমিউন সিস্টেম একবার এই স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রকৃত ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে সেটির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
পোলিও এবং হামের মতো রোগের টিকা সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সম্মিলিতভাবে টিকাগুলো সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগতির চেয়েও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে বিপুল পরিমাণে ভাইরাস উৎপাদন এবং পরে সেগুলোকে আবার দুর্বল করতে পারার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে অনেক সময় লাগে। ফলে প্রথাগত পদ্ধতিতে টিকা তৈরি কোভিডের মতো মহামারী মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়। এ কারণেই নতুন প্রযুক্তির খোঁজে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা।
এমআরএনও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পদক্ষেপ
প্রায় ৩০ বছর আগে, হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন তৈরি আরও সহজ করার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি অংশ শরীরে প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, তাঁরা একটি বিকল্প পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, শরীরে ভাইরাসের একটি অংশ সরাসরি প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, যদি শরীরের কোষগুলোকেই ভাইরাসের সেই প্রোটিন অংশ তৈরি দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়! এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ভাইরাসকে চিনতে ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষিত করা যায়। ফলে প্রকৃত ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করানো ছাড়াই সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে।
এই পদ্ধতির কয়েকটি ধাপ রয়েছে—প্রথমত, এমআরএনও তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শরীরে এমআরএনএ প্রবেশ করাতে হবে। এরপর সেটি শরীরের কোষে প্রবেশ করতে পারতে হবে।
একটি ভাইরাসের জিন মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনও) তৈরি করে। সেটি একাধিক প্রোটিন তৈরি করে যা এই আরএনএর আবরণ তৈরি করে। প্রতিটি এমআরএনএ প্রোটিন আবরণের একটি আলাদা অংশ তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট কাঠামোসহ একটি জিন নির্দিষ্ট কাঠামোর এমআরএনএ তৈরি করে। এই এমআরএনএ আবার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রোটিন তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো—স্পাইক প্রোটিন।
নতুন প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির প্রথম অংশ—এমআরএনএ তৈরি—অপেক্ষাকৃত সহজই ছিল। দ্বিতীয় অংশটি—নিরাপদে শরীরের কোষে সেই এমআরএনএ প্রবেশ করানো—এই পদ্ধতি বের করতে ৩০ বছর লেগে গেছে। শরীরে প্রবেশ করানো এমআরএনএকে রক্তে ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোতে প্রবেশ করতে হবে যা কাঙ্ক্ষিত প্রোটিনের অংশ তৈরি করতে শুরু করবে। এই প্রোটিনই ইমিউন সিস্টেমকে সেই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা দেবে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
এমআরএনও ভ্যাকসিন তৈরিতে বাধা অতিক্রম
কোভিড কালে অবিশ্বাস্য গতিতে টিকা তৈরি হলেও এর আগে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। প্রথমত, এমআরএনএকে মাইক্রোস্কোপিক (অতিক্ষুদ্র) ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকানো যাতে এটি রক্তে রাসায়নিকের সংস্পর্শে গিয়ে ধ্বংস হয়ে না যায়। দ্বিতীয়ত, এমআরএনএকে পরিবর্তন করার কৌশল বের করতে হয়েছে যাতে, এটি ইমিউন সিস্টেম আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে। তৃতীয়ত, রক্তের মধ্যে প্রবাহিত এমআরএনএকে গ্রহণ করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোকে উৎসাহিত করা। অবশেষে, কোষগুলোকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তৈরির জন্য উৎসাহিত করা, যাতে এটি ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে।
কোভিড–১৯
৩০ বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণা ফাইজার–বায়োএনটেক এবং মডার্নার মতো কোম্পানিকে এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি বাস্তবে কাজে লাগানোর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কোম্পানিগুলো তাত্ত্বিকভাবে এমন কৌশল উদ্ভাবন করেছে, যা যে কোনো সংক্রামক রোগের জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
এরপর আসে কোভিড–১৯। এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীরা স্পাইক প্রোটিন তৈরিকারী জিনসহ এর সমস্ত জিনের গঠন শনাক্ত করেছিলেন এবং এই তথ্য তাঁরা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলেন।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার মাইল দূরের বিজ্ঞানীরা একটি এমআরএনও ভ্যাকসিনের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা পশু এবং পরে মানুষের শরীরে এটি পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেন।
সার্স–কোভ–২ ভাইরাস আবিষ্কারের মাত্র ১১ মাস পর যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে, কোভিড–১৯–এর জন্য একটি কার্যকর এবং নিরাপদ এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর আগে, চার বছরের কম সময়ে কোনও নতুন ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়নি।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। বিজয়ী হিসেবে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যানের নাম আজ সোমবার বিকেলে ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে কাজ করতেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেনসিলভানিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। আর ওয়েইসম্যান ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসচুয়েটসে জন্ম নেন। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশন কাজ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
‘এমআরএনএ’ বা মেসেঞ্জার আরএনএ–কে এককথায় বলা যায় বার্তাবাহী রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। কোষে প্রোটিন তৈরির বার্তা বহন করে বলেই এ নাম দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী নেচার বলছে, মানবদেহে কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে এই এমআরএনএ একজন বার্তাবাহকের মতোই কাজ করে।
মানুষের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে ডিএনএ অনুসরণ করে তৈরি হয় আরএনএ বা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। সেখান থেকে ট্রান্সলেশন নামক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় প্রোটিন। মূলত এসব প্রোটিনই জীবাণু বা ভাইরাসের কার্যক্রম রুখে দেয়। আর এসব প্রোটিনকে কার্যকর হিসেবে গড়ে তোলে মেসেঞ্জার রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড বা এমআরএনএ। এটি নিউক্লিয়াসে থাকা ডিএনএর কোডগুলো বহন করে প্রথমে সাইটোপ্লাজমে নিয়ে যায়। এরপর কোড অনুযায়ী একের পর এক অ্যামাইনো অ্যাসিড বসিয়ে তৈরি করে প্রোটিন। অনেকটা পুঁতির মালা, তসবি কিংবা লোহার শিকলের মতো। তাই একে চেইন বলা হয়। কোড বসানোর বার্তাটা এমআরএনএ–ই দেয়।
প্রচলিত ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে
সব ধরনের ভাইরাসে প্রোটিনের আবরণে মোড়া ডিএনএ বা আরএনএ দিয়ে তৈরি জিনের একটি কোর থাকে। একটি নির্দিষ্ট সংক্রামক এজেন্টের জন্য ডিজাইন করা একটি ভ্যাকসিনের মূল লক্ষ্য, সেই ভাইরাসটি কেমন তা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) শেখানো। কিছু সাধারণ টিকায় সংশ্লিষ্ট রোগের দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য টিকায় সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। কোভিড–১৯–এর ক্ষেত্রে, স্পাইক প্রোটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। মানুষের ইমিউন সিস্টেম একবার এই স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রকৃত ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে সেটির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
পোলিও এবং হামের মতো রোগের টিকা সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সম্মিলিতভাবে টিকাগুলো সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগতির চেয়েও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে বিপুল পরিমাণে ভাইরাস উৎপাদন এবং পরে সেগুলোকে আবার দুর্বল করতে পারার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে অনেক সময় লাগে। ফলে প্রথাগত পদ্ধতিতে টিকা তৈরি কোভিডের মতো মহামারী মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়। এ কারণেই নতুন প্রযুক্তির খোঁজে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা।
এমআরএনও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পদক্ষেপ
প্রায় ৩০ বছর আগে, হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন তৈরি আরও সহজ করার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিন আবরণের একটি অংশ শরীরে প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, তাঁরা একটি বিকল্প পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, শরীরে ভাইরাসের একটি অংশ সরাসরি প্রবেশ করানোর পরিবর্তে, যদি শরীরের কোষগুলোকেই ভাইরাসের সেই প্রোটিন অংশ তৈরি দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়! এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ভাইরাসকে চিনতে ইমিউন সিস্টেমকে প্রশিক্ষিত করা যায়। ফলে প্রকৃত ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করানো ছাড়াই সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে।
এই পদ্ধতির কয়েকটি ধাপ রয়েছে—প্রথমত, এমআরএনও তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শরীরে এমআরএনএ প্রবেশ করাতে হবে। এরপর সেটি শরীরের কোষে প্রবেশ করতে পারতে হবে।
একটি ভাইরাসের জিন মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনও) তৈরি করে। সেটি একাধিক প্রোটিন তৈরি করে যা এই আরএনএর আবরণ তৈরি করে। প্রতিটি এমআরএনএ প্রোটিন আবরণের একটি আলাদা অংশ তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট কাঠামোসহ একটি জিন নির্দিষ্ট কাঠামোর এমআরএনএ তৈরি করে। এই এমআরএনএ আবার নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রোটিন তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো—স্পাইক প্রোটিন।
নতুন প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির প্রথম অংশ—এমআরএনএ তৈরি—অপেক্ষাকৃত সহজই ছিল। দ্বিতীয় অংশটি—নিরাপদে শরীরের কোষে সেই এমআরএনএ প্রবেশ করানো—এই পদ্ধতি বের করতে ৩০ বছর লেগে গেছে। শরীরে প্রবেশ করানো এমআরএনএকে রক্তে ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোতে প্রবেশ করতে হবে যা কাঙ্ক্ষিত প্রোটিনের অংশ তৈরি করতে শুরু করবে। এই প্রোটিনই ইমিউন সিস্টেমকে সেই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা দেবে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
এমআরএনও ভ্যাকসিন তৈরিতে বাধা অতিক্রম
কোভিড কালে অবিশ্বাস্য গতিতে টিকা তৈরি হলেও এর আগে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। প্রথমত, এমআরএনএকে মাইক্রোস্কোপিক (অতিক্ষুদ্র) ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকানো যাতে এটি রক্তে রাসায়নিকের সংস্পর্শে গিয়ে ধ্বংস হয়ে না যায়। দ্বিতীয়ত, এমআরএনএকে পরিবর্তন করার কৌশল বের করতে হয়েছে যাতে, এটি ইমিউন সিস্টেম আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে। তৃতীয়ত, রক্তের মধ্যে প্রবাহিত এমআরএনএকে গ্রহণ করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলোকে উৎসাহিত করা। অবশেষে, কোষগুলোকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তৈরির জন্য উৎসাহিত করা, যাতে এটি ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে।
কোভিড–১৯
৩০ বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণা ফাইজার–বায়োএনটেক এবং মডার্নার মতো কোম্পানিকে এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি বাস্তবে কাজে লাগানোর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কোম্পানিগুলো তাত্ত্বিকভাবে এমন কৌশল উদ্ভাবন করেছে, যা যে কোনো সংক্রামক রোগের জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
এরপর আসে কোভিড–১৯। এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীরা স্পাইক প্রোটিন তৈরিকারী জিনসহ এর সমস্ত জিনের গঠন শনাক্ত করেছিলেন এবং এই তথ্য তাঁরা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলেন।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার মাইল দূরের বিজ্ঞানীরা একটি এমআরএনও ভ্যাকসিনের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা পশু এবং পরে মানুষের শরীরে এটি পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেন।
সার্স–কোভ–২ ভাইরাস আবিষ্কারের মাত্র ১১ মাস পর যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিশ্চিত করে, কোভিড–১৯–এর জন্য একটি কার্যকর এবং নিরাপদ এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর আগে, চার বছরের কম সময়ে কোনও নতুন ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়নি।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। বিজয়ী হিসেবে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যানের নাম আজ সোমবার বিকেলে ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে কাজ করতেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেনসিলভানিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। আর ওয়েইসম্যান ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসচুয়েটসে জন্ম নেন। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশন কাজ করেন।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
০২ অক্টোবর ২০২৩
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
০২ অক্টোবর ২০২৩
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
০২ অক্টোবর ২০২৩
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত টিকা হলো ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। দুটোতেই ব্যবহার করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রযুক্তি ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন’।
০২ অক্টোবর ২০২৩
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে