ডা. সৈয়দা নাফিসা ইসলাম

টিকা দেওয়ার সময়
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
টিকা দেওয়ায় সতর্কতা
⦁ খুব বেশি অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টিকা দেওয়া যাবে না।
⦁ পূর্ববর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার পর শিশুর খিঁচুনি হলে বা জ্ঞান হারালে পরবর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অন্য সব টিকা, যেমন ওপিডি, এমআর, হাম নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে।
⦁ অপরিণত ও কম ওজনের শিশুকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জানিয়ে টিকা দিতে হবে। সাধারণত আড়াই কেজি ওজন হয়ে গেলে শিশুকে টিকা দেওয়া শুরু করা যায়।
টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় জন্মের পরই শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে দেরি হলে পরবর্তী যেকোনো সময় বা প্যান্ট্যাভ্যালেন্টের প্রথম ডোজের সঙ্গে দিতে হয়। একই দিনে ওপিভির প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। এর পর ৬ সপ্তাহ বয়সে প্যান্টাভ্যালেন্ট এবং পিসিপির প্রথম ডোজ শুরু হবে। এই টিকার ডোজ মোট ৩টি, যা ৪ সপ্তাহ পরপর দিতে হয়। এই ৬ সপ্তাহ বয়সে ওপিভির ডোজ দিতে হবে এবং ৩টি ডোজ ৪ সপ্তাহ পর পর দিতে হয়। আইপিভির ২টি ডোজ ৬ ও ১৪ সপ্তাহে দিতে হয়। ৯ মাস শেষে এমআর টিকার প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস শেষে এর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
টিকা দেওয়ার জায়গা
⦁ পোলিও—মুখে খাওয়ানো এবং চামড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।
⦁ বিসিজি—চামড়ার মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ প্যান্টাভ্যালেন্ট—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ পিসিডি—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ এমআর—চামড়ার নিচে ইনজেকশন।
যেসব টিকা দেওয়া হয়
ইপিআইর অন্তর্ভুক্ত হলো পোলিও, বিসিজি, হেপাটাইটিস বি, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যান্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর। এর বাইরেও কিছু টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
পোলিও টিকা
যদিও বাংলাদেশে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে, তবু এই টিকা ভীষণ জরুরি। এই রোগে হাত-পা বাঁকা হওয়া এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত অকেজো হতে পারে।
বিসিজি টিকা
এটি যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক। এই টিকা দেওয়ার পর বেশি ফুলে গেলে বা বেশি ঘা হলে পুনরায় টিকা দিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
ডিপিটি
ডি-তে ডিফথেরিয়া, পি-তে পারটোসিস বা হুপিং কাশি ও টি-তে টিটেনাস। এই তিনটিই ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। এই টিকা তিনটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কোনো অবহেলা না করে গুরুত্বসহকারে শিশুকে এই তিনটি টিকা দিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি বা হেপ বি
হেপাটাইটিস বি লিভারের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। তাই হেপাটাইটিস বি টিকা জরুরি। বর্তমানে ইপিআই কার্যক্রমে পাঁচটি রোগ, যেমন ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফাইলাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-বির বিরুদ্ধে একত্রে প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
হাম
এই টিকা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি মারাত্মক পীড়াদায়ক রোগ। সাধারণত শিশুর ১৫ মাস বয়সে এই টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে টিকা দেওয়ার আগেই যদি শিশুর হাম হয়, তারপরও টিকা দিতে হবে।
টাইফয়েড
টাইফয়েডের কারণে শিশুর যেকোনো অঙ্গ বিকল হতে পারে এবং শিশু স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলতে পারে। টাইফয়েডের টিকা শিশুকে এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। দুই বছর বয়সের পর এই টিকা তিন বছর পরপর দিতে হয়।
রোটা ভাইরাস
শিশুদের ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ডায়রিয়া হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় শিশু অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই রোটা ভাইরাস টিকা শিশুদের জন্য জরুরি। এই টিকা মুখে খাওয়ানো হয়।
নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন
বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিউমোনিয়াকে শিশুমৃত্যু হারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি প্রধানত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। তাই শিশুদের এই টিকা দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যেসব শিশুর হাঁপানি বা অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন রোগ থাকে।
চিকেন পক্স
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটি ভাইরাস সংক্রামক রোগ। এই রোগের জটিলতা অনেক বেশি। তাই রোগ থেকে বাঁচতে বা রোগের তীব্রতা কমাতে এই টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: কনসালট্যান্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

টিকা দেওয়ার সময়
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
টিকা দেওয়ায় সতর্কতা
⦁ খুব বেশি অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টিকা দেওয়া যাবে না।
⦁ পূর্ববর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার পর শিশুর খিঁচুনি হলে বা জ্ঞান হারালে পরবর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অন্য সব টিকা, যেমন ওপিডি, এমআর, হাম নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে।
⦁ অপরিণত ও কম ওজনের শিশুকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জানিয়ে টিকা দিতে হবে। সাধারণত আড়াই কেজি ওজন হয়ে গেলে শিশুকে টিকা দেওয়া শুরু করা যায়।
টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় জন্মের পরই শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে দেরি হলে পরবর্তী যেকোনো সময় বা প্যান্ট্যাভ্যালেন্টের প্রথম ডোজের সঙ্গে দিতে হয়। একই দিনে ওপিভির প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। এর পর ৬ সপ্তাহ বয়সে প্যান্টাভ্যালেন্ট এবং পিসিপির প্রথম ডোজ শুরু হবে। এই টিকার ডোজ মোট ৩টি, যা ৪ সপ্তাহ পরপর দিতে হয়। এই ৬ সপ্তাহ বয়সে ওপিভির ডোজ দিতে হবে এবং ৩টি ডোজ ৪ সপ্তাহ পর পর দিতে হয়। আইপিভির ২টি ডোজ ৬ ও ১৪ সপ্তাহে দিতে হয়। ৯ মাস শেষে এমআর টিকার প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস শেষে এর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
টিকা দেওয়ার জায়গা
⦁ পোলিও—মুখে খাওয়ানো এবং চামড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।
⦁ বিসিজি—চামড়ার মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ প্যান্টাভ্যালেন্ট—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ পিসিডি—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ এমআর—চামড়ার নিচে ইনজেকশন।
যেসব টিকা দেওয়া হয়
ইপিআইর অন্তর্ভুক্ত হলো পোলিও, বিসিজি, হেপাটাইটিস বি, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যান্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর। এর বাইরেও কিছু টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
পোলিও টিকা
যদিও বাংলাদেশে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে, তবু এই টিকা ভীষণ জরুরি। এই রোগে হাত-পা বাঁকা হওয়া এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত অকেজো হতে পারে।
বিসিজি টিকা
এটি যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক। এই টিকা দেওয়ার পর বেশি ফুলে গেলে বা বেশি ঘা হলে পুনরায় টিকা দিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
ডিপিটি
ডি-তে ডিফথেরিয়া, পি-তে পারটোসিস বা হুপিং কাশি ও টি-তে টিটেনাস। এই তিনটিই ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। এই টিকা তিনটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কোনো অবহেলা না করে গুরুত্বসহকারে শিশুকে এই তিনটি টিকা দিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি বা হেপ বি
হেপাটাইটিস বি লিভারের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। তাই হেপাটাইটিস বি টিকা জরুরি। বর্তমানে ইপিআই কার্যক্রমে পাঁচটি রোগ, যেমন ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফাইলাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-বির বিরুদ্ধে একত্রে প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
হাম
এই টিকা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি মারাত্মক পীড়াদায়ক রোগ। সাধারণত শিশুর ১৫ মাস বয়সে এই টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে টিকা দেওয়ার আগেই যদি শিশুর হাম হয়, তারপরও টিকা দিতে হবে।
টাইফয়েড
টাইফয়েডের কারণে শিশুর যেকোনো অঙ্গ বিকল হতে পারে এবং শিশু স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলতে পারে। টাইফয়েডের টিকা শিশুকে এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। দুই বছর বয়সের পর এই টিকা তিন বছর পরপর দিতে হয়।
রোটা ভাইরাস
শিশুদের ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ডায়রিয়া হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় শিশু অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই রোটা ভাইরাস টিকা শিশুদের জন্য জরুরি। এই টিকা মুখে খাওয়ানো হয়।
নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন
বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিউমোনিয়াকে শিশুমৃত্যু হারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি প্রধানত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। তাই শিশুদের এই টিকা দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যেসব শিশুর হাঁপানি বা অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন রোগ থাকে।
চিকেন পক্স
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটি ভাইরাস সংক্রামক রোগ। এই রোগের জটিলতা অনেক বেশি। তাই রোগ থেকে বাঁচতে বা রোগের তীব্রতা কমাতে এই টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: কনসালট্যান্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডা. সৈয়দা নাফিসা ইসলাম

টিকা দেওয়ার সময়
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
টিকা দেওয়ায় সতর্কতা
⦁ খুব বেশি অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টিকা দেওয়া যাবে না।
⦁ পূর্ববর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার পর শিশুর খিঁচুনি হলে বা জ্ঞান হারালে পরবর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অন্য সব টিকা, যেমন ওপিডি, এমআর, হাম নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে।
⦁ অপরিণত ও কম ওজনের শিশুকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জানিয়ে টিকা দিতে হবে। সাধারণত আড়াই কেজি ওজন হয়ে গেলে শিশুকে টিকা দেওয়া শুরু করা যায়।
টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় জন্মের পরই শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে দেরি হলে পরবর্তী যেকোনো সময় বা প্যান্ট্যাভ্যালেন্টের প্রথম ডোজের সঙ্গে দিতে হয়। একই দিনে ওপিভির প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। এর পর ৬ সপ্তাহ বয়সে প্যান্টাভ্যালেন্ট এবং পিসিপির প্রথম ডোজ শুরু হবে। এই টিকার ডোজ মোট ৩টি, যা ৪ সপ্তাহ পরপর দিতে হয়। এই ৬ সপ্তাহ বয়সে ওপিভির ডোজ দিতে হবে এবং ৩টি ডোজ ৪ সপ্তাহ পর পর দিতে হয়। আইপিভির ২টি ডোজ ৬ ও ১৪ সপ্তাহে দিতে হয়। ৯ মাস শেষে এমআর টিকার প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস শেষে এর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
টিকা দেওয়ার জায়গা
⦁ পোলিও—মুখে খাওয়ানো এবং চামড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।
⦁ বিসিজি—চামড়ার মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ প্যান্টাভ্যালেন্ট—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ পিসিডি—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ এমআর—চামড়ার নিচে ইনজেকশন।
যেসব টিকা দেওয়া হয়
ইপিআইর অন্তর্ভুক্ত হলো পোলিও, বিসিজি, হেপাটাইটিস বি, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যান্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর। এর বাইরেও কিছু টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
পোলিও টিকা
যদিও বাংলাদেশে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে, তবু এই টিকা ভীষণ জরুরি। এই রোগে হাত-পা বাঁকা হওয়া এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত অকেজো হতে পারে।
বিসিজি টিকা
এটি যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক। এই টিকা দেওয়ার পর বেশি ফুলে গেলে বা বেশি ঘা হলে পুনরায় টিকা দিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
ডিপিটি
ডি-তে ডিফথেরিয়া, পি-তে পারটোসিস বা হুপিং কাশি ও টি-তে টিটেনাস। এই তিনটিই ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। এই টিকা তিনটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কোনো অবহেলা না করে গুরুত্বসহকারে শিশুকে এই তিনটি টিকা দিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি বা হেপ বি
হেপাটাইটিস বি লিভারের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। তাই হেপাটাইটিস বি টিকা জরুরি। বর্তমানে ইপিআই কার্যক্রমে পাঁচটি রোগ, যেমন ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফাইলাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-বির বিরুদ্ধে একত্রে প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
হাম
এই টিকা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি মারাত্মক পীড়াদায়ক রোগ। সাধারণত শিশুর ১৫ মাস বয়সে এই টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে টিকা দেওয়ার আগেই যদি শিশুর হাম হয়, তারপরও টিকা দিতে হবে।
টাইফয়েড
টাইফয়েডের কারণে শিশুর যেকোনো অঙ্গ বিকল হতে পারে এবং শিশু স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলতে পারে। টাইফয়েডের টিকা শিশুকে এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। দুই বছর বয়সের পর এই টিকা তিন বছর পরপর দিতে হয়।
রোটা ভাইরাস
শিশুদের ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ডায়রিয়া হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় শিশু অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই রোটা ভাইরাস টিকা শিশুদের জন্য জরুরি। এই টিকা মুখে খাওয়ানো হয়।
নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন
বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিউমোনিয়াকে শিশুমৃত্যু হারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি প্রধানত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। তাই শিশুদের এই টিকা দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যেসব শিশুর হাঁপানি বা অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন রোগ থাকে।
চিকেন পক্স
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটি ভাইরাস সংক্রামক রোগ। এই রোগের জটিলতা অনেক বেশি। তাই রোগ থেকে বাঁচতে বা রোগের তীব্রতা কমাতে এই টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: কনসালট্যান্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

টিকা দেওয়ার সময়
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
টিকা দেওয়ায় সতর্কতা
⦁ খুব বেশি অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টিকা দেওয়া যাবে না।
⦁ পূর্ববর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার পর শিশুর খিঁচুনি হলে বা জ্ঞান হারালে পরবর্তী প্যান্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অন্য সব টিকা, যেমন ওপিডি, এমআর, হাম নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে।
⦁ অপরিণত ও কম ওজনের শিশুকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জানিয়ে টিকা দিতে হবে। সাধারণত আড়াই কেজি ওজন হয়ে গেলে শিশুকে টিকা দেওয়া শুরু করা যায়।
টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় জন্মের পরই শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে দেরি হলে পরবর্তী যেকোনো সময় বা প্যান্ট্যাভ্যালেন্টের প্রথম ডোজের সঙ্গে দিতে হয়। একই দিনে ওপিভির প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। এর পর ৬ সপ্তাহ বয়সে প্যান্টাভ্যালেন্ট এবং পিসিপির প্রথম ডোজ শুরু হবে। এই টিকার ডোজ মোট ৩টি, যা ৪ সপ্তাহ পরপর দিতে হয়। এই ৬ সপ্তাহ বয়সে ওপিভির ডোজ দিতে হবে এবং ৩টি ডোজ ৪ সপ্তাহ পর পর দিতে হয়। আইপিভির ২টি ডোজ ৬ ও ১৪ সপ্তাহে দিতে হয়। ৯ মাস শেষে এমআর টিকার প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস শেষে এর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
টিকা দেওয়ার জায়গা
⦁ পোলিও—মুখে খাওয়ানো এবং চামড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।
⦁ বিসিজি—চামড়ার মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ প্যান্টাভ্যালেন্ট—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ পিসিডি—মাংসের মধ্যে ইনজেকশন।
⦁ এমআর—চামড়ার নিচে ইনজেকশন।
যেসব টিকা দেওয়া হয়
ইপিআইর অন্তর্ভুক্ত হলো পোলিও, বিসিজি, হেপাটাইটিস বি, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যান্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর। এর বাইরেও কিছু টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
পোলিও টিকা
যদিও বাংলাদেশে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে, তবু এই টিকা ভীষণ জরুরি। এই রোগে হাত-পা বাঁকা হওয়া এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত অকেজো হতে পারে।
বিসিজি টিকা
এটি যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক। এই টিকা দেওয়ার পর বেশি ফুলে গেলে বা বেশি ঘা হলে পুনরায় টিকা দিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে।
ডিপিটি
ডি-তে ডিফথেরিয়া, পি-তে পারটোসিস বা হুপিং কাশি ও টি-তে টিটেনাস। এই তিনটিই ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। এই টিকা তিনটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কোনো অবহেলা না করে গুরুত্বসহকারে শিশুকে এই তিনটি টিকা দিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি বা হেপ বি
হেপাটাইটিস বি লিভারের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। তাই হেপাটাইটিস বি টিকা জরুরি। বর্তমানে ইপিআই কার্যক্রমে পাঁচটি রোগ, যেমন ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফাইলাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-বির বিরুদ্ধে একত্রে প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
হাম
এই টিকা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি মারাত্মক পীড়াদায়ক রোগ। সাধারণত শিশুর ১৫ মাস বয়সে এই টিকা দেওয়া হয়। কোনো কারণে টিকা দেওয়ার আগেই যদি শিশুর হাম হয়, তারপরও টিকা দিতে হবে।
টাইফয়েড
টাইফয়েডের কারণে শিশুর যেকোনো অঙ্গ বিকল হতে পারে এবং শিশু স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলতে পারে। টাইফয়েডের টিকা শিশুকে এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। দুই বছর বয়সের পর এই টিকা তিন বছর পরপর দিতে হয়।
রোটা ভাইরাস
শিশুদের ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ডায়রিয়া হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় শিশু অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই রোটা ভাইরাস টিকা শিশুদের জন্য জরুরি। এই টিকা মুখে খাওয়ানো হয়।
নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন
বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিউমোনিয়াকে শিশুমৃত্যু হারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিউ মোকক্কাল ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি প্রধানত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। তাই শিশুদের এই টিকা দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যেসব শিশুর হাঁপানি বা অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন রোগ থাকে।
চিকেন পক্স
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটি ভাইরাস সংক্রামক রোগ। এই রোগের জটিলতা অনেক বেশি। তাই রোগ থেকে বাঁচতে বা রোগের তীব্রতা কমাতে এই টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: কনসালট্যান্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি। যার মধ্যে এমবিসিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০। সর্বমোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি। যার মধ্যে এমবিসিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০। সর্বমোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে...
১৫ জুন ২০২২
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে...
১৫ জুন ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২৮ মিনিট আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে...
১৫ জুন ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জন্মের পর সব শিশুকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। টিকা দিলে শিশুর সামান্য জ্বর-ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু টিকা না দিলে শিশু রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে...
১৫ জুন ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে