অধ্যাপক ডা. এস এম জহিরুল হক চৌধুরী
হাত কাঁপা হলো হাতের কবজি, আঙুল বা বুড়ো আঙুলের পেশিগুলোর অনৈচ্ছিক নড়াচড়া, যাকে কম্পমান হাতও বলা হয়। এ ধরনের সমস্যা বয়স্ক মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হাত কাঁপা সমস্যা হলে প্রতিদিনকার কাজকর্মে সমস্যা হয়। এটি প্রাণঘাতী কোনো রোগ নয়, মস্তিষ্কের কোষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এ সমস্যা হয়।
এক হাত কাঁপা শুরু হয় প্রথমে। ধীরে ধীরে তা অন্য হাতে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় একই সঙ্গে দুটো হাতই কাঁপতে শুরু করে। হাতের নড়াচড়ার সঙ্গে কাঁপুনি বাড়তে থাকে। মানসিক চাপ, ক্লান্তি, উত্তেজক পদার্থের ব্যবহার—এসব কারণে কাঁপুনি বাড়ে। কাঁপুনির কারণে কাপড় পরা, গ্লাস বা কাপ ধরা, খাওয়া ইত্যাদি কাজ করতে অসুবিধা হয়।
কারণ
হাত কাঁপা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের রোগ বা পার্কিনসন্স রোগের কারণে হয়ে থাকে। জিনের পরিবর্তনের কারণেও এটি হতে পারে। এ ছাড়া এর অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে হাইপারথাইরয়েডিজম, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, ডায়স্টেনিয়া, বেশি বয়স, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি ও স্ট্রোক। এর আরও কিছু কারণ আছে। যেমন—
রোগ নির্ণয়
রোগীর পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জেনে এই রোগের কারণ বের করতে হবে। হাত কাঁপার ইতিহাস না জানলে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় রক্তের সিবিসি পরীক্ষা, ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা পরীক্ষা, মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়।
চিকিৎসা
শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন কাজ করতেও অনেকে চাপ অনুভূত হয়। এতে শরীর কার্যক্ষমতা হারায়। পাশাপাশি হাত কাঁপা সমস্যা দেখা দেয়। হাত কাঁপা সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হয় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপসর্গ কমিয়ে রাখা যায়।
ওষুধ
বিটাব্লকারস, অ্যান্টিসিজার ওষুধ, বোটোক্স ও দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এগুলো কাঁপুনির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
অস্ত্রোপচার
মস্তিষ্কের গভীর উত্তেজনা ও থ্যালামোটমি কাঁপুনি কমাতে সাহায্য করে।
ফিজিওথেরাপি
ভর ব্যবহার করা, কবজিতে স্ট্র্যাপ পরা এবং চাপমুক্ত বলের ব্যায়াম কাঁপুনির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিকার
অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগটি যেহেতু বংশগত, কাজেই এর কোনো প্রতিকার নেই। কিন্তু লক্ষণ প্রকাশ পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে অবশ্যই মদ্যপান, ধূমপান, অতিরিক্ত চা বা কফি পান ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। কিছু ওষুধ এ ক্ষেত্রে কাজে আসে। তবে সেগুলো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে।
পরামর্শ: অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ,ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল
হাত কাঁপা হলো হাতের কবজি, আঙুল বা বুড়ো আঙুলের পেশিগুলোর অনৈচ্ছিক নড়াচড়া, যাকে কম্পমান হাতও বলা হয়। এ ধরনের সমস্যা বয়স্ক মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হাত কাঁপা সমস্যা হলে প্রতিদিনকার কাজকর্মে সমস্যা হয়। এটি প্রাণঘাতী কোনো রোগ নয়, মস্তিষ্কের কোষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এ সমস্যা হয়।
এক হাত কাঁপা শুরু হয় প্রথমে। ধীরে ধীরে তা অন্য হাতে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় একই সঙ্গে দুটো হাতই কাঁপতে শুরু করে। হাতের নড়াচড়ার সঙ্গে কাঁপুনি বাড়তে থাকে। মানসিক চাপ, ক্লান্তি, উত্তেজক পদার্থের ব্যবহার—এসব কারণে কাঁপুনি বাড়ে। কাঁপুনির কারণে কাপড় পরা, গ্লাস বা কাপ ধরা, খাওয়া ইত্যাদি কাজ করতে অসুবিধা হয়।
কারণ
হাত কাঁপা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের রোগ বা পার্কিনসন্স রোগের কারণে হয়ে থাকে। জিনের পরিবর্তনের কারণেও এটি হতে পারে। এ ছাড়া এর অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে হাইপারথাইরয়েডিজম, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, ডায়স্টেনিয়া, বেশি বয়স, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি ও স্ট্রোক। এর আরও কিছু কারণ আছে। যেমন—
রোগ নির্ণয়
রোগীর পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জেনে এই রোগের কারণ বের করতে হবে। হাত কাঁপার ইতিহাস না জানলে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় রক্তের সিবিসি পরীক্ষা, ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা পরীক্ষা, মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়।
চিকিৎসা
শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন কাজ করতেও অনেকে চাপ অনুভূত হয়। এতে শরীর কার্যক্ষমতা হারায়। পাশাপাশি হাত কাঁপা সমস্যা দেখা দেয়। হাত কাঁপা সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হয় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপসর্গ কমিয়ে রাখা যায়।
ওষুধ
বিটাব্লকারস, অ্যান্টিসিজার ওষুধ, বোটোক্স ও দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এগুলো কাঁপুনির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
অস্ত্রোপচার
মস্তিষ্কের গভীর উত্তেজনা ও থ্যালামোটমি কাঁপুনি কমাতে সাহায্য করে।
ফিজিওথেরাপি
ভর ব্যবহার করা, কবজিতে স্ট্র্যাপ পরা এবং চাপমুক্ত বলের ব্যায়াম কাঁপুনির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিকার
অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগটি যেহেতু বংশগত, কাজেই এর কোনো প্রতিকার নেই। কিন্তু লক্ষণ প্রকাশ পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে অবশ্যই মদ্যপান, ধূমপান, অতিরিক্ত চা বা কফি পান ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। কিছু ওষুধ এ ক্ষেত্রে কাজে আসে। তবে সেগুলো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে।
পরামর্শ: অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ,ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩২৯ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেমানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগে