মো. ইকবাল হোসেন
পুরো রমজান মাস আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার আমরা খেয়ে থাকি। তাই এ সময় আমাদের পরিপাকতন্ত্র বেশ নাজুক থাকে। বিশেষ করে যাদের হৃৎপিণ্ডের অসুখ আছে, তাদের জন্য ঈদের দিনগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার যদি হৃৎপিণ্ডের অসুখ না-ও থাকে, যদি বয়স ৪০-এর বেশি হয়, ওজন বেশি কিংবা রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে, ধূমপানের অভ্যাস থাকে অথবা হৃদ্রোগের বংশগত ইতিহাস থাকে, তাহলেও আপনি হৃৎপিণ্ডের অসুখের ঝুঁকিতে আছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকেও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
হৃৎপিণ্ডের রোগীর জন্য সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে তেল-চর্বিজাতীয় খাবার। এগুলো রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এই চাপ দুর্বল হৃৎপিণ্ডকে আরও দুর্বল করে দেয়। এ ক্ষেত্রে হার্ট ফেইলিউরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঈদের দিনেও নিয়ম মেনেই খাবার খেতে হবে।
বিধি ও নিষেধ
গরু ও খাসির মাংস না খাওয়া উত্তম। চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে। গরু বা খাসির মাংসের গায়ে যে সাদা চর্বি লেগে থাকে, সেটা বাদ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। কলিজা, মগজ, পায়া বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাবেন না। এসব উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার হার্টের জটিলতা বাড়াবে।
লবণে সতর্ক থাকুন
হার্টের রোগীদের জন্য খারাপ উপাদান হচ্ছে লবণ। তাই রান্নায় লবণের ব্যবহার কমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পানি যোগ হয়। অর্থাৎ, পানিসহ রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হার্টকে আরও জোরে জোরে পাম্প করতে হবে। এতে হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে এবং অসুখ আরও বেড়ে যাবে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। হার্টের রোগীর জন্য সেটা ৩ থেকে ৪ গ্রাম।
মাংস খেতে হবে পরিমিত
মাংস খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মাংসে খারাপ চর্বির পরিমাণ মাছ অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক ৭০ কেজি ওজনের পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি সারা দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম মাংস খেতে পারেন। তবে অন্য কোনো প্রোটিনের উৎস থাকলে মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে। বেশি মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, পাইলস, ফিসার, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
মিষ্টি
ভালো থাকার টিপস
মো. ইকবাল হোসেন, পুষ্টিবিদ, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
পুরো রমজান মাস আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার আমরা খেয়ে থাকি। তাই এ সময় আমাদের পরিপাকতন্ত্র বেশ নাজুক থাকে। বিশেষ করে যাদের হৃৎপিণ্ডের অসুখ আছে, তাদের জন্য ঈদের দিনগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার যদি হৃৎপিণ্ডের অসুখ না-ও থাকে, যদি বয়স ৪০-এর বেশি হয়, ওজন বেশি কিংবা রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে, ধূমপানের অভ্যাস থাকে অথবা হৃদ্রোগের বংশগত ইতিহাস থাকে, তাহলেও আপনি হৃৎপিণ্ডের অসুখের ঝুঁকিতে আছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকেও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
হৃৎপিণ্ডের রোগীর জন্য সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে তেল-চর্বিজাতীয় খাবার। এগুলো রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এই চাপ দুর্বল হৃৎপিণ্ডকে আরও দুর্বল করে দেয়। এ ক্ষেত্রে হার্ট ফেইলিউরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঈদের দিনেও নিয়ম মেনেই খাবার খেতে হবে।
বিধি ও নিষেধ
গরু ও খাসির মাংস না খাওয়া উত্তম। চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে। গরু বা খাসির মাংসের গায়ে যে সাদা চর্বি লেগে থাকে, সেটা বাদ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। কলিজা, মগজ, পায়া বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাবেন না। এসব উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার হার্টের জটিলতা বাড়াবে।
লবণে সতর্ক থাকুন
হার্টের রোগীদের জন্য খারাপ উপাদান হচ্ছে লবণ। তাই রান্নায় লবণের ব্যবহার কমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পানি যোগ হয়। অর্থাৎ, পানিসহ রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হার্টকে আরও জোরে জোরে পাম্প করতে হবে। এতে হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে এবং অসুখ আরও বেড়ে যাবে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। হার্টের রোগীর জন্য সেটা ৩ থেকে ৪ গ্রাম।
মাংস খেতে হবে পরিমিত
মাংস খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মাংসে খারাপ চর্বির পরিমাণ মাছ অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক ৭০ কেজি ওজনের পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি সারা দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম মাংস খেতে পারেন। তবে অন্য কোনো প্রোটিনের উৎস থাকলে মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে। বেশি মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, পাইলস, ফিসার, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
মিষ্টি
ভালো থাকার টিপস
মো. ইকবাল হোসেন, পুষ্টিবিদ, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
৫ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে