নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত। প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ সীমিত। জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতা নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের দংশনকে বৈশ্বিকভাবে অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ২৪৪ জন সাপের দংশনের শিকার হয় এবং এতে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যু না হলেও সাপের দংশনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ১১ শতাংশ বিষক্রিয়াজনিত পক্ষাঘাতে ভোগে। বছরে আড়াই হাজার গরুরও মৃত্যু হয় সাপের দংশনে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও একটি চাপ।
পেশাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপের দংশনের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন গৃহবধূরা। তাঁরা মোট আক্রান্তের ৩২ শতাংশ। এরপর রয়েছে কৃষিশ্রমিক ২৬ শতাংশ ও শিক্ষার্থী ১৯ শতাংশ। বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নানা প্রচারণার পরও চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ ভুক্তভোগী এখনো ওঝার কাছে যায়। মাত্র ৩৫ শতাংশ যায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবাদাতার কাছে। ওঝার অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রায়ই কাজে আসে না। এটি মৃত্যুহার ও স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়িয়ে দেয়।
ডব্লিউএইচওর হিসাবে, বছরে বিশ্বে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মারা যায়। এশিয়ায় আক্রান্ত হয় প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যার প্রায় তিন গুণ মানুষ স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা বা অঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়। সময়মতো সুচিকিৎসা না পেলে বিষধর সাপের দংশন পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস), রক্তপাতজনিত জটিলতা এবং কিডনি ও টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে।
দেশজুড়ে সাপের দংশন ও চিকিৎসার চিত্র
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের শুরু থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়েছিল। আর এতে মারা গেছে ৩০ জন। এর মধ্যে ১০ জন চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) এবং বাকিরা কালাচ, কেউটে ও গোখরা সাপের দংশনের শিকার হয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশেষায়িত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছে ৭ জন।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাপের দংশনের ঘটনা ঘটে খুলনা বিভাগে; প্রতি লাখে ৬১৬ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ, যেখানে প্রতি লাখে ৪২৯ জন সাপের দংশনের শিকার হয়। সারা দেশের ২৬টি জেলার সরকারি হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ওই সব এলাকায় সাড়ে ৯ হাজার সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় অংশ বিষধর সাপের দংশনের শিকার। গত মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৭ রোগীর শরীরে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাপে কাটা রোগীর শরীরে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট, কিডনি বিকল হওয়া, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা, হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা এবং অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে আইসিইউ, অক্সিজেন এবং ডায়ালাইসিস সুবিধা থাকা প্রয়োজন।
প্রতিষেধক ও তার কার্যকারিতা
বাংলাদেশের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮২ প্রজাতির সাপের মধ্যে ২৮টি বিষধর। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রকুইস্টে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। এতে বলা হয়েছে, সাপের ধরনভেদে অ্যান্টিভেনমের পরিমাণ ও প্রয়োগও ভিন্ন। যেমন গোখরার কামড়ে ১০০-২০০ মিলিলিটার এবং চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে ১০০-৮০০ মিলিলিটার।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রয়োগ করা অ্যান্টিভেনম কার্যকর হচ্ছে শুধু চন্দ্রবোড়া, গোখরা ও ক্রেইটজাতীয় সাপের বিষের বিরুদ্ধে। সামুদ্রিক সাপ, গ্রিন পিট ভাইপার, বিরলজাতের ক্রেইটসহ অন্য কিছু বিষধর সাপের দংশনে এটি অকার্যকর। বাংলাদেশে গোখরার তিনটি এবং ক্রেইটের পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে গ্রিন পিট ভাইপারের বিষের প্রতিষেধক খুবই জরুরি। এটা কাছাকাছি দেশের মধ্যে থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। তবে সেটা আমদানির অনুমতি নেই। অন্যদিকে সামুদ্রিক সব সাপের বিষ মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও দেশে এর প্রতিষেধক পাওয়া যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপের একক প্রজাতির জন্য মনোভ্যালেন্ট এবং দুই বা ততোধিক প্রজাতির জন্য পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যবহৃত পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম সব বিষধর সাপের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর নয়। এ জন্য স্থানীয় সাপের বিষের ভিত্তিতে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা অপরিহার্য। সার্বিকভাবে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় সাপের দংশনের বিষক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে অপর্যাপ্ত বলে মূল্যায়ন করেছে ডব্লিউএইচও।
অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতার সংকট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর অ্যান্টিভেনমের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। দেশে এ প্রতিষেধক বাজারজাত করে একটিমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। তাদের আমদানি করা অ্যান্টিভেনম ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত। ভারত থেকে বাল্ক পরিমাণে তরল আমদানি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি ভায়ালে ভরে বাজারজাত করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারি কার্যক্রমের কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) বিদ্যমান না থাকায় এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোকে নিজ উদ্যোগে কিনতে বলা হয়েছে। বিষধর সাপের দংশনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বছরে ১০ থেকে ২০ লাখ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের প্রয়োজন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্টিভেনম উৎপাদন করেছিল। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) নতুন কারখানায় অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
অ্যান্টিভেনমের অসম প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে ডা. ফায়েজ বলেন, চিকিৎসা খাতে সাপের দংশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যও আংশিক। কোথায় কত মানুষ সাপের দংশনে মারা যাচ্ছে, তা পূর্ণাঙ্গভাবে জানা নেই। ফলে অ্যান্টিভেনম সমানভাবে বিতরণ করা হয় না। আর আমদানিনির্ভরতা, বরাদ্দ ও দামে সংকট সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে। উচ্চ আদালত গত আগস্টে উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেন। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর দুই মাস পেরোলেও অনেক এলাকায় এখনো অ্যান্টিভেনম পাওয়া যাচ্ছে না বা খুব কম মজুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘অ্যান্টিভেনমের সংকট একেবারে নেই, তা বলা ঠিক হবে না। যেখানে ঘাটতি আছে, সেখানকার হাসপাতালকে পাশের উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যে ওষুধ প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা উৎপাদন বাড়াচ্ছে। দু-তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে দেশীয় অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেখানে ইতিমধ্যে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘সেন্টারের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে আগামী তিন বছর অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে একটা ফল পাওয়া যাবে। এরপর উৎপাদনে যেতে ইডিসিএলের হয়তো আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত। প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ সীমিত। জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতা নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের দংশনকে বৈশ্বিকভাবে অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ২৪৪ জন সাপের দংশনের শিকার হয় এবং এতে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যু না হলেও সাপের দংশনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ১১ শতাংশ বিষক্রিয়াজনিত পক্ষাঘাতে ভোগে। বছরে আড়াই হাজার গরুরও মৃত্যু হয় সাপের দংশনে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও একটি চাপ।
পেশাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপের দংশনের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন গৃহবধূরা। তাঁরা মোট আক্রান্তের ৩২ শতাংশ। এরপর রয়েছে কৃষিশ্রমিক ২৬ শতাংশ ও শিক্ষার্থী ১৯ শতাংশ। বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নানা প্রচারণার পরও চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ ভুক্তভোগী এখনো ওঝার কাছে যায়। মাত্র ৩৫ শতাংশ যায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবাদাতার কাছে। ওঝার অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রায়ই কাজে আসে না। এটি মৃত্যুহার ও স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়িয়ে দেয়।
ডব্লিউএইচওর হিসাবে, বছরে বিশ্বে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মারা যায়। এশিয়ায় আক্রান্ত হয় প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যার প্রায় তিন গুণ মানুষ স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা বা অঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়। সময়মতো সুচিকিৎসা না পেলে বিষধর সাপের দংশন পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস), রক্তপাতজনিত জটিলতা এবং কিডনি ও টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে।
দেশজুড়ে সাপের দংশন ও চিকিৎসার চিত্র
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের শুরু থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়েছিল। আর এতে মারা গেছে ৩০ জন। এর মধ্যে ১০ জন চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) এবং বাকিরা কালাচ, কেউটে ও গোখরা সাপের দংশনের শিকার হয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশেষায়িত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছে ৭ জন।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাপের দংশনের ঘটনা ঘটে খুলনা বিভাগে; প্রতি লাখে ৬১৬ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ, যেখানে প্রতি লাখে ৪২৯ জন সাপের দংশনের শিকার হয়। সারা দেশের ২৬টি জেলার সরকারি হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ওই সব এলাকায় সাড়ে ৯ হাজার সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় অংশ বিষধর সাপের দংশনের শিকার। গত মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৭ রোগীর শরীরে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাপে কাটা রোগীর শরীরে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট, কিডনি বিকল হওয়া, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা, হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা এবং অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে আইসিইউ, অক্সিজেন এবং ডায়ালাইসিস সুবিধা থাকা প্রয়োজন।
প্রতিষেধক ও তার কার্যকারিতা
বাংলাদেশের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮২ প্রজাতির সাপের মধ্যে ২৮টি বিষধর। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রকুইস্টে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। এতে বলা হয়েছে, সাপের ধরনভেদে অ্যান্টিভেনমের পরিমাণ ও প্রয়োগও ভিন্ন। যেমন গোখরার কামড়ে ১০০-২০০ মিলিলিটার এবং চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে ১০০-৮০০ মিলিলিটার।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রয়োগ করা অ্যান্টিভেনম কার্যকর হচ্ছে শুধু চন্দ্রবোড়া, গোখরা ও ক্রেইটজাতীয় সাপের বিষের বিরুদ্ধে। সামুদ্রিক সাপ, গ্রিন পিট ভাইপার, বিরলজাতের ক্রেইটসহ অন্য কিছু বিষধর সাপের দংশনে এটি অকার্যকর। বাংলাদেশে গোখরার তিনটি এবং ক্রেইটের পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে গ্রিন পিট ভাইপারের বিষের প্রতিষেধক খুবই জরুরি। এটা কাছাকাছি দেশের মধ্যে থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। তবে সেটা আমদানির অনুমতি নেই। অন্যদিকে সামুদ্রিক সব সাপের বিষ মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও দেশে এর প্রতিষেধক পাওয়া যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপের একক প্রজাতির জন্য মনোভ্যালেন্ট এবং দুই বা ততোধিক প্রজাতির জন্য পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যবহৃত পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম সব বিষধর সাপের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর নয়। এ জন্য স্থানীয় সাপের বিষের ভিত্তিতে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা অপরিহার্য। সার্বিকভাবে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় সাপের দংশনের বিষক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে অপর্যাপ্ত বলে মূল্যায়ন করেছে ডব্লিউএইচও।
অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতার সংকট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর অ্যান্টিভেনমের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। দেশে এ প্রতিষেধক বাজারজাত করে একটিমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। তাদের আমদানি করা অ্যান্টিভেনম ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত। ভারত থেকে বাল্ক পরিমাণে তরল আমদানি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি ভায়ালে ভরে বাজারজাত করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারি কার্যক্রমের কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) বিদ্যমান না থাকায় এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোকে নিজ উদ্যোগে কিনতে বলা হয়েছে। বিষধর সাপের দংশনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বছরে ১০ থেকে ২০ লাখ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের প্রয়োজন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্টিভেনম উৎপাদন করেছিল। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) নতুন কারখানায় অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
অ্যান্টিভেনমের অসম প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে ডা. ফায়েজ বলেন, চিকিৎসা খাতে সাপের দংশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যও আংশিক। কোথায় কত মানুষ সাপের দংশনে মারা যাচ্ছে, তা পূর্ণাঙ্গভাবে জানা নেই। ফলে অ্যান্টিভেনম সমানভাবে বিতরণ করা হয় না। আর আমদানিনির্ভরতা, বরাদ্দ ও দামে সংকট সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে। উচ্চ আদালত গত আগস্টে উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেন। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর দুই মাস পেরোলেও অনেক এলাকায় এখনো অ্যান্টিভেনম পাওয়া যাচ্ছে না বা খুব কম মজুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘অ্যান্টিভেনমের সংকট একেবারে নেই, তা বলা ঠিক হবে না। যেখানে ঘাটতি আছে, সেখানকার হাসপাতালকে পাশের উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যে ওষুধ প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা উৎপাদন বাড়াচ্ছে। দু-তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে দেশীয় অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেখানে ইতিমধ্যে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘সেন্টারের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে আগামী তিন বছর অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে একটা ফল পাওয়া যাবে। এরপর উৎপাদনে যেতে ইডিসিএলের হয়তো আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।’

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
২০ দিন আগে
দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭১, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৯, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ৯০১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৩৮৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় বছরের এক ছেলেশিশু রয়েছে। অন্যরা সবাই নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৪৫, ৩৮ ও ৩০ বছর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭১, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৯, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ৯০১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৩৮৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় বছরের এক ছেলেশিশু রয়েছে। অন্যরা সবাই নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৪৫, ৩৮ ও ৩০ বছর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
২০ দিন আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
২০ দিন আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
২০ দিন আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২ দিন আগে