নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের সীমাবদ্ধতা ও নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি।
আজ শুক্রবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোলটেবিল আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিদ্যমান নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের বিরুদ্ধে টিকাদান-পরবর্তী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং নতুন সেরোটাইপ উদ্ভবজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. জাকিউল হাসান।
গবেষণায় চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেওয়া শিশুদের মধ্যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং এর সেরোটাইপ শনাক্ত করা হয়। যদিও ২০১৫ সাল থেকে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি এখন দেশের বিদ্যমান অধিকাংশ সেরোটাইপ থেকে শিশুদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিগত বছরগুলোতে পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কিছু নির্দিষ্ট সেরোটাইপজনিত অসুস্থতা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যমান সেরোটাইপের ধরন। সময়ের সঙ্গে সেরোটাইপের পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘নিউমোনিয়া এখনো শিশুদের মৃত্যুতে প্রধান কারণ। প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতীয় টিকাদান কৌশলে সহায়ক হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ও জাতীয় টিকাদান কারিগরি পরামর্শক দলের (নাইট্যাগ) সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশই তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অধিক কার্যকর নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শিশুদের নিউমোকক্কাল রোগের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিভি-১০ ভ্যাকসিন কার্যকর থাকলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে নিউমোকক্কাল সেরোটাইপের ধরন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। টিকাদানের ফলে পিসিভি-১০-এর লক্ষ্য সেরোটাইপ এখন কম দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশে পিসিভি-১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিভি-১৩ চালু ১৩০ দেশে, নতুন প্রজন্মের পিসিভি-১৫ ও পিসিভি-২০ যথাক্রমে ১৬ ও ৯ দেশে।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একমত হন, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন চালু করা বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক ও প্রমাণভিত্তিক, যা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য আরও টেকসই করবে।
ইপিআইয়ের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে পিসিভি-১০ থেকে পিসিভি-১৩-তে উন্নীতকরণের খরচ বাংলাদেশের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. ফারহাদ হুসাইন বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে পিসিভি টিকা হালনাগাদ করতে হবে।’
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর শক্তিশালী সার্ভেইল্যান্সের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘নতুন প্রমাণ ও বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাকসিন পর্যালোচনা ও হালনাগাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
নাইট্যাগ সদস্য ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের পিসিভি ভ্যাকসিনে উন্নীতকরণ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যয়-সাশ্রয় ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাইট্যাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ডা. জাকারিয়া বিন আমজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (ইমিউনাইজেশন) ও নাইট্যাগ সদস্য ডা. চিরঞ্জিত দাস, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সিনিয়র ইমিউনাইজেশন কনসালট্যান্ট ডা. শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩ দিন আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩ দিন আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
১৭ অক্টোবর ২০২৫
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩ দিন আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩ দিন আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক

শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক। শীতকালীন ক্লান্তি দূর করতে এবং ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতা থেকে বাঁচতে খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার। এটি সহজে হজম হয়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, খিচুড়ির প্রতিটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা চাল থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত শর্করা ও শক্তি। ডাল জোগায় প্রোটিন ও আঁশ, যা হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ঘি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক। হলুদে থাকা কারকিউমিন ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং আদা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর উষ্ণ রাখে। খিচুড়িতে সবজি যোগ করলে আঁশের মাত্রা বাড়ে। গোলমরিচ ও জিরার মতো মসলা বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। এ ছাড়া সাবুদানার খিচুড়ি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কার্যকর।

চাল ও মুগ ডালের মিশেলে তৈরি এই খিচুড়ি যেমন সহজপাচ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর বিশেষত্বের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে মসলায়। একেবারে হলুদ, লবণ, জিরা অথবা ধনেগুঁড়ার মতো সাধারণ কিছু মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়। এটা রান্নার সময় মুগ ডালের সঙ্গে চালও ভেজে নিতে পারেন। এতে মুগ ডালের একটা ভিন্ন গন্ধ পাওয়া যাবে। হলুদের পরিবর্তে এতে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ মুগডাল।
উপকারিতা: শরীর উষ্ণ রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়।

গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, আলু, টমেটো ইত্যাদি শীতের সবজি দিয়ে তৈরি রান্না করা সবজি খিচুড়ি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এর সঙ্গে শীতে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব শাক ও সবজি যোগ করতে হবে। সবজিগুলো ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
যে সবজিগুলো সেদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়, সেগুলো আগে ভেজে নিন অথবা প্রেশার কুকারে দিন। এরপর তেল বা ঘিতে জিরা, তেজপাতা ও অন্যান্য মসলা দিয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভাজার পর সবজিগুলো হালকা ভেজে নিন। ভেজে রাখা সবজি, চাল, ডাল ও পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে বা হাঁড়িতে রান্না করুন। নরম খিচুড়ি চাইলে পানি বেশি দিতে পারেন। শেষ মুহূর্তে পালংসহ অন্য নরম শাক এতে যোগ করতে পারেন।
উপকারিতা: এটি অন্যান্য উপকারের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

ঠান্ডা পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এই খিচুড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাল, মাষকলাইয়ের ডাল এবং তিল এর প্রধান উপকরণ। রান্নার আগে চাল ও ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। তিল হালকা ভেজে গুঁড়া করে নেওয়া হয়। তিল থেকে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি ও খনিজ উপাদান শীতের দিনে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জিরা, হিং, হলুদ এবং লাল মরিচ গুঁড়ার সুগন্ধি মিশ্রণ এতে অনন্য স্বাদ যোগ করে। খাঁটি ঘি অথবা তেল-মসলার ফোড়ন দিয়ে এটি রান্না করা হয়। প্রোটিন, চর্বি এবং মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাবার শীত জয়ের এক অমোঘ হাতিয়ার হতে পারে।
উপকারিতা: এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

সচরাচর খাওয়া হয় এমন কোনো খিচুড়ি খেতে না চাইলে রান্না করতে পারেন আমলকী খিচুড়ি। এটি কোনো সাধারণ খাবার নয়। এ খিচুড়ি রান্না করা হয় চাল, খোসা ছাড়ানো কালো মাষকলাইয়ের ডাল এবং তাজা আমলকী দিয়ে। নরম ধরনের এ খিচুড়ির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে রান্নায় জিরা, হিং, হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো এতে রাজকীয় স্বাদ যোগ করবে। সবশেষে ঘি বা তেলের সুগন্ধি ফোড়ন এই খিচুড়িকে করে তোলে আরও সুস্বাদু। কেউ চাইলে এই খিচুড়ির পুষ্টিমান আরও বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক সবজি যোগ করতে পারেন। শীতের এই উৎসবের দিনগুলোতে শরীর সতেজ রাখতে এবং রসনা তৃপ্তিতে আমলকী খিচুড়ি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
উপকারিতা: এটি শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া শরীর ডিটক্সে সহায়তা করে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়, গ্যাস্ট্রিক কমায়, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক। শীতকালীন ক্লান্তি দূর করতে এবং ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতা থেকে বাঁচতে খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার। এটি সহজে হজম হয়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, খিচুড়ির প্রতিটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা চাল থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত শর্করা ও শক্তি। ডাল জোগায় প্রোটিন ও আঁশ, যা হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ঘি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক। হলুদে থাকা কারকিউমিন ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং আদা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর উষ্ণ রাখে। খিচুড়িতে সবজি যোগ করলে আঁশের মাত্রা বাড়ে। গোলমরিচ ও জিরার মতো মসলা বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। এ ছাড়া সাবুদানার খিচুড়ি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কার্যকর।

চাল ও মুগ ডালের মিশেলে তৈরি এই খিচুড়ি যেমন সহজপাচ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর বিশেষত্বের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে মসলায়। একেবারে হলুদ, লবণ, জিরা অথবা ধনেগুঁড়ার মতো সাধারণ কিছু মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়। এটা রান্নার সময় মুগ ডালের সঙ্গে চালও ভেজে নিতে পারেন। এতে মুগ ডালের একটা ভিন্ন গন্ধ পাওয়া যাবে। হলুদের পরিবর্তে এতে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ মুগডাল।
উপকারিতা: শরীর উষ্ণ রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়।

গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, আলু, টমেটো ইত্যাদি শীতের সবজি দিয়ে তৈরি রান্না করা সবজি খিচুড়ি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এর সঙ্গে শীতে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব শাক ও সবজি যোগ করতে হবে। সবজিগুলো ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
যে সবজিগুলো সেদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়, সেগুলো আগে ভেজে নিন অথবা প্রেশার কুকারে দিন। এরপর তেল বা ঘিতে জিরা, তেজপাতা ও অন্যান্য মসলা দিয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভাজার পর সবজিগুলো হালকা ভেজে নিন। ভেজে রাখা সবজি, চাল, ডাল ও পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে বা হাঁড়িতে রান্না করুন। নরম খিচুড়ি চাইলে পানি বেশি দিতে পারেন। শেষ মুহূর্তে পালংসহ অন্য নরম শাক এতে যোগ করতে পারেন।
উপকারিতা: এটি অন্যান্য উপকারের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

ঠান্ডা পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এই খিচুড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাল, মাষকলাইয়ের ডাল এবং তিল এর প্রধান উপকরণ। রান্নার আগে চাল ও ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। তিল হালকা ভেজে গুঁড়া করে নেওয়া হয়। তিল থেকে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি ও খনিজ উপাদান শীতের দিনে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জিরা, হিং, হলুদ এবং লাল মরিচ গুঁড়ার সুগন্ধি মিশ্রণ এতে অনন্য স্বাদ যোগ করে। খাঁটি ঘি অথবা তেল-মসলার ফোড়ন দিয়ে এটি রান্না করা হয়। প্রোটিন, চর্বি এবং মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাবার শীত জয়ের এক অমোঘ হাতিয়ার হতে পারে।
উপকারিতা: এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

সচরাচর খাওয়া হয় এমন কোনো খিচুড়ি খেতে না চাইলে রান্না করতে পারেন আমলকী খিচুড়ি। এটি কোনো সাধারণ খাবার নয়। এ খিচুড়ি রান্না করা হয় চাল, খোসা ছাড়ানো কালো মাষকলাইয়ের ডাল এবং তাজা আমলকী দিয়ে। নরম ধরনের এ খিচুড়ির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে রান্নায় জিরা, হিং, হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো এতে রাজকীয় স্বাদ যোগ করবে। সবশেষে ঘি বা তেলের সুগন্ধি ফোড়ন এই খিচুড়িকে করে তোলে আরও সুস্বাদু। কেউ চাইলে এই খিচুড়ির পুষ্টিমান আরও বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক সবজি যোগ করতে পারেন। শীতের এই উৎসবের দিনগুলোতে শরীর সতেজ রাখতে এবং রসনা তৃপ্তিতে আমলকী খিচুড়ি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
উপকারিতা: এটি শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া শরীর ডিটক্সে সহায়তা করে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়, গ্যাস্ট্রিক কমায়, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
১৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩ দিন আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪ দিন আগেআলমগীর আলম

তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
১. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: বদহজমের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতা দারুণ মুক্তি দিতে পারে। অন্যদিকে, লবঙ্গ এনজাইম নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
২. ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে: আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ বা ফোলা ভাব রোধে তেজপাতা ও লবঙ্গ লড়তে সাহায্য করে।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর সঙ্গে তেজপাতা যুক্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়, যা বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লু মৌসুমে সুরক্ষা দেয়।
৪. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে: এই চা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে হৃদ্রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে পায়।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: লবঙ্গ তেল দাঁতের জন্য উপকারী হিসেবে স্বীকৃত। নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করলে মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
উপকরণ সংগ্রহ করা এবং এই চা তৈরি করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ—
উপকরণ: ৩-৪টি শুকনো তেজপাতা, ৫-৬টি আস্ত লবঙ্গ এবং ৪ কাপ পানি। স্বাদ বাড়াতে মধু বা লেবু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। তাতে তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ১৫ মিনিট মিশ্রণটি সেদ্ধ করার পর চুলা নিভিয়ে আরও ৫ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেজপাতা ও লবঙ্গ ফেলে দিয়ে পানি আলাদা করে নিন। স্বাদ অনুযায়ী মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এক কাপ এই চা-পান করা ভালো; বিশেষ করে খাবারের পর এটি পান করলে হজমশক্তি বাড়াতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
১. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: বদহজমের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতা দারুণ মুক্তি দিতে পারে। অন্যদিকে, লবঙ্গ এনজাইম নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
২. ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে: আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ বা ফোলা ভাব রোধে তেজপাতা ও লবঙ্গ লড়তে সাহায্য করে।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর সঙ্গে তেজপাতা যুক্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়, যা বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লু মৌসুমে সুরক্ষা দেয়।
৪. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে: এই চা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে হৃদ্রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে পায়।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: লবঙ্গ তেল দাঁতের জন্য উপকারী হিসেবে স্বীকৃত। নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করলে মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
উপকরণ সংগ্রহ করা এবং এই চা তৈরি করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ—
উপকরণ: ৩-৪টি শুকনো তেজপাতা, ৫-৬টি আস্ত লবঙ্গ এবং ৪ কাপ পানি। স্বাদ বাড়াতে মধু বা লেবু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। তাতে তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ১৫ মিনিট মিশ্রণটি সেদ্ধ করার পর চুলা নিভিয়ে আরও ৫ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেজপাতা ও লবঙ্গ ফেলে দিয়ে পানি আলাদা করে নিন। স্বাদ অনুযায়ী মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এক কাপ এই চা-পান করা ভালো; বিশেষ করে খাবারের পর এটি পান করলে হজমশক্তি বাড়াতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
১৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩ দিন আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

শিশুদের উন্নত সুরক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) চালু করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বর্তমান পিসিভি-১০ ভ্যাকসিনের
১৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩ দিন আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩ দিন আগে