মো. ইকবাল হোসেন

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দুধ সহজপ্রাপ্য না হওয়ার কারণে অনেকে নিয়মিত খেতে পারে না। ফলে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত সংরক্ষণ না করলে তরল দুধে কিছু অণুজীব জন্মায় বলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুধ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর দুধ সংরক্ষণের যুগান্তকারী ধারণাটি দেন ১৮৬৫ সালে। দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে খুব দ্রুত তা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করার সূত্র আবিষ্কার করেন তিনি। এই প্রক্রিয়াকে পাস্তুরিতকরণ বলা হয়। বর্তমানে গ্রহণযোগ্য আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি পদ্ধতি পাস্তুরিত করার একটি রূপ। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায় দুধ।
ইউএইচটি পদ্ধতিতে দুধ ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চার সেকেন্ড গরম করে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করার পর দ্রুত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয়। ৬টি স্তরে তৈরি বিশেষ প্যাকে প্যাকেজিং করা হয়। ফলে বাতাস, আর্দ্রতা ও সূর্যালোক এই ছয় স্তরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এটি নিশ্চিত করে যে যতক্ষণ প্যাকটি খোলা না হবে, ততক্ষণ দুধ নষ্ট হবে না।
ইউএইচটি দুধ প্রস্তুতের আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে রিকনস্টিটিউশন বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ। অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় এটি পাউডার দুধের সঙ্গে যথাযথ অনুপাতে পানির মিশ্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এটি উচ্চমানসম্পন্ন ও সাধারণ দুধের মতোই পুষ্টিকর। অতিসম্প্রতি বৈশ্বিক ডেইরি সমবায় আরলা ফুডস একই প্রক্রিয়ায় দেশে ‘ডানো রেডি’ ব্র্যান্ডের ইউএইচটি দুধ বাজারজাত করেছে।
প্যাকেট তরল দুধ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের মনেই একটি নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে যে তরল প্যাকেট দুধ প্রকৃত গরুর দুধের চেয়ে কম পুষ্টিমানসম্পন্ন এবং এতে ক্ষতিকর উপাদান থাকে। এ ধারণা ঠিক নয়। সঠিক সময় এবং তাপমাত্রা অনুসরণ করতে পারলে সাধারণ তরল দুধের মতোই ইউএইচটি দুধও নিরাপদ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন থাকে।
ইউএইচটি তরল দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয় অনুপাতে থাকে, তাই এটি স্বাস্থ্যকর। এ ধরনের তরল দুধ উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো এইচএসিসিপি মেনে চলা হয়। তাই এই পদ্ধতিতে দুধের মধ্যে কোনো অণুজীব প্রবেশের সুযোগ নেই। সহজ সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সহজ প্রাপ্যতার কারণে ইউএইচটি দুধের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুধের কিছু পুষ্টি উপাদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শুরুতে সেসব পুষ্টি উপাদান তরল দুধে ফর্টিফাইড করা হয়। ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষেও দুধের গুণাগুণ অটুট থাকে।

ইউএইচটি তরল দুধের সুবিধা
নিরাপদ
এইচএসিসিপি অনুসরণ করার কারণে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের কোনো সুযোগ নেই। তাই ইউএইচটি দুধ পানের জন্য নিরাপদ। হাসপাতালে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিদের দুধ ফুটিয়ে পান করানোর সুযোগ কম থাকে। সে ক্ষেত্রে ইউএইচটি দুধ তাদের জন্যও নিরাপদ।
সঠিক স্বাদ
এ ধরনের দুধের স্বাদ ও গন্ধ সাধারণ তরল দুধের মতো। এটি উৎপাদনের সময় খুবই অল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। অল্প কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা তাপমাত্রা প্রয়োগের আগেই ফর্টিফাইড করে নেওয়া হয়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সাধারণ তরল দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী
এই দুধ সংরক্ষণে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না। তবু প্যাকেট না খোলা অবস্থায় একটি শুকনো, ঠান্ডা ও পরিষ্কার জায়গায় ছয় মাস পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
সহজ প্রাপ্যতা
যেসব এলাকায় সরবরাহ কিংবা হিমায়ন (রেফ্রিজারেশন) বা পরিবহনের জন্য স্থানীয় তরল দুধ সহজলভ্য নয়, সেসব এলাকায় ইউএইচটি তরল দুধ খুব সহজে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফলে এর প্রাপ্যতা সহজ।
সহজ ব্যবহার
ইউএইচটি দুধের বড় সুবিধা হলো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্যাকেট খুলে নিরাপদে সরাসরি পান করা যায়। আলাদা করে ফোটানো বা গরম করার প্রয়োজন হয় না। ১৮ মাসের ওপরে সবার জন্য এই দুধ নিরাপদ। সরাসরি খাওয়া এবং দুধ দিয়ে তৈরি হয় এমন যেকোনো খাবারের জন্য ইউএইচটি দুধ সহজে ব্যবহার করা যায়। তবে কারও যদি আইবিএস বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তার জন্য এই দুধ পান করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দুধ সহজপ্রাপ্য না হওয়ার কারণে অনেকে নিয়মিত খেতে পারে না। ফলে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত সংরক্ষণ না করলে তরল দুধে কিছু অণুজীব জন্মায় বলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুধ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর দুধ সংরক্ষণের যুগান্তকারী ধারণাটি দেন ১৮৬৫ সালে। দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে খুব দ্রুত তা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করার সূত্র আবিষ্কার করেন তিনি। এই প্রক্রিয়াকে পাস্তুরিতকরণ বলা হয়। বর্তমানে গ্রহণযোগ্য আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি পদ্ধতি পাস্তুরিত করার একটি রূপ। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায় দুধ।
ইউএইচটি পদ্ধতিতে দুধ ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চার সেকেন্ড গরম করে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করার পর দ্রুত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয়। ৬টি স্তরে তৈরি বিশেষ প্যাকে প্যাকেজিং করা হয়। ফলে বাতাস, আর্দ্রতা ও সূর্যালোক এই ছয় স্তরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এটি নিশ্চিত করে যে যতক্ষণ প্যাকটি খোলা না হবে, ততক্ষণ দুধ নষ্ট হবে না।
ইউএইচটি দুধ প্রস্তুতের আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে রিকনস্টিটিউশন বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ। অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় এটি পাউডার দুধের সঙ্গে যথাযথ অনুপাতে পানির মিশ্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এটি উচ্চমানসম্পন্ন ও সাধারণ দুধের মতোই পুষ্টিকর। অতিসম্প্রতি বৈশ্বিক ডেইরি সমবায় আরলা ফুডস একই প্রক্রিয়ায় দেশে ‘ডানো রেডি’ ব্র্যান্ডের ইউএইচটি দুধ বাজারজাত করেছে।
প্যাকেট তরল দুধ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের মনেই একটি নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে যে তরল প্যাকেট দুধ প্রকৃত গরুর দুধের চেয়ে কম পুষ্টিমানসম্পন্ন এবং এতে ক্ষতিকর উপাদান থাকে। এ ধারণা ঠিক নয়। সঠিক সময় এবং তাপমাত্রা অনুসরণ করতে পারলে সাধারণ তরল দুধের মতোই ইউএইচটি দুধও নিরাপদ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন থাকে।
ইউএইচটি তরল দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয় অনুপাতে থাকে, তাই এটি স্বাস্থ্যকর। এ ধরনের তরল দুধ উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো এইচএসিসিপি মেনে চলা হয়। তাই এই পদ্ধতিতে দুধের মধ্যে কোনো অণুজীব প্রবেশের সুযোগ নেই। সহজ সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সহজ প্রাপ্যতার কারণে ইউএইচটি দুধের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুধের কিছু পুষ্টি উপাদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শুরুতে সেসব পুষ্টি উপাদান তরল দুধে ফর্টিফাইড করা হয়। ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষেও দুধের গুণাগুণ অটুট থাকে।

ইউএইচটি তরল দুধের সুবিধা
নিরাপদ
এইচএসিসিপি অনুসরণ করার কারণে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের কোনো সুযোগ নেই। তাই ইউএইচটি দুধ পানের জন্য নিরাপদ। হাসপাতালে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিদের দুধ ফুটিয়ে পান করানোর সুযোগ কম থাকে। সে ক্ষেত্রে ইউএইচটি দুধ তাদের জন্যও নিরাপদ।
সঠিক স্বাদ
এ ধরনের দুধের স্বাদ ও গন্ধ সাধারণ তরল দুধের মতো। এটি উৎপাদনের সময় খুবই অল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। অল্প কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা তাপমাত্রা প্রয়োগের আগেই ফর্টিফাইড করে নেওয়া হয়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সাধারণ তরল দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী
এই দুধ সংরক্ষণে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না। তবু প্যাকেট না খোলা অবস্থায় একটি শুকনো, ঠান্ডা ও পরিষ্কার জায়গায় ছয় মাস পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
সহজ প্রাপ্যতা
যেসব এলাকায় সরবরাহ কিংবা হিমায়ন (রেফ্রিজারেশন) বা পরিবহনের জন্য স্থানীয় তরল দুধ সহজলভ্য নয়, সেসব এলাকায় ইউএইচটি তরল দুধ খুব সহজে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফলে এর প্রাপ্যতা সহজ।
সহজ ব্যবহার
ইউএইচটি দুধের বড় সুবিধা হলো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্যাকেট খুলে নিরাপদে সরাসরি পান করা যায়। আলাদা করে ফোটানো বা গরম করার প্রয়োজন হয় না। ১৮ মাসের ওপরে সবার জন্য এই দুধ নিরাপদ। সরাসরি খাওয়া এবং দুধ দিয়ে তৈরি হয় এমন যেকোনো খাবারের জন্য ইউএইচটি দুধ সহজে ব্যবহার করা যায়। তবে কারও যদি আইবিএস বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তার জন্য এই দুধ পান করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
মো. ইকবাল হোসেন

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দুধ সহজপ্রাপ্য না হওয়ার কারণে অনেকে নিয়মিত খেতে পারে না। ফলে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত সংরক্ষণ না করলে তরল দুধে কিছু অণুজীব জন্মায় বলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুধ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর দুধ সংরক্ষণের যুগান্তকারী ধারণাটি দেন ১৮৬৫ সালে। দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে খুব দ্রুত তা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করার সূত্র আবিষ্কার করেন তিনি। এই প্রক্রিয়াকে পাস্তুরিতকরণ বলা হয়। বর্তমানে গ্রহণযোগ্য আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি পদ্ধতি পাস্তুরিত করার একটি রূপ। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায় দুধ।
ইউএইচটি পদ্ধতিতে দুধ ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চার সেকেন্ড গরম করে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করার পর দ্রুত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয়। ৬টি স্তরে তৈরি বিশেষ প্যাকে প্যাকেজিং করা হয়। ফলে বাতাস, আর্দ্রতা ও সূর্যালোক এই ছয় স্তরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এটি নিশ্চিত করে যে যতক্ষণ প্যাকটি খোলা না হবে, ততক্ষণ দুধ নষ্ট হবে না।
ইউএইচটি দুধ প্রস্তুতের আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে রিকনস্টিটিউশন বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ। অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় এটি পাউডার দুধের সঙ্গে যথাযথ অনুপাতে পানির মিশ্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এটি উচ্চমানসম্পন্ন ও সাধারণ দুধের মতোই পুষ্টিকর। অতিসম্প্রতি বৈশ্বিক ডেইরি সমবায় আরলা ফুডস একই প্রক্রিয়ায় দেশে ‘ডানো রেডি’ ব্র্যান্ডের ইউএইচটি দুধ বাজারজাত করেছে।
প্যাকেট তরল দুধ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের মনেই একটি নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে যে তরল প্যাকেট দুধ প্রকৃত গরুর দুধের চেয়ে কম পুষ্টিমানসম্পন্ন এবং এতে ক্ষতিকর উপাদান থাকে। এ ধারণা ঠিক নয়। সঠিক সময় এবং তাপমাত্রা অনুসরণ করতে পারলে সাধারণ তরল দুধের মতোই ইউএইচটি দুধও নিরাপদ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন থাকে।
ইউএইচটি তরল দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয় অনুপাতে থাকে, তাই এটি স্বাস্থ্যকর। এ ধরনের তরল দুধ উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো এইচএসিসিপি মেনে চলা হয়। তাই এই পদ্ধতিতে দুধের মধ্যে কোনো অণুজীব প্রবেশের সুযোগ নেই। সহজ সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সহজ প্রাপ্যতার কারণে ইউএইচটি দুধের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুধের কিছু পুষ্টি উপাদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শুরুতে সেসব পুষ্টি উপাদান তরল দুধে ফর্টিফাইড করা হয়। ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষেও দুধের গুণাগুণ অটুট থাকে।

ইউএইচটি তরল দুধের সুবিধা
নিরাপদ
এইচএসিসিপি অনুসরণ করার কারণে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের কোনো সুযোগ নেই। তাই ইউএইচটি দুধ পানের জন্য নিরাপদ। হাসপাতালে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিদের দুধ ফুটিয়ে পান করানোর সুযোগ কম থাকে। সে ক্ষেত্রে ইউএইচটি দুধ তাদের জন্যও নিরাপদ।
সঠিক স্বাদ
এ ধরনের দুধের স্বাদ ও গন্ধ সাধারণ তরল দুধের মতো। এটি উৎপাদনের সময় খুবই অল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। অল্প কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা তাপমাত্রা প্রয়োগের আগেই ফর্টিফাইড করে নেওয়া হয়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সাধারণ তরল দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী
এই দুধ সংরক্ষণে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না। তবু প্যাকেট না খোলা অবস্থায় একটি শুকনো, ঠান্ডা ও পরিষ্কার জায়গায় ছয় মাস পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
সহজ প্রাপ্যতা
যেসব এলাকায় সরবরাহ কিংবা হিমায়ন (রেফ্রিজারেশন) বা পরিবহনের জন্য স্থানীয় তরল দুধ সহজলভ্য নয়, সেসব এলাকায় ইউএইচটি তরল দুধ খুব সহজে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফলে এর প্রাপ্যতা সহজ।
সহজ ব্যবহার
ইউএইচটি দুধের বড় সুবিধা হলো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্যাকেট খুলে নিরাপদে সরাসরি পান করা যায়। আলাদা করে ফোটানো বা গরম করার প্রয়োজন হয় না। ১৮ মাসের ওপরে সবার জন্য এই দুধ নিরাপদ। সরাসরি খাওয়া এবং দুধ দিয়ে তৈরি হয় এমন যেকোনো খাবারের জন্য ইউএইচটি দুধ সহজে ব্যবহার করা যায়। তবে কারও যদি আইবিএস বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তার জন্য এই দুধ পান করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দুধ সহজপ্রাপ্য না হওয়ার কারণে অনেকে নিয়মিত খেতে পারে না। ফলে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত সংরক্ষণ না করলে তরল দুধে কিছু অণুজীব জন্মায় বলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুধ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর দুধ সংরক্ষণের যুগান্তকারী ধারণাটি দেন ১৮৬৫ সালে। দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে খুব দ্রুত তা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করার সূত্র আবিষ্কার করেন তিনি। এই প্রক্রিয়াকে পাস্তুরিতকরণ বলা হয়। বর্তমানে গ্রহণযোগ্য আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি পদ্ধতি পাস্তুরিত করার একটি রূপ। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায় দুধ।
ইউএইচটি পদ্ধতিতে দুধ ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চার সেকেন্ড গরম করে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করার পর দ্রুত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয়। ৬টি স্তরে তৈরি বিশেষ প্যাকে প্যাকেজিং করা হয়। ফলে বাতাস, আর্দ্রতা ও সূর্যালোক এই ছয় স্তরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এটি নিশ্চিত করে যে যতক্ষণ প্যাকটি খোলা না হবে, ততক্ষণ দুধ নষ্ট হবে না।
ইউএইচটি দুধ প্রস্তুতের আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে রিকনস্টিটিউশন বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ। অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় এটি পাউডার দুধের সঙ্গে যথাযথ অনুপাতে পানির মিশ্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এটি উচ্চমানসম্পন্ন ও সাধারণ দুধের মতোই পুষ্টিকর। অতিসম্প্রতি বৈশ্বিক ডেইরি সমবায় আরলা ফুডস একই প্রক্রিয়ায় দেশে ‘ডানো রেডি’ ব্র্যান্ডের ইউএইচটি দুধ বাজারজাত করেছে।
প্যাকেট তরল দুধ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের মনেই একটি নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে যে তরল প্যাকেট দুধ প্রকৃত গরুর দুধের চেয়ে কম পুষ্টিমানসম্পন্ন এবং এতে ক্ষতিকর উপাদান থাকে। এ ধারণা ঠিক নয়। সঠিক সময় এবং তাপমাত্রা অনুসরণ করতে পারলে সাধারণ তরল দুধের মতোই ইউএইচটি দুধও নিরাপদ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন থাকে।
ইউএইচটি তরল দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয় অনুপাতে থাকে, তাই এটি স্বাস্থ্যকর। এ ধরনের তরল দুধ উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো এইচএসিসিপি মেনে চলা হয়। তাই এই পদ্ধতিতে দুধের মধ্যে কোনো অণুজীব প্রবেশের সুযোগ নেই। সহজ সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সহজ প্রাপ্যতার কারণে ইউএইচটি দুধের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুধের কিছু পুষ্টি উপাদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শুরুতে সেসব পুষ্টি উপাদান তরল দুধে ফর্টিফাইড করা হয়। ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষেও দুধের গুণাগুণ অটুট থাকে।

ইউএইচটি তরল দুধের সুবিধা
নিরাপদ
এইচএসিসিপি অনুসরণ করার কারণে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের কোনো সুযোগ নেই। তাই ইউএইচটি দুধ পানের জন্য নিরাপদ। হাসপাতালে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিদের দুধ ফুটিয়ে পান করানোর সুযোগ কম থাকে। সে ক্ষেত্রে ইউএইচটি দুধ তাদের জন্যও নিরাপদ।
সঠিক স্বাদ
এ ধরনের দুধের স্বাদ ও গন্ধ সাধারণ তরল দুধের মতো। এটি উৎপাদনের সময় খুবই অল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। অল্প কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা তাপমাত্রা প্রয়োগের আগেই ফর্টিফাইড করে নেওয়া হয়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সাধারণ তরল দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী
এই দুধ সংরক্ষণে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না। তবু প্যাকেট না খোলা অবস্থায় একটি শুকনো, ঠান্ডা ও পরিষ্কার জায়গায় ছয় মাস পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
সহজ প্রাপ্যতা
যেসব এলাকায় সরবরাহ কিংবা হিমায়ন (রেফ্রিজারেশন) বা পরিবহনের জন্য স্থানীয় তরল দুধ সহজলভ্য নয়, সেসব এলাকায় ইউএইচটি তরল দুধ খুব সহজে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফলে এর প্রাপ্যতা সহজ।
সহজ ব্যবহার
ইউএইচটি দুধের বড় সুবিধা হলো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্যাকেট খুলে নিরাপদে সরাসরি পান করা যায়। আলাদা করে ফোটানো বা গরম করার প্রয়োজন হয় না। ১৮ মাসের ওপরে সবার জন্য এই দুধ নিরাপদ। সরাসরি খাওয়া এবং দুধ দিয়ে তৈরি হয় এমন যেকোনো খাবারের জন্য ইউএইচটি দুধ সহজে ব্যবহার করা যায়। তবে কারও যদি আইবিএস বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তার জন্য এই দুধ পান করা উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ মিনিট আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৮ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৮ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ মিনিট আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ মিনিট আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ মিনিট আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৮ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২০ ঘণ্টা আগে