Ajker Patrika

টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোধে কিটো ডায়েট কতটা কার্যকর

আব্দুর রহমান, ঢাকা
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোধে কিটো ডায়েট কতটা কার্যকর

বিশ্বজুড়ে আলোচিত রোগগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস একটি। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন জানিয়েছিল, বিশ্বে 
১৮ বছরের বেশি এমন অন্তত ৪৫ কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৪৫ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯ কোটি ৩০ লাখে।

ডায়াবেটিস হলো মানুষের পরিপাকতন্ত্রের এমন এক রোগ, যার ফলে রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে অনেক সময় হাইপারগ্লাইসেমিয়াও বলা হয়। সাধারণত শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে কিংবা কোনো ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ৪ শ্রেণির ডায়াবেটিস দেখা যায়; যেমন টাইপ-১, টাইপ-২, জেসটেশনাল ডায়াবেটিস মেলিটাস এবং স্পেসিফিক টাইপস অব ডায়াবেটিস।

এই ৪ শ্রেণির মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসই বেশি দেখা যায়। ২০১৭ সালে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে দেখানো হয়, বিশ্বে মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় টাইপ-২ ডায়াবেটিসে এবং সেটি মোট রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ।

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, কিডনি, হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার এমনকি অকালমৃত্যুসহ নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানুষের মানসিক অবস্থাও জটিল করে তোলে এই ডায়াবেটিস।

কার্যকর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় টাইপ-২ ডায়াবেটিস খুবই ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সেরা চিকিৎসাপদ্ধতি এই ডায়াবেটিস নির্মূল করতে পারে না। কেবল পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি করে রোগ বাড়ার গতি কিছুটা কমিয়ে দেয়।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৬ সালের এক গবেষণায় জানিয়েছিল, ওজন কমানো ও কম ক্যালরি গ্রহণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশকে বাধা দেয়। এ ছাড়া একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি, লো ক্যালরি ডায়েটস, লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট টাইপ-২ ডায়াবেটিস পরিস্থিতির উন্নতি করে। তাবে ডায়াবেটিস অনেক সময় প্রাণঘাতী হতে পারে। আবার লো ক্যালরি ডায়েটও স্বল্প সময়ের জন্য কার্যকর। দীর্ঘ মেয়াদে এই পদ্ধতি ব্যবহারে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে।

তাই মন্দের ভালো হিসেবে বর্তমানে চিকিৎসকেরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ হলো, ডায়াবেটিসের ধরন ও মাত্রা অনুসারে ব্যক্তিভেদে চিকিৎসাও ভিন্ন হওয়া উচিত।

লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট এমন এক ধরনের খাদ্যাভ্যাস, যেখানে ক্যালরির চেয়ে পুষ্টি উপাদানের দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়। গবেষকেরা বলছেন, এই পদ্ধতি দীর্ঘ মেয়াদে রক্তে লিপিড ও শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল করে এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয়।

গবেষকেরা মনে করেন, লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েটের চেয়েও কিটোজেনিক বা কিটো ডায়েট সবচেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা হিসেবে। তবে লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েটের ক্ষেত্রে যেখানে দৈনিক ১৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট দেওয়া হয়, সেখানে কিটো ডায়েটে দেওয়া হয় মাত্র ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এ ক্ষেত্রে রোগীকে প্রোটিন দেওয়া হয় মোট খাবারের পরিমাণের ২০ শতাংশ। আর বাকিটা আসে মূলত অন্যান্য খাবার বা শরীরে বিদ্যমান চর্বি থেকে।

সম্প্রতি সায়েন্স ডিরেক্ট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, কিটো ডায়েট মৃগী, টিউমার, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডায়াবেটিক চিকিৎসায় এতে বেশ সাফল্য এসেছে।

প্রথম দিকে যখন কিটো ডায়েটের 
প্রচলন শুরু হয়, তখন রোগীকে ৪:১ অনুপাতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান এই বিধিনিষেধ আরও শিথিল হয়েছে। বর্তমানে রোগীদের দৈনিক যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয়, তার ৭০ শতাংশই বিভিন্ন চর্বির উৎস থেকে গ্রহণ করতে বলা হয়। বিপরীতে মাত্র ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও ২০ শতাংশ প্রোটিন বা আমিষ খাবার খেতে বলা হয়। কিটো ডায়েটের বিভিন্ন ধরন থাকলেও সব ধরনের উদ্দেশ্য মূলত একটাই—শরীরে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ কমানো।  

কিটো ডায়েটের ফলে রোগীর ওজন কমে এবং এর ফলে রোগীর গ্লাইসেমিক সিস্টেম বা রক্তে শর্করার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে; পাশাপাশি হৃদ্‌রোগের আশঙ্কাও কমে আসে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

যেমন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে অনেক সময় রক্তে লিপিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গ্লুকোজ হজম ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়। ফলে হৃদ্‌রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে গবেষকেরা বলছেন, টানা দুই বছর এই ডায়েট ভালো ফল দেয়। তবু এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭১, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৯, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৯০১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৩৮৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় বছরের এক ছেলেশিশু রয়েছে। অন্যরা সবাই নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৪৫, ৩৮ ও ৩০ বছর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৬৯

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৭

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাড়ছে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ছে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত