ডা. গোলাম মোর্শেদ

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।
ডা. গোলাম মোর্শেদ

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ওষুধ খাওয়ার সময় ও ডোজে পরিবর্তন আনতে হয়। যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ওষুধ বাদ দেন, তাহলে তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্টের রোগীরা রোজার সময় দুপুরের ওষুধ কখন খাবেন, সেটি ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হার্টের যেসব ওষুধের কারণে প্রেশার কমে যায়, সেসব ওষুধের ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন রয়েছে। লিখেছেন ডা. গোলাম মোর্শেদ।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনে পানি ও খাবারদাবার খাওয়া যায় না, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সে জন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। কতটুকু কমাবেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যাঁরা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যাঁরা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা সাহ্রি ও ইফতারের পরে খাবেন। আর যাঁরা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তাঁরা দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ রাখতে পারেন। দুপুরের ডোজ বন্ধ করার কারণে যদি প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ওষুধ পরিবর্তন করে লং অ্যাক্টিং এক বেলা বা দুই বেলার আরেকটি ওষুধ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁদেরও পানি কমানোর ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধগুলো এই সময়ে কিন্তু কম লাগতে পারে। অথবা আগের ডোজে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা কিডনির রোগী, তাঁরা যদি রোজা পালন করতে চান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
হৃদ্রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যাঁরা হৃৎপিণ্ডের পানি কমানোর ওষুধ খান, তাঁরা সেটি খাবেন সাহ্রিতে। আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাবেন ইফতারের পরে। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পরে খাবেন। দুপুরবেলা হার্টের যে ওষুধ খেতেন, সেটি রাতে খাবেন। হার্টের যেসব ওষুধে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ সমন্বয় করতে হবে বা ডোজ কমাতে হবে।
যেসব হার্টের রোগীর অবস্থা ভালো নয়, অর্থাৎ স্ট্যাবল নয়, যেমন বুকে ব্যথা আছে কিংবা শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁরা রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন। তাঁরা যদি একান্তই রোজা পালন করতে চান, তাহলে রোজার দুই মাস আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সমন্বয় করে হার্টের অবস্থা ভালো করে নিতে হবে। তারপর আপনি রোজা পালন করতে পারবেন। যাঁদের এক মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা বুকে ব্যথা হয়েছে, তাঁরাও কিন্তু রোজা পালনের জন্য উপযুক্ত নন।
আবার যাঁদের হার্টের রিং লাগানো আছে বা বাইপাস করা আছে, তাঁরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, বুকে ব্যথা না হয়, শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাঁরা নিশ্চিন্তে রোজা পালন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার আগে সকালে যে ওষুধটি খেতেন, সেটি এখন খাবেন ইফতারের পরে। দুপুরের ওষুধটি খাবেন রাতের খাবারের পরে। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহ্রির সময়।
যাঁরা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সকালের ইনসুলিন ইফতারের পর নেবেন। মাত্রার কোনো পরিবর্তন করবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আর রাতের ইনসুলিন নিন সাহ্রির সময়। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে এবং সেটা আগের ডোজের অর্ধেক নেবেন। যাঁরা দিনে এক বেলা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর নিন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম ডোজে নিন।
এরপর সকাল ১০টার সময় সুগার মাপাবেন। সুগার খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহ্রিতে ডোজ আর একটু বাড়াবেন। রোজার কারণে সুগার নিল বা হাইপো হতে পারে। তাই বিকেল ৪টার সময় আরেকবার সুগার মাপাবেন। খুব কম হলে, অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
যেসব ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার খুব বেশি ওঠানামা করে, তাঁদের কিন্তু রোজা রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দিনের শেষভাগে যদি সুগার ৩-এর নিচে চলে যায়, তাহলে হাইপো হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আবার যদি সুগার ১৬-এর বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রোজার আগেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নেওয়া যে রোজা থাকতে পারবেন কি পারবেন না। নিয়ম হলো, রমজানের দুই মাস আগেই ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে এবং চিনির মাত্রা স্থির করে নিয়ে রোজা পালন করা।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না।
১০ এপ্রিল ২০২২
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না।
১০ এপ্রিল ২০২২
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না।
১০ এপ্রিল ২০২২
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলছে রোজা। এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো ওষুধ খাওয়া যায় না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হয় এবং ওষুধগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব হয় না।
১০ এপ্রিল ২০২২
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
১৯ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
২১ ঘণ্টা আগে