নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বব্যাপী চোখের যেসব মারাত্মক রোগ রয়েছে গ্লকোমা তার অন্যতম। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। গ্লকোমা এমন এক অন্ধত্ব যার কোনো প্রতিকার নেই। কিন্তু এ ধরনের অন্ধত্ব প্রতিরোধযোগ্য বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু এ রোগটির ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গ্লকোমা রোগীর কোনো পরিসংখ্যান সরকারের হাতে নেই। তবে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির (বিজিএস) তথ্যমতে, দেশে ২ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ গ্লকোমায় আক্রান্ত। তাঁদের অধিকাংশের বয়স পঁয়ত্রিশের বেশি।
আজ শনিবার বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহের শেষ দিনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফোর সিজন রেস্টুরেন্টে বিজিএস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্লকোমা এমন একটি রোগ, যা নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। এ জন্য একে ছাইচাপা তুসের আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গ্লকোমায় একবার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর সুস্থ হয় না। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে রোগীর ক্ষতি হয়ে যায়। তাই গ্লকোমাকে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে হবে। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পেলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।
এটি একটি বংশগত রোগ বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। দেশে এর পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ আছেন ৯০ জন। এ ছাড়া দেশের সব চক্ষু চিকিৎসকই গ্লকোমার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত।
অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমিক অব অফথালমোলজির (এপিএও) সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন বলেন, ‘ব্যথাসহ যে পরিমাণ রোগী আমাদের কাছে আসেন তার থেকে অধিক আসেন ব্যথা ছাড়া। আমরা সবাইকে পরামর্শ দিই, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী রোগী এলে তাঁদের স্নায়ু ও উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষার জন্য। তবে অনেক সময় এটি স্বাভাবিক থাকলেও গ্লকোমা হয়ে থাকে।’
অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এক সময় অল্প কয়েকজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। কিন্তু এখন অনেক চিকিৎসক আছেন। আমি আমার ছাত্রদের বলি তারা যেন সব রোগীর চোখের প্রেশার (স্বাভাবিক রোগের চাপ) মাপতে এবং চিকিৎসা নিতে। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করা গেলে রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে পারেন।’ এই রোগ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
দেশে কী পরিমাণ গ্লকোমার রোগী আছে এবং কীভাবে তাঁরা বাঁচেন তা নিয়ে গত ২০ বছরে মাঠ পর্যায়ে কোনো পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়নি বলে খেদ প্রকাশ করেন গ্লকোমা সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শেখ এমএ মান্নাফ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা জরিপ চালানো শুরু করেছি। যার কাজ এরই মধ্যে ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। দেশের ৪০টি জেলার ৬০টি উপজেলার ১৮০টি গ্রামের ১৪ হাজার রোগীর ওপর চলমান এই জরিপের ফল চলতি বছরের শেষের দিকে প্রকাশ করা যাবে বলে আশা করছি।’
অধ্যাপক শেখ মান্নাফ জানান, জরিপের খসড়া অনুযায়ী প্রতি একশ জনে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই অনেকের গ্লকোমা হয়ে থাকে। তবে শিশু ও কম বয়সীদের মধ্যে যাদের হয়, সেটি যাদের বংশগত।
ছানি পড়লে চোখের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে আসে, রোগী বুঝতে পারে। কিন্তু গ্লকোমার ক্ষেত্রে তেমনটা নয় বলে জানান এই চিকিৎসক। অধ্যাপক মান্নাফ বলেন, ‘এটি আসতে আসতে চেপে আসে। দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয় কিন্তু রোগী আগে থেকে বুঝতে পারেন না। ফলে গ্রামের পাশাপাশি শহরের এমনকি শিক্ষিতদের মধ্যেও অনেকে দেরিতে চিকিৎসকের কাছে আসেন।’
চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘গ্লকোমা একটি অন্ধত্ব রোগ, যা থেকে নিরাময় অসম্ভব। সুতরাং সময় থাকতে বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৩৫ থেকে চল্লিশের ওপরে তাঁরা একবার করে ডাক্তার দেখাবেন। সবার আগে নিজেদের সচেতন করতে পারলে পরিবারের পাশাপাশি এ থেকে দেশকেও বাঁচাতে পারব আমরা।’
বিশ্বব্যাপী চোখের যেসব মারাত্মক রোগ রয়েছে গ্লকোমা তার অন্যতম। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। গ্লকোমা এমন এক অন্ধত্ব যার কোনো প্রতিকার নেই। কিন্তু এ ধরনের অন্ধত্ব প্রতিরোধযোগ্য বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু এ রোগটির ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গ্লকোমা রোগীর কোনো পরিসংখ্যান সরকারের হাতে নেই। তবে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির (বিজিএস) তথ্যমতে, দেশে ২ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ গ্লকোমায় আক্রান্ত। তাঁদের অধিকাংশের বয়স পঁয়ত্রিশের বেশি।
আজ শনিবার বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহের শেষ দিনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফোর সিজন রেস্টুরেন্টে বিজিএস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্লকোমা এমন একটি রোগ, যা নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। এ জন্য একে ছাইচাপা তুসের আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গ্লকোমায় একবার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর সুস্থ হয় না। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে রোগীর ক্ষতি হয়ে যায়। তাই গ্লকোমাকে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে হবে। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পেলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।
এটি একটি বংশগত রোগ বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। দেশে এর পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ আছেন ৯০ জন। এ ছাড়া দেশের সব চক্ষু চিকিৎসকই গ্লকোমার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত।
অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমিক অব অফথালমোলজির (এপিএও) সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন বলেন, ‘ব্যথাসহ যে পরিমাণ রোগী আমাদের কাছে আসেন তার থেকে অধিক আসেন ব্যথা ছাড়া। আমরা সবাইকে পরামর্শ দিই, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী রোগী এলে তাঁদের স্নায়ু ও উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষার জন্য। তবে অনেক সময় এটি স্বাভাবিক থাকলেও গ্লকোমা হয়ে থাকে।’
অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এক সময় অল্প কয়েকজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। কিন্তু এখন অনেক চিকিৎসক আছেন। আমি আমার ছাত্রদের বলি তারা যেন সব রোগীর চোখের প্রেশার (স্বাভাবিক রোগের চাপ) মাপতে এবং চিকিৎসা নিতে। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করা গেলে রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে পারেন।’ এই রোগ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
দেশে কী পরিমাণ গ্লকোমার রোগী আছে এবং কীভাবে তাঁরা বাঁচেন তা নিয়ে গত ২০ বছরে মাঠ পর্যায়ে কোনো পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়নি বলে খেদ প্রকাশ করেন গ্লকোমা সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শেখ এমএ মান্নাফ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা জরিপ চালানো শুরু করেছি। যার কাজ এরই মধ্যে ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। দেশের ৪০টি জেলার ৬০টি উপজেলার ১৮০টি গ্রামের ১৪ হাজার রোগীর ওপর চলমান এই জরিপের ফল চলতি বছরের শেষের দিকে প্রকাশ করা যাবে বলে আশা করছি।’
অধ্যাপক শেখ মান্নাফ জানান, জরিপের খসড়া অনুযায়ী প্রতি একশ জনে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই অনেকের গ্লকোমা হয়ে থাকে। তবে শিশু ও কম বয়সীদের মধ্যে যাদের হয়, সেটি যাদের বংশগত।
ছানি পড়লে চোখের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে আসে, রোগী বুঝতে পারে। কিন্তু গ্লকোমার ক্ষেত্রে তেমনটা নয় বলে জানান এই চিকিৎসক। অধ্যাপক মান্নাফ বলেন, ‘এটি আসতে আসতে চেপে আসে। দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয় কিন্তু রোগী আগে থেকে বুঝতে পারেন না। ফলে গ্রামের পাশাপাশি শহরের এমনকি শিক্ষিতদের মধ্যেও অনেকে দেরিতে চিকিৎসকের কাছে আসেন।’
চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘গ্লকোমা একটি অন্ধত্ব রোগ, যা থেকে নিরাময় অসম্ভব। সুতরাং সময় থাকতে বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৩৫ থেকে চল্লিশের ওপরে তাঁরা একবার করে ডাক্তার দেখাবেন। সবার আগে নিজেদের সচেতন করতে পারলে পরিবারের পাশাপাশি এ থেকে দেশকেও বাঁচাতে পারব আমরা।’
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩২৯ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেমানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগে