
দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব রোগীর বড় অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যান। যা একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফল লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ১ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে সহযোগিতা করেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয়-সম্পর্কিত দাতা থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩) । তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তাঁর বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। শামীমার শরীর থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে তার ভাইয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার-সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহজনিত লিভারের শেষ অবস্থা, যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। সিরামিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায়, তখন এটাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়।
এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’। যার একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এ ছাড়া লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোনো একটি অংশে ক্যানসার (হেপাটোসেলুলার ক্যানসার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটির (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। বিএসএমএমইউতে একজন রোগীর লিভার প্রতিস্থাপনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগী প্রায় পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন। তবে একজন রোগীর ৪০ বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস রয়েছে। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিস্থাপন। ইতিপূর্বে আরও একটি প্রতিস্থাপন করা হলেও সেটি সফল হয়নি। প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগীকে এক বছর ফলোআপে থাকতে হয়। এমনকি এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠতে রোগীকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।’
প্রতিস্থাপনের প্রধান চিকিৎসক হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক মো. মোহছেন চৌধুরী বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি কর্মকাণ্ড। প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিতে হয়, অস্ত্রোপচারে সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা। প্রতি ১০০ দাতার মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ জনের লিভার গ্রহণ করা যায়।’
এ সময়ে লিভার প্রতিস্থাপন করা সেবাগ্রহীতা ও দাতা দুজনেই হাসপাতাল শয্যা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সুস্থ আছেন বলে জানান এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ এই ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব রোগীর বড় অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যান। যা একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফল লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ১ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে সহযোগিতা করেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয়-সম্পর্কিত দাতা থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩) । তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তাঁর বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। শামীমার শরীর থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে তার ভাইয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার-সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহজনিত লিভারের শেষ অবস্থা, যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। সিরামিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায়, তখন এটাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়।
এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’। যার একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এ ছাড়া লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোনো একটি অংশে ক্যানসার (হেপাটোসেলুলার ক্যানসার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটির (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। বিএসএমএমইউতে একজন রোগীর লিভার প্রতিস্থাপনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগী প্রায় পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন। তবে একজন রোগীর ৪০ বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস রয়েছে। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিস্থাপন। ইতিপূর্বে আরও একটি প্রতিস্থাপন করা হলেও সেটি সফল হয়নি। প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগীকে এক বছর ফলোআপে থাকতে হয়। এমনকি এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠতে রোগীকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।’
প্রতিস্থাপনের প্রধান চিকিৎসক হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক মো. মোহছেন চৌধুরী বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি কর্মকাণ্ড। প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিতে হয়, অস্ত্রোপচারে সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা। প্রতি ১০০ দাতার মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ জনের লিভার গ্রহণ করা যায়।’
এ সময়ে লিভার প্রতিস্থাপন করা সেবাগ্রহীতা ও দাতা দুজনেই হাসপাতাল শয্যা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সুস্থ আছেন বলে জানান এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ এই ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব রোগীর বড় অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যান। যা একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফল লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ১ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে সহযোগিতা করেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয়-সম্পর্কিত দাতা থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩) । তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তাঁর বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। শামীমার শরীর থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে তার ভাইয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার-সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহজনিত লিভারের শেষ অবস্থা, যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। সিরামিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায়, তখন এটাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়।
এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’। যার একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এ ছাড়া লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোনো একটি অংশে ক্যানসার (হেপাটোসেলুলার ক্যানসার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটির (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। বিএসএমএমইউতে একজন রোগীর লিভার প্রতিস্থাপনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগী প্রায় পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন। তবে একজন রোগীর ৪০ বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস রয়েছে। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিস্থাপন। ইতিপূর্বে আরও একটি প্রতিস্থাপন করা হলেও সেটি সফল হয়নি। প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগীকে এক বছর ফলোআপে থাকতে হয়। এমনকি এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠতে রোগীকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।’
প্রতিস্থাপনের প্রধান চিকিৎসক হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক মো. মোহছেন চৌধুরী বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি কর্মকাণ্ড। প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিতে হয়, অস্ত্রোপচারে সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা। প্রতি ১০০ দাতার মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ জনের লিভার গ্রহণ করা যায়।’
এ সময়ে লিভার প্রতিস্থাপন করা সেবাগ্রহীতা ও দাতা দুজনেই হাসপাতাল শয্যা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সুস্থ আছেন বলে জানান এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ এই ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব রোগীর বড় অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যান। যা একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফল লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ১ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে সহযোগিতা করেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয়-সম্পর্কিত দাতা থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩) । তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তাঁর বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। শামীমার শরীর থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে তার ভাইয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার-সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহজনিত লিভারের শেষ অবস্থা, যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়। সিরামিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায়, তখন এটাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়।
এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’। যার একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এ ছাড়া লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোনো একটি অংশে ক্যানসার (হেপাটোসেলুলার ক্যানসার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটির (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। বিএসএমএমইউতে একজন রোগীর লিভার প্রতিস্থাপনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগী প্রায় পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন। তবে একজন রোগীর ৪০ বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস রয়েছে। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিস্থাপন। ইতিপূর্বে আরও একটি প্রতিস্থাপন করা হলেও সেটি সফল হয়নি। প্রতিস্থাপনের পর একজন রোগীকে এক বছর ফলোআপে থাকতে হয়। এমনকি এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠতে রোগীকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।’
প্রতিস্থাপনের প্রধান চিকিৎসক হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিকিৎসক মো. মোহছেন চৌধুরী বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপন একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি কর্মকাণ্ড। প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিতে হয়, অস্ত্রোপচারে সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা। প্রতি ১০০ দাতার মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ জনের লিভার গ্রহণ করা যায়।’
এ সময়ে লিভার প্রতিস্থাপন করা সেবাগ্রহীতা ও দাতা দুজনেই হাসপাতাল শয্যা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সুস্থ আছেন বলে জানান এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ এই ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমে নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ল
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ল
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ল
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ টিকা নিয়ে থাকেন। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে হেপাটাইটিস ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগব্যাধি ও লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ল
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১০ ঘণ্টা আগে