জাকিয়া নাজনীন
একেক খাবারের গুণাগুণ একেক রকমের। কোনোটায় খনিজ বেশি তো, কোনোটা ভিটামিনে ভরপুর। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোয় ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান একসঙ্গে পাওয়া যায়। এসব খাবার শরীরে শক্তি জোগায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন ঠিক রাখে। যেগুলোয় একসঙ্গে সব উপকারিতা পাওয়া যায়, সেগুলোই সুপারফুড।
যেমন সুপারফুড হিসেবে ফ্লেক্সসিড সবার জন্যই কিন্তু ভালো। এতে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য খুবই উপকারী। এর আঁশ ক্যানসার বেড়ে উঠতে দেয় না।
আমাদের দেশে যেহেতু আমন্ডের দাম অনেক বেশি, তাই এর পরিবর্তে আমরা ফ্লেক্সসিড খেতে পারি। এটা পাওয়া যায় সহজে। তা ছাড়া ফ্লেক্সসিডের মধ্যকার ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী ভূমিকা রাখে।
মানসিক সুস্থতার জন্য যেসব খাবারে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি১২ ও জিংক রয়েছে, সেগুলো খাদ্যতালিকায় সংযুক্ত করা উচিত। পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে ফারমেন্টেড খাবার ভীষণ দরকার। টক দই ভালো ফারমেন্টেড খাবার। দুধ দিয়ে তৈরি হয় বলে এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, বি১২, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। মজাদার এই খাবার ক্ষুধা কমায়, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও হজমশক্তি।
এখন বাজারে বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। ভাঁপে সেদ্ধ বা ভাজা—যেভাবেই রাঁধুন না কেন, বাঁধাকপি আঁশ, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাব পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শীতকালের সুপারফুডের তালিকায় রয়েছে পালংশাক। এর মধ্যকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহনাশক ও ভিটামিন চোখ ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের রোজকার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে-র জোগান দিতে খাদ্যতালিকায় পালংশাক রাখতে পারেন। শীতের সেরা খাবারগুলোর মধ্যে বিট উল্লেখযোগ্য। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। বিটরুট চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
ফিটনেস ধরে রাখার জন্য এখন অনেকেই গ্রিন টির দিকে ঝুঁকছেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল উপাদানসমৃদ্ধ এই পানীয় শরীর থেকে ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটেকিন ও ক্যাফেইনসমৃদ্ধ গ্রিন টি ওজন কমাতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
যে খাবারটি সব সময় আমাদের হাতের নাগালে থাকে তা হচ্ছে ডিম। সুপারফুড হিসেবে অনন্য এটি। এ ছাড়া প্রোটিনের উৎস ডিম। একটি ডিমে পাওয়া যায় ৭০ ক্যালরি ও ৬ গ্রাম প্রোটিন। ডিম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভালো উৎস। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
লেখক: নিউট্রিশনিস্ট ও হোলিস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার
একেক খাবারের গুণাগুণ একেক রকমের। কোনোটায় খনিজ বেশি তো, কোনোটা ভিটামিনে ভরপুর। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোয় ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান একসঙ্গে পাওয়া যায়। এসব খাবার শরীরে শক্তি জোগায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন ঠিক রাখে। যেগুলোয় একসঙ্গে সব উপকারিতা পাওয়া যায়, সেগুলোই সুপারফুড।
যেমন সুপারফুড হিসেবে ফ্লেক্সসিড সবার জন্যই কিন্তু ভালো। এতে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য খুবই উপকারী। এর আঁশ ক্যানসার বেড়ে উঠতে দেয় না।
আমাদের দেশে যেহেতু আমন্ডের দাম অনেক বেশি, তাই এর পরিবর্তে আমরা ফ্লেক্সসিড খেতে পারি। এটা পাওয়া যায় সহজে। তা ছাড়া ফ্লেক্সসিডের মধ্যকার ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী ভূমিকা রাখে।
মানসিক সুস্থতার জন্য যেসব খাবারে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি১২ ও জিংক রয়েছে, সেগুলো খাদ্যতালিকায় সংযুক্ত করা উচিত। পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে ফারমেন্টেড খাবার ভীষণ দরকার। টক দই ভালো ফারমেন্টেড খাবার। দুধ দিয়ে তৈরি হয় বলে এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, বি১২, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। মজাদার এই খাবার ক্ষুধা কমায়, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও হজমশক্তি।
এখন বাজারে বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। ভাঁপে সেদ্ধ বা ভাজা—যেভাবেই রাঁধুন না কেন, বাঁধাকপি আঁশ, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাব পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শীতকালের সুপারফুডের তালিকায় রয়েছে পালংশাক। এর মধ্যকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহনাশক ও ভিটামিন চোখ ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের রোজকার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে-র জোগান দিতে খাদ্যতালিকায় পালংশাক রাখতে পারেন। শীতের সেরা খাবারগুলোর মধ্যে বিট উল্লেখযোগ্য। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। বিটরুট চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
ফিটনেস ধরে রাখার জন্য এখন অনেকেই গ্রিন টির দিকে ঝুঁকছেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল উপাদানসমৃদ্ধ এই পানীয় শরীর থেকে ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটেকিন ও ক্যাফেইনসমৃদ্ধ গ্রিন টি ওজন কমাতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
যে খাবারটি সব সময় আমাদের হাতের নাগালে থাকে তা হচ্ছে ডিম। সুপারফুড হিসেবে অনন্য এটি। এ ছাড়া প্রোটিনের উৎস ডিম। একটি ডিমে পাওয়া যায় ৭০ ক্যালরি ও ৬ গ্রাম প্রোটিন। ডিম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভালো উৎস। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
লেখক: নিউট্রিশনিস্ট ও হোলিস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২ দিন আগে