অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
আজ ১২ অক্টোবর, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অধ্যাদেশের দশ বছর! কতটুকু এগোলাম আমরা।’
এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো ভালোভাবে বাঁচা এবং ভালোভাবে মারা যাওয়ার মধ্যকার স্বাস্থ্যজনিত ভোগান্তিদূর করার চেষ্টা করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ প্যালিয়েটিভ কেয়ার পায়। প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় যে রোগ কোনো দিন ভালো হবে না এবং মানুষটি ধীরে ধীরে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে, সেই মানুষের রোগমুক্তি নয় বরং ভোগান্তি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর পরিবারের যত্নের বিজ্ঞানসম্মত উপাত্তনির্ভর চিকিৎসাব্যবস্থা হলো প্যালিয়েটিভ কেয়ার। এই উদ্যোগ নিরাময় অযোগ্য রোগী এবং তার পরিবারের জীবনের গুণগত মান বাড়ায়। প্রাথমিক পর্যায়ে জীবন সীমিতকারী রোগ শনাক্তকরণ, তা প্রতিরোধ ও ভোগান্তি কমানো এবং নিখুঁত বিশ্লেষণসহ ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক মনোসামাজিক এবং আত্মিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এসব সেবা রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এবং রোগীকে এই রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হোক বা না হোক, প্যালিয়েটিভ সেবা চলতে থাকে।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার কী কী করে
২০১৪ সালের ১৯ মের অধ্যাদেশ অনুসারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় গৃহসেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অন্তর্ভুক্তিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ডব্লিউএইচও রেজল্যুশন ৬৭.১৭ স্বাক্ষর করে ২০১৪ সালে। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এটি একটি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ১০ থেকে ১২টি বেসরকারি সংস্থা এই সেবা প্রদান করে, যেগুলোর বেশির ভাগ ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকারি হাসপাতালগুলোয় এ জন্য ১০০টির কম শয্যা বরাদ্দ আছে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে চিন্তার বিষয় হলো, ক্যানসার প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সব থেকে বড় রোগ ছিল একসময়। বর্তমানে ডিমেনশিয়া একে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি ৩ সেকেন্ডে পৃথিবীতে একজন মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রবীণ জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই সঙ্গে প্রাদুর্ভাব ঘটবে ডিমেনশিয়া রোগটির।
কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য খুবই জরুরি প্রয়োজন একটি সমন্বিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন।
ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে চিকিৎসাব্যবস্থায় আবদ্ধ না রেখে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া সদস্যসচিব, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ
আজ ১২ অক্টোবর, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অধ্যাদেশের দশ বছর! কতটুকু এগোলাম আমরা।’
এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো ভালোভাবে বাঁচা এবং ভালোভাবে মারা যাওয়ার মধ্যকার স্বাস্থ্যজনিত ভোগান্তিদূর করার চেষ্টা করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ প্যালিয়েটিভ কেয়ার পায়। প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় যে রোগ কোনো দিন ভালো হবে না এবং মানুষটি ধীরে ধীরে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে, সেই মানুষের রোগমুক্তি নয় বরং ভোগান্তি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর পরিবারের যত্নের বিজ্ঞানসম্মত উপাত্তনির্ভর চিকিৎসাব্যবস্থা হলো প্যালিয়েটিভ কেয়ার। এই উদ্যোগ নিরাময় অযোগ্য রোগী এবং তার পরিবারের জীবনের গুণগত মান বাড়ায়। প্রাথমিক পর্যায়ে জীবন সীমিতকারী রোগ শনাক্তকরণ, তা প্রতিরোধ ও ভোগান্তি কমানো এবং নিখুঁত বিশ্লেষণসহ ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক মনোসামাজিক এবং আত্মিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এসব সেবা রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এবং রোগীকে এই রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হোক বা না হোক, প্যালিয়েটিভ সেবা চলতে থাকে।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার কী কী করে
২০১৪ সালের ১৯ মের অধ্যাদেশ অনুসারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় গৃহসেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অন্তর্ভুক্তিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ডব্লিউএইচও রেজল্যুশন ৬৭.১৭ স্বাক্ষর করে ২০১৪ সালে। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এটি একটি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ১০ থেকে ১২টি বেসরকারি সংস্থা এই সেবা প্রদান করে, যেগুলোর বেশির ভাগ ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকারি হাসপাতালগুলোয় এ জন্য ১০০টির কম শয্যা বরাদ্দ আছে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে চিন্তার বিষয় হলো, ক্যানসার প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সব থেকে বড় রোগ ছিল একসময়। বর্তমানে ডিমেনশিয়া একে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি ৩ সেকেন্ডে পৃথিবীতে একজন মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রবীণ জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই সঙ্গে প্রাদুর্ভাব ঘটবে ডিমেনশিয়া রোগটির।
কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য খুবই জরুরি প্রয়োজন একটি সমন্বিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন।
ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে চিকিৎসাব্যবস্থায় আবদ্ধ না রেখে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া সদস্যসচিব, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো বিষণ্নতা। এই সমস্যার জন্য জিনগত ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় মুখের অণুজীব বৈচিত্র্য এবং বিষণ্নতার লক্ষণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। আর ঘন ঘন বা অতিরিক্ত মুখ পরিষ্কারের অভ্যাস এই অণুজীব বৈচিত্র্য নষ্ট করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেদেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
২১ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি তাদের ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বা ভিইউএম তালিকায় এনবি ১.৮.১ যুক্ত করেছে। এটি মূলত ওমিক্রন উপধরন, যা ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এনবি ১.৮.১ বেশ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির...
১ দিন আগে