বুক জ্বালাপোড়ার ওষুধ ‘জ্যান্টাক’ বাজারজাতের দায়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতকে ২২০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে যাচ্ছে। এই ওষুধ ক্যানসার সৃষ্টিকারী অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো মামলা রয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে কোম্পানিটি মার্কিন আদালতকে ২২০ কোটি ডলার জরিমানা দেবে বলে জানিয়েছে।
তবে জিএসকের বুক জ্বালাপোড়ার ওষুধ জ্যান্টাকের ওই ধরন এখন আর বাজারজাত করা হয় না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
জিএসকে ঘোষণা করেছে, তারা ১০টি মার্কিন আইন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে, যাদের প্রায় ৮০ হাজার বাদী আছে। যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৯৩ শতাংশ বাদীকেই জরিমানা দিয়ে মীমাংসা করতে হচ্ছে।
শুধু তা–ই নয়, জ্যান্টাকের ক্যানসার সৃষ্টিকারী ঝুঁকি গোপন করে মার্কিন সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো গুরুত্বর অভিযোগে আরও ৭০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। তবে জরিমানা দিতে রাজি হলেও জিএসকে কোনো ক্ষেত্রেই ভুল স্বীকার করেনি।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বিনিয়োগকারীদের বলেছে, জ্যান্টাক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়—এমন কোনো ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ বা নির্ভরযোগ্য প্রমাণ’ নেই। তবে এসব মীমাংসা বন্দোবস্ত ‘উল্লেখযোগ্য আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর করে’।
জ্যান্টাক প্রথম ১৯৮৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ওষুধ, যার বার্ষিক বিক্রয় ছিল এক বিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালে মার্কিন নিয়ন্ত্রকেরা জ্যান্টাকের বাজারজাত নিষিদ্ধ করেন। তাঁরা দেখতে পান, ওষুধটির মূল উপাদান ‘রেনিটিডিন’ এমন একটি পদার্থে পরিণত হতে পারে, যা তাপের সংস্পর্শে এলে ক্যানসার হতে পারে। এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরপরই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মামলা হয়।
গত বছর ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের চার ধরনের জ্যান্টাক রোগীদের না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়।
জিএসকে ছাড়াও ফাইজার, সানোফি, বোরিঙ্গার ইংলেইমের মতো অন্যান্য প্রধান ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাও বাজারজাত করেছে। এদের মধ্যে ফাইজার এবং সানোফি উভয়েই মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে। তবে বোরিঙ্গার ইংলেইম এখনো কোনো বড় বন্দোবস্ত ঘোষণা করেনি।
উল্লেখ্য, রেনিডিনবিহীন জ্যান্টাক-৩৬০ নামে একটি ওষুধ কোম্পানিটি এখনো বাজারজাত করছে।
ওষুধের পাশাপাশি হরলিকস, মালটোভা, বুস্ট ও সেনসোডাইন টুথপেস্টের মতো জনপ্রিয় পণ্যের উৎপাদক যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। ২০১৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে বাজার প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা করে ব্রিটেনের কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ)।
বুক জ্বালাপোড়ার ওষুধ ‘জ্যান্টাক’ বাজারজাতের দায়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতকে ২২০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে যাচ্ছে। এই ওষুধ ক্যানসার সৃষ্টিকারী অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো মামলা রয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে কোম্পানিটি মার্কিন আদালতকে ২২০ কোটি ডলার জরিমানা দেবে বলে জানিয়েছে।
তবে জিএসকের বুক জ্বালাপোড়ার ওষুধ জ্যান্টাকের ওই ধরন এখন আর বাজারজাত করা হয় না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
জিএসকে ঘোষণা করেছে, তারা ১০টি মার্কিন আইন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে, যাদের প্রায় ৮০ হাজার বাদী আছে। যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৯৩ শতাংশ বাদীকেই জরিমানা দিয়ে মীমাংসা করতে হচ্ছে।
শুধু তা–ই নয়, জ্যান্টাকের ক্যানসার সৃষ্টিকারী ঝুঁকি গোপন করে মার্কিন সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো গুরুত্বর অভিযোগে আরও ৭০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। তবে জরিমানা দিতে রাজি হলেও জিএসকে কোনো ক্ষেত্রেই ভুল স্বীকার করেনি।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বিনিয়োগকারীদের বলেছে, জ্যান্টাক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়—এমন কোনো ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ বা নির্ভরযোগ্য প্রমাণ’ নেই। তবে এসব মীমাংসা বন্দোবস্ত ‘উল্লেখযোগ্য আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর করে’।
জ্যান্টাক প্রথম ১৯৮৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ওষুধ, যার বার্ষিক বিক্রয় ছিল এক বিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালে মার্কিন নিয়ন্ত্রকেরা জ্যান্টাকের বাজারজাত নিষিদ্ধ করেন। তাঁরা দেখতে পান, ওষুধটির মূল উপাদান ‘রেনিটিডিন’ এমন একটি পদার্থে পরিণত হতে পারে, যা তাপের সংস্পর্শে এলে ক্যানসার হতে পারে। এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরপরই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মামলা হয়।
গত বছর ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের চার ধরনের জ্যান্টাক রোগীদের না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়।
জিএসকে ছাড়াও ফাইজার, সানোফি, বোরিঙ্গার ইংলেইমের মতো অন্যান্য প্রধান ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাও বাজারজাত করেছে। এদের মধ্যে ফাইজার এবং সানোফি উভয়েই মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে। তবে বোরিঙ্গার ইংলেইম এখনো কোনো বড় বন্দোবস্ত ঘোষণা করেনি।
উল্লেখ্য, রেনিডিনবিহীন জ্যান্টাক-৩৬০ নামে একটি ওষুধ কোম্পানিটি এখনো বাজারজাত করছে।
ওষুধের পাশাপাশি হরলিকস, মালটোভা, বুস্ট ও সেনসোডাইন টুথপেস্টের মতো জনপ্রিয় পণ্যের উৎপাদক যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। ২০১৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে বাজার প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা করে ব্রিটেনের কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ)।
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১৮ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১ দিন আগে