ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

‘কণ্ঠশিল্পী মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত’—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় চ্যানেলটি নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে জানায়, ‘চ্যানেল আই অনলাইনের কার্ড ব্যবহার করে প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়। এ ধরনের কোনো সংবাদ চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত হয়নি এবং সংবাদটি পুরোপুরি মিথ্যা।’
আবার গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল থেকে বিতর্কিত ব্লগার আসাদ নূরকে জড়িয়ে যমুনা টিভির লোগোসংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হয়, আসাদ নূর ক্যানসারে আক্রান্ত। ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ বুধবার (৫ জুন)। এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ নূর নিজের পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমার ‘কেন্সার’/ক্যান্সার কোনোটাই হয়নি, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ড বানিয়ে তাদের বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে বলে মনে করি।’
এ দুটি ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার করে কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস বা আসাদ নূরের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুটিই মিথ্যা। কিন্তু দুটি ঘটনারই ব্যাপকতা এমন পর্যায়ে ছিল যে চ্যানেল আইকে বা আসাদ নূরকে নিজের অবস্থান জানিয়ে পোস্ট দিতে হলো।
তবে সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের জড়িয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ঘটনা এগুলোই প্রথম নয়। বছর দেড় ধরে এই প্রক্রিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। দেশীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে ২৩টি ভুয়া কনটেন্ট তৈরি করা হয়। বছর ঘুরতে এই প্রবণতা বেড়েছে বৈ কমেনি। একই প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের গত মে মাসের ভুল, অপতথ্য শনাক্তের মাসিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি গত মে মাসে সংবাদমাধ্যমের নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ১৩টি মিথ্যা ঘটনা প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফটোকার্ড নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগও।
এসব ভুয়া, নকল ফটোকার্ডের শিকার হচ্ছেন কারা, ছড়াচ্ছেও-বা কে?
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগসহ দেশে গুজব, অপতথ্য বা ভুয়া তথ্য নিয়ে কাজ করা ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংবাদমাধ্যমের ভুয়া, নকল ফটোকার্ড তৈরির মাধ্যমে অপতথ্যের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসসহ ফুটবলতারকা লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী, ধর্মীয় ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ।
যেমন চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ভারতের মুকেশ আম্বানি। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়, ‘মুকেশ আম্বানিপুত্রের বিয়েতে অতিথিদের ২ শতাংশ হারে সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করবেন ড. ইউনূস’।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে আশিকুর রহমান অণু নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি বেশি শেয়ার হতে দেখা যায়। সেখানে অণুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘অ্যাকটিভিস্ট’ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
আবার কণ্ঠশিল্পী মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার দাবিতে চ্যানেল আইয়ের কথিত ফটোকার্ডটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয়েছে ‘সত্যের সন্ধানে’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। পেজটির পরিচয়ে লেখা ‘সত্য প্রকাশে নির্ভীক’। পেজটির ট্রান্সপারেন্সি বিভাগ থেকে দেখা যায়, পেজটির প্রথম নাম ছিল ‘বাঁসের কেল্লা’, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বি. এন. পি, ও বাংলাদেশ।’
এ তো গেল ভুয়া ফটোকার্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে ভুয়া প্রচারণার তথ্য। গত মার্চেই যমুনা টেলিভিশনের লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ফটোকার্ডে মিথ্যা তথ্যের শিকার হন জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহান। যমুনা টিভির লোগোযুক্ত ফটোকার্ডটির উৎস অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘Context Kidhar Hain?’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সম্ভবত ফটোকার্ডটি প্রথম পোস্ট করা হয়। পেজটির পরিচয় জানা থেকে জানা যায়, এটি ব্যঙ্গাত্মক বা স্যাটায়ার কনটেন্ট তৈরি করে থাকে।
ফুটবলতারকা লিওনেল মেসিও সংবাদমাধ্যমের লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ফটোকার্ডের শিকার হয়েছেন এমন ব্যঙ্গাত্মক বা স্যাটায়ার কনটেন্ট তৈরি করা পেজ থেকেই।
গত মে মাসের মাঝামাঝিতে আর্জেন্টাইন এই তারকাকে নিয়ে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ডিবিসি নিউজের কথিত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হয়, আর্জেন্টিনার ক্লাবে খেলতে গিয়ে বকেয়া বেতন না পাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বেতন পরিশোধ করে দেবেন লিওনেল মেসি। ফটোকার্ডটি তৈরি করেছিল ‘Argentine Legends’ নামের ফুটবলকেন্দ্রিক একটি স্যাটায়ার পেজ। একই পেজ থেকে মে মাসের শুরুতেই ব্রাজিলে হওয়া বন্যা ঘিরে প্রচার করা হয়, ‘ব্রাজিলের বন্যার্তদের জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছে লিওনেল মেসি।’ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল যমুনা টেলিভিশনের লোগো ও ফটোকার্ডের ডিজাইন।
কীভাবে চিনবেন ভুয়া ফটোকার্ড
সংবাদমাধ্যমের ভুয়া ফটোকার্ড চেনার সহজ কিছু উপায় হলো—
–কথিত ফটোকার্ডটির লেখা কপি করে তা গুগল ও ফেসবুকে সার্চ করে দেখা, নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করা। ফটোকার্ড-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমটি এমন কোনো প্রতিবেদন করে থাকলে তা এই সার্চেই সাধারণত চলে আসবে।
–সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজের ফটোস অপশনে গিয়ে নির্দিষ্ট ফটোকার্ডটি খোঁজা। যদি সংবাদমাধ্যমটি এমন ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকে, তাহলে তা সহজে এখানে পাওয়া যাবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম একটি ফটোকার্ড প্রকাশের পর তা কোনো কারণে সরিয়ে ফেলতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কিছু অ্যাডভান্স অনুসন্ধানের প্রয়োজন হতে পারে।
–ফটোকার্ডে ব্যবহৃত শিরোনামের বানান খেয়াল করা। যেমন বিতর্কিত ব্লগার আসাদ নূরকে জড়িয়ে যমুনা টিভির লোগোসংবলিত ফটোকার্ডটিতে ক্যানসার বানান ‘কেন্সার’ লেখা হয়েছে।
–ফটোকার্ডে ব্যবহৃত শিরোনামের ফন্ট যাচাই করা। কারণ, সাধারণত প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই নির্দিষ্ট ফন্ট ব্যবহার করে থাকে। সেটা সহজে ধরা যায়।
–সর্বোপরি, ফটোকার্ডের ক্ষেত্রে সব সময় সংবাদমাধ্যমের পেজ তথা মূল সোর্স থেকে দেখে নেওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।

‘কণ্ঠশিল্পী মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত’—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় চ্যানেলটি নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে জানায়, ‘চ্যানেল আই অনলাইনের কার্ড ব্যবহার করে প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়। এ ধরনের কোনো সংবাদ চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত হয়নি এবং সংবাদটি পুরোপুরি মিথ্যা।’
আবার গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল থেকে বিতর্কিত ব্লগার আসাদ নূরকে জড়িয়ে যমুনা টিভির লোগোসংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে দাবি করা হয়, আসাদ নূর ক্যানসারে আক্রান্ত। ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ বুধবার (৫ জুন)। এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ নূর নিজের পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমার ‘কেন্সার’/ক্যান্সার কোনোটাই হয়নি, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ড বানিয়ে তাদের বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে বলে মনে করি।’
এ দুটি ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার করে কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস বা আসাদ নূরের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুটিই মিথ্যা। কিন্তু দুটি ঘটনারই ব্যাপকতা এমন পর্যায়ে ছিল যে চ্যানেল আইকে বা আসাদ নূরকে নিজের অবস্থান জানিয়ে পোস্ট দিতে হলো।
তবে সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের জড়িয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ঘটনা এগুলোই প্রথম নয়। বছর দেড় ধরে এই প্রক্রিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। দেশীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে ২৩টি ভুয়া কনটেন্ট তৈরি করা হয়। বছর ঘুরতে এই প্রবণতা বেড়েছে বৈ কমেনি। একই প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের গত মে মাসের ভুল, অপতথ্য শনাক্তের মাসিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি গত মে মাসে সংবাদমাধ্যমের নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ১৩টি মিথ্যা ঘটনা প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফটোকার্ড নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগও।
এসব ভুয়া, নকল ফটোকার্ডের শিকার হচ্ছেন কারা, ছড়াচ্ছেও-বা কে?
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগসহ দেশে গুজব, অপতথ্য বা ভুয়া তথ্য নিয়ে কাজ করা ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংবাদমাধ্যমের ভুয়া, নকল ফটোকার্ড তৈরির মাধ্যমে অপতথ্যের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসসহ ফুটবলতারকা লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী, ধর্মীয় ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ।
যেমন চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ভারতের মুকেশ আম্বানি। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়, ‘মুকেশ আম্বানিপুত্রের বিয়েতে অতিথিদের ২ শতাংশ হারে সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করবেন ড. ইউনূস’।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে আশিকুর রহমান অণু নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি বেশি শেয়ার হতে দেখা যায়। সেখানে অণুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘অ্যাকটিভিস্ট’ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
আবার কণ্ঠশিল্পী মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার দাবিতে চ্যানেল আইয়ের কথিত ফটোকার্ডটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয়েছে ‘সত্যের সন্ধানে’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। পেজটির পরিচয়ে লেখা ‘সত্য প্রকাশে নির্ভীক’। পেজটির ট্রান্সপারেন্সি বিভাগ থেকে দেখা যায়, পেজটির প্রথম নাম ছিল ‘বাঁসের কেল্লা’, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বি. এন. পি, ও বাংলাদেশ।’
এ তো গেল ভুয়া ফটোকার্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে ভুয়া প্রচারণার তথ্য। গত মার্চেই যমুনা টেলিভিশনের লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ফটোকার্ডে মিথ্যা তথ্যের শিকার হন জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহান। যমুনা টিভির লোগোযুক্ত ফটোকার্ডটির উৎস অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘Context Kidhar Hain?’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সম্ভবত ফটোকার্ডটি প্রথম পোস্ট করা হয়। পেজটির পরিচয় জানা থেকে জানা যায়, এটি ব্যঙ্গাত্মক বা স্যাটায়ার কনটেন্ট তৈরি করে থাকে।
ফুটবলতারকা লিওনেল মেসিও সংবাদমাধ্যমের লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ফটোকার্ডের শিকার হয়েছেন এমন ব্যঙ্গাত্মক বা স্যাটায়ার কনটেন্ট তৈরি করা পেজ থেকেই।
গত মে মাসের মাঝামাঝিতে আর্জেন্টাইন এই তারকাকে নিয়ে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ডিবিসি নিউজের কথিত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হয়, আর্জেন্টিনার ক্লাবে খেলতে গিয়ে বকেয়া বেতন না পাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বেতন পরিশোধ করে দেবেন লিওনেল মেসি। ফটোকার্ডটি তৈরি করেছিল ‘Argentine Legends’ নামের ফুটবলকেন্দ্রিক একটি স্যাটায়ার পেজ। একই পেজ থেকে মে মাসের শুরুতেই ব্রাজিলে হওয়া বন্যা ঘিরে প্রচার করা হয়, ‘ব্রাজিলের বন্যার্তদের জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছে লিওনেল মেসি।’ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল যমুনা টেলিভিশনের লোগো ও ফটোকার্ডের ডিজাইন।
কীভাবে চিনবেন ভুয়া ফটোকার্ড
সংবাদমাধ্যমের ভুয়া ফটোকার্ড চেনার সহজ কিছু উপায় হলো—
–কথিত ফটোকার্ডটির লেখা কপি করে তা গুগল ও ফেসবুকে সার্চ করে দেখা, নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করা। ফটোকার্ড-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমটি এমন কোনো প্রতিবেদন করে থাকলে তা এই সার্চেই সাধারণত চলে আসবে।
–সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজের ফটোস অপশনে গিয়ে নির্দিষ্ট ফটোকার্ডটি খোঁজা। যদি সংবাদমাধ্যমটি এমন ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকে, তাহলে তা সহজে এখানে পাওয়া যাবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম একটি ফটোকার্ড প্রকাশের পর তা কোনো কারণে সরিয়ে ফেলতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কিছু অ্যাডভান্স অনুসন্ধানের প্রয়োজন হতে পারে।
–ফটোকার্ডে ব্যবহৃত শিরোনামের বানান খেয়াল করা। যেমন বিতর্কিত ব্লগার আসাদ নূরকে জড়িয়ে যমুনা টিভির লোগোসংবলিত ফটোকার্ডটিতে ক্যানসার বানান ‘কেন্সার’ লেখা হয়েছে।
–ফটোকার্ডে ব্যবহৃত শিরোনামের ফন্ট যাচাই করা। কারণ, সাধারণত প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই নির্দিষ্ট ফন্ট ব্যবহার করে থাকে। সেটা সহজে ধরা যায়।
–সর্বোপরি, ফটোকার্ডের ক্ষেত্রে সব সময় সংবাদমাধ্যমের পেজ তথা মূল সোর্স থেকে দেখে নেওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস ও ব্লগার আসাদ নূরের ক্যানসার—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৭ জুন ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস ও ব্লগার আসাদ নূরের ক্যানসার—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৭ জুন ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস ও ব্লগার আসাদ নূরের ক্যানসার—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৭ জুন ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এইডস ও ব্লগার আসাদ নূরের ক্যানসার—এমন শিরোনামে গত সোমবার (৪ জুন) দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৭ জুন ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে