ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কাছে পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই ইউনিটের প্রশ্ন এসে গেছে। ওইসব পোস্টের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের আংশিক ছবিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে পুরো প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে চান, তাঁরা যেন দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করেন। প্রশ্নের জন্য টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং টাকা অগ্রিম দিতে হবে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাইয়ে দেওয়ার দাবি করছে এমন বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। গত ২ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাত ১টা ৩৩ মিনিটে জাহিদ আফ্রিদী (Jahid Afridi) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে এমন একটি পোস্ট করা হয়। এতে দাবি করা হয়, ‘ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩–২০২৪ এর বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে। নিচে প্রশ্নের কিছু অংশ ফ্রিতে দেওয়া হলো। সময় ০৩/০৩ /২০২৪ তারিখ, রাত ১টা ৩০মিনিট, এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যারা টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ প্রশ্ন সংগ্রহ করতে চাও, তারা দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্সড। ডেন্টাল, রাবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ১০০% অরজিনাল প্রশ্ন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
একই অ্যাকাউন্ট থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা ৮ মিনিটে একই ধরনের পোস্ট পাওয়া যায়। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩–২০২৪ এর প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে। নিচে প্রশ্নের কিছু অংশ দেওয়া হল। রাত ১টা এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যারা টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ প্রশ্ন সংগ্রহ করতে চাও, তারা দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্সড। ঢাবি, রাবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ১০০% অরিজিনাল প্রশ্ন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
একই ধরনের আরেকটি দাবি পাওয়া যায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে পোস্ট করা নাজমুস সাকিব (Nazmus Shakib) নামের একটি অ্যাকাউন্টে। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার B ইউনিটের প্রশ্ন। রাত ২টা ৩ মিনিট, প্রশ্নের কিছু অংশ ফ্রিতে দিলাম। পরীক্ষার পর এসে মিলিয়ে নিয়ো। আমি অ্যাডভান্স টাকা ছাড়া কাউকে কোন প্রশ্ন দেইনি আর কোনদিন দিবও না। বলছিলাম, পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগে ফ্রি দিব। কিছু দিলাম এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যাদের রাবি, জাবি, চবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ১০০% কমন প্রশ্ন লাগবে তারা দ্রুত যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্স।’
প্রতিটি পোস্টের সঙ্গেই প্রশ্নপত্র দাবিতে ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
দাবির নেপথ্যে
দাবিগুলো যাচাই করতে গত ২ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাত ১টা ৩৩ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে দেওয়া জাহিদ আফ্রিদীর ফেসবুক পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি দেখা হয়। এতে দেখা যায়, ওই সময় পোস্টটিতে কোনো প্রশ্নেরপত্রের ছবি ছিল না এবং রিয়েকশনও ছিল না। পরে ৩ মার্চ (রোববার) দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে পোস্টটি এডিট করে প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করা হয় এবং তখন পোস্টে রিয়েকশন দেখায় ১৯৫টি।
যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বি১ উপ–ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত ৩ মার্চ (রোববার) সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একইভাবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১টা ৮ মিনিটে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জাহিদ আফ্রিদীর অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টটির এডিট হিস্ট্রিতে গিয়ে দেখা যায়, শুরুতে এটিতেও কোনো প্রশ্নপত্রের ছবি ছিল না এবং পোস্টে কোনো রিয়েকশনও ছিল না। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে পোস্টটিতে একটি প্রশ্নপত্রের ছবি যোগ করা হয় এবং রিয়েকশন পড়ে ৬৭টি।
যেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে নাজমুস সাকিব নামের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টের এডিট হিস্ট্রিতে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া যায়। পোস্টটি প্রথম দেওয়া হয় ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে। তখন পোস্টটিতে কোনো ছবি যুক্ত ছিল না। এরপর পোস্টটি ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে এডিট করা হয়। তখনও পোস্টে কোনো ছবি ছিল না এবং রিয়েকশনও ছিল না। পোস্টটি সবশেষ এডিট করা হয় ওইদিন দুপুর ২টা ১১ মিনিটে এবং এতে প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করা হয়। ছবিটিতে রিয়েকশন দেখায় ৩৭৬টি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
প্রশ্ন ফাঁসের দাবিতে করা এই পোস্টগুলোর এডিট হিস্ট্রি থেকেই বোঝা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করা হবে দাবিতে করা পোস্টগুলোতে মূলত ডিজিটাল জালিয়াতি করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন রাতে তারা প্রশ্ন ফাঁস করার সামর্থ্য রাখে—এমন দাবিতে পোস্ট করে রাখা হয়েছে। পরে সংশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একটি প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করেছে। এডিট পোস্টটিকে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। কেউ প্রশ্নপত্র চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। অগ্রীম টাকার কথাও স্পষ্ট করে বলছে তারা।
অ্যাকাউন্টগুলোর পরিচয়
প্রশ্ন ফাঁস ও টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখানো অন্তত তিনটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অ্যাকাউন্টগুলোর পরিচয় যাচাই করে দেখা যায়, প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারীই নিজেদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে। যেমন, হাবিবুর রহমান সোহেল (Habibur Rahaman Shohel) নামের একটি অ্যাকাউন্ট নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার টেকনিশিয়ান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অ্যাকাউন্টের পরিচয়ে লেখা, ‘SSC-HSC-মেডিকেল-ডেন্টাঃ সহ যে কোনো পাবলিক ভর্তি পরীক্ষা ১০০% কমন প্রশ্ন লাগলে ইনবক্সে এ যোগাযোগ করুন।’
অ্যাকাউন্টটিতে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। নম্বরটিতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পরে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। হাবিবুর রহমান সোহেল নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনো কম্পিউটার টেকনিশিয়ান আছে কি না তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নটি করার পরই অপর পাশ থেকে বলা হয়, তিনি কথা বুঝতে পারছেন না। তখন সংযোগটি কেটে দিয়ে আবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। পরে একাধিক নম্বর থেকে কল দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাজমুস সাকিব (Nazmus Shakib) নামের অ্যাকাউন্টটিতেও একই পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনি কোনো পদের নাম উল্লেখ করেননি। তিনিও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন। তাঁর প্রোফাইলের পরিচয়ে লেখা, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ১০০% রিয়েল প্রশ্ন লাগলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
জাহিদ আফ্রিদী (Jahid Afridi) নামের অ্যাকাউন্টধারীও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন বলে দাবি করেছেন। তবে তিনিও কোনো পদের নাম উল্লেখ করেননি। এই অ্যাকাউন্টের পরিচয়ে লেখা, ‘SSC HSC Degree Honour’s এডমিশন যেকোনো ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট চেঞ্জ করা হয়। প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন।’

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, তাদের কাছে পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই ইউনিটের প্রশ্ন এসে গেছে। ওইসব পোস্টের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের আংশিক ছবিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে পুরো প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে চান, তাঁরা যেন দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করেন। প্রশ্নের জন্য টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং টাকা অগ্রিম দিতে হবে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাইয়ে দেওয়ার দাবি করছে এমন বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। গত ২ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাত ১টা ৩৩ মিনিটে জাহিদ আফ্রিদী (Jahid Afridi) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে এমন একটি পোস্ট করা হয়। এতে দাবি করা হয়, ‘ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩–২০২৪ এর বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে। নিচে প্রশ্নের কিছু অংশ ফ্রিতে দেওয়া হলো। সময় ০৩/০৩ /২০২৪ তারিখ, রাত ১টা ৩০মিনিট, এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যারা টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ প্রশ্ন সংগ্রহ করতে চাও, তারা দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্সড। ডেন্টাল, রাবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ১০০% অরজিনাল প্রশ্ন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
একই অ্যাকাউন্ট থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা ৮ মিনিটে একই ধরনের পোস্ট পাওয়া যায়। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩–২০২৪ এর প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে। নিচে প্রশ্নের কিছু অংশ দেওয়া হল। রাত ১টা এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যারা টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ প্রশ্ন সংগ্রহ করতে চাও, তারা দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্সড। ঢাবি, রাবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ এর ১০০% অরিজিনাল প্রশ্ন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
একই ধরনের আরেকটি দাবি পাওয়া যায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে পোস্ট করা নাজমুস সাকিব (Nazmus Shakib) নামের একটি অ্যাকাউন্টে। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার B ইউনিটের প্রশ্ন। রাত ২টা ৩ মিনিট, প্রশ্নের কিছু অংশ ফ্রিতে দিলাম। পরীক্ষার পর এসে মিলিয়ে নিয়ো। আমি অ্যাডভান্স টাকা ছাড়া কাউকে কোন প্রশ্ন দেইনি আর কোনদিন দিবও না। বলছিলাম, পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগে ফ্রি দিব। কিছু দিলাম এইটুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যাদের রাবি, জাবি, চবি ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ১০০% কমন প্রশ্ন লাগবে তারা দ্রুত যোগাযোগ করো। টাকা ফিক্সড এবং অ্যাডভান্স।’
প্রতিটি পোস্টের সঙ্গেই প্রশ্নপত্র দাবিতে ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
দাবির নেপথ্যে
দাবিগুলো যাচাই করতে গত ২ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাত ১টা ৩৩ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি১ উপ–ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে দেওয়া জাহিদ আফ্রিদীর ফেসবুক পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি দেখা হয়। এতে দেখা যায়, ওই সময় পোস্টটিতে কোনো প্রশ্নেরপত্রের ছবি ছিল না এবং রিয়েকশনও ছিল না। পরে ৩ মার্চ (রোববার) দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে পোস্টটি এডিট করে প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করা হয় এবং তখন পোস্টে রিয়েকশন দেখায় ১৯৫টি।
যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বি১ উপ–ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত ৩ মার্চ (রোববার) সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একইভাবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১টা ৮ মিনিটে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জাহিদ আফ্রিদীর অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টটির এডিট হিস্ট্রিতে গিয়ে দেখা যায়, শুরুতে এটিতেও কোনো প্রশ্নপত্রের ছবি ছিল না এবং পোস্টে কোনো রিয়েকশনও ছিল না। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে পোস্টটিতে একটি প্রশ্নপত্রের ছবি যোগ করা হয় এবং রিয়েকশন পড়ে ৬৭টি।
যেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বি ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে নাজমুস সাকিব নামের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টের এডিট হিস্ট্রিতে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া যায়। পোস্টটি প্রথম দেওয়া হয় ২২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে। তখন পোস্টটিতে কোনো ছবি যুক্ত ছিল না। এরপর পোস্টটি ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে এডিট করা হয়। তখনও পোস্টে কোনো ছবি ছিল না এবং রিয়েকশনও ছিল না। পোস্টটি সবশেষ এডিট করা হয় ওইদিন দুপুর ২টা ১১ মিনিটে এবং এতে প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করা হয়। ছবিটিতে রিয়েকশন দেখায় ৩৭৬টি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
প্রশ্ন ফাঁসের দাবিতে করা এই পোস্টগুলোর এডিট হিস্ট্রি থেকেই বোঝা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করা হবে দাবিতে করা পোস্টগুলোতে মূলত ডিজিটাল জালিয়াতি করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন রাতে তারা প্রশ্ন ফাঁস করার সামর্থ্য রাখে—এমন দাবিতে পোস্ট করে রাখা হয়েছে। পরে সংশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একটি প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করেছে। এডিট পোস্টটিকে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। কেউ প্রশ্নপত্র চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। অগ্রীম টাকার কথাও স্পষ্ট করে বলছে তারা।
অ্যাকাউন্টগুলোর পরিচয়
প্রশ্ন ফাঁস ও টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখানো অন্তত তিনটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অ্যাকাউন্টগুলোর পরিচয় যাচাই করে দেখা যায়, প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারীই নিজেদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে। যেমন, হাবিবুর রহমান সোহেল (Habibur Rahaman Shohel) নামের একটি অ্যাকাউন্ট নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার টেকনিশিয়ান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অ্যাকাউন্টের পরিচয়ে লেখা, ‘SSC-HSC-মেডিকেল-ডেন্টাঃ সহ যে কোনো পাবলিক ভর্তি পরীক্ষা ১০০% কমন প্রশ্ন লাগলে ইনবক্সে এ যোগাযোগ করুন।’
অ্যাকাউন্টটিতে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। নম্বরটিতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পরে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। হাবিবুর রহমান সোহেল নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনো কম্পিউটার টেকনিশিয়ান আছে কি না তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নটি করার পরই অপর পাশ থেকে বলা হয়, তিনি কথা বুঝতে পারছেন না। তখন সংযোগটি কেটে দিয়ে আবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। পরে একাধিক নম্বর থেকে কল দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাজমুস সাকিব (Nazmus Shakib) নামের অ্যাকাউন্টটিতেও একই পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনি কোনো পদের নাম উল্লেখ করেননি। তিনিও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন। তাঁর প্রোফাইলের পরিচয়ে লেখা, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ১০০% রিয়েল প্রশ্ন লাগলে ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’
জাহিদ আফ্রিদী (Jahid Afridi) নামের অ্যাকাউন্টধারীও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন বলে দাবি করেছেন। তবে তিনিও কোনো পদের নাম উল্লেখ করেননি। এই অ্যাকাউন্টের পরিচয়ে লেখা, ‘SSC HSC Degree Honour’s এডমিশন যেকোনো ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট চেঞ্জ করা হয়। প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন।’

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৮ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৮ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৮ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৮ দিন আগে