ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রজ্ঞাপন জারির পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার দুই নেতা ও রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক নেত্রী গ্রেপ্তার হন। এমন প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন দাবিতে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার’। ছবিটিতে তিন পুলিশ সদস্যসহ সাত তরুণের উপস্থিতি দেখা যায়। এদের সামনে অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বেশ কিছু বইও দেখা যায়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ নেই।
‘আন নাস মিডিয়া’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ১ হাজার ৮০০।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দৈনিক প্রথম আলোসহ অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তারের ভাইরাল দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পরে ছাত্রলীগ কর্মী দাবিতে ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছবিতে থাকা সাত তরুণের সবাই শিবিরকর্মী। ছবিটিতে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি দেখা যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল থানাধীন বারঘরিয়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামের বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি ছাত্রাবাস থেকে গোপন বৈঠক করা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, এই সাতজন সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গান পাউডার ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার দাবিতে ভাইরাল প্রতিবেদনের ছবিটি ২০১৯ সালের পুরোনো ছবি বিকৃত করে তৈরি করা।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেতাদের এমন গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি গণগ্রেপ্তারের বিরোধিতা করে আন্দোলনে অনেক ছাত্রলীগ নেতার ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেককে বাধ্য হয়েই ছাত্রলীগ করতে হয়েছে।
হলের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতেন উল্লেখ করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস লেখেন, ‘এই ৮০% ছেলের কেউ যদি পূর্বে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তদন্তসাপেক্ষে তার শাস্তি হোক, কেউ যদি পরে কোনো অন্যায়ে জড়িত হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও শাস্তি হোক। কিন্তু যখন দরকার ছিল তখন রাজপথে নামালাম আর এখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পোস্টেড দেখেই গণহারে গ্রেপ্তার হবে এটা কখনোই সমর্থন করি না। এটা হতে পারে না। যারা সময়ের প্রয়োজনে ন্যায়ের পক্ষে ছাত্রলীগের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমার সঙ্গে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে তারা আমার ভাই। ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধা। আমি তাদের পক্ষে থাকব। সত্য সত্যই। কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রজ্ঞাপন জারির পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার দুই নেতা ও রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক নেত্রী গ্রেপ্তার হন। এমন প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন দাবিতে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার’। ছবিটিতে তিন পুলিশ সদস্যসহ সাত তরুণের উপস্থিতি দেখা যায়। এদের সামনে অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বেশ কিছু বইও দেখা যায়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ নেই।
‘আন নাস মিডিয়া’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ১ হাজার ৮০০।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দৈনিক প্রথম আলোসহ অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তারের ভাইরাল দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পরে ছাত্রলীগ কর্মী দাবিতে ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছবিতে থাকা সাত তরুণের সবাই শিবিরকর্মী। ছবিটিতে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি দেখা যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল থানাধীন বারঘরিয়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামের বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি ছাত্রাবাস থেকে গোপন বৈঠক করা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, এই সাতজন সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গান পাউডার ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইসহ নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার দাবিতে ভাইরাল প্রতিবেদনের ছবিটি ২০১৯ সালের পুরোনো ছবি বিকৃত করে তৈরি করা।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেতাদের এমন গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি গণগ্রেপ্তারের বিরোধিতা করে আন্দোলনে অনেক ছাত্রলীগ নেতার ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেককে বাধ্য হয়েই ছাত্রলীগ করতে হয়েছে।
হলের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতেন উল্লেখ করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস লেখেন, ‘এই ৮০% ছেলের কেউ যদি পূর্বে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তদন্তসাপেক্ষে তার শাস্তি হোক, কেউ যদি পরে কোনো অন্যায়ে জড়িত হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও শাস্তি হোক। কিন্তু যখন দরকার ছিল তখন রাজপথে নামালাম আর এখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পোস্টেড দেখেই গণহারে গ্রেপ্তার হবে এটা কখনোই সমর্থন করি না। এটা হতে পারে না। যারা সময়ের প্রয়োজনে ন্যায়ের পক্ষে ছাত্রলীগের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমার সঙ্গে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে তারা আমার ভাই। ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধা। আমি তাদের পক্ষে থাকব। সত্য সত্যই। কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
আরও পড়ুন:
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
২ দিন আগেগোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫