ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে বলা হয়েছে। এমন দাবিতে কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে ক্লাসরুমে দেখাতে বলা শাহানা কার্টুনে শেখানো হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডারবাদ। শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। এরই মধ্যে শাহানা কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের লক্ষ্যে সকল জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।’ পোস্টটিতে একটি ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ইউটিউব ভিডিওটির শিরোনাম-‘Shahana Cartoon | Part-03 | শাহানা কার্টুন | The Beauty of Diversity’। ছবির ওপর লেখা, ‘কোনো মেয়ে যদি ছেলের মতো চলাফেরা করে, তাতে তো কারও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।’ এটি ছবির দুই ব্যক্তির কথপোকথনের একটি অংশ।
শাহানা কার্টুনটি সম্পর্কে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মেহেদী হাসান নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড শাহানা কার্টুনের সিডি সব স্কুলে দেখাতে বলেছে। শাহানা কমিক ইউএনএফপির একটা প্রজেক্ট।’ পোস্টটি আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
শাহানা কার্টুন কি
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) নির্মিত শাহানা কার্টুনের বিষয়বস্তু-বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং সবার জন্য লিঙ্গসমতা। সরকারের সংযুক্ত পাঠপরিকল্পনা ও গাইডলাইন অনুযায়ী, শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। আগের শিক্ষাক্রমের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে এটি সরবরাহ করা হয়েছিল।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি প্রকৃতপক্ষে শাহানা কার্টুনের ১৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি পর্বের অংশ। পর্বটির নাম ‘Shahana Cartoon | The Beauty of Diversity।’ ভাইরাল ক্লিপটি কার্টুনটির ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশ বিশেষ নেওয়া। পর্বটিতে দেখানো কিশোরী চরিত্রটির নাম সুমি।
নতুন শিক্ষাক্রমেই কি শাহানা কার্টুন শিক্ষা সহায়ক?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিবিসি বাংলাতে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা: বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্কুলের এক কোটি শিক্ষার্থীকে কী পড়ানো হবে?’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে শিক্ষার আওতায় আসবে, আর এ জন্য মূল উপকরণ হিসেবে হিসেবে ব্যবহৃত হবে ইউএনএফপিএ নির্মিত শাহানা কার্টুন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে ওই সময় বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শেখানোর জন্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে ইউএনএফপিএ’র শাহানা কার্টুন, যা ইতিমধ্যেই উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে আরও খোঁজে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দিল আফরোজ বিনতে আছির স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ইউএনএফপিএ নির্মিত শাহানা কার্টুনের বিষয়বস্তু হলো, বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং সবার জন্য জেন্ডার সমতা। সংযুক্ত পাঠপরিকল্পনা ও গাইডলাইন অনুযায়ী শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যে শাহানা কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের লক্ষ্যে সকল জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে শাহানা কার্টুন নিয়ে পাঠপরিকল্পনা ও শ্রেণিকক্ষে শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাও সংযুক্তি হিসেবে রয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিভিত্তিক বিষয় ও পাঠ্যপুস্তক অধ্যায়ের নাম রয়েছে। যেমন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, অষ্টম শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের সঙ্গে শাহানা কার্টুনটি দেখাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে এই বিষয় সম্পর্কিত অধ্যায়গুলোর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ২০২৪ সালের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলোতে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় নামে কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই রয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে যেই অধ্যায়গুলোর নাম রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইগুলোতে এই অধ্যায়গুলো নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ১ ম,৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়। ২০২৪ সাল থেকে ২ য়,৩ য়, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলোর দাবির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। শাহানা কার্টুন বর্তমানে স্কুলে দেখানো হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এনসিটিবিতে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কনসার্নড না।’
এনসিটিবির জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক মো. মুরশীদ আকতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘শাহানা কার্টুনের সঙ্গে নতুন কারিকুলামের কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগের কারিকুলামেও বলা হয়নি যে, শাহানা কার্টুন ব্যবহার করতে হবে। শাহানা কার্টুন বানানো হয়েছিল এবং স্কুলগুলোডে অনলাইন কনটেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছিল জেনারেশন ব্রেক থ্রো নামের একটি প্রকল্পের আওতায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার সঙ্গে কারিকুলামের কোনো সম্পর্ক নেই। কারিকুলামের কোথাও শাহানা কার্টুনকে রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া হয়নি। ক্লাসের বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম হিসেবে দেখানোর নির্দেশনা ছিল। এ ছাড়া জেনারেশন ব্রেক থ্রো প্রকল্পটি আরও এক-দেড় বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।’
তবে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী বাংলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শাহানা কার্টুন নিয়ে এই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে কি না জানতে নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসের জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পুরানো বিজ্ঞপ্তি ভিত্তিতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও জেনারেশন ব্রেক থ্রো প্রকল্পের একটি বইকে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা ফ্যান্টচেক বিভাগ।
স্পষ্টত, শাহানা কার্টুনের সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আগের শিক্ষাক্রমের শিক্ষা সহায়ক অনলাইন কনটেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছিল জেনারেশন ব্রেক থ্রো নামের একটি প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্প এক থেকে দেড় বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও এটি দেখানো হলেও পুরানো বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে দেখানো হচ্ছে। নতুন করে দেখানোর বিষয়ে মাউশির কোনো বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় না।

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে বলা হয়েছে। এমন দাবিতে কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে ক্লাসরুমে দেখাতে বলা শাহানা কার্টুনে শেখানো হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডারবাদ। শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। এরই মধ্যে শাহানা কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের লক্ষ্যে সকল জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।’ পোস্টটিতে একটি ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ইউটিউব ভিডিওটির শিরোনাম-‘Shahana Cartoon | Part-03 | শাহানা কার্টুন | The Beauty of Diversity’। ছবির ওপর লেখা, ‘কোনো মেয়ে যদি ছেলের মতো চলাফেরা করে, তাতে তো কারও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।’ এটি ছবির দুই ব্যক্তির কথপোকথনের একটি অংশ।
শাহানা কার্টুনটি সম্পর্কে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মেহেদী হাসান নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড শাহানা কার্টুনের সিডি সব স্কুলে দেখাতে বলেছে। শাহানা কমিক ইউএনএফপির একটা প্রজেক্ট।’ পোস্টটি আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
শাহানা কার্টুন কি
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) নির্মিত শাহানা কার্টুনের বিষয়বস্তু-বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং সবার জন্য লিঙ্গসমতা। সরকারের সংযুক্ত পাঠপরিকল্পনা ও গাইডলাইন অনুযায়ী, শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। আগের শিক্ষাক্রমের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে এটি সরবরাহ করা হয়েছিল।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি প্রকৃতপক্ষে শাহানা কার্টুনের ১৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি পর্বের অংশ। পর্বটির নাম ‘Shahana Cartoon | The Beauty of Diversity।’ ভাইরাল ক্লিপটি কার্টুনটির ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশ বিশেষ নেওয়া। পর্বটিতে দেখানো কিশোরী চরিত্রটির নাম সুমি।
নতুন শিক্ষাক্রমেই কি শাহানা কার্টুন শিক্ষা সহায়ক?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিবিসি বাংলাতে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা: বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্কুলের এক কোটি শিক্ষার্থীকে কী পড়ানো হবে?’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে শিক্ষার আওতায় আসবে, আর এ জন্য মূল উপকরণ হিসেবে হিসেবে ব্যবহৃত হবে ইউএনএফপিএ নির্মিত শাহানা কার্টুন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে ওই সময় বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শেখানোর জন্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে ইউএনএফপিএ’র শাহানা কার্টুন, যা ইতিমধ্যেই উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে আরও খোঁজে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দিল আফরোজ বিনতে আছির স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ইউএনএফপিএ নির্মিত শাহানা কার্টুনের বিষয়বস্তু হলো, বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং সবার জন্য জেন্ডার সমতা। সংযুক্ত পাঠপরিকল্পনা ও গাইডলাইন অনুযায়ী শাহানা কার্টুন ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যে শাহানা কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের লক্ষ্যে সকল জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে শাহানা কার্টুন নিয়ে পাঠপরিকল্পনা ও শ্রেণিকক্ষে শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাও সংযুক্তি হিসেবে রয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ ম-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিভিত্তিক বিষয় ও পাঠ্যপুস্তক অধ্যায়ের নাম রয়েছে। যেমন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, অষ্টম শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের সঙ্গে শাহানা কার্টুনটি দেখাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে এই বিষয় সম্পর্কিত অধ্যায়গুলোর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ২০২৪ সালের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলোতে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় নামে কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই রয়েছে। শাহানা কার্টুন ব্যবহারের নির্দেশিকাটিতে যেই অধ্যায়গুলোর নাম রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইগুলোতে এই অধ্যায়গুলো নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ১ ম,৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়। ২০২৪ সাল থেকে ২ য়,৩ য়, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলোর দাবির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। শাহানা কার্টুন বর্তমানে স্কুলে দেখানো হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এনসিটিবিতে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কনসার্নড না।’
এনসিটিবির জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক মো. মুরশীদ আকতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘শাহানা কার্টুনের সঙ্গে নতুন কারিকুলামের কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগের কারিকুলামেও বলা হয়নি যে, শাহানা কার্টুন ব্যবহার করতে হবে। শাহানা কার্টুন বানানো হয়েছিল এবং স্কুলগুলোডে অনলাইন কনটেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছিল জেনারেশন ব্রেক থ্রো নামের একটি প্রকল্পের আওতায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার সঙ্গে কারিকুলামের কোনো সম্পর্ক নেই। কারিকুলামের কোথাও শাহানা কার্টুনকে রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া হয়নি। ক্লাসের বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম হিসেবে দেখানোর নির্দেশনা ছিল। এ ছাড়া জেনারেশন ব্রেক থ্রো প্রকল্পটি আরও এক-দেড় বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।’
তবে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী বাংলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শাহানা কার্টুন নিয়ে এই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে কি না জানতে নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসের জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পুরানো বিজ্ঞপ্তি ভিত্তিতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও জেনারেশন ব্রেক থ্রো প্রকল্পের একটি বইকে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা ফ্যান্টচেক বিভাগ।
স্পষ্টত, শাহানা কার্টুনের সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আগের শিক্ষাক্রমের শিক্ষা সহায়ক অনলাইন কনটেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছিল জেনারেশন ব্রেক থ্রো নামের একটি প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্প এক থেকে দেড় বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও এটি দেখানো হলেও পুরানো বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে দেখানো হচ্ছে। নতুন করে দেখানোর বিষয়ে মাউশির কোনো বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় না।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম–১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম–১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম–১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

এর আগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম–১০ম শ্রেণির জাতীয় কারিকুলামের সহায়ক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহানা কার্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামেও এটি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে কার্টুনের সিডি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এই কার্টুনে ট্রান্সজেন্ডারের পক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫