ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটি ফসলের মাঠে বলিউড তারকা সানি লিওনের পোস্টার। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক। এমনই একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘এবার এক চাষীর ফসল রক্ষা করছেন সানি।’
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিকিনি পরিহিত সানি লিওনের পাশে তেলেগু ভাষায় একটি বাক্য লেখা আছে। বাক্যটি গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘আমাকে দেখে হিংসা করো না বা কেঁদো না।’
গত প্রায় এক সপ্তাহে ছবিটি ফেসবুকের সহস্রাধিক পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা গেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর অ্যামেইজিং নলেজ নামের একটি ফেসবুক পেজে তাদের লোগোযুক্ত ছবিটি আপলোড করা হলে সেখানে লক্ষাধিক রিঅ্যাকশন পড়ে এবং ৫ হাজারের বেশি শেয়ার হয়। তবে ওই পেজে আপলোড করা ছবিটি এরই মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।
পরে ওই ছবিই ফেসবুকের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের পোস্টগুলো দেখুন এখানে।
বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টাল সম্প্রতি ভাইরাল এই ছবির সূত্র ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করে, ‘ফসল রক্ষায় মরিচ ক্ষেতে সানি লিওনের ছবি টাঙালেন কৃষক!’
প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে এটিকে সাম্প্রতিক ঘটনা বলে ধরে নেওয়াই পাঠকের জন্য স্বাভাবিক। যদিও ঘটনাটি যে ২০১৮ সালের, তা প্রতিবেদনের ভেতরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ওই কৃষক সানি লিওনের একটি পোস্টার তাঁর ফসলের মাঠে টানিয়েছিলেন বটে। তবে প্রায় তিন বছর আগের ঘটনা এটি।
২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মানুষের কুনজর থেকে ফসল রক্ষা করতে সানি লিওনের পোস্টারটি টানিয়েছিলেন ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কৃষক চেঞ্চু রেড্ডি।
চেঞ্চু রেড্ডির ১০ একর জমিতে সেবার বাধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়। তাঁর দাবি, জমির বাম্পার ফলন থেকে গ্রামবাসীর কুনজর সরাতে খেতের পাশে তিনি এই পোস্টার টানিয়েছেন।
হিন্দুস্থান টাইমসের ওই প্রতিবেদনে চেঞ্চু রেড্ডি বলেন, ‘ফসলে যাতে কুনজর না পড়ে সে জন্যই সানি লিওনের একটা বড়সড় পোস্টার দেওয়ার ভাবনাটা কয়েকদিন আগে মাথায় আসে। এই কৌশল কাজে দিয়েছে। লোকে এখন জমির ফসলের দিকে তাকাচ্ছে না।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মানুষের কুনজর ও পাখি তাড়িয়ে ফসল নিরাপদ রাখতে কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার বেশ প্রাচীন। তবে সানি লিওনের পোস্টার দিয়ে কুনজর এড়াবার বিষয়টি অভিনব। তাই সে সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও ঘটনাটি গুরুত্ব পায়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যমুনা টিভি, কালের কণ্ঠ, জাগো নিউজসহ বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরিশিষ্ট
কুনজর এড়াতে সানি লিওনের পোস্টার টানানোর ঘটনাটি সত্য হলেও সেটি তিন বছর আগের। সাম্প্রতিক ফ্যাক্টচেকগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে প্রায়ই পুরোনো ছবি-ভিডিও বিকৃত তথ্যসহ বা কোনো তথ্য ছাড়াই ভাইরাল হয়। এতে করে দ্রুত বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে কোনো ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলেই মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও তা প্রতিবেদন আকারে আসে। হয়তো পাঠক আকৃষ্ট করার কৌশল এটি।
তবে, এ ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরে প্রকৃত তথ্য থাকলেও শিরোনামটি ভাইরাল ছবির মতোই বিভ্রান্তিকর করে লেখা হয়। সংবাদমাধ্যমের এমন চর্চা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভ্রান্তিগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে সেটি সংবাদমাধ্যমের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
একটি ফসলের মাঠে বলিউড তারকা সানি লিওনের পোস্টার। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক। এমনই একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘এবার এক চাষীর ফসল রক্ষা করছেন সানি।’
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিকিনি পরিহিত সানি লিওনের পাশে তেলেগু ভাষায় একটি বাক্য লেখা আছে। বাক্যটি গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘আমাকে দেখে হিংসা করো না বা কেঁদো না।’
গত প্রায় এক সপ্তাহে ছবিটি ফেসবুকের সহস্রাধিক পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা গেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর অ্যামেইজিং নলেজ নামের একটি ফেসবুক পেজে তাদের লোগোযুক্ত ছবিটি আপলোড করা হলে সেখানে লক্ষাধিক রিঅ্যাকশন পড়ে এবং ৫ হাজারের বেশি শেয়ার হয়। তবে ওই পেজে আপলোড করা ছবিটি এরই মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।
পরে ওই ছবিই ফেসবুকের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের পোস্টগুলো দেখুন এখানে।
বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টাল সম্প্রতি ভাইরাল এই ছবির সূত্র ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করে, ‘ফসল রক্ষায় মরিচ ক্ষেতে সানি লিওনের ছবি টাঙালেন কৃষক!’
প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে এটিকে সাম্প্রতিক ঘটনা বলে ধরে নেওয়াই পাঠকের জন্য স্বাভাবিক। যদিও ঘটনাটি যে ২০১৮ সালের, তা প্রতিবেদনের ভেতরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ওই কৃষক সানি লিওনের একটি পোস্টার তাঁর ফসলের মাঠে টানিয়েছিলেন বটে। তবে প্রায় তিন বছর আগের ঘটনা এটি।
২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মানুষের কুনজর থেকে ফসল রক্ষা করতে সানি লিওনের পোস্টারটি টানিয়েছিলেন ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কৃষক চেঞ্চু রেড্ডি।
চেঞ্চু রেড্ডির ১০ একর জমিতে সেবার বাধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়। তাঁর দাবি, জমির বাম্পার ফলন থেকে গ্রামবাসীর কুনজর সরাতে খেতের পাশে তিনি এই পোস্টার টানিয়েছেন।
হিন্দুস্থান টাইমসের ওই প্রতিবেদনে চেঞ্চু রেড্ডি বলেন, ‘ফসলে যাতে কুনজর না পড়ে সে জন্যই সানি লিওনের একটা বড়সড় পোস্টার দেওয়ার ভাবনাটা কয়েকদিন আগে মাথায় আসে। এই কৌশল কাজে দিয়েছে। লোকে এখন জমির ফসলের দিকে তাকাচ্ছে না।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মানুষের কুনজর ও পাখি তাড়িয়ে ফসল নিরাপদ রাখতে কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার বেশ প্রাচীন। তবে সানি লিওনের পোস্টার দিয়ে কুনজর এড়াবার বিষয়টি অভিনব। তাই সে সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও ঘটনাটি গুরুত্ব পায়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যমুনা টিভি, কালের কণ্ঠ, জাগো নিউজসহ বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরিশিষ্ট
কুনজর এড়াতে সানি লিওনের পোস্টার টানানোর ঘটনাটি সত্য হলেও সেটি তিন বছর আগের। সাম্প্রতিক ফ্যাক্টচেকগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে প্রায়ই পুরোনো ছবি-ভিডিও বিকৃত তথ্যসহ বা কোনো তথ্য ছাড়াই ভাইরাল হয়। এতে করে দ্রুত বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে কোনো ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলেই মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও তা প্রতিবেদন আকারে আসে। হয়তো পাঠক আকৃষ্ট করার কৌশল এটি।
তবে, এ ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরে প্রকৃত তথ্য থাকলেও শিরোনামটি ভাইরাল ছবির মতোই বিভ্রান্তিকর করে লেখা হয়। সংবাদমাধ্যমের এমন চর্চা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভ্রান্তিগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে সেটি সংবাদমাধ্যমের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
ইরানের নারীরা হিজাব খুলে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন—এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক শিমুলের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার করছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেব্রণ ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্রণ হতে পারে। এটি শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। ব্রণ নিয়ে সমাজে একটি সাধারণ প্রচলিত আছে—এগুলো প্রায়শই সঠিক চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের..
৫ দিন আগেইরান-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইরানের নাগরিকদের জন্য পাকিস্তান তাদের সীমান্তের ফটক খুলে দিয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৬ দিন আগে