ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দোকান থেকে প্যাকেটজাত কিছু কেনার সময় পণ্যের মেয়াদ দেখে নেওয়াটা জরুরি। সব দেশেই খাবারের প্যাকেটে মেয়াদ লেখা বাধ্যতামূলক। পানির বোতলেও মেয়াদ লেখা থাকে। পানিরও কি মেয়াদ থাকে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো পানি কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না। তাহলে পানির বোতলের গায়ে কিসের মেয়াদ লেখা থাকে?
এর পেছনে আছে ছোট এক ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র অঙ্গরাজ্য হিসেবে নিউজার্সিতে একটা আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়, বোতলজাত পানিসহ সব খাদ্যপণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে। আর এ মেয়াদকাল উৎপাদনের তারিখ থেকে হবে সর্বোচ্চ দুই বছর। এই আইন পাসের পর থেকেই পানির বোতলের গায়ে মেয়াদ লেখা পানি বোতলজাত শিল্পের মানদণ্ডে পরিণত হয়। তবে ২০০৪ সালে এই আইন পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ লেখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বোতলজাত পানির মেয়াদ সম্পর্কে জানায়, এ ধরনের পানি যেকোনো সময়ই ব্যবহার করা যাবে, যদি বোতলটি যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং ছিপি খোলা না হয়। বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পানির স্বাদ, গন্ধের দিকে খেয়াল রেখে বোতলের গায়ে একটি তারিখ উল্লেখ করে দিতে পারে। বোতলজাত পানি ভালো রাখতে ঠান্ডা স্থানে সূর্যের আলো থেকে দূরে সংরক্ষণের পরামর্শ দেয় এফডিএ। আন্তর্জাতিক বোতলজাত পানি অ্যাসোসিয়েশনও (আইবিডাব্লিউএ) বোতলজাত পানি কক্ষ তাপমাত্রায় সরাসরি সূর্যালোকের বাইরে, দ্রাবক এবং রাসায়নিক পদার্থ যেমন: পেট্রল, পেইন্ট থিনার এবং ড্রাই ক্লিনিং ইত্যাদি রাসায়নিক থেকে দূরে সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড সেইফটি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকেও। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বোতলজাত পানির কোনো মেয়াদ নেই। তবে সংরক্ষণের ভিন্নতার কারণে পানির স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে।
তাহলে বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ কেন লেখা হয়? বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স বলছে, এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব–নিকাশ। যেমন, পানি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। তাই অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতোই বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করার একটি সরকারি বাধ্যবাধকতা আছে। পাশাপাশি বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করার মধ্যে পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানেরও বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন: বোতলজাত পানিটি কখন, কোথায় প্রক্রিয়াজাত করা হলো ইত্যাদি বিষয়ে নথি রাখা যায়।
আবার অনেক কোম্পানি যেই মেশিন ব্যবহার করে পানি বোতলজাত করে, একই মেশিন তারা সোডা এবং অন্যান্য পানীয় বোতলজাত করতে ব্যবহার করে। এসব সোডা ও পানীয়ের মেয়াদ সীমিত। ফলে এসব পণ্যে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হয়। পানির জন্য আলাদা মেশিন ব্যবহার না করে একই মেশিনে সব ধরনের পানীয় বোতলজাত করায় মেয়াদের স্ট্যাম্প লাগানো সহজ হয় এবং উৎপাদন খরচও কমে। লাইভ সায়েন্স আরও জানায়, পানি যদিও কখনো পানের অযোগ্য হয় না, তবে পানিটি যে বোতলে রাখা হচ্ছে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ হতে পারে এবং বোতল থেকে পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ছড়াতে পারে। এতে বোতলের পানি পানের অনুপযুক্ত না হলেও স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে। এ কারণেও বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করা হয়।
অর্থাৎ, বোতলজাত পানির মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ মানে বোতলের মেয়াদ, পানির মেয়াদ নয়।
তাই সাধারণত মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলের পানি পান না করাই ভালো বলে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন। কারণ সময়ের সঙ্গে বোতলের প্লাস্টিক কণা পানির সঙ্গে মিশে সেই পানিকে ‘অ্যান্টিমনি’, ‘বিসফেনল এ’ জাতীয় রাসায়নিকের মাধ্যমে দূষিত হতে পারে।
দোকান থেকে প্যাকেটজাত কিছু কেনার সময় পণ্যের মেয়াদ দেখে নেওয়াটা জরুরি। সব দেশেই খাবারের প্যাকেটে মেয়াদ লেখা বাধ্যতামূলক। পানির বোতলেও মেয়াদ লেখা থাকে। পানিরও কি মেয়াদ থাকে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো পানি কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না। তাহলে পানির বোতলের গায়ে কিসের মেয়াদ লেখা থাকে?
এর পেছনে আছে ছোট এক ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র অঙ্গরাজ্য হিসেবে নিউজার্সিতে একটা আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়, বোতলজাত পানিসহ সব খাদ্যপণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে। আর এ মেয়াদকাল উৎপাদনের তারিখ থেকে হবে সর্বোচ্চ দুই বছর। এই আইন পাসের পর থেকেই পানির বোতলের গায়ে মেয়াদ লেখা পানি বোতলজাত শিল্পের মানদণ্ডে পরিণত হয়। তবে ২০০৪ সালে এই আইন পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ লেখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বোতলজাত পানির মেয়াদ সম্পর্কে জানায়, এ ধরনের পানি যেকোনো সময়ই ব্যবহার করা যাবে, যদি বোতলটি যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং ছিপি খোলা না হয়। বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পানির স্বাদ, গন্ধের দিকে খেয়াল রেখে বোতলের গায়ে একটি তারিখ উল্লেখ করে দিতে পারে। বোতলজাত পানি ভালো রাখতে ঠান্ডা স্থানে সূর্যের আলো থেকে দূরে সংরক্ষণের পরামর্শ দেয় এফডিএ। আন্তর্জাতিক বোতলজাত পানি অ্যাসোসিয়েশনও (আইবিডাব্লিউএ) বোতলজাত পানি কক্ষ তাপমাত্রায় সরাসরি সূর্যালোকের বাইরে, দ্রাবক এবং রাসায়নিক পদার্থ যেমন: পেট্রল, পেইন্ট থিনার এবং ড্রাই ক্লিনিং ইত্যাদি রাসায়নিক থেকে দূরে সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড সেইফটি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকেও। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বোতলজাত পানির কোনো মেয়াদ নেই। তবে সংরক্ষণের ভিন্নতার কারণে পানির স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে।
তাহলে বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ কেন লেখা হয়? বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স বলছে, এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব–নিকাশ। যেমন, পানি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। তাই অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতোই বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করার একটি সরকারি বাধ্যবাধকতা আছে। পাশাপাশি বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করার মধ্যে পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানেরও বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন: বোতলজাত পানিটি কখন, কোথায় প্রক্রিয়াজাত করা হলো ইত্যাদি বিষয়ে নথি রাখা যায়।
আবার অনেক কোম্পানি যেই মেশিন ব্যবহার করে পানি বোতলজাত করে, একই মেশিন তারা সোডা এবং অন্যান্য পানীয় বোতলজাত করতে ব্যবহার করে। এসব সোডা ও পানীয়ের মেয়াদ সীমিত। ফলে এসব পণ্যে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হয়। পানির জন্য আলাদা মেশিন ব্যবহার না করে একই মেশিনে সব ধরনের পানীয় বোতলজাত করায় মেয়াদের স্ট্যাম্প লাগানো সহজ হয় এবং উৎপাদন খরচও কমে। লাইভ সায়েন্স আরও জানায়, পানি যদিও কখনো পানের অযোগ্য হয় না, তবে পানিটি যে বোতলে রাখা হচ্ছে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ হতে পারে এবং বোতল থেকে পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ছড়াতে পারে। এতে বোতলের পানি পানের অনুপযুক্ত না হলেও স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে। এ কারণেও বোতলজাত পানির গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করা হয়।
অর্থাৎ, বোতলজাত পানির মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ মানে বোতলের মেয়াদ, পানির মেয়াদ নয়।
তাই সাধারণত মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলের পানি পান না করাই ভালো বলে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন। কারণ সময়ের সঙ্গে বোতলের প্লাস্টিক কণা পানির সঙ্গে মিশে সেই পানিকে ‘অ্যান্টিমনি’, ‘বিসফেনল এ’ জাতীয় রাসায়নিকের মাধ্যমে দূষিত হতে পারে।
গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যবাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছ
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘক্ষণ পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে পায়ের রগ ফুলে যায়, অনেক সময় পা টনটন করে। অনেকে ধারণা করেন, এভাবে পা তুলে বসলে পায়ের শিরা স্থায়ীভাবে ফুলে যায়। আসলেই কি পায়ের ওপর পা তুলে বসলে এমন সমস্যা হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
৮ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
২ দিন আগেচীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগে