ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে। আবার বিশ্বের কোথাও কোথাও এই চর্চা করা হয় এই বিশ্বাস থেকে যে মৃগীরোগী নিজের জিহ্বা গিলে ফেলতে পারে!
চামড়ার জুতা শুকলে মৃগীরোগীর আসলেই কোনো উপকার হয়?
মৃগীরোগীর খিঁচুনি প্রশমনে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়ার ধারণাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ২০১৮ সালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মৃগীরোগের ব্যাপারে সচেতনতা নিয়ে দেশটির ৪২টি স্কুলের প্রায় ৪০০ শিক্ষকের ওপর ৮ মাসের একটি জরিপ চালানো হয়। এই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪০ শতাংশ শিক্ষক বিশ্বাস করেন, মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো চামড়ার জুতা বা পেঁয়াজের ঘ্রাণ নেওয়া।
বাংলাদেশে এমন কোনো জরিপ পাওয়া না গেলেও মানুষের মধ্যে যে এ ধারণা বিদ্যমান সেটির প্রমাণ পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘RK SagaCity’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালে মৃগীরোগীকে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায়, রাস্তায় এক ব্যক্তির খিঁচুনি উঠেছে। ব্যক্তিটি রাস্তায় পড়ে আছেন। আশপাশের মানুষজন তাঁর নাকে জুতা, চামড়ার বেল্ট ধরার চেষ্টা করছেন।
কেবল সাধারণ মানুষ নন, জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘দঙ্গল’-এর তারকা ফাতেমা সানা শেখকেও খিঁচুনি উপশমে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়া হয়েছিল। ভক্তদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ২০২২ সালে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
মৃগীরোগীকে জুতা বা চামড়াজাত পণ্যের ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর নিউরোটেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক স্নায়ুবিজ্ঞানী এরিক চুডলারের একটি ব্লগ খুঁজে পাওয়া যায়।
ব্লগটিতে তিনি লেখেন, খিঁচুনির সময় মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়। এ কারণে মৃগীরোগকে কখনো কখনো ‘বৈদ্যুতিক ব্রেন স্টর্ম’ বলা হয়। খিঁচুনি চলাকালীন মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিন্তা, নড়াচড়া, দেখা ও শোনার মতো কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এই খিঁচুনির তীব্রতা প্রতিরোধ বা কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় চেষ্টা করেছে। মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খিঁচুনি উপশমে বর্তমানে অনেক কার্যকর ওষুধ পাওয়া যায়।
ব্লগটিতে মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির বর্ণনাও পাওয়া যায়। হারিন্দার জাসেজা নামে ভারতীয় চিকিৎসকের একটি নিবন্ধের বরাত দিয়ে এরিক চুডলার জানান, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্ভট। সর্বোপরি, মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার গন্ধের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।
যদিও হারিন্দার জাসেজা দাবি করেছেন, মৃগীরোগের চিকিৎসায় এটি কাজ করে থাকতে পারে। তাঁর মতে, এটি একধরনের অ্যারোমাথেরাপি। অ্যারোমাথেরাপি হচ্ছে রোগের চিকিৎসায় ঘ্রাণের ব্যবহার। যদিও কিছু কিছু গন্ধ খিঁচুনি শুরু করতে পারে, তবে আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, কিছু তীব্র গন্ধ খিঁচুনির তীব্রতা কমিয়ে দিতে পারে। এটা হতে পারে যে, তীব্র ঘ্রাণ খিঁচুনির সময় নিউরনের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক উদ্দীপনায় ব্যাঘাত ঘটায়।
নেদারল্যান্ডস থেকে প্রকাশিত জার্নাল এলসেভিয়ারে ২০০৮ সালে প্রকাশিত হারিন্দার জাসেজার এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ পাওয়া যায়। হারিন্দার জাসেজা ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অবস্থিত জি আর মেডিকেল কলেজের শারীরবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসক। তিনি গবেষণা নিবন্ধটিতে এশিয়ার দেশগুলোতে মৃগীরোগের খিঁচুনি প্রশমনে জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতিটির পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও গবেষণাটির শেষে হারিন্দার জাসেজা বলেন, তীব্র ঘ্রাণ খিঁচুনি প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এ জন্য আরও অনেক বেশি গবেষণা প্রয়োজন। আর এ গবেষণা মৃগীরোগের খিঁচুনি প্রশমনে জুতার ঘ্রাণ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় না।
ধারণাটির উৎপত্তি সম্পর্কে হারিন্দার জাসেজা আরেকটি নিবন্ধে লেখেন, একসময় মৃগীরোগকে দেখা হয়েছে ‘দুষ্টু’ আত্মার আছর হিসেবে। তাই মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ প্রয়োগের ধারণা এই বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত যে জুতার বাজে গন্ধ এই ‘দুষ্টু’ আত্মাদের প্রতিহত করতে পারে। ব্যাপারটি কাটা দিয়ে কাটা তোলার মতো।
মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণে দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্নায়ু বিশেষজ্ঞ নির্মল সূর্য। মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির ব্যাপারে তিনি বলেন, খিঁচুনির সময় রোগীর নাকে পেঁয়াজ বা জুতা ধরার পরামর্শটির কোনো ভিত্তি নেই। আবার অনেক সময় মৃগীরোগীর হাতে ধাতব বস্তু ধরিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো অযৌক্তিক সংস্কার, এগুলো রোগীর চিকিৎসায় কোনো কাজে আসে না।
মৃগীরোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটিও রোগীর কোনো উপকার করে না। বরং এভাবে রোগীর অন্যান্য সমস্যা যেমন, দাঁত, মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। যদি মৃগীরোগীর মুখ খোলা থাকে, তাহলে সেখানে প্রয়োজনে নরম বস্তু, যেমন, রুমাল রাখা যেতে পারে।
একই বিষয়ে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের সঙ্গে কথা হয় খিঁচুনি বা মৃগীরোগের চিকিৎসায় কাজ করা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ শাখওয়াত এমরানের সঙ্গে। খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় জুতার ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে মৃগীরোগীর যখন খিঁচুনি হয়, তখন জিহ্বায় কামড় পড়ে রোগীর জিহ্বা কেটে যেতে পারে। এটি প্রতিরোধে মুখের ভেতর চামচ, জুতা এগুলো ঢুকিয়ে দেয়। এটিই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আসতে আসতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মৃগীরোগীকে জুতা শুকতে দিলে রোগী ভালো হয়ে যায়।
এই চিকিৎসক বলেন, মৃগীরোগীর খিঁচুনি সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট স্থায়ী হয়। এরপর রোগী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ রোগীর নাকে জুতা ধরলে মনে হতে পারে, জুতা দেওয়ার কারণেই তিনি সুস্থ হয়েছেন!
মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কী
খিঁচুনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের খিঁচুনি আছে। তবে অধিকাংশ খিঁচুনি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। যেকোনো খিঁচুনিতে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সাধারণত যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে:
* খিঁচুনি শেষ না হওয়া এবং জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত রোগীর পাশে থাকা।
* চোখে চশমা থাকলে সরিয়ে ফেলা।
* মাথার নিচে নরম কিছু দেওয়া।
* রোগীর মুখে কিছু না রাখা।
* রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খাবার, পানি না দেওয়া।
* রোগীকে চেপে না ধরা বা তার নড়াচড়া বন্ধ করার চেষ্টা না করা।
* খিঁচুনি শেষ হলে রোগীকে বসতে সাহায্য করা এবং স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা।
* খিঁচুনি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে জরুরি চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা।

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে। আবার বিশ্বের কোথাও কোথাও এই চর্চা করা হয় এই বিশ্বাস থেকে যে মৃগীরোগী নিজের জিহ্বা গিলে ফেলতে পারে!
চামড়ার জুতা শুকলে মৃগীরোগীর আসলেই কোনো উপকার হয়?
মৃগীরোগীর খিঁচুনি প্রশমনে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়ার ধারণাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ২০১৮ সালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মৃগীরোগের ব্যাপারে সচেতনতা নিয়ে দেশটির ৪২টি স্কুলের প্রায় ৪০০ শিক্ষকের ওপর ৮ মাসের একটি জরিপ চালানো হয়। এই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪০ শতাংশ শিক্ষক বিশ্বাস করেন, মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো চামড়ার জুতা বা পেঁয়াজের ঘ্রাণ নেওয়া।
বাংলাদেশে এমন কোনো জরিপ পাওয়া না গেলেও মানুষের মধ্যে যে এ ধারণা বিদ্যমান সেটির প্রমাণ পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘RK SagaCity’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালে মৃগীরোগীকে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায়, রাস্তায় এক ব্যক্তির খিঁচুনি উঠেছে। ব্যক্তিটি রাস্তায় পড়ে আছেন। আশপাশের মানুষজন তাঁর নাকে জুতা, চামড়ার বেল্ট ধরার চেষ্টা করছেন।
কেবল সাধারণ মানুষ নন, জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘দঙ্গল’-এর তারকা ফাতেমা সানা শেখকেও খিঁচুনি উপশমে চামড়ার জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়া হয়েছিল। ভক্তদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ২০২২ সালে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
মৃগীরোগীকে জুতা বা চামড়াজাত পণ্যের ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর নিউরোটেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক স্নায়ুবিজ্ঞানী এরিক চুডলারের একটি ব্লগ খুঁজে পাওয়া যায়।
ব্লগটিতে তিনি লেখেন, খিঁচুনির সময় মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়। এ কারণে মৃগীরোগকে কখনো কখনো ‘বৈদ্যুতিক ব্রেন স্টর্ম’ বলা হয়। খিঁচুনি চলাকালীন মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিন্তা, নড়াচড়া, দেখা ও শোনার মতো কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এই খিঁচুনির তীব্রতা প্রতিরোধ বা কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় চেষ্টা করেছে। মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খিঁচুনি উপশমে বর্তমানে অনেক কার্যকর ওষুধ পাওয়া যায়।
ব্লগটিতে মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির বর্ণনাও পাওয়া যায়। হারিন্দার জাসেজা নামে ভারতীয় চিকিৎসকের একটি নিবন্ধের বরাত দিয়ে এরিক চুডলার জানান, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্ভট। সর্বোপরি, মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার গন্ধের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।
যদিও হারিন্দার জাসেজা দাবি করেছেন, মৃগীরোগের চিকিৎসায় এটি কাজ করে থাকতে পারে। তাঁর মতে, এটি একধরনের অ্যারোমাথেরাপি। অ্যারোমাথেরাপি হচ্ছে রোগের চিকিৎসায় ঘ্রাণের ব্যবহার। যদিও কিছু কিছু গন্ধ খিঁচুনি শুরু করতে পারে, তবে আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, কিছু তীব্র গন্ধ খিঁচুনির তীব্রতা কমিয়ে দিতে পারে। এটা হতে পারে যে, তীব্র ঘ্রাণ খিঁচুনির সময় নিউরনের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক উদ্দীপনায় ব্যাঘাত ঘটায়।
নেদারল্যান্ডস থেকে প্রকাশিত জার্নাল এলসেভিয়ারে ২০০৮ সালে প্রকাশিত হারিন্দার জাসেজার এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ পাওয়া যায়। হারিন্দার জাসেজা ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অবস্থিত জি আর মেডিকেল কলেজের শারীরবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসক। তিনি গবেষণা নিবন্ধটিতে এশিয়ার দেশগুলোতে মৃগীরোগের খিঁচুনি প্রশমনে জুতার ঘ্রাণ শুকতে দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতিটির পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও গবেষণাটির শেষে হারিন্দার জাসেজা বলেন, তীব্র ঘ্রাণ খিঁচুনি প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এ জন্য আরও অনেক বেশি গবেষণা প্রয়োজন। আর এ গবেষণা মৃগীরোগের খিঁচুনি প্রশমনে জুতার ঘ্রাণ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় না।
ধারণাটির উৎপত্তি সম্পর্কে হারিন্দার জাসেজা আরেকটি নিবন্ধে লেখেন, একসময় মৃগীরোগকে দেখা হয়েছে ‘দুষ্টু’ আত্মার আছর হিসেবে। তাই মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ প্রয়োগের ধারণা এই বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত যে জুতার বাজে গন্ধ এই ‘দুষ্টু’ আত্মাদের প্রতিহত করতে পারে। ব্যাপারটি কাটা দিয়ে কাটা তোলার মতো।
মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণে দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্নায়ু বিশেষজ্ঞ নির্মল সূর্য। মৃগীরোগের চিকিৎসায় জুতার ঘ্রাণ নিতে দেওয়ার পরামর্শটির ব্যাপারে তিনি বলেন, খিঁচুনির সময় রোগীর নাকে পেঁয়াজ বা জুতা ধরার পরামর্শটির কোনো ভিত্তি নেই। আবার অনেক সময় মৃগীরোগীর হাতে ধাতব বস্তু ধরিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো অযৌক্তিক সংস্কার, এগুলো রোগীর চিকিৎসায় কোনো কাজে আসে না।
মৃগীরোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটিও রোগীর কোনো উপকার করে না। বরং এভাবে রোগীর অন্যান্য সমস্যা যেমন, দাঁত, মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। যদি মৃগীরোগীর মুখ খোলা থাকে, তাহলে সেখানে প্রয়োজনে নরম বস্তু, যেমন, রুমাল রাখা যেতে পারে।
একই বিষয়ে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের সঙ্গে কথা হয় খিঁচুনি বা মৃগীরোগের চিকিৎসায় কাজ করা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ শাখওয়াত এমরানের সঙ্গে। খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় জুতার ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে মৃগীরোগীর যখন খিঁচুনি হয়, তখন জিহ্বায় কামড় পড়ে রোগীর জিহ্বা কেটে যেতে পারে। এটি প্রতিরোধে মুখের ভেতর চামচ, জুতা এগুলো ঢুকিয়ে দেয়। এটিই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আসতে আসতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মৃগীরোগীকে জুতা শুকতে দিলে রোগী ভালো হয়ে যায়।
এই চিকিৎসক বলেন, মৃগীরোগীর খিঁচুনি সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট স্থায়ী হয়। এরপর রোগী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ রোগীর নাকে জুতা ধরলে মনে হতে পারে, জুতা দেওয়ার কারণেই তিনি সুস্থ হয়েছেন!
মৃগীরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কী
খিঁচুনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের খিঁচুনি আছে। তবে অধিকাংশ খিঁচুনি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। যেকোনো খিঁচুনিতে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সাধারণত যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে:
* খিঁচুনি শেষ না হওয়া এবং জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত রোগীর পাশে থাকা।
* চোখে চশমা থাকলে সরিয়ে ফেলা।
* মাথার নিচে নরম কিছু দেওয়া।
* রোগীর মুখে কিছু না রাখা।
* রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খাবার, পানি না দেওয়া।
* রোগীকে চেপে না ধরা বা তার নড়াচড়া বন্ধ করার চেষ্টা না করা।
* খিঁচুনি শেষ হলে রোগীকে বসতে সাহায্য করা এবং স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা।
* খিঁচুনি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে জরুরি চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে।
১৫ মে ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে।
১৫ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে।
১৫ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

হুট করে কারও খিঁচুনি শুরু হলে চামড়ার জুতা বা চামড়াজাত জিনিস নাকে ধরার পরামর্শ দেন অনেকে। বলা হয়, চামড়াজাত জিনিসের ঘ্রাণে মৃগীরোগীর খিঁচুনি বন্ধ হয়। আবার কখনো কখনো এ ধরনের রোগীর মুখে কাঠি, কলম বা চামচ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রোগী জিহ্বা কামড়ে না ধরে।
১৫ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫