ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
পাকা কলায় খোদাই করে মানুষের মুখাবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পকর্মটিতে চোখের পাপড়ি, ভ্রু, নাক ও নাসারন্ধ্র স্পষ্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পকর্মটির একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নানা ক্যাপশনে ছবিটি নিজেদের ফেসবুক পেজ, অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করছেন। যেমন—৫ ফেব্রুয়ারি অমিতাভ প্রামাণিক নামে একটি অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘কলা মানে আর্ট, আর্ট মানে শিল্প...।’
তাঁর এই পোস্ট আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিঅ্যাকশন পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার। পোস্টটির কমেন্ট বক্সে পুরুষোত্তম চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন, ‘কলা খোদাই করে ভাস্কর্য বড় শিল্পকলা।’
কলায় মানুষের মুখাবয়বের এই কাজ কি কোনো শিল্পীর?
ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘Urban Kitchen Sri Lanka’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে ৫ ফেব্রুয়ারি ছবিটি ভিডিও আকারে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে সিংহলিজ ও ইংরেজি ভাষায়। সিংহলিজ ভাষার ক্যাপশনটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘কলায় সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ।’ পাশেই ইংরেজিতে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা আছে, ‘midjourney’।
মিডজার্নি হচ্ছে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলের নাম। এটি ব্যবহারকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী ছবি তৈরি করে দিতে পারে। অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ছবিটি মিডজার্নি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে।
পরে আরও খুঁজে বার্তা সংস্থা এএফপি ফ্যাক্টচেকের আরবি সংস্করণে ভাইরাল ছবিটি নিয়ে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সূত্রে ছবিটির মূল স্রষ্টা দাবিদারের সন্ধান মেলে। ‘Grim Chazer’ নামে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, মূল ছবিটি এই অ্যাকাউন্টধারীরই তৈরি। গত ২৮ জানুয়ারি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি শেয়ার করে ‘midjourney’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন। এই ব্যক্তির আইডি ঘুরে মিডজার্নি এআই দিয়ে তৈরি আরও বেশ কিছু ছবিযুক্ত পোস্ট পাওয়া যায়।
কলার ভাস্কর্যের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অনেকে ‘বাস্তব’ বলে ধরে নেওয়ায় ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রিম চেজার অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘কলায় এআই দিয়ে আমার সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।’ বাস্তব দাবিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের করা কিছু পোস্টের স্ক্রিনশটও সেই পোস্টে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ‘midjourney official’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে একই ধরনের আরও কিছু ছবি পাওয়া যায়। ‘The ancient art of banana carving’ ক্যাপশনে বেশ কয়েকটি ছবি একসঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে। সব ছবিই খোসা ছাড়ানো কলার গায়ে খোদাই করা মানুষের মুখ।
এ থেকে বলা যায়, কলায় মানুষের মুখাবয়ব খোদাই করার ভাইরাল ছবিটি কোনো শিল্পীর তৈরি নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল মিডজার্নি দিয়ে তৈরি। মিডজার্নি প্ল্যাটফর্মে সামান্য অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে যে কেউ উপযুক্ত নির্দেশনা দিয়ে এমন ছবি তৈরি করতে পারেন।
পাকা কলায় খোদাই করে মানুষের মুখাবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পকর্মটিতে চোখের পাপড়ি, ভ্রু, নাক ও নাসারন্ধ্র স্পষ্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পকর্মটির একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নানা ক্যাপশনে ছবিটি নিজেদের ফেসবুক পেজ, অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করছেন। যেমন—৫ ফেব্রুয়ারি অমিতাভ প্রামাণিক নামে একটি অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘কলা মানে আর্ট, আর্ট মানে শিল্প...।’
তাঁর এই পোস্ট আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিঅ্যাকশন পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার। পোস্টটির কমেন্ট বক্সে পুরুষোত্তম চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন, ‘কলা খোদাই করে ভাস্কর্য বড় শিল্পকলা।’
কলায় মানুষের মুখাবয়বের এই কাজ কি কোনো শিল্পীর?
ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘Urban Kitchen Sri Lanka’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে ৫ ফেব্রুয়ারি ছবিটি ভিডিও আকারে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে সিংহলিজ ও ইংরেজি ভাষায়। সিংহলিজ ভাষার ক্যাপশনটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘কলায় সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ।’ পাশেই ইংরেজিতে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা আছে, ‘midjourney’।
মিডজার্নি হচ্ছে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলের নাম। এটি ব্যবহারকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী ছবি তৈরি করে দিতে পারে। অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ছবিটি মিডজার্নি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে।
পরে আরও খুঁজে বার্তা সংস্থা এএফপি ফ্যাক্টচেকের আরবি সংস্করণে ভাইরাল ছবিটি নিয়ে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সূত্রে ছবিটির মূল স্রষ্টা দাবিদারের সন্ধান মেলে। ‘Grim Chazer’ নামে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, মূল ছবিটি এই অ্যাকাউন্টধারীরই তৈরি। গত ২৮ জানুয়ারি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি শেয়ার করে ‘midjourney’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন। এই ব্যক্তির আইডি ঘুরে মিডজার্নি এআই দিয়ে তৈরি আরও বেশ কিছু ছবিযুক্ত পোস্ট পাওয়া যায়।
কলার ভাস্কর্যের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অনেকে ‘বাস্তব’ বলে ধরে নেওয়ায় ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রিম চেজার অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘কলায় এআই দিয়ে আমার সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।’ বাস্তব দাবিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের করা কিছু পোস্টের স্ক্রিনশটও সেই পোস্টে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ‘midjourney official’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে একই ধরনের আরও কিছু ছবি পাওয়া যায়। ‘The ancient art of banana carving’ ক্যাপশনে বেশ কয়েকটি ছবি একসঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে। সব ছবিই খোসা ছাড়ানো কলার গায়ে খোদাই করা মানুষের মুখ।
এ থেকে বলা যায়, কলায় মানুষের মুখাবয়ব খোদাই করার ভাইরাল ছবিটি কোনো শিল্পীর তৈরি নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল মিডজার্নি দিয়ে তৈরি। মিডজার্নি প্ল্যাটফর্মে সামান্য অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে যে কেউ উপযুক্ত নির্দেশনা দিয়ে এমন ছবি তৈরি করতে পারেন।
ভিডিওতে রাতের বেলা সাদা পাঞ্জাবি-টুপি পরা বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে একটি প্যান্ডেল-মঞ্চের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের মঞ্চে উঠে মেঝেতে আঘাত করতে এবং চেয়ার ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেপুলিশের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে—এই দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একই ক্যাপশনে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে একজন অর্ধনগ্ন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করছেন—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও একই ভিডিও
২ দিন আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে মারা গেছেন—এই দাবিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন এক্স ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। কথিত ওই বিজ্ঞপ্তির ছবিতে পাকিস্তান সরকারের লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ ১০
৩ দিন আগে