ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত দেশের পূর্বাঞ্চলের একাধিক জেলা। সারা দেশের মানুষ এসব জেলার পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি তাঁরাও চালাচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম। বন্যার্ত মানুষের ত্রাণের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা মোর্চা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও। এমন পরিস্থিতিতে মোর্চাটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে চাওয়া হচ্ছে আর্থিক সাহায্য।
গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টায় এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয় সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। পোস্টটিতে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর জন্য একটি ব্যক্তিগত বিকাশ ও নগদ নম্বরও (01333739462) যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টটিতে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রিয়েকশন পড়েছে ২ হাজারের বেশি, শেয়ার হয়েছে শতাধিক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। অ্যাকাউন্টটিতে ফলোয়ার সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার। অ্যাকাউন্টটির প্রোফাইল ট্রান্সপারেন্সি থেকে জানা যায়, এটি ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টটির ওই সময়ের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি যাচাই করে এমন কিছু পোস্ট পাওয়া যায়, যা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগসহ দেশের অন্যান্য ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের যাচাইয়ে ভুয়া হিসেবে প্রমাণ হয়। এর মধ্যে আছে শিক্ষাক্রম নিয়ে একাধিক ভুয়া পোস্ট। এসব পোস্টের ফলে অ্যাকাউন্টটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।
এসন্দেহের ফলে বন্যার্তদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে পোস্টটিতে যুক্ত মোবাইল নম্বরটিতে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া নম্বর ও পরিচয় শনাক্তকারী অ্যাপ ‘ট্রু কলার’–এ নম্বরটির পরিচয়ে ‘ফ্রড’ উল্লেখ করা হয়েছে। কেবল এটিই নয়, আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের যাচাইয়ে দেখা যায়, ফেসবুকে সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ রয়েছে। এসব পেজ ও অ্যাকাউন্টের কোনো কোনোটির ফলোয়ার সংখ্যা লাখের ওপরে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা ফান্ডের নম্বর যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিতে তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা ফান্ডের একমাত্র বিকাশ/নগদ/রকেট মার্চেন্ট নম্বর (01886969859)। রকেটের জন্য উক্ত নম্বরের সঙ্গে অতিরিক্ত ডিজিট ৭ যুক্ত করতে হবে। ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য এই নম্বরে পেমেন্ট করতে হবে।
অপরদিকে সারজিস আলমের মূল পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ১৪ লাখ। এই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৯ আগস্ট একটি পোস্ট দিয়ে সারজিস জানান, ‘ফেসবুক আইডিতে মাঝেমাঝেই নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি ৷ তাই সেইফগার্ড হিসেবে অবশেষে একটি পেজ খুলেছি। আমি বিশ্বাস করি–আপনাদের পরামর্শ, যৌক্তিক সমালোচনা আর পাশে থাকা আমার চলার পথকে সহজ করবে।’ পোস্টটিতে তিনি তাঁর নতুন পেজ ‘Md Sarjis Alam’ এর লিংকও যুক্ত করে দেন। এই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার।
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত দেশের পূর্বাঞ্চলের একাধিক জেলা। সারা দেশের মানুষ এসব জেলার পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি তাঁরাও চালাচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম। বন্যার্ত মানুষের ত্রাণের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা মোর্চা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও। এমন পরিস্থিতিতে মোর্চাটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে চাওয়া হচ্ছে আর্থিক সাহায্য।
গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টায় এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয় সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। পোস্টটিতে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর জন্য একটি ব্যক্তিগত বিকাশ ও নগদ নম্বরও (01333739462) যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টটিতে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রিয়েকশন পড়েছে ২ হাজারের বেশি, শেয়ার হয়েছে শতাধিক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। অ্যাকাউন্টটিতে ফলোয়ার সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার। অ্যাকাউন্টটির প্রোফাইল ট্রান্সপারেন্সি থেকে জানা যায়, এটি ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টটির ওই সময়ের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি যাচাই করে এমন কিছু পোস্ট পাওয়া যায়, যা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগসহ দেশের অন্যান্য ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের যাচাইয়ে ভুয়া হিসেবে প্রমাণ হয়। এর মধ্যে আছে শিক্ষাক্রম নিয়ে একাধিক ভুয়া পোস্ট। এসব পোস্টের ফলে অ্যাকাউন্টটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।
এসন্দেহের ফলে বন্যার্তদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে পোস্টটিতে যুক্ত মোবাইল নম্বরটিতে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া নম্বর ও পরিচয় শনাক্তকারী অ্যাপ ‘ট্রু কলার’–এ নম্বরটির পরিচয়ে ‘ফ্রড’ উল্লেখ করা হয়েছে। কেবল এটিই নয়, আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের যাচাইয়ে দেখা যায়, ফেসবুকে সারজিস আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ রয়েছে। এসব পেজ ও অ্যাকাউন্টের কোনো কোনোটির ফলোয়ার সংখ্যা লাখের ওপরে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা ফান্ডের নম্বর যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিতে তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা ফান্ডের একমাত্র বিকাশ/নগদ/রকেট মার্চেন্ট নম্বর (01886969859)। রকেটের জন্য উক্ত নম্বরের সঙ্গে অতিরিক্ত ডিজিট ৭ যুক্ত করতে হবে। ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য এই নম্বরে পেমেন্ট করতে হবে।
অপরদিকে সারজিস আলমের মূল পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ১৪ লাখ। এই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৯ আগস্ট একটি পোস্ট দিয়ে সারজিস জানান, ‘ফেসবুক আইডিতে মাঝেমাঝেই নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি ৷ তাই সেইফগার্ড হিসেবে অবশেষে একটি পেজ খুলেছি। আমি বিশ্বাস করি–আপনাদের পরামর্শ, যৌক্তিক সমালোচনা আর পাশে থাকা আমার চলার পথকে সহজ করবে।’ পোস্টটিতে তিনি তাঁর নতুন পেজ ‘Md Sarjis Alam’ এর লিংকও যুক্ত করে দেন। এই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাড়ি থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে—এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইরানের নারীরা হিজাব খুলে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন—এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক শিমুলের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার করছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেব্রণ ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্রণ হতে পারে। এটি শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। ব্রণ নিয়ে সমাজে একটি সাধারণ প্রচলিত আছে—এগুলো প্রায়শই সঠিক চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের..
৫ দিন আগে