ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, জননিরাপত্তা সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার কথা বলছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমন আলোচনার মধ্যেই দেশের অন্তত দুটি সংবাদমাধ্যম কালের কণ্ঠ ও যমুনা টিভির সূত্রে ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে একটি তথ্য শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘এখন থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হতে হলে মাস্টার্স পাস হতে হবে।’
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কালের কণ্ঠ ও যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে খুঁজে এমন কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবি–সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যম এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রেও পাওয়া যায়নি।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কোনো বক্তব্য দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফলে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিন্ন ভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা–সম্পর্কিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত মন্তব্যটি ভিত্তিহীন।
একই দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আসিফ মাহমুদের নামে খোলা দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট করতে দেখা গেছে। আসিফ মাহমুদ বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাকাউন্ট দুটি তাঁরা পরিচালনা করেন না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সারজিস আলমের নামে যে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি ২০২৩ সালের ১৪ মে খোলা হয়। ওই সময় পেজটির নাম ছিল—ছাত্র অধিকার পরিষদ, ময়মনসিংহ জেলা। পরে একাধিকবার নাম পরিবর্তন করে ৩ আগস্ট পেজটির নাম রাখা হয় ‘সারজিস আলম’।
একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে আসিফ মাহমুদের নামে যে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি খোলা হয় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় পেজটির নাম ছিল ‘বিডি নূর’। ৭ আগস্ট পেজটির নামকরণ হয় ‘আসিফ মাহমুদ’।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলমের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট করা হয়েছে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আসিফ মাহমুদ ৪ আগস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, সেটিই তাঁর একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ। তাঁর নামে অন্য কোনো পেজ কিংবা আইডির ঘোষণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একইভাবে সারজিস আলম ৬ আগস্ট তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে গিয়ে জানান, ওই সময়ই তাঁর নামে অন্তত ৫০টির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছিল। তাঁর এই অ্যাকাউন্ট (লাইভে যাওয়া অ্যাকাউন্টটি) ছাড়া আর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, জননিরাপত্তা সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার কথা বলছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমন আলোচনার মধ্যেই দেশের অন্তত দুটি সংবাদমাধ্যম কালের কণ্ঠ ও যমুনা টিভির সূত্রে ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে একটি তথ্য শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘এখন থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হতে হলে মাস্টার্স পাস হতে হবে।’
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কালের কণ্ঠ ও যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে খুঁজে এমন কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবি–সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যম এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রেও পাওয়া যায়নি।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কোনো বক্তব্য দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফলে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিন্ন ভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা–সম্পর্কিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত মন্তব্যটি ভিত্তিহীন।
একই দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আসিফ মাহমুদের নামে খোলা দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট করতে দেখা গেছে। আসিফ মাহমুদ বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাকাউন্ট দুটি তাঁরা পরিচালনা করেন না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সারজিস আলমের নামে যে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি ২০২৩ সালের ১৪ মে খোলা হয়। ওই সময় পেজটির নাম ছিল—ছাত্র অধিকার পরিষদ, ময়মনসিংহ জেলা। পরে একাধিকবার নাম পরিবর্তন করে ৩ আগস্ট পেজটির নাম রাখা হয় ‘সারজিস আলম’।
একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে আসিফ মাহমুদের নামে যে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি খোলা হয় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় পেজটির নাম ছিল ‘বিডি নূর’। ৭ আগস্ট পেজটির নামকরণ হয় ‘আসিফ মাহমুদ’।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আসিফ মাহমুদ ও সারজিস আলমের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট করা হয়েছে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আসিফ মাহমুদ ৪ আগস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, সেটিই তাঁর একমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ। তাঁর নামে অন্য কোনো পেজ কিংবা আইডির ঘোষণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একইভাবে সারজিস আলম ৬ আগস্ট তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে গিয়ে জানান, ওই সময়ই তাঁর নামে অন্তত ৫০টির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছিল। তাঁর এই অ্যাকাউন্ট (লাইভে যাওয়া অ্যাকাউন্টটি) ছাড়া আর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
৮ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫